আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস আমাদের গর্বের বিষয়
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বলেছেন, ‘আমাদের
জানতে ইচ্ছে করে জাতিসংঘ ঘোষিত আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসটি কটি দেশে
উদ্যাপিত হয়। কারণ জাতিসংঘ ঘোষিত দিবস কোনো দেশ সাড়ম্বরে পালন করে, কোনো
দেশে তা নীরবে চলে যায়।’ গতকাল শনিবার রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা
ইনস্টিটিউটে ‘দি মাদার ল্যাঙ্গুয়েজ লাভারস অব দ্য ওয়ার্ল্ড’ আয়োজিত
আলোচনা সভায় আনিসুজ্জামান এ কথা বলেন। ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক
মাতৃভাষা দিবস ঘোষণার ১৬তম বর্ষপূর্তি ও দিবসটির অন্যতম রূপকার রফিকুল
ইসলামের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এ আলোচনার আয়োজন করা হয়। অধ্যাপক
আনিসুজ্জামান বলেন, ‘জাতিসংঘ ঘোষিত বছরের তিন শ দিনই বোধ হয় দিবস হিসেবে
চিহ্নিত হয়ে গেছে। আমরা দেখি জাতিসংঘ ঘোষিত দিবস কোনো দেশ সাড়ম্বরে পালন
করে, কোনো দেশে নীরবে চলে যায়। আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতেও বাংলাভাষী
অঞ্চলের বাইরে এটি পালিত হয় বলে জানা নেই। হয়তো আমরা কিছু উদ্যোগ নিতে
পারি, কিছু প্রচার করতে পারি। এখন আমার মনে হয়, জাতিসংঘ যেটুকু আনুষ্ঠানিক
প্রচার করে, এর বাইরে বেশি তথ্য মানুষের কাছে পৌঁছায় না। যা হোক,
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস যে ঘোষিত হয়েছে, এবং সেটা আমাদের ২১
ফেব্রুয়ারি তারিখে, এটি আমাদের গর্বের বিষয়। আশা করি, আন্তর্জাতিক
মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট দিবসটি পালনে ক্রমেই অগ্রসর হবেন।অধ্যাপক
আনিসুজ্জামান তাঁর বক্তব্যে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের রূপকার প্রয়াত
রফিকুল ইসলাম এবং তাঁর সহযোগী আবদুস সালামের অবদানের কথা তুলে ধরে বলেন,
‘তাঁদের উদ্যোগের পাশাপাশি সরকার যদি অত্যন্ত দ্রুত ব্যবস্থা না নিতেন,
তাহলে ১৯৯৯ সালে এটা হতো না। আমরা সে জন্য খুবই সন্তুষ্ট এবং রফিকুল ও
আবদুস সালামের কাছে কৃতজ্ঞ। রফিকের কাছে বিশেষ করে তাঁর স্মৃতির প্রতি
শ্রদ্ধা জানাই।’ আয়োজক সংগঠনের সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেনের
সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা
পরিষদের সদস্য সৈয়দ রেজাউর রহমান, ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির উপাচার্য
অধ্যাপক আবদুল মান্নান চৌধুরী, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের
মহাপরিচালক জীনাত ইমতিয়াজ আলী, সঞ্জীব দ্রং, নাজমুল হাসান ও এম এইচ কবীর
মেহরাব।
No comments