বয়লার বিস্ফোরণে দুই শ্রমিক নিহত
দিনাজপুরে একটি অটোরাইস মিলে ভয়াবহ বয়লার বিস্ফোরণে দুই শ্রমিক নিহত হয়েছেন। দগ্ধ হয়েছেন আরও অন্তত ৪০ জন। এদের শরীর ঝলসে গেছে। ১৭ জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিরা দিনাজপুরের এম আবদুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আহত ব্যক্তি ও তাদের স্বজনদের কান্নায় হাসপাতালের পরিবেশ ভারি হয়ে উঠেছে। সদর উপজেলার চেহেলগাজী ইউনিয়নের গোপালগঞ্জ মোড়ে যমুনা অটোমেটিক রাইস মিলে বুধবার বেলা ১১টায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- রঞ্জনা রানী (৪৫) ও মোকসেদ আলী (৫০)। দু’জনের বাড়িই দিনাজপুর সদরে। রঞ্জনা রামজীবনপুর গ্রামের সত্য রায়ের স্ত্রী। আর মোকসেদ ভবানীপুর গ্রামের জহিরউদ্দিনের ছেলে। জানা গেছে, বয়লার বিস্ফোরণের সময় অর্ধশতাধিক শ্রমিক মিলে কাজ করছিলেন। তাদের মধ্যে ৪২ জন দগ্ধ হন। কারখানার কয়েকজন শ্রমিকের ভাষ্য, বেলা ১১টার দিকে তারা কয়েকজন শ্রমিক বাইরে নাশতা খেতে যান। কিছুক্ষণ পর হইচই শুনে কাছে গিয়ে দেখেন, অনেকের শরীর ঝলসে গেছে, তারা কাতরাচ্ছে, আকুতি জানাচ্ছে বাঁচার। স্থানীয়দের সহায়তায় তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল থেকে মিলের শ্রমিকরা ধান সিদ্ধ করছিলেন। বেলা ১১টার দিকে হঠাৎ বয়লার বিস্ফোরিত হয়। এতে আশপাশের এলাকাজুড়ে বয়লারের উত্তপ্ত ধাতব অংশ, আগুন ও পানি ছড়িয়ে পড়ে। এ পানি ও আগুনে ঝলসে যান শ্রমিকরা। দগ্ধ শ্রমিকরা কাতরাতে থাকেন এবং বাঁচার আকুতি জানান। তাদের আর্তচিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে উদ্ধারের চেষ্টা চালান। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসকর্মী ও পুলিশ সদস্যরা স্থানীয়দের সহায়তায় দগ্ধদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার ব্যবস্থা করেন। তাদের প্রথমে দিনাজপুর আবদুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে শুরুতে ১২ জনের অবস্থার অবনতি ঘটে।
তাদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাদের হাসপাতালে আনার পর সেখানে জরুরি বিভাগের সামনে দগ্ধদের আর্তনাদ আর তাদের স্বজনদের আহাজারিতে হাসপাতালের বাতাস ভারি হয়ে ওঠে। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান রঞ্জনা ও মোকসেদ। পরে অবস্থার অবনতি হলে দগ্ধ আরও সাতজনকে দিনাজপুর মেডিকেল থেকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। রংপুর মেডিকেলে ভর্তি রয়েছেন- মুন্না রায়, মুকুল রায়, রোস্তম আলী, আরিফুল ইসলাম, রঞ্জিৎ কুমার রায়, শফিকুল ইসলাম, উদয় চন্দ্র বর্মন, শফিকুল ইসলাম, দুলাল রায়, এনামুল হক, দেলোয়ার হোসেন, সাইদুল হক, বাদল, আনিসুল হক, বিরেন চন্দ্র, মনোরঞ্জন ও সাজেদুল। রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মউদুদ হোসেন জানান, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে বিশেষ টিম গঠন করে দগ্ধদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। হাসপাতালের প্লাস্টিক সার্জারি অ্যান্ড বার্ন ইউনিটের প্রধান সহকারী অধ্যাপক ডা. মারুফুল ইসলাম বলেন, চিকিৎসাধীন রোগীদের প্রায় সবার অবস্থাই আশঙ্কাজনক। তাদের শ্বাসনালিসহ শরীরের প্রায় শতভাগই পুড়ে গেছে। বয়লার বিস্ফোরণের কারণ তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়নি। দিনাজপুরের পুলিশ সুপার মো. হামিদুল আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। কোতোয়ালি থানার ওসি রেদওয়ানুর রহিম জানান, আহতদের চিকিৎসা নিশ্চিত করতে তারা ব্যস্ত সময় পার করছেন। এ ঘটনায় এখনও কেউ অভিযোগ করেননি। মিল মালিক শহরের বড়বন্দর এলাকার সুবল ঘোষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাৎক্ষণিকভাবে তিনি ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানাতে পারেননি। ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের সার্বিক সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
তাদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাদের হাসপাতালে আনার পর সেখানে জরুরি বিভাগের সামনে দগ্ধদের আর্তনাদ আর তাদের স্বজনদের আহাজারিতে হাসপাতালের বাতাস ভারি হয়ে ওঠে। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান রঞ্জনা ও মোকসেদ। পরে অবস্থার অবনতি হলে দগ্ধ আরও সাতজনকে দিনাজপুর মেডিকেল থেকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। রংপুর মেডিকেলে ভর্তি রয়েছেন- মুন্না রায়, মুকুল রায়, রোস্তম আলী, আরিফুল ইসলাম, রঞ্জিৎ কুমার রায়, শফিকুল ইসলাম, উদয় চন্দ্র বর্মন, শফিকুল ইসলাম, দুলাল রায়, এনামুল হক, দেলোয়ার হোসেন, সাইদুল হক, বাদল, আনিসুল হক, বিরেন চন্দ্র, মনোরঞ্জন ও সাজেদুল। রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মউদুদ হোসেন জানান, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে বিশেষ টিম গঠন করে দগ্ধদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। হাসপাতালের প্লাস্টিক সার্জারি অ্যান্ড বার্ন ইউনিটের প্রধান সহকারী অধ্যাপক ডা. মারুফুল ইসলাম বলেন, চিকিৎসাধীন রোগীদের প্রায় সবার অবস্থাই আশঙ্কাজনক। তাদের শ্বাসনালিসহ শরীরের প্রায় শতভাগই পুড়ে গেছে। বয়লার বিস্ফোরণের কারণ তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়নি। দিনাজপুরের পুলিশ সুপার মো. হামিদুল আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। কোতোয়ালি থানার ওসি রেদওয়ানুর রহিম জানান, আহতদের চিকিৎসা নিশ্চিত করতে তারা ব্যস্ত সময় পার করছেন। এ ঘটনায় এখনও কেউ অভিযোগ করেননি। মিল মালিক শহরের বড়বন্দর এলাকার সুবল ঘোষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাৎক্ষণিকভাবে তিনি ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানাতে পারেননি। ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের সার্বিক সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
No comments