‘সুইপার’ থাকবে না কাষ্টঘরেও by চৌধুরী মুমতাজ আহমদ
মহাজনপট্টি,
সিলেটের বুনিয়াদি বাণিজ্য কেন্দ্র। কি নেই, মিলে না মহাজনপট্টিতে। নগরজুড়ে
কত শপিং মল; কত আকাশচুম্বী বিপণি বিতান এখন। কিন্তু মহাজনপট্টির আবেদন সেই
একই রয়ে গেছে। সেই মহাজনপট্টির একদম কাছেই কাষ্টঘরে জায়গাটি। একটি বহুতল
বাণিজ্যিক ভবন শুধু তুলে দিতে পারলেই রমরমা বাণিজ্য হবে সেখানে। এতো দামের
সে জায়গাটি কিনা দখল করে আছে ‘সুইপার’রা। সমাজের ‘কমদামি’ মানুষগুলো উঁচু
দামের জায়গা দখল করে রাখবে তা তো হয় না। উচ্ছেদ করতেই হবে ‘সুইপার’দের।
হঠাৎ ঘাড় ধরে বের করে দিলে চোখে লাগবে অন্যদের। বের করতে হবে কৌশলে। সেই
কৌশলের খেলা শুরু হয়ে গেছে ইতিমধ্যেই।
হরিজন। আদুরে এ নাম শুধু ‘কিতাবে’ই আছে, তাদের পরিচিতি সুইপার হিসেবেই। আর তাদের আবাস পরিচিত ‘সুইপার কলোনি’ হিসেবেই। সিলেটের কাষ্টঘরে তেমনই এক সুইপার কলোনি। দোতলা ঘিঞ্জি ভবনে ৪৩টি কামরাজুড়ে গাদাগাদি করে বাস অর্ধ সহস্রাধিক লোকের। সিটি করপোরেশনে তাদের ১৫২ জনের কাজের সুবাদে থাকার এ অধিকার পেয়েছেন তারা। সুইপার বা পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের মধ্যে শুধুমাত্র যারা ‘অবাঙালি’ মূলত তাদেরই বাস ‘সুইপার কলোনি’তে। ভারতজুড়ে বৃটিশ শাসন চলাকালে উনিশ শতকের প্রথমার্ধের বিভিন্ন সময়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কর্মী হিসেবে হিন্দি, উড়িষ্যা, দেশওয়ালি ও তেলেগু ভাষাভাষী এদের পূর্ব পুরুষরা ভারতের উত্তর প্রদেশ, অন্ধ্র প্রদেশ, মধ্য প্রদেশ, রাজস্থান, বিহার, উড়িষ্যা, কুচবিহার, রাচি, মাদ্রাজ ও আসাম থেকে সে সময়কার পূর্ববঙ্গে এসেছিলেন।
এখন অবশ্য অবাঙালিদের বাইরে অন্যরাও যুক্ত হচ্ছেন পরিচ্ছন্নতা কাজে। ধীরে ধীরে তাদের সংখ্যাও বাড়ছে। পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের ৪০ ভাগ জায়গাই এখন বাঙালিদের দখলে। একটি সূত্রে জানা গেছে, সিটি করপোরেশনও চায় বাঙালিরা আসুক এ ক্ষেত্রে। কারণ বাঙালি পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের ‘ঘর’ দেয়ার দায় নেই সিটি করপোরেশনের। এ কাজে যারা আসছেন তাদের নিজস্ব ঠিকানা রয়েছে। বাঙালি পরিচ্ছন্নতাকর্মী ১০০ ভাগ হলে তখন আর কলোনির প্রয়োজন হবে না। কলোনির জায়গাগুলো তখন ব্যবহার করা যাবে নিজেদের মতো করে।
সিলেট নগরীতে অবাঙালি পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের বড় অংশের বাস কাষ্টঘরের এই কলোনিতে। কিন্তু এই সুইপার কলোনির মূল প্রবেশ পথ এখন বাঁশ দিয়ে আটকে দেয়া হয়েছে। বিকল্প পথে ড্রেনের ওপর দিয়ে এখন তাদের চলাফেরা করতে হয়। গেল কালী পূজায় নাকি সুইপার কলোনির ছেলেরা গণ্ডগোল করেছে। তাই খেপে যান মহাজনপট্টির মহাজনেরা। কলোনির ছেলেদের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ তারা এলাকায় ইয়াবাসহ নানা মাদকের ব্যবসা করছে। বিপথে পরিচালিত করছে যুব সমাজকে। সহজ পথ বেছে নেয় সিটি করপোরেশন-সুইপারদের চলার পথ বন্ধ করে দেন তারা। তবে এখানে শুভঙ্করের ফাঁকি রয়েছে। যাদের পরিবারের কর্তা মাসে ৮০০ থেকে ১২০০ টাকা বেতন পান তাদের ছেলেরা মাদকে বিনিয়োগের টাকা কোথায় পায়। সে ফাঁকির রহস্য সন্ধান কেউই করতে চান না। আন্দোলনকারীদের এখন একটাই দাবি এখান থেকে তুলে দিতে হবে সুইপারদের। এরা এখানকার পরিবেশ ‘নষ্ট’ করছে। সিটি করপোরেশন থেকে সুইপারদের পথ খুলে দিতেও তেমন কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। বরং বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে নিজেদের আড়ালে রেখে তাল দেয়া হচ্ছে সুইপারদের তুলে দেয়ার সুরে। প্রভাবশালী একটি মহলও সে সুরে তাল মেলাচ্ছে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে।
অবাঙালি পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের কষ্টে সাজানো সংসার এর আগেও কয়েকবার ভেঙেছে। এখন শুধুমাত্র কাষ্টঘর ও চাঁদনিঘাট সংলগ্ন সুরমা নদীর তীরবর্তী এলাকাতেই হরিজনদের বাস সীমিত হয়ে এলেও এক সময় সিলেটের কাষ্টঘর, লামাবাজার মদন মোহন কলেজের ছাত্রাবাসের সামনে, কাজিরবাজার, সদর হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকা, রেলওয়ে স্টাফ কোয়ার্টার সংলগ্ন এলাকায় তাদের বসতি ছিল। কিন্তু ‘সচেতন’ মানুষদের ধাওয়া খেয়ে বারবারই তাদের ঘর ভেঙেছে।
এখন যে জায়গায় কাজিরবাজার মাদরাসার অবস্থান এক সময় সেখানে ছিল হরিজনদের সবচেয়ে বড় বসতি। ৩ বিঘা জমিজুড়ে ছিল তাদের ছোট ছোট খুপরিগুলো। তাদের সে আবাসনের জায়গাটিতে নজর পড়ে কাজিরবাজার মাদরাসা কর্তৃপক্ষের। ১৯৭৯ সালের ৯ই এপ্রিল মাদরাসা কর্তৃপক্ষ সে সময়কার সিলেট পৌরসভার চেয়ারম্যান বরাবরে এক আবেদনপত্রে ইসলামী শিক্ষার প্রসারের লক্ষ্যে মাদরাসার প্রসারতার প্রয়োজন দেখিয়ে জায়গাটুকু তাদের দিয়ে দেয়ার দাবি করেন। এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তৎকালীন চেয়ারম্যান বাবরুল হোসেন বাবুল জায়গাটি মাদরাসা কর্তৃপক্ষকে দেয়া যায় কিনা তা নির্ধারণের জন্য ২৮শে এপ্রিল ৩ সদস্যের একটি উপ-কমিটি গঠন করে দেন। ওই কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয় যদি মাদরাসা কর্তৃপক্ষ নিজেদের খরচে নরসিংটিলায় পৌরসভার জায়গায় কলোনি গড়ে দেন তবে সেখানে কলোনি স্থানান্তর করে কাজিরবাজারের জায়গাটি মাদরাসাকে দেয়া যেতে পারে। এ প্রতিবেদনের আলোকে একই বছরের ২৯শে সেপ্টেম্বর পৌরসভা জায়গাটি ১ টাকা মূল্যে মাদরাসা কর্তৃপক্ষকে দিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। শর্ত থাকে ৩ লাখ টাকা অবকাঠামোর মূল্য হিসেবে পৌরসভাকে দেবে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ। পৌরসভার এ সিদ্ধান্ত অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয় জেলা প্রশাসনে (স্মারক নং : ৩৭৯৮)। জেলা প্রশাসনজুড়ে দেয় আরও ৪টি শর্ত। এর মধ্যে রাস্তা সংলগ্ন ৩০ ফুট জায়গা মাদরাসাকে না দিয়ে পৌরসভাকেই বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করতে বলা হয়, আর হরিজনদের পুনর্বাসন না হওয়া পর্যন্ত জমির দখল না দিতেও বলা হয়। জেলা প্রশাসনের শর্ত অনুসারে রাস্তা সংলগ্ন ৩০ ফুট জায়গা নিলামের উদ্যোগ নেয় পৌরসভা। এ লক্ষ্যে ১৯৮৩ সালের ১লা মার্চ পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেয়া হলেও সে সময়কার এক মন্ত্রীর নির্দেশে তা বাতিল হয়ে যায়। এমনই অবস্থায় ১৯৮৪ সালের জুলাই মাসে পুনর্বাসন ছাড়াই মাদরাসা কর্তৃপক্ষ উচ্ছেদ করে হরিজনদের।
এর আগে এমনিভাবে হরিজনরা ঢেঁড়া গুটাতে বাধ্য হয়েছিল লামাবাজার থেকে। দেশ স্বাধীন হওয়ার আগে লামাবাজারে মদন মোহন কলেজ ছাত্রাবাসের সামনে বসতি ছিল তাদের। ১৯৬২-৬৩ সালে পূর্ব পাকিস্তানের তৎকালীন গভর্নর আজম খান সিলেট সফরে এলে কলেজের ছাত্ররা কলেজের পাশ থেকে ‘সুইপার কলোনি’ তুলে নেয়ার দাবি জানালে উঠিয়ে দেয়া হয় তাদের।
হরিজন। আদুরে এ নাম শুধু ‘কিতাবে’ই আছে, তাদের পরিচিতি সুইপার হিসেবেই। আর তাদের আবাস পরিচিত ‘সুইপার কলোনি’ হিসেবেই। সিলেটের কাষ্টঘরে তেমনই এক সুইপার কলোনি। দোতলা ঘিঞ্জি ভবনে ৪৩টি কামরাজুড়ে গাদাগাদি করে বাস অর্ধ সহস্রাধিক লোকের। সিটি করপোরেশনে তাদের ১৫২ জনের কাজের সুবাদে থাকার এ অধিকার পেয়েছেন তারা। সুইপার বা পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের মধ্যে শুধুমাত্র যারা ‘অবাঙালি’ মূলত তাদেরই বাস ‘সুইপার কলোনি’তে। ভারতজুড়ে বৃটিশ শাসন চলাকালে উনিশ শতকের প্রথমার্ধের বিভিন্ন সময়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কর্মী হিসেবে হিন্দি, উড়িষ্যা, দেশওয়ালি ও তেলেগু ভাষাভাষী এদের পূর্ব পুরুষরা ভারতের উত্তর প্রদেশ, অন্ধ্র প্রদেশ, মধ্য প্রদেশ, রাজস্থান, বিহার, উড়িষ্যা, কুচবিহার, রাচি, মাদ্রাজ ও আসাম থেকে সে সময়কার পূর্ববঙ্গে এসেছিলেন।
এখন অবশ্য অবাঙালিদের বাইরে অন্যরাও যুক্ত হচ্ছেন পরিচ্ছন্নতা কাজে। ধীরে ধীরে তাদের সংখ্যাও বাড়ছে। পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের ৪০ ভাগ জায়গাই এখন বাঙালিদের দখলে। একটি সূত্রে জানা গেছে, সিটি করপোরেশনও চায় বাঙালিরা আসুক এ ক্ষেত্রে। কারণ বাঙালি পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের ‘ঘর’ দেয়ার দায় নেই সিটি করপোরেশনের। এ কাজে যারা আসছেন তাদের নিজস্ব ঠিকানা রয়েছে। বাঙালি পরিচ্ছন্নতাকর্মী ১০০ ভাগ হলে তখন আর কলোনির প্রয়োজন হবে না। কলোনির জায়গাগুলো তখন ব্যবহার করা যাবে নিজেদের মতো করে।
সিলেট নগরীতে অবাঙালি পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের বড় অংশের বাস কাষ্টঘরের এই কলোনিতে। কিন্তু এই সুইপার কলোনির মূল প্রবেশ পথ এখন বাঁশ দিয়ে আটকে দেয়া হয়েছে। বিকল্প পথে ড্রেনের ওপর দিয়ে এখন তাদের চলাফেরা করতে হয়। গেল কালী পূজায় নাকি সুইপার কলোনির ছেলেরা গণ্ডগোল করেছে। তাই খেপে যান মহাজনপট্টির মহাজনেরা। কলোনির ছেলেদের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ তারা এলাকায় ইয়াবাসহ নানা মাদকের ব্যবসা করছে। বিপথে পরিচালিত করছে যুব সমাজকে। সহজ পথ বেছে নেয় সিটি করপোরেশন-সুইপারদের চলার পথ বন্ধ করে দেন তারা। তবে এখানে শুভঙ্করের ফাঁকি রয়েছে। যাদের পরিবারের কর্তা মাসে ৮০০ থেকে ১২০০ টাকা বেতন পান তাদের ছেলেরা মাদকে বিনিয়োগের টাকা কোথায় পায়। সে ফাঁকির রহস্য সন্ধান কেউই করতে চান না। আন্দোলনকারীদের এখন একটাই দাবি এখান থেকে তুলে দিতে হবে সুইপারদের। এরা এখানকার পরিবেশ ‘নষ্ট’ করছে। সিটি করপোরেশন থেকে সুইপারদের পথ খুলে দিতেও তেমন কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। বরং বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে নিজেদের আড়ালে রেখে তাল দেয়া হচ্ছে সুইপারদের তুলে দেয়ার সুরে। প্রভাবশালী একটি মহলও সে সুরে তাল মেলাচ্ছে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে।
অবাঙালি পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের কষ্টে সাজানো সংসার এর আগেও কয়েকবার ভেঙেছে। এখন শুধুমাত্র কাষ্টঘর ও চাঁদনিঘাট সংলগ্ন সুরমা নদীর তীরবর্তী এলাকাতেই হরিজনদের বাস সীমিত হয়ে এলেও এক সময় সিলেটের কাষ্টঘর, লামাবাজার মদন মোহন কলেজের ছাত্রাবাসের সামনে, কাজিরবাজার, সদর হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকা, রেলওয়ে স্টাফ কোয়ার্টার সংলগ্ন এলাকায় তাদের বসতি ছিল। কিন্তু ‘সচেতন’ মানুষদের ধাওয়া খেয়ে বারবারই তাদের ঘর ভেঙেছে।
এখন যে জায়গায় কাজিরবাজার মাদরাসার অবস্থান এক সময় সেখানে ছিল হরিজনদের সবচেয়ে বড় বসতি। ৩ বিঘা জমিজুড়ে ছিল তাদের ছোট ছোট খুপরিগুলো। তাদের সে আবাসনের জায়গাটিতে নজর পড়ে কাজিরবাজার মাদরাসা কর্তৃপক্ষের। ১৯৭৯ সালের ৯ই এপ্রিল মাদরাসা কর্তৃপক্ষ সে সময়কার সিলেট পৌরসভার চেয়ারম্যান বরাবরে এক আবেদনপত্রে ইসলামী শিক্ষার প্রসারের লক্ষ্যে মাদরাসার প্রসারতার প্রয়োজন দেখিয়ে জায়গাটুকু তাদের দিয়ে দেয়ার দাবি করেন। এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তৎকালীন চেয়ারম্যান বাবরুল হোসেন বাবুল জায়গাটি মাদরাসা কর্তৃপক্ষকে দেয়া যায় কিনা তা নির্ধারণের জন্য ২৮শে এপ্রিল ৩ সদস্যের একটি উপ-কমিটি গঠন করে দেন। ওই কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয় যদি মাদরাসা কর্তৃপক্ষ নিজেদের খরচে নরসিংটিলায় পৌরসভার জায়গায় কলোনি গড়ে দেন তবে সেখানে কলোনি স্থানান্তর করে কাজিরবাজারের জায়গাটি মাদরাসাকে দেয়া যেতে পারে। এ প্রতিবেদনের আলোকে একই বছরের ২৯শে সেপ্টেম্বর পৌরসভা জায়গাটি ১ টাকা মূল্যে মাদরাসা কর্তৃপক্ষকে দিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। শর্ত থাকে ৩ লাখ টাকা অবকাঠামোর মূল্য হিসেবে পৌরসভাকে দেবে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ। পৌরসভার এ সিদ্ধান্ত অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয় জেলা প্রশাসনে (স্মারক নং : ৩৭৯৮)। জেলা প্রশাসনজুড়ে দেয় আরও ৪টি শর্ত। এর মধ্যে রাস্তা সংলগ্ন ৩০ ফুট জায়গা মাদরাসাকে না দিয়ে পৌরসভাকেই বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করতে বলা হয়, আর হরিজনদের পুনর্বাসন না হওয়া পর্যন্ত জমির দখল না দিতেও বলা হয়। জেলা প্রশাসনের শর্ত অনুসারে রাস্তা সংলগ্ন ৩০ ফুট জায়গা নিলামের উদ্যোগ নেয় পৌরসভা। এ লক্ষ্যে ১৯৮৩ সালের ১লা মার্চ পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেয়া হলেও সে সময়কার এক মন্ত্রীর নির্দেশে তা বাতিল হয়ে যায়। এমনই অবস্থায় ১৯৮৪ সালের জুলাই মাসে পুনর্বাসন ছাড়াই মাদরাসা কর্তৃপক্ষ উচ্ছেদ করে হরিজনদের।
এর আগে এমনিভাবে হরিজনরা ঢেঁড়া গুটাতে বাধ্য হয়েছিল লামাবাজার থেকে। দেশ স্বাধীন হওয়ার আগে লামাবাজারে মদন মোহন কলেজ ছাত্রাবাসের সামনে বসতি ছিল তাদের। ১৯৬২-৬৩ সালে পূর্ব পাকিস্তানের তৎকালীন গভর্নর আজম খান সিলেট সফরে এলে কলেজের ছাত্ররা কলেজের পাশ থেকে ‘সুইপার কলোনি’ তুলে নেয়ার দাবি জানালে উঠিয়ে দেয়া হয় তাদের।
No comments