পশ্চিমবঙ্গে মাওবাদী অধ্যুষিত তিন জেলায় ভোট চলছে by অমর সাহা
পশ্চিমবঙ্গ
রাজ্যের ২৯৪টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে মাওবাদী অধ্যুষিত তিন জেলার ১৮টি
কেন্দ্রে আজ সোমবার সকাল সাতটা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। জেলা তিনটি হলো
পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুরা ও পুরুলিয়া। এই ১৮টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৩টি
কেন্দ্র পুরোপুরি মাওবাদী অধ্যুষিত জঙ্গলমহল। ১৮টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে
পুরুলিয়ায় রয়েছে নয়টি, পশ্চিম মেদিনীপুরে ছয়টি এবং বাঁকুরায় রয়েছে তিনটি
আসন। ২০১১ সালের সর্বশেষ বিধানসভা নির্বাচনে এই ১৮টি আসনের মধ্যে
তৃণমূল-কংগ্রেস জোট জিতেছিল ১২টি আসন আর বামফ্রন্ট জিতেছিল ছয়টি আসন। আজ
সেই ১৮টি আসনেই কড়া নিরাপত্তার মধ্যে ভোট নেওয়া শুরু হয়েছে। শেষ খবর পাওয়া
পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে ভোট চলছে। ভোটগ্রহণ নির্বিঘ্ন করতে ২৫৫ কোম্পানি
কেন্দ্রীয় নিরাপত্তাবাহিনী নিয়োগ করা হয়েছে। ১৮টি কেন্দ্রে ৪০ লাখ ৯ হাজার
১৭১ ভোটার। ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের সংখ্যা ৪ হাজার ২০৩ টি। বুথ ৪ হাজার ৯৪৫ টি।
এই ১৮টি কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বামফ্রন্ট, কংগ্রেস, তৃণমূল
কংগ্রেস, ভারতীয় জনতা পার্টিসহ (বিজেপি) বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ১৩৩ জন
প্রার্থী। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে নিয়োজিত থাকছে আটজন করে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা
বাহিনীর সদস্য। থাকবে রাজ্য পুলিশ। কেবল ভোটারের লাইন সামাল দেবে রাজ্য
পুলিশ। প্রতিটি কেন্দ্রে থাকছে সিসিটিভি। আকাশপথে নজরদারি করতে থাকবে দুটি
হেলিকপ্টারও। প্রস্তুত রাখা হয়েছে কুইক রেসপন্স টিমকে। রাখা হয়েছে অ্যান্টি
ল্যান্ডমাইন ডিভাইস। এবার পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভার ২৯৪টি আসনের নির্বাচন
হবে ছয় দফায়। প্রথম দফা হবে দুটি তারিখে। আগামীকাল ৪ এপ্রিল ও ১১ এপ্রিল। ।
৪ এপ্রিল ১৮টি কেন্দ্রে এবং ১১ এপ্রিল ৩১টি কেন্দ্রে ভোট নেওয়া হবে।
দ্বিতীয় দফায় ১৭ এপ্রিল ৫৬টি কেন্দ্রে ভোট নেওয়া হবে। তৃতীয় দফার ভোট নেওয়া
হবে ২১ এপ্রিল ৬২টি কেন্দ্রে। চতুর্থ দফায় ভোট নেওয়া হবে ২৫ এপ্রিল ৪৯টি
কেন্দ্রে, পঞ্চম দফায় ৩০ এপ্রিল ৫০টি কেন্দ্রে এবং শেষ বা ষষ্ঠ দফায় নেওয়া
হবে ৫ মে ২৫টি কেন্দ্রে। আর এই শেষ দফায় ভোট নেওয়া হবে কোচবিহারের সাবেক
ছিটমহলবাসীদেরও। ফলাফল ঘোষণা হবে ১৯ মে। এবারের ভোটযন্ত্র বা ইভিএম মেশিনে
প্রার্থীদের ছবি থাকছে। থাকছে ‘না’ ভোটের বোতামও। এবারের ভোটে অংশ নিতে
পারবে কোচবিহারের সাবেক ছিটমহলবাসীরা। পশ্চিমবঙ্গে ভোট নেওয়া হবে ৭৭ হাজার
২৪৭টি কেন্দ্রে। ভোট দেবেন ৬ কোটি ৫৫ লাখ ভোটার।
No comments