ইরানের বিরুদ্ধে নতুন মার্কিন অবরোধ আসছে?
ইরানের একটি ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্র দেশটির ওপর অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপের প্রস্তুতি নিচ্ছে। গত জুলাইয়ে ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রসহ ছয় বিশ্বশক্তির পরমাণু চুক্তির পর এটি হবে দেশটির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম অবরোধ। পরমাণু কর্মসূচিতে সমঝোতার ফলে ইরানের ওপর থেকে শর্তসাপেক্ষে পাশ্চাত্যের কিছু অবরোধ তুলে নেওয়ারই কথা ছিল। খবর গার্ডিয়ানের। যুক্তরাষ্ট্র আরব সাগরের হরমুজ প্রণালিতে তার যুদ্ধজাহাজের খুব কাছে ইরানের পরীক্ষামূলক রকেট ছোড়ার অভিযোগ করার এক দিন পর এই নিষেধাজ্ঞার পরিকল্পনার কথা জানা গেল। তবে ইরান গতকাল বৃহস্পতিবার এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে। ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল পত্রিকার প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে গার্ডিয়ান পত্রিকা জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ দপ্তর ইরান সরকার এবং দেশটির ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিতে সহায়তাকারী দুটি ‘নেটওয়ার্কের’ বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক অবরোধের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্র ও অন্য দেশের নাগরিকেরা ওই নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির সঙ্গে কোনো ব্যবসা করতে পারবে না। মার্কিন ব্যাংকগুলোও প্রতিষ্ঠানগুলোর যুক্তরাষ্ট্রে থাকা অর্থসম্পদ জব্দ করবে। ইরানের পাশাপাশি সংযুক্ত আরব আমিরাত ও হংকংয়ের কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধেও অবরোধ আরোপ করা হতে পারে।
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির সঙ্গে যুক্ত পাঁচজন ইরানি কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আসবে। ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল লিখেছে, সংযুক্ত আরব আমিরাতভিত্তিক মাবরুকা ট্রেডিং ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির জন্য কার্বন ফাইবার কিনতে ইরানকে সাহায্য করেছে। ওবামা সরকারের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা গার্ডিয়ানকে বলেন, ‘আমরা কিছুদিন থেকেই ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি পর্যবেক্ষণ করছি। এর মধ্যে রয়েছে গত ১০ অক্টোবর চালানো ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা। আমরা জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে কূটনৈতিক পদক্ষেপ বিবেচনা করছি। এর পাশাপাশি কংগ্রেসকে নিষেধাজ্ঞার পরিকল্পনার কথাও অবহিত করছি।’ যুক্তরাষ্ট্রের এ অবরোধের পরিকল্পনা নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ইরানের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে আগে ইরানের কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন, এ ধরনের অবরোধকে পরমাণু চুক্তির লঙ্ঘন বলে বিবেচনা করবেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। গত জুলাইয়ে পরমাণু কর্মসূচি বিষয়ে বহুল প্রতীক্ষিত চুক্তির পর ইরান এ পর্যন্ত দুটি ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে।
No comments