বিচার বিভাগ নিয়ে কটাক্ষ না করতে প্রধান বিচারপতির আহ্বান
বিচার
বিভাগ নিয়ে কটাক্ষ না করতে রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক ও আইনজীবীদের প্রতি
আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা। তিনি বলেছেন, যদি বিচার
বিভাগের স্বাধীনতা থাকে, আইনের শাসন থাকে তবে দেশে গণতন্ত্র থাকবে। তিনি
বলেন, বিচার বিভাগ ইচ্ছা করলেই একা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা বা বিচার বিভাগের
স্বাধীনতা রক্ষা করতে পারে না। এজন্য আইনজীবীদের সহযোগিতা প্রয়োজন।
প্রয়াত ব্যারিস্টার শওকত আলী খানের ৯০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধান বিচারপতি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ব্যারিস্টার শওকত আলী খান রাজনীতি করতেন। কিন্তু পেশার ক্ষেত্রে আইনাঙ্গনে তিনি রাজনীতিকে টেনে আনেননি। তার এই নৈতিকতা আজ অনেকাংশে হারিয়ে ফেলেছি। তিনি বলেন, প্রধান বিচারপতি হিসেবে কষ্ট পেতে হয়, যখন বিচার বিভাগ নিয়ে কিছু রাজনৈতিক নেতা কথা বলেন। সামরিক শাসন বলুন আর যা কিছুই বলুন না কেন, বিচার বিভাগ আজ পর্যন্ত নৈতিকতা হারায়নি। প্রধান বিচারপতি বলেন, আমি বুকে হাত দিয়ে বলতে পারি, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা কখনও নষ্ট হবে না। সমুদ্রে কিছু বিষ ঢেলে দিলে সমুদ্রের পানি যেমন নষ্ট হয় না, তেমনি সামান্য সমালোচনায় বিচার বিভাগের সুনাম ক্ষুণ্ন হবে না। তিনি বলেন, দু-একজনের সমালোচনার কারণে হয়তো সাময়িকভাবে বিচার বিভাগের কিছু ক্ষতি হতে পারে। কিন্তু বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন হবে না। প্রধান বিচারপতি সংবাদ মাধ্যম সম্পর্কে বলেন, সংবাদ মাধ্যম কোনো ব্যবসা নয়, এটা একটি পেশা। কিন্তু আজ আমাদের দেশে এটা একটি ব্যবসা হিসেবে দেখা যাচ্ছে। এটা দুঃখজনক।
ব্যারিস্টার শওকত আলী খান জন্মবার্ষিকী উদযাপন পরিষদ-২০১৬ আয়োজিত এ স্মরণসভায় সভাপতিত্ব করেন বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আবদুল বাসেত মজুমদার। এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞা, অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, সাবেক স্পিকার ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এএফ হাসান আরিফ, অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরী, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক ড. বশির আহমেদ, অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম বক্তব্য দেন।
প্রয়াত ব্যারিস্টার শওকত আলী খানের ৯০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধান বিচারপতি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ব্যারিস্টার শওকত আলী খান রাজনীতি করতেন। কিন্তু পেশার ক্ষেত্রে আইনাঙ্গনে তিনি রাজনীতিকে টেনে আনেননি। তার এই নৈতিকতা আজ অনেকাংশে হারিয়ে ফেলেছি। তিনি বলেন, প্রধান বিচারপতি হিসেবে কষ্ট পেতে হয়, যখন বিচার বিভাগ নিয়ে কিছু রাজনৈতিক নেতা কথা বলেন। সামরিক শাসন বলুন আর যা কিছুই বলুন না কেন, বিচার বিভাগ আজ পর্যন্ত নৈতিকতা হারায়নি। প্রধান বিচারপতি বলেন, আমি বুকে হাত দিয়ে বলতে পারি, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা কখনও নষ্ট হবে না। সমুদ্রে কিছু বিষ ঢেলে দিলে সমুদ্রের পানি যেমন নষ্ট হয় না, তেমনি সামান্য সমালোচনায় বিচার বিভাগের সুনাম ক্ষুণ্ন হবে না। তিনি বলেন, দু-একজনের সমালোচনার কারণে হয়তো সাময়িকভাবে বিচার বিভাগের কিছু ক্ষতি হতে পারে। কিন্তু বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন হবে না। প্রধান বিচারপতি সংবাদ মাধ্যম সম্পর্কে বলেন, সংবাদ মাধ্যম কোনো ব্যবসা নয়, এটা একটি পেশা। কিন্তু আজ আমাদের দেশে এটা একটি ব্যবসা হিসেবে দেখা যাচ্ছে। এটা দুঃখজনক।
ব্যারিস্টার শওকত আলী খান জন্মবার্ষিকী উদযাপন পরিষদ-২০১৬ আয়োজিত এ স্মরণসভায় সভাপতিত্ব করেন বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আবদুল বাসেত মজুমদার। এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞা, অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, সাবেক স্পিকার ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এএফ হাসান আরিফ, অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরী, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক ড. বশির আহমেদ, অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম বক্তব্য দেন।
No comments