বাহুবলে বর্বরতা- চার স্কুলছাত্রের মাটিচাপা লাশ by নূরুল ইসলাম মনি
বালুর
নিচ থেকে একে একে বের করা হলো ৪ শিশুর লাশ। একেকটি লাশ বের করা হয় আর
স্বজনদের আহাজারিতে ভারি হয়ে ওঠে বাতাস। কান্না ধরে রাখতে পারেনি দেখতে আসা
লোকজনও। শিশুর সঙ্গে কিসের শত্রুতা। কেন তাদের হত্যা করা হলো? কেন এই
বর্বরতা। গত ৫ দিন ধরে নিখোঁজ এ শিশুদের উদ্ধারে নেয়া হয়েছিল নানা উদ্যোগ।
ঘোষণা করা হয়েছিল পুরস্কারও। কিন্তু কোনো কিছুতেই শিশুদের জীবিত উদ্ধার করা
যায়নি। এ ঘটনায় বাহুবলের সুন্দ্রাটিকি গ্রামে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। গোটা
হবিগঞ্জে একই আলোচনা পাষণ্ডরা কেমন করে ৪ শিশুকে হত্যা করলো? সূত্র মতে,
গ্রাম্য পঞ্চায়েতের নেতৃত্বকে কেন্দ্র করে বিরোধ থেকেই এ ঘটনা। শুক্রবার
ভাদেশ্বর ইউনিয়নের সুন্দ্রাটিকি গ্রামের এক পরিবারের ৩ জনসহ ৪ শিশু নিখোঁজ
হয়। পরদিন শনিবার এব্যাপারে বাহুবল মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি এবং মঙ্গলবার
অপহরণ মামলা দায়ের করা হয়। ওদিকে সন্ধ্যায় শিশু হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার
অভিযোগে আবদুল আলী ও তার ছেলে জুয়েলকে আটক করেছে পুলিশ।
গ্রামের ওয়াহিদ মিয়া তালুকদারের পুত্র স্থানীয় সুন্দ্রাটিকি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২য় শ্রেণীর ছাত্র জাকারিয়া আহমেদ শুভ (৮), তার চাচাত ভাই আবদুল আজিজ তালুকদারের পুত্র একই বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির ছাত্র তাজেল মিয়া (১০) ও আবদাল মিয়া তালুকদারের পুত্র একই বিদ্যালয়ের ১ম শ্রেণির ছাত্র মনির মিয়া (৭) এবং তাদের প্রতিবেশী আবদুল কাদিরের পুত্র সুন্দ্রাটিকি মাদরাসার ছাত্র ইসমাঈল হোসেন (১০) নিখোঁজ হয়। পরদিন নিখোঁজ জাকারিয়ার পিতা ওয়াহিদ মিয়া তালুকদার বাদী হয়ে বাহুবল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। সোমবার বিকালে হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার জয়দেব কুমার ভদ্র’র পক্ষ থেকে নিখোঁজ শিশুদের সন্ধানদাতাকে ২০ হাজার টাকা পুরস্কার দেয়ার ঘোষণা হয়। মঙ্গলবার রাতে নিখোঁজ শিশু মনির মিয়ার পিতা আবদাল মিয়া তালুকদার বাদী হয়ে বাহুবল মডেল থানায় অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন।
যেভাবে লাশের সন্ধান: নিখোঁজ শিশুদের বাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে ইছাবিলের একটি পাহাড়ি ছড়ার পাশেই পতিত জমিতে একই গ্রামের কাজল মিয়া বালি উত্তোলন করছিলেন। এক পর্যায়ে তিনি প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বালির গর্তে গেলে পচা গন্ধ পান। খোঁজাখুঁজি করে বালুচাপা অবস্থায় এক শিশুর হাত দেখতে পান। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে নিখোঁজ শিশুদের বাড়ির লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে যান। বাহুবল মডেল থানা পুলিশও ছুটে আসে ঘটনাস্থলে।
সকাল ১০টায় বাহুবল উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আবদুল হাই, উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইফুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুমনা আল-মজিদ, পুলিশ সুপার জয়দেব কুমার ভদ্র, সহকারী পুলিশ সুপার মাসুদুর রহমান মনির, ডিবি ইন্সপেক্টর মুক্তাদির হোসেন ও র্যাব-৯ এর ইন্সপেক্টর তুষার ঘটনাস্থলে পৌঁছান। সাড়ে ১১টার দিকে বালি-মাটি সরিয়ে লাশ উত্তোলন কাজ শুরু হয়। একে একে বের করে আনা হয় নিখোঁজ শিশুদের লাশ। পুলিশ এক লাশের পকেটে একটি বোতলের ক্যাপ ও একটি চাবি উদ্ধার করে। এ সময় নিহত শিশুদের পিতা-মাতা, আত্মীয়-স্বজন ও পাড়া-পড়শীদের আর্তনাদে বাতাস ভারি হয়ে উঠে। খবর পেয়ে ছুটে যান আশেপাশের গ্রামের হাজার হাজার মানুষ।
নিহতদের পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসী জানান, দীর্ঘদিন ধরে সুন্দ্রাটিকি গ্রামে পঞ্চায়েতের নেতৃত্ব নিয়ে আবদুল আলী বাগাল (চা বাগানের পাহারাদার) ও একই গ্রামের তালুকদার গোষ্ঠীর নেতা আবদুল খালিক মাস্টারের বিরোধ চলে আসছিল। সুন্দ্রাটিকি মসজিদ সংলগ্ন বাড়ির বাসিন্দা মেহের উল্লা ও ঠাণ্ডা মিয়ার বাড়ির লোকজন সামপ্রতিক সময়ে তাদের দীর্ঘদিনের নেতা আবদুল খালিককে মানছেন না। এ অবস্থায় ৭ নেতার নেতৃত্বাধীন সুন্দ্রাটিকি গ্রাম পঞ্চায়েতের সভায় মেহের উল্লাহ ও ঠাণ্ডা মিয়ার পরিবারের লোকজনের সঙ্গে সকল সামাজিক সম্পর্ক ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এ অবস্থায় মেহের উল্লাহ ও ঠাণ্ডা মিয়া পার্শ্ববর্তী পঞ্চায়েতের নেতা আবদুল আলী বাগালের দ্বারস্থ হন। এক পর্যায়ে মেহের উল্লাহ ও ঠাণ্ডা মিয়া তাদের পার্শ্ববর্তী বাড়ির বাসিন্দা আবদুল খালিক মাস্টার গ্রুপের সদস্য কাজল, ফজল ও কুদ্দুছ মিয়ার সঙ্গে সীমানা নিয়ে বিরোধে জড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে সালিশ বিচারের প্রক্রিয়া শুরু হলে মেহের উল্লাহ ও ঠাণ্ডা মিয়া তাদের নেতা আবদুল খালিক মাস্টারকে নেতা মানতে নারাজ। তারা তাদের নেতা আবদুল আলী বাগালকে নেতা হিসেবে উল্লেখ করেন। এতে সালিশ প্রক্রিয়া ভেঙে যায়। এ অবস্থায় গত ৪ঠা ও ৫ই জানুয়ারি দুই দফায় স্থানীয় রশিদপুর বাজারে উভয়পক্ষের মধ্যে হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটে। এতে বেশ কয়েকজন আহতও হয়। এ নিয়ে উভয়পক্ষে চাপা ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এ বিরোধ চলাকালেই আবদুল খালিক মাস্টারের চাচাত ৩ ভাতিজার তিন পুত্র জাকারিয়া আহমেদ শুভ, তাজেল মিয়া ও মনির মিয়া এবং তাদের সহপাঠী ইসমাঈল মিয়া নিখোঁজ হয়।
নিহতদের পরিবারের দাবি: শুক্রবার বিকালে শিশুরা নিখোঁজ হওয়ার পরদিন বাহুবল মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়। এরপর থেকে পরিবারের পক্ষে বার বার পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হয় এবং পঞ্চায়েতের নেতৃত্ব নিয়ে বিরোধের জের ধরে অপহরণ করা হয়েছে বলে জানানো হয়। জাকারিয়া, তাজেল ও মনির-এর পিতা-মাতা জানান, ওই শিশুদের খোঁজাখুঁজি করতে গিয়ে তারা জানতে পারেন শুক্রবার বিকালে সুন্দ্রাটিকি গ্রামের আবদুল আলী বাগাল গ্রুপের সদস্য মৃত আবদুল বারিকের পুত্র বাচ্চু মিয়া ড্রাইভার ওই শিশুদের সিএনজি অটোরিকশায় করে গ্রামের রাস্তার দক্ষিণ দিকে নিয়ে যেতে গ্রামের কেউ কেউ দেখেছেন। মনির মিয়ার পিতা আবদাল মিয়া তালুকদার জানান, বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়েছে। তারা আমাদের অভিযোগগুলো আমলে নেয়নি। এ সময় তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন এবং বলেন, পুলিশ আমাদের অভিযোগ আমলে নিলে আজ আমাদের এভাবে সন্তানহারা হতে হতো না।
খুনিদের ধরিয়ে দিতে ১ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা: লাশ উদ্ধারের পরপরই সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি মিজানুর রহমান ঘটনাস্থল সুন্দ্রাটিকি গ্রামে যান। এ সময় তিনি নিহতদের পরিবারের সদস্যদের সান্ত্বনা দেন এবং এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলেন। এক পর্যায়ে তিনি ঘোষণা দেন ৪ শিশু খুনের সঙ্গে জড়িতদের ধরিয়ে দিতে পারলে ১ লাখ টাকা পুরস্কার দেয়া হবে।
গ্রামের ওয়াহিদ মিয়া তালুকদারের পুত্র স্থানীয় সুন্দ্রাটিকি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২য় শ্রেণীর ছাত্র জাকারিয়া আহমেদ শুভ (৮), তার চাচাত ভাই আবদুল আজিজ তালুকদারের পুত্র একই বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির ছাত্র তাজেল মিয়া (১০) ও আবদাল মিয়া তালুকদারের পুত্র একই বিদ্যালয়ের ১ম শ্রেণির ছাত্র মনির মিয়া (৭) এবং তাদের প্রতিবেশী আবদুল কাদিরের পুত্র সুন্দ্রাটিকি মাদরাসার ছাত্র ইসমাঈল হোসেন (১০) নিখোঁজ হয়। পরদিন নিখোঁজ জাকারিয়ার পিতা ওয়াহিদ মিয়া তালুকদার বাদী হয়ে বাহুবল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। সোমবার বিকালে হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার জয়দেব কুমার ভদ্র’র পক্ষ থেকে নিখোঁজ শিশুদের সন্ধানদাতাকে ২০ হাজার টাকা পুরস্কার দেয়ার ঘোষণা হয়। মঙ্গলবার রাতে নিখোঁজ শিশু মনির মিয়ার পিতা আবদাল মিয়া তালুকদার বাদী হয়ে বাহুবল মডেল থানায় অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন।
যেভাবে লাশের সন্ধান: নিখোঁজ শিশুদের বাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে ইছাবিলের একটি পাহাড়ি ছড়ার পাশেই পতিত জমিতে একই গ্রামের কাজল মিয়া বালি উত্তোলন করছিলেন। এক পর্যায়ে তিনি প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বালির গর্তে গেলে পচা গন্ধ পান। খোঁজাখুঁজি করে বালুচাপা অবস্থায় এক শিশুর হাত দেখতে পান। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে নিখোঁজ শিশুদের বাড়ির লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে যান। বাহুবল মডেল থানা পুলিশও ছুটে আসে ঘটনাস্থলে।
সকাল ১০টায় বাহুবল উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আবদুল হাই, উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইফুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুমনা আল-মজিদ, পুলিশ সুপার জয়দেব কুমার ভদ্র, সহকারী পুলিশ সুপার মাসুদুর রহমান মনির, ডিবি ইন্সপেক্টর মুক্তাদির হোসেন ও র্যাব-৯ এর ইন্সপেক্টর তুষার ঘটনাস্থলে পৌঁছান। সাড়ে ১১টার দিকে বালি-মাটি সরিয়ে লাশ উত্তোলন কাজ শুরু হয়। একে একে বের করে আনা হয় নিখোঁজ শিশুদের লাশ। পুলিশ এক লাশের পকেটে একটি বোতলের ক্যাপ ও একটি চাবি উদ্ধার করে। এ সময় নিহত শিশুদের পিতা-মাতা, আত্মীয়-স্বজন ও পাড়া-পড়শীদের আর্তনাদে বাতাস ভারি হয়ে উঠে। খবর পেয়ে ছুটে যান আশেপাশের গ্রামের হাজার হাজার মানুষ।
নিহতদের পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসী জানান, দীর্ঘদিন ধরে সুন্দ্রাটিকি গ্রামে পঞ্চায়েতের নেতৃত্ব নিয়ে আবদুল আলী বাগাল (চা বাগানের পাহারাদার) ও একই গ্রামের তালুকদার গোষ্ঠীর নেতা আবদুল খালিক মাস্টারের বিরোধ চলে আসছিল। সুন্দ্রাটিকি মসজিদ সংলগ্ন বাড়ির বাসিন্দা মেহের উল্লা ও ঠাণ্ডা মিয়ার বাড়ির লোকজন সামপ্রতিক সময়ে তাদের দীর্ঘদিনের নেতা আবদুল খালিককে মানছেন না। এ অবস্থায় ৭ নেতার নেতৃত্বাধীন সুন্দ্রাটিকি গ্রাম পঞ্চায়েতের সভায় মেহের উল্লাহ ও ঠাণ্ডা মিয়ার পরিবারের লোকজনের সঙ্গে সকল সামাজিক সম্পর্ক ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এ অবস্থায় মেহের উল্লাহ ও ঠাণ্ডা মিয়া পার্শ্ববর্তী পঞ্চায়েতের নেতা আবদুল আলী বাগালের দ্বারস্থ হন। এক পর্যায়ে মেহের উল্লাহ ও ঠাণ্ডা মিয়া তাদের পার্শ্ববর্তী বাড়ির বাসিন্দা আবদুল খালিক মাস্টার গ্রুপের সদস্য কাজল, ফজল ও কুদ্দুছ মিয়ার সঙ্গে সীমানা নিয়ে বিরোধে জড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে সালিশ বিচারের প্রক্রিয়া শুরু হলে মেহের উল্লাহ ও ঠাণ্ডা মিয়া তাদের নেতা আবদুল খালিক মাস্টারকে নেতা মানতে নারাজ। তারা তাদের নেতা আবদুল আলী বাগালকে নেতা হিসেবে উল্লেখ করেন। এতে সালিশ প্রক্রিয়া ভেঙে যায়। এ অবস্থায় গত ৪ঠা ও ৫ই জানুয়ারি দুই দফায় স্থানীয় রশিদপুর বাজারে উভয়পক্ষের মধ্যে হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটে। এতে বেশ কয়েকজন আহতও হয়। এ নিয়ে উভয়পক্ষে চাপা ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এ বিরোধ চলাকালেই আবদুল খালিক মাস্টারের চাচাত ৩ ভাতিজার তিন পুত্র জাকারিয়া আহমেদ শুভ, তাজেল মিয়া ও মনির মিয়া এবং তাদের সহপাঠী ইসমাঈল মিয়া নিখোঁজ হয়।
নিহতদের পরিবারের দাবি: শুক্রবার বিকালে শিশুরা নিখোঁজ হওয়ার পরদিন বাহুবল মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়। এরপর থেকে পরিবারের পক্ষে বার বার পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হয় এবং পঞ্চায়েতের নেতৃত্ব নিয়ে বিরোধের জের ধরে অপহরণ করা হয়েছে বলে জানানো হয়। জাকারিয়া, তাজেল ও মনির-এর পিতা-মাতা জানান, ওই শিশুদের খোঁজাখুঁজি করতে গিয়ে তারা জানতে পারেন শুক্রবার বিকালে সুন্দ্রাটিকি গ্রামের আবদুল আলী বাগাল গ্রুপের সদস্য মৃত আবদুল বারিকের পুত্র বাচ্চু মিয়া ড্রাইভার ওই শিশুদের সিএনজি অটোরিকশায় করে গ্রামের রাস্তার দক্ষিণ দিকে নিয়ে যেতে গ্রামের কেউ কেউ দেখেছেন। মনির মিয়ার পিতা আবদাল মিয়া তালুকদার জানান, বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়েছে। তারা আমাদের অভিযোগগুলো আমলে নেয়নি। এ সময় তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন এবং বলেন, পুলিশ আমাদের অভিযোগ আমলে নিলে আজ আমাদের এভাবে সন্তানহারা হতে হতো না।
খুনিদের ধরিয়ে দিতে ১ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা: লাশ উদ্ধারের পরপরই সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি মিজানুর রহমান ঘটনাস্থল সুন্দ্রাটিকি গ্রামে যান। এ সময় তিনি নিহতদের পরিবারের সদস্যদের সান্ত্বনা দেন এবং এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলেন। এক পর্যায়ে তিনি ঘোষণা দেন ৪ শিশু খুনের সঙ্গে জড়িতদের ধরিয়ে দিতে পারলে ১ লাখ টাকা পুরস্কার দেয়া হবে।
No comments