সামাজিক পুঁজি ও জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠন করতে হবে
সামাজিক সম্প্রীতি নিয়ে আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে আলোচকেরা বলেছেন,
সম্প্রীতি রক্ষায় সামাজিক পুঁজি গড়ে তোলা জরুরি। জ্ঞানভিত্তিক সমাজ
প্রতিষ্ঠা ও আলোচনা-সংলাপ এ ক্ষেত্রে সমস্যার সমাধান দিতে পারে।গতকাল
শনিবার ‘হোয়াট মাস্ট উই ডু টু অ্যাচিভ সোশ্যাল হারমনি’ (সামাজিক সম্প্রীতি
অর্জনে আমাদের অবশ্যই কী করতে হবে) শীর্ষক বৈঠকে তাঁরা এ কথা বলেন। ডেইলি
স্টার সেন্টারে এ বৈঠকের আয়োজন করে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান দ্য হাঙ্গার
প্রজেক্ট ও ডাইভারসিটি সেন্টার। সামাজিক সম্প্রীতি রক্ষায় সামাজিক
পুঁজি গড়ে তোলার ওপর জোর দেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা আকবর
আলি খান। রাজনীতিকদের আক্রমণাত্মক ভাষা বন্ধের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন,
রাজনৈতিক উত্তাপ অনেক কমে যেত যদি রাজনীতিকেরা গালাগাল না করে ভদ্র ভাষায়
কথা বলতেন। কলামলেখক ও গবেষক সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, বাঙালির মধ্যে যে
ধর্মনিরপেক্ষ মানসিকতা ছিল, তা ধ্বংস করা হয়েছে। ওই মানসিকতা পুনরুদ্ধার
করতে হবে। সামাজিক সম্প্রীতি রক্ষায় জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠনের ওপর গুরুত্ব দেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী।অনুষ্ঠান
জানানো হয়, ‘এমপাওয়ারিং সিটিজেনস টু প্রমোট সোশ্যাল হারমনি’ প্রকল্পের
আওতায় ৫২টি উপজেলা ও ১১২টি ইউনিয়নে ১ হাজার ৭৩৯টি ‘সামাজিক সম্প্রীতি ও
নাগরিকত্ব’ বিষয়ক কর্মশালার মাধ্যমে ৬২ হাজার ২৪৩ জনকে সম্প্রীতি রক্ষার
আন্দোলনে যুক্ত করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে বিরোধ নিষ্পত্তির কয়েকটি ঘটনা তুলে
ধরা হয়।আলোচনায় অংশ নিয়ে অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনকে উদ্ধৃত করে
মানবাধিকারকর্মী হামিদা হোসেন বলেন, গণতন্ত্র মানে সংলাপ, গণতন্ত্র মানে
আলোচনা। যেকোনো সমস্যা সমাধানে সংলাপের বিকল্প কিছু নেই।বেসরকারি
সংস্থা উবিনীগের নির্বাহী পরিচালক ফরিদা আখতার বলেন, ‘মতপ্রকাশের স্বাধীনতা
না থাকলেও আমাদের বলে যেতে হবে। খনার জিহ্বা কেটে ফেলা হয়েছিল, কিন্তু
সেগুলো পরে বচন হয়ে গেছে। এ জন্য কথা বলা বন্ধ রাখলে চলবে না।’সামাজিক
সম্প্রীতি নষ্টের জন্য রাষ্ট্র ও রাজনীতিকে দায়ী করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ
ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি রানা দাশগুপ্ত। তিনি বলেন, পঞ্চদশ
সংশোধনীর পরে দেখা গেল সংবিধানে ধর্মতন্ত্রও আছে, ধর্মনিরপেক্ষতাও আছে।
তাহলে সংবিধান থেকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা কোথায় গেল?গোলটেবিল সঞ্চালনা করেন হাঙ্গার প্রজেক্টের দেশীয় পরিচালক বদিউল আলম মজুমদার। তিনি বলেন, চলমান রাজনীতি সমাজে বিভাজন তৈরি করেছে।
No comments