প্রকাশ্যে মাদক সেবন বখাটেদের আড্ডা
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী ও দোলাইরপাড় এলাকার ফুসফুস হিসেবে পরিচিত ওয়াপদা
কলোনি। পুকুর-গাছপালা-খেলার মাঠ নিয়ে থাকা এই কলোনিতে স্থানীয় মানুষ
সকাল-সন্ধ্যা বেড়াতে যায়। কিন্তু দিনে দিনে কলোনিতে বাড়ছে বখাটেদের
আড্ডা ও মাদক সেবনের প্রবণতা। এলাকাবাসীর অভিযোগ, পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দিতে
পারছেন না এখানকার নিরাপত্তায় থাকা আনসার সদস্যরা।পানি উন্নয়ন
বোর্ডের (পাউবো) ২১টি ও বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) ২২টি ভবন নিয়ে
ওয়াপদা কলোনি। যাত্রাবাড়ী ওয়াপদা কলোনি হিসেবেই বেশি পরিচিত এটি। এখানে
বসবাস প্রায় ৪০০ পরিবারের। এ ছাড়া কলোনির মধ্যে পাউবোর তিনটি স্টাফ
কোয়ার্টারে প্রায় ৩০০ জন কর্মচারী বসবাস করেন।
স্থানীয় ব্যক্তিদের অভিযোগ, কলোনিতে অবাধে মাদক সেবন করছে বহিরাগত বখাটেরা। তাদের সঙ্গে যোগ দেয় কলোনির অনেক তরুণ।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলোনির একাধিক বাসিন্দা বলেন, কলোনির খেলার মাঠ, পাউবোর শ্যামলী ভবন, স্টাফ কোয়ার্টার, পুকুরপাড় ও পিডিবির বিভিন্ন স্থানে প্রতিদিন সন্ধ্যার পর নিয়মিত মাদক সেবন করে বহিরাগতরা। সন্ধ্যার পরেই দল ধরে এসব জায়গায় মাদক সেবন চলে। দিনের নানা সময়েও বিশেষ করে পুকুরপাড়ে মাদক সেবন করতে দেখা যায়।সরেজমিনে গতকাল শনিবার দেখা যায়, ওয়াপদা কলোনিতে প্রবেশে বিডিআর মার্কেট, দোলাইরপাড় ও পিডিবি এলাকায় তিনটি ফটক বা সড়ক আছে। দোলাইরপাড় ফটক দিয়ে ঢুকতেই দুটি বড় পুকুরের মাঝ দিয়ে একটি সড়ক। এর দুপাশ ভরা গাছগাছালিতে। এখানে তিন ফটকে নিরাপত্তায় আছেন দুজন করে আনসার সদস্য। এসব ফটক দিয়ে অনায়াসে কলোনিতে চলাচল করছে মানুষ। আর কলোনির বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে পাহারা দিচ্ছেন আরও পাঁচ থেকে ছয়জন আনসার সদস্য। পূর্ব পাশের পুকুরের উত্তরে কলোনির মাঠে খেলাধুলা করছে কিছু তরুণ। শিশু-কিশোরেরাও কলোনির বিভিন্ন স্থানে খেলাধুলা করছে। বিকেলে হাঁটতে বের হয়েছে অনেক বাসিন্দা।
গতকাল বিকেলে দোলাইরপাড় এলাকা থেকে সপ্তম শ্রেণি পড়ুয়া ছেলে শামিম আহমেদকে সঙ্গে নিয়ে ওয়াপদা কলোনিতে বেড়াতে আসেন জামান আহমেদ। তিনি বলেন, ‘এই এলাকায় বিকেলে বেড়ানোর মতো তেমন কোনো জায়গা নেই। তাই প্রায়ই কলোনির পুকুরপাড়ে বেড়াতে আসি। কিন্তু সড়কে চলার সময় প্রায়ই গাঁজার গন্ধ পাওয়া যায়।’জানতে চাইলে ওয়াপদা কলোনি কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক রোস্তম মোল্লা প্রথম আলোকে বলেন, ‘কলোনিতে কাউকে মাদক সেবন করতে দেখি না। খেলেও তা আমাদের চোখের বাইরে। কাউকে মাদক সেবন করতে দেখলে থানা বা আনসারদের জানানো হবে। তবে কলোনিতে মহল্লার ছেলেদের একসঙ্গে বসে সিগারেট খাইতে দেখি।’কলোনির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বলেন, কলোনিতে প্রবেশে বহিরাগত কাউকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন না আনসার সদস্যরা। তাঁরা সচেষ্ট হলে বহিরাগতদের আনাগোনা কমে যেত।তবে কলোনির আনসারদের প্লাটুন কমান্ডার আবদুস সালাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘কলোনির বাসিন্দাদের নিরাপত্তায় আনসার সদস্যারা সব সময় সচেতন আছেন। এলাকার কোনো স্থানে মাদক সেবন চলে না। প্রতিনিয়ত কলোনির বিভিন্ন স্থানে পাহারা দেওয়া হচ্ছে।’ এই কলোনিতে মোট ১৮ জন আনসার সদস্য আছেন বলে জানান তিনি।
স্থানীয় ব্যক্তিদের অভিযোগ, কলোনিতে অবাধে মাদক সেবন করছে বহিরাগত বখাটেরা। তাদের সঙ্গে যোগ দেয় কলোনির অনেক তরুণ।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলোনির একাধিক বাসিন্দা বলেন, কলোনির খেলার মাঠ, পাউবোর শ্যামলী ভবন, স্টাফ কোয়ার্টার, পুকুরপাড় ও পিডিবির বিভিন্ন স্থানে প্রতিদিন সন্ধ্যার পর নিয়মিত মাদক সেবন করে বহিরাগতরা। সন্ধ্যার পরেই দল ধরে এসব জায়গায় মাদক সেবন চলে। দিনের নানা সময়েও বিশেষ করে পুকুরপাড়ে মাদক সেবন করতে দেখা যায়।সরেজমিনে গতকাল শনিবার দেখা যায়, ওয়াপদা কলোনিতে প্রবেশে বিডিআর মার্কেট, দোলাইরপাড় ও পিডিবি এলাকায় তিনটি ফটক বা সড়ক আছে। দোলাইরপাড় ফটক দিয়ে ঢুকতেই দুটি বড় পুকুরের মাঝ দিয়ে একটি সড়ক। এর দুপাশ ভরা গাছগাছালিতে। এখানে তিন ফটকে নিরাপত্তায় আছেন দুজন করে আনসার সদস্য। এসব ফটক দিয়ে অনায়াসে কলোনিতে চলাচল করছে মানুষ। আর কলোনির বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে পাহারা দিচ্ছেন আরও পাঁচ থেকে ছয়জন আনসার সদস্য। পূর্ব পাশের পুকুরের উত্তরে কলোনির মাঠে খেলাধুলা করছে কিছু তরুণ। শিশু-কিশোরেরাও কলোনির বিভিন্ন স্থানে খেলাধুলা করছে। বিকেলে হাঁটতে বের হয়েছে অনেক বাসিন্দা।
গতকাল বিকেলে দোলাইরপাড় এলাকা থেকে সপ্তম শ্রেণি পড়ুয়া ছেলে শামিম আহমেদকে সঙ্গে নিয়ে ওয়াপদা কলোনিতে বেড়াতে আসেন জামান আহমেদ। তিনি বলেন, ‘এই এলাকায় বিকেলে বেড়ানোর মতো তেমন কোনো জায়গা নেই। তাই প্রায়ই কলোনির পুকুরপাড়ে বেড়াতে আসি। কিন্তু সড়কে চলার সময় প্রায়ই গাঁজার গন্ধ পাওয়া যায়।’জানতে চাইলে ওয়াপদা কলোনি কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক রোস্তম মোল্লা প্রথম আলোকে বলেন, ‘কলোনিতে কাউকে মাদক সেবন করতে দেখি না। খেলেও তা আমাদের চোখের বাইরে। কাউকে মাদক সেবন করতে দেখলে থানা বা আনসারদের জানানো হবে। তবে কলোনিতে মহল্লার ছেলেদের একসঙ্গে বসে সিগারেট খাইতে দেখি।’কলোনির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বলেন, কলোনিতে প্রবেশে বহিরাগত কাউকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন না আনসার সদস্যরা। তাঁরা সচেষ্ট হলে বহিরাগতদের আনাগোনা কমে যেত।তবে কলোনির আনসারদের প্লাটুন কমান্ডার আবদুস সালাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘কলোনির বাসিন্দাদের নিরাপত্তায় আনসার সদস্যারা সব সময় সচেতন আছেন। এলাকার কোনো স্থানে মাদক সেবন চলে না। প্রতিনিয়ত কলোনির বিভিন্ন স্থানে পাহারা দেওয়া হচ্ছে।’ এই কলোনিতে মোট ১৮ জন আনসার সদস্য আছেন বলে জানান তিনি।
No comments