আদেল হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন
এসএসসি পরীক্ষার্থী আহমেদ ওয়াসিউন নুরের (আদেল) হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে চট্টগ্রাম নগরের ২০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করেছে। গতকাল শনিবার সকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত এই কর্মসূচিতে বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ নানা শ্রেণি-পেশার লোকজন অংশ নেন। কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন হত্যা মামলার বাদী ও আদেলের মামা নজরুল ইসলাম, চিটাগং আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ইউসুফ আলী, শিক্ষক মোহাম্মদ শিবলী, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট চট্টগ্রাম নগর শাখার সভাপতি আমিনুল হক প্রমুখ। মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করেন চট্টগ্রাম নগর শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাতে চট্টগ্রাম নগরের বাকলিয়া থানার রাজাখালী মাস্টার কলোনি এলাকায় সন্ত্রাসীদের হামলায় নিহত হয় আদেল। হামলায় তার বাবা বদিউল আলম আহত হন। আদেল নগরের জামালখান এলাকার চিটাগং আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছিল। তার আর তিনটি পরীক্ষা বাকি ছিল। মানববন্ধনে আদেল মামা নজরুল ইসলাম বলেন, সন্ত্রাসীরা একটি বাচ্চা ছেলের শরীরে ২৬ বার ছুরিকাঘাত করেছে। নৃশংসতা কোন পর্যায়ে গেলে এটি সম্ভব! নির্মম এই হত্যাকাণ্ডের এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেছে। কিন্তু এখনো মূল আসামিরা ধরা পড়েনি।
হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। এতে পরিবারের সদস্যরা কিছুটা হলেও শান্তি পাবেন। চট্টগ্রাম আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ইউসুফ আলী বলেন, সন্ত্রাসীরা মেধাবী, নম্র ও ভদ্র একটি ছেলেকে হত্যা করেছে। তার মতো ছেলেকে যারা হত্যা করতে পারে তারা মানুষ নয়, জানোয়ার। এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ঘাতকদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে। হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে আদেলের সহপাঠীরা ২৫ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ করে। ওই দিনই ৪ মার্চ মানববন্ধন করার ঘোষণা দেওয়া হয়। এ কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীদের অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রচারণা চালানো হয়। এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে নগরের হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজ, হাজেরা-তজু বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, কলেজিয়েট স্কুল, সরকারি মুসলিম উচ্চবিদ্যালয়, চট্টগ্রাম সরকারি উচ্চবিদ্যালয়, নাসিরাবাদ সরকারি উচ্চবিদ্যালয়, পুলিশ লাইন ইনস্টিটিউশন, চিটাগং আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, কাজেম আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজসহ নগরের ২০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কয়েক শ শিক্ষার্থী মানববন্ধনে অংশ নেয়।
No comments