প্রেম, গোপন পরিচয়, খুন নিয়ে যে মামলা
ভারতের
আলোচিত শিনা বোরা হত্যা মামলায় তার সৎ পিতা ও মিডিয়া টাইকুন পিটার
মুখার্জির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। এ খবর দিয়েছে
বিবিসি। বিশ্বখ্যাত মিডিয়া মুঘল রুপার্ট মার্ডকের স্টার ইন্ডিয়া
নেটওয়ার্কের সাবেক প্রধান নির্বাহী পিটার মুখার্জিকে গত নভেম্বরে গ্রেপ্তার
করা হয়। তবে পিটার ভারতীয় গণমাধ্যমকে বলেছেন যে, শিনা বোরা হত্যাকান্ডের
সঙ্গে তার কোন ধরণের সংশ্লিষ্টতা নেই বলে পূর্বে দেয়া বক্তব্য থেকে তিনি
পিছু হটেননি।
শিনা বোরা হত্যাকান্ড ভারতজুড়ে ব্যাপক আলোচিত হয়েছে। শুধুমাত্র সেলিব্রেটিযুগল পিটার ও ইন্দ্রানি মুখার্জি দম্পত্তির সংশ্লিষ্টতা থাকার অভিযোগের কারণে নয়; শিনা হত্যাকা-ের চাঞ্চল্যকর প্রকৃতিও এর অন্যতম কারণ। গত বছরও সবাই জানতো, শিনা বোরা ছিলেন পিটারের স্ত্রী ইন্দ্রানীর বোন! শিনা যুক্তরাষ্ট্রে পড়ালেখা করছেন বলেও সবাইকে বলেছিলেন ইন্দ্রানী। কিন্তু গত বছর একটি ঘটনায় ইন্দ্রানীর গাড়ি চালকের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে জানা যায়, শিনা আসলে ইন্দ্রানীর বোন নন, বরং তার প্রথম স্বামীর বা প্রেমিকের মেয়ে! এছাড়া ইন্দ্রানীর তৃতীয় স্বামী পিটারের আগের ঘরের সন্তান রাহুলের সঙ্গে প্রেম করায় শিনাকে ইন্দ্রানী নিজেই হত্যা করে লাশ পুতে রাখেন গহীন জঙ্গলে! পরে গাড়ি চালকের তথ্য মোতাবেক ওই লাশ খুঁজেও পায় পুলিশ। পুলিশ এ ঘটনায় ইন্দ্রানীকে মূল সন্দেহভাজন হিসেবে অভিযুক্ত করে। ইন্দ্রানীর প্রথম স্বামী, অর্থাৎ শিনার আপন পিতাকে এ হত্যার অন্যতম ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে আটক করে পুলিশ। সহযোগী হিসেবে গ্রেপ্তার হয় ইন্দ্রানীর সাবেক গাড়িচালকও। এএফপি বার্তা সংস্থার একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পিটার মুখার্জির বিরুদ্ধেও গতকাল একই অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযোগ করা হয়েছে, ২০০৯ সালে স্ত্রী ইন্দ্রাণীর সঙ্গে শিনাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন পিটার।
অভিযোগ গঠনের পর ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস পত্রিকাকে পিটার মুখার্জি বলেন, তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগসমূহ তিনি কারাগারে বসে নিরীক্ষা করবেন। তবে এ ঘটনায় তার কোন সংশ্লিষ্টতা নেই বলে নিজের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি। প্রসঙ্গত, তার স্ত্রী ইন্দ্রাণীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করলে, তিনি গণমাধ্যমকে জানান, শিনা যে তার শ্যালিকা নয়, বরং সৎ মেয়ে, এটি জানতে পেরে তিনি বিস্মিত!
কয়েক মাস ধরেই এ মামলাটি ঘুরপাক খাচ্ছে ভারতের পত্রপত্রিকায়। গোপন রাখা পরিচয়, অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগ ও মামলা সবই আছে খুনের এ মামলাটিতে। ২০১২ সালের দিকে খুন হওয়ায় তিন বছরেরও অধিক সময় ধরে শিনা নিখোঁজ ছিলেন। এ সময় পিটার ও ইন্দ্রাণী পরিচিতজনদের কাছে দাবি করতেন, শিনা যুক্তরাষ্ট্রে গেছে পড়াশুনা করতে। পুলিশের অভিযোগ, শিনার টেলিফোন ব্যবহার করে ইন্দ্রাণী নিজে যুক্তরাষ্ট্র ও বৃটেন থেকে একাধিক বার্তা পাঠিয়েছেন। এর একটিতে একজনের সঙ্গে সম্পর্কের ইতি ঘটান শিনা রূপী ইন্দ্রাণী। এ ব্যাক্তি ছিলেন পিটারের আগের ঘরের ছেলে রাহুল। রাহুলের সঙ্গে শিনার প্রেম নিয়ে ইন্দ্রাণির পাশাপাশি পিটারও অস্বস্তিতে ছিলেন। এ ক্ষেত্রে পিটারের বক্তব্য ছিল, নিজের শ্যালিকার সঙ্গে নিজের ছেলের প্রেম তিনি মানতে পারেননি। তবে নিজের ছেলেকেই তিনি বোঝানোর চেষ্টা করেছেন। এর বেশি কিছুতে তার কোন সংশ্লিষ্টতা ছিল না। কিন্তু প্রকৃত ঘটনা আরও মারাত্মক। মূলত, পুলিশের উদ্ধারকৃত তথ্য অনুযায়ী, শিনা ও রাহুল ছিল পরস্পরের সৎ ভাই-বোন!
প্রসঙ্গত, পিটার ও ইন্দ্রাণী মুখার্জি দম্পত্তি বেশ অনেক আগ থেকে ভারতের মিডিয়া পাড়ায় পরিচিত মুখ। পিটার স্টার ইন্ডিয়া নেটওয়ার্কের প্রধান নির্বাহী ছিলেন। পরে ইন্দ্রাণীও মিডিয়া ব্যবসায় যোগ দেন। তারা দু’ জন মিলে আলাদা একটি টিভি নেটওয়ার্কও প্রতিষ্ঠা করেন। তাই এ ধরণের অস্বাভাবিক প্রকৃতির হত্যার ঘটনায় তাদের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ মামলাটিকে ভিন্ন মোড় দেয়। মিডিয়াও ফলাওভাবে এটি প্রচার করে।
শিনা বোরা হত্যাকান্ড ভারতজুড়ে ব্যাপক আলোচিত হয়েছে। শুধুমাত্র সেলিব্রেটিযুগল পিটার ও ইন্দ্রানি মুখার্জি দম্পত্তির সংশ্লিষ্টতা থাকার অভিযোগের কারণে নয়; শিনা হত্যাকা-ের চাঞ্চল্যকর প্রকৃতিও এর অন্যতম কারণ। গত বছরও সবাই জানতো, শিনা বোরা ছিলেন পিটারের স্ত্রী ইন্দ্রানীর বোন! শিনা যুক্তরাষ্ট্রে পড়ালেখা করছেন বলেও সবাইকে বলেছিলেন ইন্দ্রানী। কিন্তু গত বছর একটি ঘটনায় ইন্দ্রানীর গাড়ি চালকের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে জানা যায়, শিনা আসলে ইন্দ্রানীর বোন নন, বরং তার প্রথম স্বামীর বা প্রেমিকের মেয়ে! এছাড়া ইন্দ্রানীর তৃতীয় স্বামী পিটারের আগের ঘরের সন্তান রাহুলের সঙ্গে প্রেম করায় শিনাকে ইন্দ্রানী নিজেই হত্যা করে লাশ পুতে রাখেন গহীন জঙ্গলে! পরে গাড়ি চালকের তথ্য মোতাবেক ওই লাশ খুঁজেও পায় পুলিশ। পুলিশ এ ঘটনায় ইন্দ্রানীকে মূল সন্দেহভাজন হিসেবে অভিযুক্ত করে। ইন্দ্রানীর প্রথম স্বামী, অর্থাৎ শিনার আপন পিতাকে এ হত্যার অন্যতম ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে আটক করে পুলিশ। সহযোগী হিসেবে গ্রেপ্তার হয় ইন্দ্রানীর সাবেক গাড়িচালকও। এএফপি বার্তা সংস্থার একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পিটার মুখার্জির বিরুদ্ধেও গতকাল একই অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযোগ করা হয়েছে, ২০০৯ সালে স্ত্রী ইন্দ্রাণীর সঙ্গে শিনাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন পিটার।
অভিযোগ গঠনের পর ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস পত্রিকাকে পিটার মুখার্জি বলেন, তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগসমূহ তিনি কারাগারে বসে নিরীক্ষা করবেন। তবে এ ঘটনায় তার কোন সংশ্লিষ্টতা নেই বলে নিজের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি। প্রসঙ্গত, তার স্ত্রী ইন্দ্রাণীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করলে, তিনি গণমাধ্যমকে জানান, শিনা যে তার শ্যালিকা নয়, বরং সৎ মেয়ে, এটি জানতে পেরে তিনি বিস্মিত!
কয়েক মাস ধরেই এ মামলাটি ঘুরপাক খাচ্ছে ভারতের পত্রপত্রিকায়। গোপন রাখা পরিচয়, অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগ ও মামলা সবই আছে খুনের এ মামলাটিতে। ২০১২ সালের দিকে খুন হওয়ায় তিন বছরেরও অধিক সময় ধরে শিনা নিখোঁজ ছিলেন। এ সময় পিটার ও ইন্দ্রাণী পরিচিতজনদের কাছে দাবি করতেন, শিনা যুক্তরাষ্ট্রে গেছে পড়াশুনা করতে। পুলিশের অভিযোগ, শিনার টেলিফোন ব্যবহার করে ইন্দ্রাণী নিজে যুক্তরাষ্ট্র ও বৃটেন থেকে একাধিক বার্তা পাঠিয়েছেন। এর একটিতে একজনের সঙ্গে সম্পর্কের ইতি ঘটান শিনা রূপী ইন্দ্রাণী। এ ব্যাক্তি ছিলেন পিটারের আগের ঘরের ছেলে রাহুল। রাহুলের সঙ্গে শিনার প্রেম নিয়ে ইন্দ্রাণির পাশাপাশি পিটারও অস্বস্তিতে ছিলেন। এ ক্ষেত্রে পিটারের বক্তব্য ছিল, নিজের শ্যালিকার সঙ্গে নিজের ছেলের প্রেম তিনি মানতে পারেননি। তবে নিজের ছেলেকেই তিনি বোঝানোর চেষ্টা করেছেন। এর বেশি কিছুতে তার কোন সংশ্লিষ্টতা ছিল না। কিন্তু প্রকৃত ঘটনা আরও মারাত্মক। মূলত, পুলিশের উদ্ধারকৃত তথ্য অনুযায়ী, শিনা ও রাহুল ছিল পরস্পরের সৎ ভাই-বোন!
প্রসঙ্গত, পিটার ও ইন্দ্রাণী মুখার্জি দম্পত্তি বেশ অনেক আগ থেকে ভারতের মিডিয়া পাড়ায় পরিচিত মুখ। পিটার স্টার ইন্ডিয়া নেটওয়ার্কের প্রধান নির্বাহী ছিলেন। পরে ইন্দ্রাণীও মিডিয়া ব্যবসায় যোগ দেন। তারা দু’ জন মিলে আলাদা একটি টিভি নেটওয়ার্কও প্রতিষ্ঠা করেন। তাই এ ধরণের অস্বাভাবিক প্রকৃতির হত্যার ঘটনায় তাদের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ মামলাটিকে ভিন্ন মোড় দেয়। মিডিয়াও ফলাওভাবে এটি প্রচার করে।
No comments