স্কুলের বেতন হিসেবে গরু-ছাগল গ্রহণ
মুদ্রা বিনিময় প্রথা শুরুর আগে মানুষ দ্রব্য বিনিময় করতো। এক সেবার বিনিময়ে অন্য সেবা গ্রহণ করতো। কিন্তু একবিংশ শতাব্দীতেও সেই দ্রব্য বিনিময় প্রথা চালু করেছে জিম্বাবুয়ে সরকার। চলমান নগদ অর্থ সংকটের কারণে জিম্বাবুয়ের স্কুলগুলো নগদ অর্থের পরিবর্তে বেতন হিসেবে গরু-ছাগল গ্রহণ করবে। খবর বিবিসির।
শিক্ষামন্ত্রী লাজারুস ডোকোরা বলেছেন, পিতা-মাতাদের কাছে থেকে স্কুলের বেতন আদায় করার সময় স্কুলগুলোকে নমনীয় হতে হবে। শুধু গবাদি পশুই নয়, নানা ধরনের সেবাও বেতনের বিকল্প হিসেবে গ্রহণ করা যেতে পারে বলে তিনি উল্লেখ করেন। উদাহরণ দিয়ে লাজারুস ডোকোরা বলেন, 'কেউ যদি রাজমিস্ত্রির কাজ করে, তাহলে তাকে দিয়ে স্কুলে রাজমিস্ত্রির কাজ করিয়ে নেয়া যেতে পারে।' কোনো কোনো স্কুল ইতিমধ্যে নগদ অর্থের বদলে গবাদিপশু নেয়া শুরুও করেছে। গত সপ্তাহে দেশটির সংসদে এমন একটি আইন পাস হয়েছে, যাতে মোটরগাড়ি বা যন্ত্রপাতির মতো অস্থাবর সম্পত্তিকে ব্যাংকে জামানত হিসেবে রাখা যাবে। এরপর থেকেই জিম্বাবুয়ের ব্যাংকগুলো গবাদিপশু অর্থাৎ গরু, ছাগল, ভেড়াকে জামানত হিসেবে গ্রহণ করতে শুরু করেছে। জিম্বাবুয়েতে নগদ অর্থের চরম সংকট দেখা দিয়েছে। ব্যাংক থেকে টাকা তুলতে হলে মানুষকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। জিম্বাবুয়েতে বিনিয়োগ সংকট এবং বেকারত্বই এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
No comments