পরিবর্তনশীল অঞ্চলে ইরানের বিপজ্জনক ভূমিকা by মুহাম্মদ খায়রুল বাশার
যুক্তরাষ্ট্র
ও ইরানের মধ্যেকার সাম্প্রতিক কূটনৈতিক সাফল্য দেখে হয়তো মনে হতে পারে এটা
একটা পরীক্ষা। ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের পর থেকে ইরান যুক্তরাষ্ট্রের
সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করার যে হুমকি দিয়েছিল তার মনে হয় অবসান হতে যাচ্ছে।
অথবা অন্তত বলা যায়, অবসান শুরু হলো। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে ইসলামি
প্রজাতন্ত্রটি বিশ্বের একটি পরিবর্তনশীল এলাকায় বিপজ্জনক ভূমিকায় অবতীর্ণ
হয়েছে। পাশের দেশগুলোর জঙ্গি গ্রুপগুলোকে সমর্থনদান এবং ইসরাইল-ফিলিস্তিন
সঙ্কট সমাধানের সুযোগকে গোপনে ক্ষতিগ্রস্ত করার ব্যাপারে তেহরানের একটি
দীর্ঘ ট্রেক রের্কড রয়েছে।
ইরাকে ইরানের প্রক্সি যুদ্ধের কারণে সেখানে কর্মরত শত শত মার্কিন সৈন্যের মৃত্যুর জন্য এবং বাসার আল আসাদের প্রতি ইরানের আর্থিক ও সামরিক সমর্থনের কারণে সিরীয় নেতা তার নিজের লোকদের বিরুদ্ধে ধ্বংসাত্মক যুদ্ধ চালিয়ে যেতে সক্ষম হচ্ছেন।
কিন্তু পরমাণু চুক্তি হচ্ছে একটি ইঙ্গিত, যা যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ইরানের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আবার স্বাভাবিক হওয়ার একটি পথ খুলে দিয়েছে। এতে হয়তো ইরানের অভ্যন্তরে বাস্তবধর্মী সিদ্ধান্ত গ্রহণপ্রক্রিয়া জোরদার হবে। ইরানের শাসনব্যবস্থায় আমেরিকাকে শত্রু হিসেবে গণ্য করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বন্ধুত্ব নয় শত্রুতা জোরদার করাই হচ্ছে ইরানি সেন্টিমেন্ট। সম্প্রতি মার্কিন নাবিকদের ইরানি পানিসীমায় প্রবেশের পর তাদের যেভাবে অপমান ও হয়রানি করা হয় তাতে ইরানের উগ্র মার্কিনবিরোধী সেন্টিমেন্টই প্রকাশ হয়েছে। অথচ মার্কিন নাবিকেরা অনিচ্ছাকৃতভাবেই ইরানের পানিসীমায় প্রবেশ করেছিল। ওয়াশিংটন ও তেহরানের মধ্যে সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন যে অগ্রগতি হয়েছে তাৎক্ষণিকভাবে তা ইরানি আদর্শ ও কৌশলগত স্বার্থকে অবশ্যাম্ভাবী পরিবর্তন করতে পারবে না। আর সে কারণেই ইরান মার্কিন নাবিকদের সাথে ওই ধরনের ব্যবহার করছে।
যাই হোক না কেন পরমাণু চুক্তির মাধ্যমে যুক্তিসঙ্গত ব্যয়-সুবিধা মূল্যায়নের ভিত্তিতে ইরানের বাস্তবভিত্তিক নীতিনির্ধারণ বা সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতার প্রতি সাম্প্রতিক প্রমাণ দেয়ার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। পরে ইরানের অভ্যন্তরে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক হয়তো জোরদার হয়ে একটি বাঁক নিতে পারে। চূড়ান্তাভাবে সমঝোতা এবং জটিল ঐতিহাসিক ও ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তিক্ত সম্পর্ককে দক্ষতার সাতে মোকাবেলা করা ব্যতীত ইরানি হুমকি সম্পূর্ণভাবে উপশম করা যাবে না।
সবার জন্য সঙ্কট সৃষ্টির দিকে তেহরানের ঝোঁক রয়েছে। তাদের আঞ্চলিক প্রভাবকে প্রায়ই অনেকটা বাড়িয়ে দেখানো হয়। আর ভয় দেখিয়ে নিবৃত্ত করায় আমেরিকান ক্ষমতা বা সামর্থ্য এখন আগের মতো নেই বলা চলে। ওই অঞ্চলের অস্থিতিশীলতার জন্যে অবশ্য এককভাবে ইরানই দায়ী নয়। মধ্যপ্রাচ্যের আরব শক্তিগুলো যাদের বেশির ভাগই হচ্ছে আমেরিকার মিত্রÑ ওই অঞ্চলে চরমপন্থা, গোষ্ঠীতন্ত্র ইত্যাদির ইন্ধন যুগিয়ে সেখানে সঙ্ঘাত ছড়িয়ে দেয়ার ক্ষেত্রে তাদের তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
ওইসব মারাত্মক চ্যালেঞ্জের বিরুদ্ধে আমেরিকার অধিকতর কার্যকর কৌশল ব্যতীত ইরানি হুমকির ব্যাপারে কোনো সমাধান আশা করা যায় না।
ইরাকে ইরানের প্রক্সি যুদ্ধের কারণে সেখানে কর্মরত শত শত মার্কিন সৈন্যের মৃত্যুর জন্য এবং বাসার আল আসাদের প্রতি ইরানের আর্থিক ও সামরিক সমর্থনের কারণে সিরীয় নেতা তার নিজের লোকদের বিরুদ্ধে ধ্বংসাত্মক যুদ্ধ চালিয়ে যেতে সক্ষম হচ্ছেন।
কিন্তু পরমাণু চুক্তি হচ্ছে একটি ইঙ্গিত, যা যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ইরানের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আবার স্বাভাবিক হওয়ার একটি পথ খুলে দিয়েছে। এতে হয়তো ইরানের অভ্যন্তরে বাস্তবধর্মী সিদ্ধান্ত গ্রহণপ্রক্রিয়া জোরদার হবে। ইরানের শাসনব্যবস্থায় আমেরিকাকে শত্রু হিসেবে গণ্য করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বন্ধুত্ব নয় শত্রুতা জোরদার করাই হচ্ছে ইরানি সেন্টিমেন্ট। সম্প্রতি মার্কিন নাবিকদের ইরানি পানিসীমায় প্রবেশের পর তাদের যেভাবে অপমান ও হয়রানি করা হয় তাতে ইরানের উগ্র মার্কিনবিরোধী সেন্টিমেন্টই প্রকাশ হয়েছে। অথচ মার্কিন নাবিকেরা অনিচ্ছাকৃতভাবেই ইরানের পানিসীমায় প্রবেশ করেছিল। ওয়াশিংটন ও তেহরানের মধ্যে সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন যে অগ্রগতি হয়েছে তাৎক্ষণিকভাবে তা ইরানি আদর্শ ও কৌশলগত স্বার্থকে অবশ্যাম্ভাবী পরিবর্তন করতে পারবে না। আর সে কারণেই ইরান মার্কিন নাবিকদের সাথে ওই ধরনের ব্যবহার করছে।
যাই হোক না কেন পরমাণু চুক্তির মাধ্যমে যুক্তিসঙ্গত ব্যয়-সুবিধা মূল্যায়নের ভিত্তিতে ইরানের বাস্তবভিত্তিক নীতিনির্ধারণ বা সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতার প্রতি সাম্প্রতিক প্রমাণ দেয়ার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। পরে ইরানের অভ্যন্তরে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক হয়তো জোরদার হয়ে একটি বাঁক নিতে পারে। চূড়ান্তাভাবে সমঝোতা এবং জটিল ঐতিহাসিক ও ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তিক্ত সম্পর্ককে দক্ষতার সাতে মোকাবেলা করা ব্যতীত ইরানি হুমকি সম্পূর্ণভাবে উপশম করা যাবে না।
সবার জন্য সঙ্কট সৃষ্টির দিকে তেহরানের ঝোঁক রয়েছে। তাদের আঞ্চলিক প্রভাবকে প্রায়ই অনেকটা বাড়িয়ে দেখানো হয়। আর ভয় দেখিয়ে নিবৃত্ত করায় আমেরিকান ক্ষমতা বা সামর্থ্য এখন আগের মতো নেই বলা চলে। ওই অঞ্চলের অস্থিতিশীলতার জন্যে অবশ্য এককভাবে ইরানই দায়ী নয়। মধ্যপ্রাচ্যের আরব শক্তিগুলো যাদের বেশির ভাগই হচ্ছে আমেরিকার মিত্রÑ ওই অঞ্চলে চরমপন্থা, গোষ্ঠীতন্ত্র ইত্যাদির ইন্ধন যুগিয়ে সেখানে সঙ্ঘাত ছড়িয়ে দেয়ার ক্ষেত্রে তাদের তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
ওইসব মারাত্মক চ্যালেঞ্জের বিরুদ্ধে আমেরিকার অধিকতর কার্যকর কৌশল ব্যতীত ইরানি হুমকির ব্যাপারে কোনো সমাধান আশা করা যায় না।
No comments