‘নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার চ্যালেঞ্জের মুখে’
দেশে
এখন নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান। তিনি বলেছেন,
এক্ষেত্রে মুখ লুকিয়ে রাখলে হবে না। চোখ খুলে চ্যালেঞ্জের উত্তরণ ঘটাতে
হবে। আজ রাজধানীর সিরডাপ ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স সেন্টারে জাতীয়
মানবাধিকার কমিশন আয়োজিত ‘কনসালটেশন অন সেকেন্ড সাইকেল ইউপিআর রিকমন্ডেশনস:
স্ট্যাটাস অফ ইমপ্লিমেন্টেশন’ শীর্ষক প্ল্যানারি সেশনে সভাপতির বক্তব্যে
তিনি এসব কথা বলেন।
আইনমন্ত্রীর উদ্দেশে মিজানুর রহমান বলেন, পরশু ১৯টি পরিবারের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে চোখের জল ফেলে বলেছেন, তাদের স্বামী, ভাই বা ছেলেকে ধরে নিয়ে েেগছে দুই বছর আগে। পরিবারের সদস্যরা জানতে চেয়েছেন, রাষ্ট্র এদের হদিস দেবে কিনা। এ ঘটনা নিশ্চয়ই মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা। এই সদস্যদের যদি রাষ্ট্র ধরে না নিয়ে থাকে, যদি অপরাধী চক্র নিয়ে থাকে সেখান থেকে উদ্ধারের দায়িত্বও রাষ্ট্রের। দুদিন ব্যাপী অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী পর্বে মিজানুর রহমান সরকারের শিশু অধিকার রক্ষার অঙ্গীকারের কথা মনে করিয়ে দিয়ে বলেন, পদধ্বনি শোনা যাচ্ছে, মেয়েদের বিয়ের বয়স ১৮ থেকে ১৬ বছরে নেমে আসতে পারে। এটাকে অশনিসংকেত বলেই মনে হচ্ছে। এ সময় মঞ্চে বসা অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি আনিসুল হক আপত্তি জানিয়ে বলেন, এটি এখনও চূড়ান্ত হয়নি। এ ধরনের কিছু হবে না। অনুষ্ঠানে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কমিশনের বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার কথা তুলে ধরে বলেন, দ্বিতীয় পর্যায়ের মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যালোচনার সময় কমিশনের দক্ষতা বাড়ানোসহ অনেকগুলো সুপারিশ করা হয়েছিল। তবে আজ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কমিশন ‘এ’ স্ট্যাটাস অর্জন করতে পারেনি। কারণ কমিশনের উচ্চপদে সরকার আমলাদের নিয়োগ দেয়। তাই কমিশন স্বাধীন না। কমিশনের আর্থিক স্বাধীনতাও নিশ্চিত হয়নি। কমিশনের আলাদা একটি তহবিল গঠন এবং কমিশন তা নিজের ইচ্ছায় খরচ করতে পারবে বলে আইনে উল্লেখ থাকলেও তা কার্যকর হয়নি। ঢাকার বাইরে যাওয়ার জন্য কমিশনের নিজস্ব যানবাহন নেই। ভাড়া গাড়ির বিল দিলে নিরীক্ষা-আপত্তি দিয়ে বলে তা আইন মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিয়ে করতে হবে। তাই আবারও মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে মিজানুর রহমান বলেন, মন্ত্রী, আপনি কিভাবে বলবেন, কমিশন একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান? প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, সরকার নারী, শিশু, প্রবীণসহ বিভিন্ন বয়সী মানুষের জীবনমান উন্নয়নে সরকারের বিভিন্ন নীতি ও আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। সরকার বিভিন্ন সমস্যা সম্পর্কে যেমন সচেতন, তা প্রতিরোধেও বিভিন্ন কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছে।
আইনমন্ত্রীর উদ্দেশে মিজানুর রহমান বলেন, পরশু ১৯টি পরিবারের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে চোখের জল ফেলে বলেছেন, তাদের স্বামী, ভাই বা ছেলেকে ধরে নিয়ে েেগছে দুই বছর আগে। পরিবারের সদস্যরা জানতে চেয়েছেন, রাষ্ট্র এদের হদিস দেবে কিনা। এ ঘটনা নিশ্চয়ই মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা। এই সদস্যদের যদি রাষ্ট্র ধরে না নিয়ে থাকে, যদি অপরাধী চক্র নিয়ে থাকে সেখান থেকে উদ্ধারের দায়িত্বও রাষ্ট্রের। দুদিন ব্যাপী অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী পর্বে মিজানুর রহমান সরকারের শিশু অধিকার রক্ষার অঙ্গীকারের কথা মনে করিয়ে দিয়ে বলেন, পদধ্বনি শোনা যাচ্ছে, মেয়েদের বিয়ের বয়স ১৮ থেকে ১৬ বছরে নেমে আসতে পারে। এটাকে অশনিসংকেত বলেই মনে হচ্ছে। এ সময় মঞ্চে বসা অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি আনিসুল হক আপত্তি জানিয়ে বলেন, এটি এখনও চূড়ান্ত হয়নি। এ ধরনের কিছু হবে না। অনুষ্ঠানে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কমিশনের বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার কথা তুলে ধরে বলেন, দ্বিতীয় পর্যায়ের মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যালোচনার সময় কমিশনের দক্ষতা বাড়ানোসহ অনেকগুলো সুপারিশ করা হয়েছিল। তবে আজ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কমিশন ‘এ’ স্ট্যাটাস অর্জন করতে পারেনি। কারণ কমিশনের উচ্চপদে সরকার আমলাদের নিয়োগ দেয়। তাই কমিশন স্বাধীন না। কমিশনের আর্থিক স্বাধীনতাও নিশ্চিত হয়নি। কমিশনের আলাদা একটি তহবিল গঠন এবং কমিশন তা নিজের ইচ্ছায় খরচ করতে পারবে বলে আইনে উল্লেখ থাকলেও তা কার্যকর হয়নি। ঢাকার বাইরে যাওয়ার জন্য কমিশনের নিজস্ব যানবাহন নেই। ভাড়া গাড়ির বিল দিলে নিরীক্ষা-আপত্তি দিয়ে বলে তা আইন মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিয়ে করতে হবে। তাই আবারও মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে মিজানুর রহমান বলেন, মন্ত্রী, আপনি কিভাবে বলবেন, কমিশন একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান? প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, সরকার নারী, শিশু, প্রবীণসহ বিভিন্ন বয়সী মানুষের জীবনমান উন্নয়নে সরকারের বিভিন্ন নীতি ও আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। সরকার বিভিন্ন সমস্যা সম্পর্কে যেমন সচেতন, তা প্রতিরোধেও বিভিন্ন কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছে।
No comments