‘ভোটবিহীন নির্বাচনের সংস্কৃতি গণতন্ত্রের জন্য বড় আঘাত’
ধারাবাহিক ভাবে ভোটারবিহীন নির্বাচন দেশ ও জাতির জন্য মঙ্গলজনক নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্ট জনেরা। এবারও নির্বাচন সুষ্ঠু করতে উত্তীর্ণ হয়নি নির্বাচন কমিশন। পৌরসভা নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন তাদের হারানো ভাবমূর্তি উদ্ধার করতে ব্যর্থ হয়েছে। এরপরও সরকার এবং নির্বাচন কমিশন দাবি করছে পৌরসভা নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে, ফলাফল মেনে নিতে। সুতরাং ফলাফল মেনে নিতেই হবে এর সঙ্গে দ্বিমত করার ক্ষমতা বাংলাদেশের কারো নেই বলে মনে করেন তারা। পৌরসভা নির্বাচন নিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা এম হাফিজ উদ্দিন বলেন, পৌরসভা নির্বাচনে যে কারচুপি হয়েছে তা সবাই দেখেছে। একই প্রশাসন ও পুলিশের সহায়তায় ৫ই জানুয়ারি, উপজেলা, ঢাকা সিটি করপোরেশনের মতো পৌরসভা নির্বাচনেও কারচুপি হয়েছে। অথচ নির্বাচনের পূর্বে আওয়ামী লীগ অভিযোগ করেছিল নির্বাচন কমিশন বিএনপির হয়ে কাজ করছে। এই কমিশনের অধীনে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হবে বলে মনে হয় না। শেষ বারের মতো পৌরসভা নির্বাচনেও নির্বাচন কমিশন তাদের হারানো ইমেজ উদ্ধার করতে ব্যর্থ হয়েছে বলে মনে করেন হাফিজউদ্দিন। সমাজ বিজ্ঞানী মীজানুর রহমান শেলী বলেন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের পর ৫ই জানুয়ারি নির্বাচন ও পরবর্তী নির্বাচনগুলোতে যে ভোটবিহীন নির্বাচনের সং¯কৃতি শুরু হয়েছে তা গণতন্ত্রের জন্য বড় আঘাত। নির্বাচনে আসলে কি হয়েছে তা সবাই জানে। নির্বাচন কমিশন ও সরকার একই পথে না চললে এ ধরনের একপেশে নির্বাচন সম্ভব হতো না। এ নির্বাচনে কি হয়েছে সবকিছু আয়নার মতো পরিষ্কার কিন্তু ধরার উপায় নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি। রাজনৈতিক বিশ্লেষক সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন এ পর্যন্ত যত নির্বাচন হয়েছে পৌরসভা নির্বাচনকে সর্বশ্রেষ্ঠ নির্বাচন বলে দাবি করছে সরকার ও নির্বাচন কমিশন। তাদের এই বক্তব্যের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করার ক্ষমতা বাংলাদেশের কোনো মানুষের নেই। নির্বাচন সুষ্ঠু হোক বা না হোক সরকারি দল বলেছে ফলাফল মেনে নিতে। সুতরাং ফলাফল মেনে নিতেই হবে।
No comments