গোপন ব্যালটে প্রার্থী বাছাই
গোপন ব্যালটের মাধ্যমে নাটোরের বড়াইগ্রাম পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের
প্রার্থী মনোনীত করা হয়েছে। ১০ দিন স্থগিত থাকার পর গতকাল শনিবার
বড়াইগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে ওই ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এতে পৌর
আওয়ামী লীগের সদস্য ও বর্তমান কাউন্সিলর আবদুল বারেক সরদার ৮৩টি ভোট পেয়ে
মেয়র পদে দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনীত হয়েছেন। সাংসদ আবদুল কুদ্দুস
ভোটের ফলাফল ঘোষণা করেন। পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুর রাজ্জাক সরকার
বলেন, গণতান্ত্রিক পন্থায় দলীয় প্রার্থী নির্ধারণের জন্য ওয়ার্ড ও পৌর
আওয়ামী লীগের নেতারা সরাসরি ভোটের তাগিদ দেন। তাঁদের মতামতের ভিত্তিতে
পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ড থেকে ১৩৫ জন ও পৌর কমিটির ১৫ জন ভোটার মেয়র পদে
প্রার্থী নির্বাচনে ভোট দেন। এর আগে ১০ হাজার টাকা করে মনোনয়ন ফি জমা
দিয়ে মেয়র পদে প্রার্থিতা চান পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবু
উল হক ও সদস্য আবদুল বারেক সরদার। আবদুল বারেক সরদার ৮৩টি ভোট পান। তাঁর
প্রতিদ্বন্দ্বী মাহাবুব উল হক পান ৬২ ভোট। ভোট নেওয়ার সময় নাটোর-৪
(গুরুদাসপুর-বড়াইগ্রাম) আসনের সাংসদ আবদুল কুদ্দুস, জেলা আওয়ামী লীগের
সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শাহজাহান আলী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল
জলিলসহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় সাংসদ বলেন, ‘ফলাফল মেনে নিয়ে
আমাদের একযোগে দলীয় প্রার্থীকে মেয়র পদে জয়ী করতে হবে।’ ফলাফল ঘোষণার পর উভয় মনোনয়ন-প্রত্যাশী পরস্পর আলিঙ্গন করে একযোগে কাজ করার অঙ্গীকার করেন। কেন্দ্র
থেকে নির্দেশনা আসার আগেই ১৭ নভেম্বর এই পদে দলীয় প্রার্থী মনোনয়নের
জন্য সরাসরি ভোটের আয়োজন করা হয়। সব প্রস্তুতি চূড়ান্ত হওয়ার পর
স্থানীয় সাংসদের নির্দেশে ভোটগ্রহণ বন্ধ হয়ে যায়। এ বিষয়ে প্রথম আলোতে ১৮ নভেম্বর ‘মনোনয়নের জন্য ভোট, টাকাসহ দরখাস্ত আহ্বান’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
No comments