‘নির্বাচন নিয়ে আস্থার সঙ্কট বাড়বে’
বাংলাদেশে নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের অনেকে বলেছেন, পৌর নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ায় নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে আস্থার সঙ্কট আরো বাড়বে।
বুধবার দেশের ২৩৩টি পৌরসভার নির্বাচনে গোলযোগ এবং ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
এই নির্বাচন নিয়ে বিবিসি বাংলার প্রবাহ টেলিভিশন অনুষ্ঠানে আলোচকরা আরো বলেছেন, নির্বাচন ব্যবস্থা যখন বিশ্বাসযোগ্যতা হারায়, তখন এর দায় বর্তায় সরকার ও নির্বাচন কমিশনের ওপর।
নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের অনেকে বলেছেন, ক্ষমতাসীনদের নানা অনিয়ম এবং গোলযোগের কারণে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।
ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপ নামে একটি পর্যবেক্ষক সংস্থার প্রধান আবদুল আলীম বলেন, বর্তমান সরকারের সময়ে যে দুটি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন করেছে তার চেয়ে এ নির্বাচন ভালো হয়েছে। বর্তমান নির্বাচন কমিশন এ পর্যন্ত চারটি নির্বাচন করেছে, তবে গত সিটি নির্বাচনে যে পরিমাণ সহিংসতা, জালিয়াতি ও ব্যালট বাক্স ছিনতাই হয়েছিল তার সাথে তুলনা করলে পৌর নির্বাচন ‘অনেকটা ভালো ছিল’।
কিন্তু এর সাথে একমত নন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক নাসিম আখতার হুসাইন। তার কথা, কারচুপি-অনিয়মের কারণে ভোটাররা প্রতারিত হয়েছেন।
তিনি বলেন, এ নির্বাচন দিয়ে গণতন্ত্র নিশ্চিত হবে না। অনেকের ভ্রান্ত ধারণা যে নির্বাচন নিয়মিত হচ্ছে, তার মানেই এখানে গণতন্ত্র আছে - তা ঠিক নয়। যেখানে ভোটাররা লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন কিন্তু ভোটকেন্দ্রের ভেতরে ভিন্ন দৃশ্য, আগে থেকেই ছাপ-দেয়া ব্যালট পেপার দিয়ে বাক্স ভরা হয় - এটা কি ভোটারদের সাথে প্রতারণা নয়?
এবার পৌর নির্বাচনে প্রধান দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সাত বছর পর তাদের চিরাচরিত প্রতীক ‘নৌকা’ ও ‘ধানের শীষ’ নিয়ে ভোটযুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছিল। ফলে এ নির্বাচন নিয়ে ভোটারদের আগ্রহও বেশি ছিল।
পর্যবেক্ষক আবদুল আলীম বলেন, ভোটার টার্নআউট আগের চাইতে কিছু বেশি ছিল - যা ভোটারদের আগ্রহের ইঙ্গিত দেয়।
কিন্তু নানা অনিয়মের কারণে ‘ভোটারদের মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে এবং নির্বাচন নিয়ে আস্থার সঙ্কট আরো বেড়েছে’ বলে মনে করছেন নাসিম আখতার হুসাইন।
আবদুল আলীমের মতে আস্থা অর্জন করতে হলে নির্বাচন কমিশনকে উদ্যোগ নিতে হবে এবং সরকারকে তাতে সহযোগিতা করতে হবে।
পৌর নির্বাচনে তাদের খুবই কম সংখ্যক প্রার্থী জয়ী হলেও প্রধান বিরোধীদল বিএনপি বলছে সাংগঠনিক দিক থেকে তাদের রাজনৈতিক বিজয় হয়েছে।
বুধবার দেশের ২৩৩টি পৌরসভার নির্বাচনে গোলযোগ এবং ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
এই নির্বাচন নিয়ে বিবিসি বাংলার প্রবাহ টেলিভিশন অনুষ্ঠানে আলোচকরা আরো বলেছেন, নির্বাচন ব্যবস্থা যখন বিশ্বাসযোগ্যতা হারায়, তখন এর দায় বর্তায় সরকার ও নির্বাচন কমিশনের ওপর।
নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের অনেকে বলেছেন, ক্ষমতাসীনদের নানা অনিয়ম এবং গোলযোগের কারণে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।
ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপ নামে একটি পর্যবেক্ষক সংস্থার প্রধান আবদুল আলীম বলেন, বর্তমান সরকারের সময়ে যে দুটি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন করেছে তার চেয়ে এ নির্বাচন ভালো হয়েছে। বর্তমান নির্বাচন কমিশন এ পর্যন্ত চারটি নির্বাচন করেছে, তবে গত সিটি নির্বাচনে যে পরিমাণ সহিংসতা, জালিয়াতি ও ব্যালট বাক্স ছিনতাই হয়েছিল তার সাথে তুলনা করলে পৌর নির্বাচন ‘অনেকটা ভালো ছিল’।
কিন্তু এর সাথে একমত নন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক নাসিম আখতার হুসাইন। তার কথা, কারচুপি-অনিয়মের কারণে ভোটাররা প্রতারিত হয়েছেন।
তিনি বলেন, এ নির্বাচন দিয়ে গণতন্ত্র নিশ্চিত হবে না। অনেকের ভ্রান্ত ধারণা যে নির্বাচন নিয়মিত হচ্ছে, তার মানেই এখানে গণতন্ত্র আছে - তা ঠিক নয়। যেখানে ভোটাররা লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন কিন্তু ভোটকেন্দ্রের ভেতরে ভিন্ন দৃশ্য, আগে থেকেই ছাপ-দেয়া ব্যালট পেপার দিয়ে বাক্স ভরা হয় - এটা কি ভোটারদের সাথে প্রতারণা নয়?
এবার পৌর নির্বাচনে প্রধান দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সাত বছর পর তাদের চিরাচরিত প্রতীক ‘নৌকা’ ও ‘ধানের শীষ’ নিয়ে ভোটযুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছিল। ফলে এ নির্বাচন নিয়ে ভোটারদের আগ্রহও বেশি ছিল।
পর্যবেক্ষক আবদুল আলীম বলেন, ভোটার টার্নআউট আগের চাইতে কিছু বেশি ছিল - যা ভোটারদের আগ্রহের ইঙ্গিত দেয়।
কিন্তু নানা অনিয়মের কারণে ‘ভোটারদের মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে এবং নির্বাচন নিয়ে আস্থার সঙ্কট আরো বেড়েছে’ বলে মনে করছেন নাসিম আখতার হুসাইন।
আবদুল আলীমের মতে আস্থা অর্জন করতে হলে নির্বাচন কমিশনকে উদ্যোগ নিতে হবে এবং সরকারকে তাতে সহযোগিতা করতে হবে।
পৌর নির্বাচনে তাদের খুবই কম সংখ্যক প্রার্থী জয়ী হলেও প্রধান বিরোধীদল বিএনপি বলছে সাংগঠনিক দিক থেকে তাদের রাজনৈতিক বিজয় হয়েছে।
No comments