ভারত পর্যাপ্ত প্রমাণ দেয়নি
ভারতের
পাঞ্জাব রাজ্যের পাঠানকোট বিমানঘাঁটিতে হামলায় পাকিস্তানি জঙ্গিরা জড়িত
ছিল—এমন কোনো প্রমাণ ভারত দিতে পারেনি বলে দাবি করেছে পাকিস্তান। এ
হামলার তদন্তে গঠিত পাকিস্তানের যৌথ তদন্ত কমিটি (জেআইটি) এ ব্যাপারে
পাকিস্তানের দায়িত্ব অস্বীকার করেছে। ওই কমিটি বিষয়টি তদন্তের জন্য পাঁচ
দিন ভারত সফরের পর গত শনিবার দেশে ফিরেছে। পাঠানকোট বিমানঘাঁটিতে হামলার
পর ভারত এতে পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মুহাম্মদের হাত আছে বলে
দাবি করে। ভারতীয় তদন্তকারীরা বলেন, সন্ত্রাসীদের যোগাযোগের ওপর নজরদারি
করে এ-সংক্রান্ত তথ্য মিলেছে। একপর্যায়ে ওই হামলার তদন্তে পাকিস্তানের
কর্তৃপক্ষ সে দেশের একটি থানায় অভিযোগ দায়ের করে। দেশটির সরকার তদন্ত
কমিটিও গঠন করে। এ কমিটিই ভারত সফরে এসে গত ২৯ মার্চ পাঠানকোট বিমানঘাঁটি
পরিদর্শন করে। ওই দিন ভারতের জাতীয় তদন্ত সংস্থার (এনআইএ) কর্মকর্তারা
সফরকারী জেআইটির সদস্যদের হামলার বিষয় জানায়। সেই সঙ্গে তাদের হামলার
স্থানগুলোও দেখানো হয়। জেআইটি সূত্র জানায়, বিমানঘাঁটির প্রাচীরের কাছে
থাকা আলোর ব্যবস্থা ত্রুটিযুক্ত ছিল বলে তাদের মনে হয়েছে। জেআইটির
সদস্যদের বিমানঘাঁটির মূল ফটক দিয়ে না ঢুকতে দিয়ে সংকীর্ণ পথ দিয়ে ঢুকতে
দেওয়া হয়। ঘাঁটিতে তাদের মাত্র ৫৫ মিনিট থাকতে দেওয়া হয়। এই স্বল্প সময়ে
জেআইটির সদস্যরা পর্যাপ্ত প্রমাণ সংগ্রহ করতে পারেননি। জেআইটি সূত্র দাবি
করে, সম্ভাব্য হামলার বিষয়ে বিএসএফকে ৪৮ ঘণ্টা আগে জানানো হয়েছিল। কিন্তু
হামলার সময় ওই বাহিনীর সদস্যরা ঘুমাচ্ছিলেন। পাকিস্তানের তদন্ত দলের প্রধান
ছিলেন দেশটির সন্ত্রাসবিরোধী বিভাগের পাঞ্জাব প্রদেশ শাখার প্রধান
মোহাম্মদ তাহির রাই। পাকিস্তানি তদন্ত দলের ভারতে আসার বিরোধিতা করে
বিরোধী দল কংগ্রেস ও দিল্লিতে ক্ষমতাসীন আম আদমি পার্টি। তাদের সমর্থকেরা
তদন্ত দলটি পৌঁছানোর দিন ব্যাপক বিক্ষোভ করে। গত ১ জানুয়ারি ভারতের
পাঠানকোটের বিমানঘাঁটিতে দুঃসাহসী সন্ত্রাসী হামলা হয়। ভারতীয় নিরাপত্তা
বাহিনীর সঙ্গে হামলাকারীদের ৮০ ঘণ্টা ধরে সংঘর্ষ চলে। ওই ঘটনায় নিহত হন এক
সেনা কর্মকর্তাসহ ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর সাত সদস্য। হামলার পর চার
সন্ত্রাসীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
No comments