আশা জাগাচ্ছে চুক্তিতে চাষ by আবুল হাসনাত
টাঙ্গাইলের
মধুপুর উপজেলার আনারস মোড় থেকে খানিকটা এগোলে ডানেই পড়বে সাথী সিনেমা হল
রোড। এই রাস্তা ধরে যতই এগোবেন, দুই ধারে চোখে পড়বে সারি সারি কলা কিংবা
আনারসের বাগান। দেখবেন ধান, লাউসহ নানা সবজির খেত।
এই রাস্তা ধরে চার কিলোমিটার এগিয়ে গেলেই কুড়াগাছা গ্রাম। এই গ্রামেই রপ্তানিকারকদের সঙ্গে চুক্তির ভিত্তিতে চাষ হচ্ছে বেগুন। এক বছরের বেশি সময় ধরে বন্ধ থাকা রপ্তানির দ্বার খুলে দিয়েছে এই বেগুন। চুক্তিতে উৎপাদিত বেগুন এখন রপ্তানি হচ্ছে।
এটাই আশা জাগাচ্ছে দেশের সবজি রপ্তানিকারকদের। কারণ ইউরোপের বাজারে করলা, চিচিঙ্গা, ধুন্দল, পটোল, লালশাক, ডাঁটাশাক এবং লেবুর (জারা লেবু ছাড়া অন্যান্য লেবু) মতো সবজি-ফলের রপ্তানি সরকার নিজেই বন্ধ রেখেছে। তখন কৃষি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলেছিলেন, রপ্তানিকারকেরা যতক্ষণ চুক্তির ভিত্তিতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কৃষকদের মাধ্যমে উৎপাদিত সবজি না নেবে এবং যথাযথভাবে মোড়ক না করবে, তত দিন পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা চলবে। তবে এখন যেহেতু চুক্তিতে চাষের কারণে বন্ধ থাকা বেগুনের রপ্তানি শুরু হয়েছে, তাই এটিকেই এই ছয়টি সবজি রপ্তানির সুযোগ পাওয়ার চাবি হিসেবে বিবেচনা করছেন রপ্তানিকারকেরা।
সবজি রপ্তানিকারকদের সংগঠন বাংলাদেশ ফ্রুটস, ভেজিটেবলস এলাইড প্রোডাক্টস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএফভিএলপিইএ) থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশের ১০টি জেলার ২০টি স্থানে এরই মধ্যে চুক্তির ভিত্তিতে নানা ধরনের সবজির চাষ শুরু করেছেন রপ্তানিকারকেরা।
সমিতির সভাপতি এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘মানসম্মত সবজি দিতে পারছিলাম না বলেই ডিএই কিছু পণ্য রপ্তানির অনুমতি দিচ্ছিল না। এখন কন্ট্রাক্ট ফার্মিংয়ের মাধ্যমে সেই সব সবজির চাষ শুরু হয়েছে। সেগুলো উঠলেই আবার এসব সবজির রপ্তানি চালু হবে, আমরা আশাবাদী।’
এ প্রসঙ্গে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হামিদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিশ্বব্যাপীই এখন চুক্তিভিত্তিক চাষকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এর মাধ্যমে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা যায়। আমদানিকারকেরাও সেটাই চান। সে কারণেই দেশে এই চাষ শুরু হয়েছে। সামনের দিনগুলোতে এই চাষকে আরও সম্প্রসারণ করা হবে।’
১০ জেলায় হচ্ছে চুক্তিতে চাষ: রপ্তানিকারক সংগঠনটি বলছে, চুক্তিতে সবজি চাষ করার জন্য দেশের ১০টি জেলার ২০টি স্থান নির্বাচিত করা হয়েছে এবং কাজও শুরু হয়েছে।
নির্বাচিত স্থানের মধ্যে নরসিংদীর আটটি স্থান; নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও কুমিল্লার দুটি স্থান; টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, বান্দরবান ও মুন্সিগঞ্জের একটি করে স্থান। এর বাইরে পাবনা কিংবা বগুড়ার একটি স্থানেও চুক্তির ভিত্তিতে চাষ হবে। কোন জেলায় হবে তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
এর মধ্যে টাঙ্গাইল ও সিরাজগঞ্জে বেগুন; নরসিংদীতে বেগুন, শিম, করলা, কাঁকরোল, চিচিঙ্গা, চালকুমড়া ও শসা; নারায়ণগঞ্জে লাউ, শিম ও শাক; মুন্সিগঞ্জে করলা ও শাক; গাজীপুরে বরবটি, কাঁকরোল ও শিম; কুমিল্লায় ফ্রেঞ্চ বিন; মানিকগঞ্জে কাঁচা মরিচ; পাবনা বা বগুড়ায় শিম, কাঁচা মরিচ ও পটোল এবং বান্দরবানে বরবটির চাষ হবে।
এখন পর্যন্ত চুক্তিতে চাষের সফলতা বলতে মধুপুরের কুড়াগাছার বেগুন। ১০ অক্টোবর শনিবার সেখান থেকে প্রথম বেগুন তোলা হয়। ওই দিনই ওই খেতের ৫০ কেজি বেগুন যুক্তরাজ্যে রপ্তানি হয়। এর মধ্যে আর বেগুন তোলা হয়নি। আগামীকাল বুধবার এই খেত থেকে ৪০০-৫০০ কেজি বেগুন তোলা যাবে বলে আশা করছেন কৃষক ও রপ্তানিকারকেরা।
মধুপুরের কুড়াগাছায় সাত একর জমির ওপর বেগুনের চাষ শুরু হয় গত ১৪ আগস্ট। ১২ জন কৃষক তাঁদের জমি একত্র করে বেগুনের চাষ করেছেন। খেতে প্রায় পোকামুক্ত বেগুন উৎপাদিত হচ্ছে। চাষিদের কাছ থেকে ৩৫ টাকা কেজি দরে এখানকার বেগুন কিনছেন রপ্তানিকারকেরা।
মধুপুরের বাইরে নরসিংদীর বেলাব, রায়পুরা ও শিবপুরে চুক্তিতে চাষ করা হচ্ছে শিম। সেখানকার শিম এরই মধ্যে মাচার ওপর উঠে গেছে। তবে অন্যান্য স্থানে এখনো সবজির চাষ শুরু হয়নি।
চুক্তিতে চাষ শুরু করার জন্য একটি প্রকল্পও নেওয়া হয়েছে। ইউকেএইড, ডানিডা ও সুইস এজেন্সি ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড কো-অপারেশনের (এসডিসি) অর্থায়নে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল (বিপিসি) ও রপ্তানিকারক সমিতি এটি বাস্তবায়ন করছে। কারিগরি সহায়তা দিচ্ছে ডিএই।
প্রকল্পের পরিচালক মনজুরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘এখন শীতকালীন সবজির মৌসুম। সবগুলো স্থানেই সবজি চাষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু টানা ও ভারী বর্ষণের কারণে সময়মতো বীজ বপন করা যায়নি। অক্টোবরের মধ্যেই বাকি জায়গাগুলোতে সবজির চাষ শুরু হয়ে যাবে।’
এই রাস্তা ধরে চার কিলোমিটার এগিয়ে গেলেই কুড়াগাছা গ্রাম। এই গ্রামেই রপ্তানিকারকদের সঙ্গে চুক্তির ভিত্তিতে চাষ হচ্ছে বেগুন। এক বছরের বেশি সময় ধরে বন্ধ থাকা রপ্তানির দ্বার খুলে দিয়েছে এই বেগুন। চুক্তিতে উৎপাদিত বেগুন এখন রপ্তানি হচ্ছে।
এটাই আশা জাগাচ্ছে দেশের সবজি রপ্তানিকারকদের। কারণ ইউরোপের বাজারে করলা, চিচিঙ্গা, ধুন্দল, পটোল, লালশাক, ডাঁটাশাক এবং লেবুর (জারা লেবু ছাড়া অন্যান্য লেবু) মতো সবজি-ফলের রপ্তানি সরকার নিজেই বন্ধ রেখেছে। তখন কৃষি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলেছিলেন, রপ্তানিকারকেরা যতক্ষণ চুক্তির ভিত্তিতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কৃষকদের মাধ্যমে উৎপাদিত সবজি না নেবে এবং যথাযথভাবে মোড়ক না করবে, তত দিন পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা চলবে। তবে এখন যেহেতু চুক্তিতে চাষের কারণে বন্ধ থাকা বেগুনের রপ্তানি শুরু হয়েছে, তাই এটিকেই এই ছয়টি সবজি রপ্তানির সুযোগ পাওয়ার চাবি হিসেবে বিবেচনা করছেন রপ্তানিকারকেরা।
সবজি রপ্তানিকারকদের সংগঠন বাংলাদেশ ফ্রুটস, ভেজিটেবলস এলাইড প্রোডাক্টস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএফভিএলপিইএ) থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশের ১০টি জেলার ২০টি স্থানে এরই মধ্যে চুক্তির ভিত্তিতে নানা ধরনের সবজির চাষ শুরু করেছেন রপ্তানিকারকেরা।
সমিতির সভাপতি এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘মানসম্মত সবজি দিতে পারছিলাম না বলেই ডিএই কিছু পণ্য রপ্তানির অনুমতি দিচ্ছিল না। এখন কন্ট্রাক্ট ফার্মিংয়ের মাধ্যমে সেই সব সবজির চাষ শুরু হয়েছে। সেগুলো উঠলেই আবার এসব সবজির রপ্তানি চালু হবে, আমরা আশাবাদী।’
এ প্রসঙ্গে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হামিদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিশ্বব্যাপীই এখন চুক্তিভিত্তিক চাষকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এর মাধ্যমে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা যায়। আমদানিকারকেরাও সেটাই চান। সে কারণেই দেশে এই চাষ শুরু হয়েছে। সামনের দিনগুলোতে এই চাষকে আরও সম্প্রসারণ করা হবে।’
১০ জেলায় হচ্ছে চুক্তিতে চাষ: রপ্তানিকারক সংগঠনটি বলছে, চুক্তিতে সবজি চাষ করার জন্য দেশের ১০টি জেলার ২০টি স্থান নির্বাচিত করা হয়েছে এবং কাজও শুরু হয়েছে।
নির্বাচিত স্থানের মধ্যে নরসিংদীর আটটি স্থান; নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও কুমিল্লার দুটি স্থান; টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, বান্দরবান ও মুন্সিগঞ্জের একটি করে স্থান। এর বাইরে পাবনা কিংবা বগুড়ার একটি স্থানেও চুক্তির ভিত্তিতে চাষ হবে। কোন জেলায় হবে তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
এর মধ্যে টাঙ্গাইল ও সিরাজগঞ্জে বেগুন; নরসিংদীতে বেগুন, শিম, করলা, কাঁকরোল, চিচিঙ্গা, চালকুমড়া ও শসা; নারায়ণগঞ্জে লাউ, শিম ও শাক; মুন্সিগঞ্জে করলা ও শাক; গাজীপুরে বরবটি, কাঁকরোল ও শিম; কুমিল্লায় ফ্রেঞ্চ বিন; মানিকগঞ্জে কাঁচা মরিচ; পাবনা বা বগুড়ায় শিম, কাঁচা মরিচ ও পটোল এবং বান্দরবানে বরবটির চাষ হবে।
এখন পর্যন্ত চুক্তিতে চাষের সফলতা বলতে মধুপুরের কুড়াগাছার বেগুন। ১০ অক্টোবর শনিবার সেখান থেকে প্রথম বেগুন তোলা হয়। ওই দিনই ওই খেতের ৫০ কেজি বেগুন যুক্তরাজ্যে রপ্তানি হয়। এর মধ্যে আর বেগুন তোলা হয়নি। আগামীকাল বুধবার এই খেত থেকে ৪০০-৫০০ কেজি বেগুন তোলা যাবে বলে আশা করছেন কৃষক ও রপ্তানিকারকেরা।
মধুপুরের কুড়াগাছায় সাত একর জমির ওপর বেগুনের চাষ শুরু হয় গত ১৪ আগস্ট। ১২ জন কৃষক তাঁদের জমি একত্র করে বেগুনের চাষ করেছেন। খেতে প্রায় পোকামুক্ত বেগুন উৎপাদিত হচ্ছে। চাষিদের কাছ থেকে ৩৫ টাকা কেজি দরে এখানকার বেগুন কিনছেন রপ্তানিকারকেরা।
মধুপুরের বাইরে নরসিংদীর বেলাব, রায়পুরা ও শিবপুরে চুক্তিতে চাষ করা হচ্ছে শিম। সেখানকার শিম এরই মধ্যে মাচার ওপর উঠে গেছে। তবে অন্যান্য স্থানে এখনো সবজির চাষ শুরু হয়নি।
চুক্তিতে চাষ শুরু করার জন্য একটি প্রকল্পও নেওয়া হয়েছে। ইউকেএইড, ডানিডা ও সুইস এজেন্সি ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড কো-অপারেশনের (এসডিসি) অর্থায়নে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল (বিপিসি) ও রপ্তানিকারক সমিতি এটি বাস্তবায়ন করছে। কারিগরি সহায়তা দিচ্ছে ডিএই।
প্রকল্পের পরিচালক মনজুরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘এখন শীতকালীন সবজির মৌসুম। সবগুলো স্থানেই সবজি চাষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু টানা ও ভারী বর্ষণের কারণে সময়মতো বীজ বপন করা যায়নি। অক্টোবরের মধ্যেই বাকি জায়গাগুলোতে সবজির চাষ শুরু হয়ে যাবে।’
বেগুনের
খেত সরেজমিনে দেখতে গেলে কুড়াগাছায় চুক্তিতে চাষ শুরু করা কৃষকদের সঙ্গে
এই প্রতিবেদকের কথা হয়। আগে আনারস, কলা ও ধানের চাষ করেছেন। এখন চুক্তিতে
বেগুনের চাষ হচ্ছে।
কেন হচ্ছে—এমন প্রশ্নের জবাবে কৃষক চান মিয়া বলেন, ‘আনারস চাষে লাভ হইছিল। কিন্তু বারবার তো এক ফসল ফলানো যায় না। এরপর কলা লাগাইছিলাম। হেই বছর ঝড় হইছিল। নস (লোকসান) হইছে। এখন বেগুন করসি। আমাগোরে কইসে ৩৫ ট্যাকা কইরা কিনব।’
কুড়াগাছায় সাত একর জায়গার ওপর বেগুনের চাষ হচ্ছে। এর মধ্যে চান মিয়ার জমি চার কারা। এক কারা মানে সাড়ে ছয় শতাংশ।
কীভাবে চাষ শুরু হয়, সে সম্পর্কেও বলেন চান মিয়া। বলেন, ‘২৭ রোজার দিন প্রথম চারা নাগাইছি। বৃষ্টিতে ভাসি গেছে। কয়দিন পর আবার নাগাইছি। বৃষ্টিতে সেটাও নষ্ট হই গেছে। কয় দিন পর আবার নাগাইছি। সেটা টিকছে। হেই বেগুনটাই এখন উঠাইতাছি।’
কুড়াগাছার ১২ চুক্তিবদ্ধ চাষির নেতৃত্ব দিচ্ছেন আলমগীর হোসেন। বলেন, ‘আগে কলার চাষ করতাম। নস হতো। পানামা রোগের কারণে এক হাজার গাছের মধ্যে ৩০০ গাছের কলাই নষ্ট হয়া যাইত। এরপর ধান নাগাইছি। পুঁজি উঠে না। তাই বাদ দিছি। কৃষি অফিসার কইল, সারা বছরই তোমরা ভালো দামে বেগুন বেচতে পারবা। হেই কারণে বেগুন চাষ শুরু করছি।’
কেন হচ্ছে—এমন প্রশ্নের জবাবে কৃষক চান মিয়া বলেন, ‘আনারস চাষে লাভ হইছিল। কিন্তু বারবার তো এক ফসল ফলানো যায় না। এরপর কলা লাগাইছিলাম। হেই বছর ঝড় হইছিল। নস (লোকসান) হইছে। এখন বেগুন করসি। আমাগোরে কইসে ৩৫ ট্যাকা কইরা কিনব।’
কুড়াগাছায় সাত একর জায়গার ওপর বেগুনের চাষ হচ্ছে। এর মধ্যে চান মিয়ার জমি চার কারা। এক কারা মানে সাড়ে ছয় শতাংশ।
কীভাবে চাষ শুরু হয়, সে সম্পর্কেও বলেন চান মিয়া। বলেন, ‘২৭ রোজার দিন প্রথম চারা নাগাইছি। বৃষ্টিতে ভাসি গেছে। কয়দিন পর আবার নাগাইছি। বৃষ্টিতে সেটাও নষ্ট হই গেছে। কয় দিন পর আবার নাগাইছি। সেটা টিকছে। হেই বেগুনটাই এখন উঠাইতাছি।’
কুড়াগাছার ১২ চুক্তিবদ্ধ চাষির নেতৃত্ব দিচ্ছেন আলমগীর হোসেন। বলেন, ‘আগে কলার চাষ করতাম। নস হতো। পানামা রোগের কারণে এক হাজার গাছের মধ্যে ৩০০ গাছের কলাই নষ্ট হয়া যাইত। এরপর ধান নাগাইছি। পুঁজি উঠে না। তাই বাদ দিছি। কৃষি অফিসার কইল, সারা বছরই তোমরা ভালো দামে বেগুন বেচতে পারবা। হেই কারণে বেগুন চাষ শুরু করছি।’
No comments