বছরের শুরুতেই সামরিক শক্তি বাড়াচ্ছে চীন
নতুন
বছরের শুরুতেই সামরিক শক্তিতে পাকাপোক্ত অবস্থান নিতে মরিয়া হয়ে পড়েছে
চীন। গেল বছরে দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের দেয়া ঘোষণা বাস্তবায়নে
সৈন্য-সামন্তে নতুনত্ব আনছে দেশটি। এছাড়া দক্ষিণ ও পূর্ব চীন সাগর নিয়ে
প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের দ্বন্দ্ব অনেকদিনের। এর পাশাপাশি নিজেদের
জল সীমানার কাছাকাছি মাঝে মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধজাহাজের উপস্থিতি
তাদের আরও উদ্বিগ্ন করে তুলেছে। এ প্রেক্ষাপটে সামরিক শক্তি বাড়ানোয়
মনোযোগী হয়েছে বিশ্বের অন্যতম পরাশক্তি চীন। এরই অংশ হিসেবে নতুন তিনটি
সামরিক ইউনিট তৈরি ও অস্ত্র সামগ্রীর আধুনিকায়ন করছে দেশটি। শুক্রবার এ খবর
দিয়েছে চীনের সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া। বৃহস্পতিবার সামরিক সৈন্যদের নিয়ে এক
সভায় দেশটির সেনাবাহিনী পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) জন্য একটি স্থল
ইউনিট, একটি ক্ষেপণাস্ত্র বাহিনী ও একটি প্রযুক্তি কৌশলগত ইউনিট তৈরির
উদ্বোধন ঘোষণা করেন জিনপিং।
সামরিক বাহিনীর স্থল ইউনিট কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন লি জুচ্যাং। সেনাদের নিয়ে অনুষ্ঠিত সভায় নতুন ইউনিট প্রধানকে বড় লাল পতাকা প্রদান করেন জিনপিং। এর আগে চেংদু সামরিক এলাকার সেনা কমান্ডার ছিলেন লি।
দেশটির পারমাণবিক অস্ত্রাগারে কর্মরত সৈন্যদের নিয়ে ক্ষেপণাস্ত্র বাহিনী গঠন করা হয়েছে। যার প্রধান হিসেবে পারমাণবিক অস্ত্রাগারে কর্তব্যরত ওয়েই ফেং দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া অস্ত্রের ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য প্রযুক্তি কৌশলগত ইউনিটের কাজ হবে পারমাণবিক শক্তি প্রক্রিয়া বৃদ্ধি, মুখোমুখি আঘাত প্রতিহত ও দীর্ঘ পরিসরে আঘাত পরিচালনার যোগ্যতাসহ রকেট ফোর্সেরও তদারকি করা।
২০১৫ সালের নভেম্বর মাসে সামরিক শক্তি বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়ে জিনপিং ঘোষণা দেন, সেনাবাহিনীকে ঢেলে সাজাতে নতুন প্রযুক্তিগত অস্ত্র সামগ্রী সরবরাহ বৃদ্ধি ও বিমান, রণতরী ও স্থল- তিন দিকেই সৈন্য বাড়াবে চীন।
এদিকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পূর্ব ও দক্ষিণ চীন সাগরে আধিপত্য নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে জাপান ও ফিলিপিন্সের সঙ্গে উত্তেজনা ক্রমেই বেড়ে চলেছে চীনের। দক্ষিণ চীন সাগরের প্রায় পুরোটাতেই আধিপত্য দাবি করছে তারা। ওই সাগরে চীনের কৃত্রিম দ্বীপ তৈরি নিয়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। যার ফলে সংঘর্ষের আশঙ্কাও করছে কেউ কেউ। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের জাহাজ ও বিমান মাঝে মধ্যে চীনের জলসীমায় টহল দিয়ে এ অঞ্চলে উসকানি দিয়ে চলেছে।
দ্বিতীয় বিমানবাহী রণতরী বানাচ্ছে চীন: সামরিক শক্তি বৃদ্ধির অংশ হিসেবে দ্বিতীয় বিমানবাহী রণতরী তৈরির কাজে মনোযোগী হয়েছে চীন। বৃহস্পতিবার দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দ্বিতীয় বিমানবাহী রণতরী নির্মাণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
বিমানবাহী রণতরী নির্মাণের ব্যাপারে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইয়াং ইউজুন বলেন, ‘সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে এই রণতরী নির্মাণের কাজ এগিয়ে চলেছে। তিনি আরও বলেন, এ রণতরী জি-১৫ জেট বিমান ও অন্যান্য বিমানের জন্য মোট ৫০ হাজার টন ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন হবে। প্রথম বিমানবাহী রণতরী লিওনিংয়ের কাছ থেকে পাওয়া প্রশিক্ষণ ও গবেষণার অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে দ্বিতীয় রণতরীর পরিকল্পনা ও তৈরির কাজ চলছে।’ কয়েক মাস ধরেই সামরিক বাহিনীর বিভিন্ন কর্মকর্তাদের কথায় রণতরী নির্মাণের বিষয়টি উঠে আসছিল। তবে বৃহস্পতিবারই এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দেয়া হয়। এএফপি
তৃতীয় বিমানবাহী রণতরী বানানো পূর্বাভাস : দ্বিতীয় বিমানবাহী রণতরী তৈরির পর তৃতীয় রণতরী বানানোর পূর্বাভাস দিয়েছে চীন। দ্বিতীয়টির কাজ শেষ হলে সমুদ্রের নীল পানি ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন তৃতীয় রণতরী বানাবে বলে ঘোষণা দিয়েছে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইয়াং ইউজুন।
সামরিক বাহিনীর স্থল ইউনিট কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন লি জুচ্যাং। সেনাদের নিয়ে অনুষ্ঠিত সভায় নতুন ইউনিট প্রধানকে বড় লাল পতাকা প্রদান করেন জিনপিং। এর আগে চেংদু সামরিক এলাকার সেনা কমান্ডার ছিলেন লি।
দেশটির পারমাণবিক অস্ত্রাগারে কর্মরত সৈন্যদের নিয়ে ক্ষেপণাস্ত্র বাহিনী গঠন করা হয়েছে। যার প্রধান হিসেবে পারমাণবিক অস্ত্রাগারে কর্তব্যরত ওয়েই ফেং দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া অস্ত্রের ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য প্রযুক্তি কৌশলগত ইউনিটের কাজ হবে পারমাণবিক শক্তি প্রক্রিয়া বৃদ্ধি, মুখোমুখি আঘাত প্রতিহত ও দীর্ঘ পরিসরে আঘাত পরিচালনার যোগ্যতাসহ রকেট ফোর্সেরও তদারকি করা।
২০১৫ সালের নভেম্বর মাসে সামরিক শক্তি বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়ে জিনপিং ঘোষণা দেন, সেনাবাহিনীকে ঢেলে সাজাতে নতুন প্রযুক্তিগত অস্ত্র সামগ্রী সরবরাহ বৃদ্ধি ও বিমান, রণতরী ও স্থল- তিন দিকেই সৈন্য বাড়াবে চীন।
এদিকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পূর্ব ও দক্ষিণ চীন সাগরে আধিপত্য নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে জাপান ও ফিলিপিন্সের সঙ্গে উত্তেজনা ক্রমেই বেড়ে চলেছে চীনের। দক্ষিণ চীন সাগরের প্রায় পুরোটাতেই আধিপত্য দাবি করছে তারা। ওই সাগরে চীনের কৃত্রিম দ্বীপ তৈরি নিয়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। যার ফলে সংঘর্ষের আশঙ্কাও করছে কেউ কেউ। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের জাহাজ ও বিমান মাঝে মধ্যে চীনের জলসীমায় টহল দিয়ে এ অঞ্চলে উসকানি দিয়ে চলেছে।
দ্বিতীয় বিমানবাহী রণতরী বানাচ্ছে চীন: সামরিক শক্তি বৃদ্ধির অংশ হিসেবে দ্বিতীয় বিমানবাহী রণতরী তৈরির কাজে মনোযোগী হয়েছে চীন। বৃহস্পতিবার দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দ্বিতীয় বিমানবাহী রণতরী নির্মাণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
বিমানবাহী রণতরী নির্মাণের ব্যাপারে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইয়াং ইউজুন বলেন, ‘সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে এই রণতরী নির্মাণের কাজ এগিয়ে চলেছে। তিনি আরও বলেন, এ রণতরী জি-১৫ জেট বিমান ও অন্যান্য বিমানের জন্য মোট ৫০ হাজার টন ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন হবে। প্রথম বিমানবাহী রণতরী লিওনিংয়ের কাছ থেকে পাওয়া প্রশিক্ষণ ও গবেষণার অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে দ্বিতীয় রণতরীর পরিকল্পনা ও তৈরির কাজ চলছে।’ কয়েক মাস ধরেই সামরিক বাহিনীর বিভিন্ন কর্মকর্তাদের কথায় রণতরী নির্মাণের বিষয়টি উঠে আসছিল। তবে বৃহস্পতিবারই এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দেয়া হয়। এএফপি
তৃতীয় বিমানবাহী রণতরী বানানো পূর্বাভাস : দ্বিতীয় বিমানবাহী রণতরী তৈরির পর তৃতীয় রণতরী বানানোর পূর্বাভাস দিয়েছে চীন। দ্বিতীয়টির কাজ শেষ হলে সমুদ্রের নীল পানি ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন তৃতীয় রণতরী বানাবে বলে ঘোষণা দিয়েছে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইয়াং ইউজুন।
No comments