ওষুধের দোকানে ধর্মঘট, রোগীদের দুর্ভোগ
চট্টগ্রাম মহানগরে ওষুধের দোকানে ধর্মঘট চলছে। এতে জরুরি
ওষুধের জন্য দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন রোগীরা। গ্রেপ্তার হওয়া ওষুধের দোকান মালিক ও
কর্মচারীদের মুক্তি এবং তাঁদের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে
চট্টগ্রাম কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতি আজ রোববার সকাল থেকে এই
ধর্মঘটের ডাক দেয়। পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, অনুমোদনহীন ওষুধ বিক্রির অভিযোগে গত
২৪ নভেম্বর নগরের কে সি দে রোডে ওষুধের দোকানে অভিযান চালানোর সময়
ভ্রাম্যমাণ আদালতের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় কয়েকটি ওষুধের দোকানের ১২
জন মালিক-কর্মচারীকে পুলিশ আটক করে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে ওই দিনের শেষে রাতে
নগরের কোতোয়ালি থানায় মামলা করে তাঁদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এই ঘটনার প্রতিবাদে এবং গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের মুক্তির দাবিতে গত
বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতি মানববন্ধন এবং
সমাবেশ করে। সমাবেশ থেকে বক্তারা গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মুক্তির দাবি জানান।
তা না হলে আজ (রোববার) সকাল ছয়টা থেকে বেলা দুইটা পর্যন্ত আধাবেলা
ধর্মঘটের ঘোষণা দেওয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ভোর ৬টা থেকে ধর্মঘট শুরু হয়।
এতে বন্ধ রয়েছে নগরের প্রায় পাঁচ হাজার ওষুধের দোকান। সরেজমিন ঘুরে নগরের জামালখান, হাজারি গলি ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ
হাসপাতালের সামনের দোকানগুলো বন্ধ দেখা গেছে। এতে জরুরি ওষুধের জন্য এসেও
ফিরে যেতে হচ্ছে রোগী ও স্বজনদের। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে তপন হাওলাদার নামে এক ব্যক্তি
বলেন, ‘আমি জামালখান থেকে ওষুধের দোকান খুঁজতে খুঁজতে মেডিকেল এলাকায় এলাম।
এখানে এসেও দেখি সব দোকান বন্ধ। পরে হাসপাতালের ভেতরের দোকান থেকে বাবার
জন্য ওষুধ কিনে এখন বাসায় যাচ্ছি।’ একইভাবে হাসপাতালের রোগীদেরও জরুরি ওষুধের জন্য দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে।
হাসপাতালে ভর্তি এক রোগীর স্বজন কালাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার আত্মীয়র
অস্ত্রোপচারের জন্য কিছু গজ, ব্যান্ডেজ এবং ইনজেকশন দিয়েছেন ডাক্তার।
হাসপাতালের ভেতরের দোকানে সব পাওয়া যায়নি। কিন্তু বাইরের সব দোকান বন্ধ
থাকায় কোথাও সেগুলো পাচ্ছি না।’ ড্রাগিস্ট সমিতির চট্টগ্রাম জেলা সভাপতি সমীর কান্তি সিকদার প্রথম
আলোকে বলেন, ‘গ্রেপ্তার হওয়া মালিক-কর্মচারীদের মুক্তি এবং মামলা
প্রত্যাহার করা না হলে আরও কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।’
No comments