নেপালে গর্ভপাতের পরিমাণ বেশি কেনো
অনাকাঙ্খিত
গর্ভধারণের ঘটনা বিশ্বের প্রায় সর্বত্রই ঘটে তবে দরিদ্র ও উন্নয়নশীল
দেশগুলোতে বিয়ের আগে গর্ভধারণ নিয়ে সাধারণত নারীকেই পড়তে হয় আরও
অনাকাঙ্খিত জটিলতায়।
কারণ সমাজ এমনকি নিজের পরিবারের সদস্যরাও এটি মেনে নিতে চাননা। সে কারণেই অনেকে আশ্রয় নেন গর্ভপাতের।
কিন্তু তার খুব কমই অভিজ্ঞ চিকিৎসক দ্বারা হয়ে থাকে। বরং অনেক ক্ষেত্রেই অবৈধ ক্লিনিকে অল্প বিদ্যার লোকজনের হাতে গর্ভপাত হয় যা কখনো কখনো মৃত্যুর কারণও হয়।
এ ধরনের ঘটনা যেসব দেশে বেশি ঘটে থাকে তার একটি নেপাল।
বিবিসির সংবাদদাতার কাছে একজন নিজের শ্যালিকার মৃত্যুর ঘটনা তুলে ধরে তিনি বলেছেন, "সে গর্ভপাত করায় এমন একটি অবৈধ ক্লিনিকে গিয়েছিলো। তারা সেখানে তাকে কিছু ঔষধ দিয়েছিলো। সেই ঔষধ সেবনের পরপরই প্রচণ্ড রক্তক্ষরণ হতে শুরু করলো। পরিস্থিতির অবনতি দেখে আমরা দ্রুতই তাকে হাসপাতালে নিয়েছিলেন কিন্তু শেষ পর্যন্ত অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ তাকে নিয়ে গেলো মৃত্যুর হীম শিতল দরজায়"।
তবে এই ব্যক্তি সামাজিক নিগ্রহের ভয়ে নিজের নাম পরিচয় দেয়া কিংবা ক্যামেরার সামনে চেহারা দেখাতেও রাজী হলেননা তিনি।নানা সমীক্ষায় উঠে আসা হিসেব অনুযায়ী নেপালে মোট গর্ভধারনের মধ্যে ৫০ শতাংশই অপ্রত্যাশিত আর সে কারনে গর্ভপাতের সংখ্যাও অনেক বেশি।
আবার নিরাপদ গর্ভপাতের ব্যবস্থাও সেখানে অপ্রতুল আর সেকারণেই দেশটিতে নিরাপদ গর্ভপাতে সহায়তায় কাজ করছে বেশ কিছু আন্তর্জাতিক সংস্থা। কিন্তু এসব সংস্থাগুলোই এখন তাদের অর্থের বড় অংশ হারানোর পথে।
কারণ প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এমন একটি আদেশে সাক্ষর করেছেন যাতে করে যুক্তরাষ্ট্র গর্ভপাতে সহায়তাকারী সংস্থাগুলোকে কোন অর্থ সাহায্য দিতে পারবেনা। এমনকি গর্ভপাত একটি বিকল্প এটি তারা কোন নারীকে বলতেও পারবেনা।
আন্তর্জাতিক সংস্থা ম্যারি স্টোপসের কর্মকর্তা সোফি হোডার বলছেন, "বাস্তবতা হলো অর্থ সাহায্য কমিয়ে দেয়ায় যেসব নারীরা পরিবার পরিকল্পনার সুযোগ পাচ্ছিলোনা তাদের জীবনের কোন পর্যায়ে হয়তো গর্ভপাতের প্রয়োজন হতে পারে"।
নেপালে মূলত যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ ব্যবহৃত হচ্ছিলো পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচি গুলোতে, যেগুলো নানা আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থা পরিচালনা করছে। কিন্তু এ সেবাও এখন ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
মিস হোডারের মতে, "আমাদের ধারণা ৮০ হাজারের মতো নারী এ কারনে গর্ভপাতের সহায়তা নেবে যদিও এ জন্য তারা কেউই দায়ি নয়। যথাযথ স্বাস্থ্য সহায়তা না পাওয়া কারনেই তারা অনিরাপদ সহায়তা গ্রহণ করছে"।
যুক্তরাষ্ট্র সরকারের এমন নীতি আখ্যা পেয়েছে গর্ভপাত বিরোধী হিসেবেই।
নেপালের মতো দেশগলোর জন্য মিস্টার ট্রাম্পের গর্ভপাত বিরোধী নীতি আসলে ঝুকিতেই ফেলতে পারে নেপালের মতো দরিদ্র দেশের বহু নারীর জীবন।
কারণ অর্থের অভাবে সাহায্য সংস্থাগুলোর তত্ত্বাবধানে স্বাস্থ্যসম্মত ও ঝুঁকি মুক্ত গর্ভপাতের সুযোগ বন্ধ হয়ে গেলে, তাদের দ্বারস্থ হতে হবে অনিরাপদ ও ঝুকিপূর্ণ অবৈধ ক্লিনিকগুলোর কাছেই।
সব মিলিয়ে আরও অনিরাপদ হবে গর্ভপাত।
সুত্রঃ বিবিসি বাংলা
কারণ সমাজ এমনকি নিজের পরিবারের সদস্যরাও এটি মেনে নিতে চাননা। সে কারণেই অনেকে আশ্রয় নেন গর্ভপাতের।
কিন্তু তার খুব কমই অভিজ্ঞ চিকিৎসক দ্বারা হয়ে থাকে। বরং অনেক ক্ষেত্রেই অবৈধ ক্লিনিকে অল্প বিদ্যার লোকজনের হাতে গর্ভপাত হয় যা কখনো কখনো মৃত্যুর কারণও হয়।
এ ধরনের ঘটনা যেসব দেশে বেশি ঘটে থাকে তার একটি নেপাল।
বিবিসির সংবাদদাতার কাছে একজন নিজের শ্যালিকার মৃত্যুর ঘটনা তুলে ধরে তিনি বলেছেন, "সে গর্ভপাত করায় এমন একটি অবৈধ ক্লিনিকে গিয়েছিলো। তারা সেখানে তাকে কিছু ঔষধ দিয়েছিলো। সেই ঔষধ সেবনের পরপরই প্রচণ্ড রক্তক্ষরণ হতে শুরু করলো। পরিস্থিতির অবনতি দেখে আমরা দ্রুতই তাকে হাসপাতালে নিয়েছিলেন কিন্তু শেষ পর্যন্ত অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ তাকে নিয়ে গেলো মৃত্যুর হীম শিতল দরজায়"।
তবে এই ব্যক্তি সামাজিক নিগ্রহের ভয়ে নিজের নাম পরিচয় দেয়া কিংবা ক্যামেরার সামনে চেহারা দেখাতেও রাজী হলেননা তিনি।নানা সমীক্ষায় উঠে আসা হিসেব অনুযায়ী নেপালে মোট গর্ভধারনের মধ্যে ৫০ শতাংশই অপ্রত্যাশিত আর সে কারনে গর্ভপাতের সংখ্যাও অনেক বেশি।
আবার নিরাপদ গর্ভপাতের ব্যবস্থাও সেখানে অপ্রতুল আর সেকারণেই দেশটিতে নিরাপদ গর্ভপাতে সহায়তায় কাজ করছে বেশ কিছু আন্তর্জাতিক সংস্থা। কিন্তু এসব সংস্থাগুলোই এখন তাদের অর্থের বড় অংশ হারানোর পথে।
কারণ প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এমন একটি আদেশে সাক্ষর করেছেন যাতে করে যুক্তরাষ্ট্র গর্ভপাতে সহায়তাকারী সংস্থাগুলোকে কোন অর্থ সাহায্য দিতে পারবেনা। এমনকি গর্ভপাত একটি বিকল্প এটি তারা কোন নারীকে বলতেও পারবেনা।
আন্তর্জাতিক সংস্থা ম্যারি স্টোপসের কর্মকর্তা সোফি হোডার বলছেন, "বাস্তবতা হলো অর্থ সাহায্য কমিয়ে দেয়ায় যেসব নারীরা পরিবার পরিকল্পনার সুযোগ পাচ্ছিলোনা তাদের জীবনের কোন পর্যায়ে হয়তো গর্ভপাতের প্রয়োজন হতে পারে"।
নেপালে মূলত যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ ব্যবহৃত হচ্ছিলো পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচি গুলোতে, যেগুলো নানা আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থা পরিচালনা করছে। কিন্তু এ সেবাও এখন ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
মিস হোডারের মতে, "আমাদের ধারণা ৮০ হাজারের মতো নারী এ কারনে গর্ভপাতের সহায়তা নেবে যদিও এ জন্য তারা কেউই দায়ি নয়। যথাযথ স্বাস্থ্য সহায়তা না পাওয়া কারনেই তারা অনিরাপদ সহায়তা গ্রহণ করছে"।
যুক্তরাষ্ট্র সরকারের এমন নীতি আখ্যা পেয়েছে গর্ভপাত বিরোধী হিসেবেই।
নেপালের মতো দেশগলোর জন্য মিস্টার ট্রাম্পের গর্ভপাত বিরোধী নীতি আসলে ঝুকিতেই ফেলতে পারে নেপালের মতো দরিদ্র দেশের বহু নারীর জীবন।
কারণ অর্থের অভাবে সাহায্য সংস্থাগুলোর তত্ত্বাবধানে স্বাস্থ্যসম্মত ও ঝুঁকি মুক্ত গর্ভপাতের সুযোগ বন্ধ হয়ে গেলে, তাদের দ্বারস্থ হতে হবে অনিরাপদ ও ঝুকিপূর্ণ অবৈধ ক্লিনিকগুলোর কাছেই।
সব মিলিয়ে আরও অনিরাপদ হবে গর্ভপাত।
সুত্রঃ বিবিসি বাংলা
No comments