ছয়বার জয়ী গৌতম রায়
নিজে
জিতেছেন টানা ছয়বার। এবার সপ্তমবারের জন্য আসামের বরাক উপত্যকার কাঠলিছড়া
কেন্দ্রে প্রার্থী হয়েছেন রাজ্যের সমাজ কল্যাণমন্ত্রী গৌতম রায়। আসামের
বরাক উপত্যকায় সংখ্যালঘু-অধ্যুষিত হাইলাকান্দি জেলায় বিধানসভার তিনটি আসন।
কাঠলিছড়া, আলগাপুর ও হাইলাকান্দি। তিনটিতেই শেষ কথা, এখনো কংগ্রেস নেতা
গৌতম রায়ই। দোর্দণ্ডপ্রতাপ গৌতম রায় এবারও তিনটি আসনই দলের জন্য ফিরিয়ে
আনতে পারেন কি না, সেদিকেই তাকিয়ে গোটা বরাক। গৌতমের দাবি, মানুষ কাজের
নিরিখেই তাঁকে ভোট দেবে। সংখ্যালঘু-অধ্যুষিত বিভিন্ন জনসভায় তিনি নিজেকে
সংখ্যালঘুদের লোক বলেই দাবি করে থাকেন। গৌতম রায়ের এ নিশ্চিতির সাম্রাজ্যে
পতন ঘটাতে চেষ্টায় ত্রুটি নেই বিরোধীদের। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত
শাহ থেকে শুরু করে বহু নেতা-মন্ত্রী এবার উড়ে এসেছেন হাইলাকান্দিতে।
হাইলাকান্দি জেলায় হিন্দু-মুসলিম সবাই স্বীকার করলেন, জাতপাত নয়, তাঁরা ভোট
দেবেন উন্নয়নের নিরিখেই। অর্থাৎ, গৌতম রায়ের ৩০ বছরের সাফল্য আর ব্যর্থতাই
বড় ইস্যু এখানে। আসাম ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি গৌতম রায়। তাই
ক্রিকেটীয় ভাষাতেই বিরোধীদের এবারও ‘ওয়াশ আউট’ করার কথা বলছেন। তাঁর সাফ
কথা, ‘মানুষ ডাকলেই আমি হাজির। তাহলে ভোট কেন দেবে অন্যকে!’ মানুষ আসলেই
কাকে ভোট দেবে সেটা বোঝা অবশ্য যাবে ১৯ মে। সেদিনই খোলা হবে ইভিএম, মানে
বৈদ্যুতিক ভোটযন্ত্র।
No comments