সেনাবাহিনীকে যুদ্ধের প্রস্তুতির নির্দেশ চীনা প্রেসিডেন্টের
সেনাবাহিনীকে যুদ্ধের জন্য তৈরি থাকার নির্দেশ দিলেন চীনের প্রেসিডেন্ট জি জিনপিং। শুধু তাই নয়, যত তাড়তাড়ি সম্ভব অত্যাধুনিক যুদ্ধ কৌশল রপ্ত করতেও তিনি পরামর্শ দিয়েছেন। সময়ের সঙ্গে দ্রুত পাল্টে যাচ্ছে রণপ্রযুক্তি। আধুনিক যুদ্ধ কৌশলের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে ইলেকট্রনিক, তথ্যপ্রযুক্তি ও মহাকাশ বিজ্ঞান। পাল্টে যাওয়া রণক্ষেত্রে সাফল্য পেতে হলে সড়গড় হতে হবে নানান খুঁটিনাটি বিষয়ে। সদ্যগঠিত ৮৪টি সেনা ইউনিটের প্রধানদের সে ব্যাপারে সচেতন হতে মঙ্গলবার নির্দেশ দিলেন প্রেসিডেন্ট জি জিনপিং, যিনি প্রায় ৪৩ কোটি সৈন্য বিশিষ্ট পিপল্স লিবারেশন আর্মির প্রধানও। অত্যাধুনিক যুদ্ধরীতির সঙ্গে পরিচিত হতে দীর্ঘ প্রশিক্ষণের উপরও জোর দিয়েছেন জিনপিং। মনে করা হচ্ছে, সম্প্রতি দক্ষিণ কোরিয়ায় শক্তিশালী রাডার বিশিষ্ট মার্কিন থাড (টার্মিনাল হাই অল্টিচ্যুড এরিয়া ডিফেন্স) মিসাইলের মোকাবিলা করতেই চীনের এই উদ্যোগ।
জানা গেছে, আমেরিকার অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি থাড মিসাইলের রাডার প্রায় সমগ্র চীনের উপর নজরদারি করতে সক্ষম। শুধু তাই নয়, দক্ষিণ চীন সাগরে ভারত ও জাপানের মতো প্রতিবেশী রাষ্ট্রকে চাপে রাখতেও আধুনিক যুদ্ধ কৌশল রপ্ত করার বিষয়ে জোর দিচ্ছে চীন। প্রশাসনিক সূত্রে কিছু জানানো না হলেও অভ্যন্তরীণ সূত্রে খবর, বিশ্বের বৃহত্তম সেনাবাহিনীর বহর কমাতে উদ্যোগী হয়েছে বেইজিং। জানা গেছে, ইতোমধ্যে প্রায় ৩ লাখ সৈন্যকে ছাঁটাই করা হয়েছে। এর পর বাহিনীর ভিতর থেকেই প্রচুর ঝাড়াই-বাছাইয়ের ফলে তৈরি করা হয়েছে ৮৪টি বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন বিশাল আকারের সেনা ইউনিট। গত ডিসেম্বর মাসে এক বৈঠকেও সেনাবাহিনীর পরিমাপ কমানোর কথা উল্লেখ করেছিলেন প্রেসিডেন্ট জিনপিং। তার দাবি, তুলনায় ছোট বহরের ফৌজ যুদ্ধক্ষেত্রে অনেক বেশি কার্যকর হবে। সেই বাহিনীকে অত্যাধুনিক রণরীতির পাঠ দিয়ে এবার অপরাজেয় করাই বেইজিংয়ের লক্ষ্য।
No comments