প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ৮ শতাংশ
২০২১
সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করবে বাংলাদেশ। আর ২০২০ সালে
বাংলাদেশের উন্নয়নের চিত্রটি কেমন হবে, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সূচকগুলো
কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে, সেই লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে।
এ সব লক্ষ্য নিয়ে সরকার সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা দলিলের খসড়া চূড়ান্ত করেছে। এ খসড়ায় দেখা গেছে, ২০২০ সালে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর হার ১৮ দশমিক ৬ শতাংশে নেমে আসবে। পাঁচ বছরে কাজ পাবে ১ কোটি ২৯ লাখ লোক।
অর্থনীতির চাকা আরও জোর গতিতে ঘুরবে, এমন প্রত্যাশা রয়েছে পরিকল্পনায়। ২০২০ সালে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি হবে ৮ শতাংশ। গত অর্থবছরে (২০১৪-১৫) অর্থবছরে এ প্রবৃদ্ধি ছিল ৬ দশমিক ৫১ শতাংশ।
পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ (জিইডি) সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার খসড়া দলিল চূড়ান্ত করেছে। আগামীকাল মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভায় এ দলিলটি পাসের জন্য ওঠানো হবে। ২০১৬ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে সরকার কী ধরনের উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়েছে, এর দলিল হলো এ সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা। এর আগে ছয়টি পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা ও দুটি দারিদ্র্য বিমোচন কৌশলপত্র বাস্তবায়ন করেছে বাংলাদেশ।
প্রবৃদ্ধি: পরিকল্পনার মেয়াদকালের প্রথম বছরে চলতি ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হবে। প্রতিবছর ধারাবাহিকভাবে বেড়ে ২০১৯-২০ অর্থবছরে তা ৮ শতাংশে উন্নীত হবে। ২০২০ সাল নাগাদ সেবা ও শিল্প খাতে প্রবৃদ্ধি বাড়লেও কৃষি খাতে তা কমে আসছে। সে ক্ষেত্রে জিডিপিতে কৃষি খাতের অবদান ক্রমান্বয়ে কমবে, উৎপাদন খাতের অবদান বাড়বে।
প্রবৃদ্ধি বাড়াতে বেসরকারি খাতের বিনিয়োগকেই বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। ২০১৩-১৪ অর্থবছরের হিসাবে জিডিপির ২২ দশমিক ০৩ শতাংশ বেসরকারি বিনিয়োগ। এ বিনিয়োগ ২৬ দশমিক ৬ শতাংশ উন্নীত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। সরকারি বিনিয়োগ বাড়াতে জিডিপি ও রাজস্বের অনুপাত বৃদ্ধি করা হবে। ২০২০ সালে এ অনুপাত দাঁড়াবে ১৪ দশমিক ২ শতাংশ। এখন এ অনুপাত প্রায় ১১ শতাংশ।
বর্তমানে অতিদারিদ্র্য হার ১২ দশমিক ৯ শতাংশ। ২০২০ সালে এসে তা এক অঙ্কের ঘরে, ৮ দশমিক ৯ শতাংশে নেমে আসবে, এমন প্রক্ষেপণ রয়েছে পরিকল্পনায়। একই সঙ্গে সরকারি বিনিয়োগও বাড়বে।
পরিকল্পনার মেয়াদকালে এক কোটি ২৯ লাখ লোকের কর্মসংস্থান হবে। আর এই সময়ে শ্রমশক্তিতে বা কর্মবাজারে এক কোটি তরুণ-তরুণী আসবে। যেহেতু কর্মবাজারে আসা লোকের চেয়ে বেশি কর্মসংস্থান হবে। তাই বেকার লোকের সংখ্যা কমে আসবে।
অবকাঠামো: আগামী পাঁচ বছরে দেশে নতুন করে ১২ হাজার ৫৮৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। এর মধ্যে সরকারি খাত থেকে ৭ হাজার ৬৮২ মেগাওয়াট ও বেসরকারি খাতে ৪ হাজার ৯০২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে। ২০২০ সাল নাগাদ মোট উৎপাদন ক্ষমতা দাঁড়াবে ২৩ হাজার মেগাওয়াট। বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়াতে বেসরকারি বিনিয়োগে বড় আকারের বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের কথা বলা হয়েছে পরিকল্পনার খসড়ায়। এ ছাড়া রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যাবে।
পরিকল্পনা মেয়াদকালে পদ্মা সেতু ও ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ শেষ হবে। এ ছাড়া গভীর সমুদ্রবন্দর, মেট্রো রেল, এলএনজি টার্মিনাল, পায়রা সমুদ্রবন্দরের মতো বড় প্রকল্পে বিনিয়োগকেই প্রাধান্য দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
সামাজিক: পরিকল্পনায় দেশের সব নাগরিকের জন্য বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ নিশ্চিত করা এবং শহরে শতভাগ ও গ্রামে ৯০ ভাগ জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসম্মত শৌচাগার নিশ্চিত করার লক্ষ্য রয়েছে। এ ছাড়া প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা শতভাগ ভর্তি নিশ্চিত করা হবে ২০২০ সালের মধ্যে। মাতৃমৃত্যু হার ১৭০ থেকে ১০৫ জনে নামিয়ে আনা হবে। সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে ব্যয় জিডিপির ২ দশমিক ৩ শতাংশে উন্নীত করা হবে। বর্তমানে এ খাতে ২ শতাংশ ব্যয় হয়।
এ সব লক্ষ্য নিয়ে সরকার সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা দলিলের খসড়া চূড়ান্ত করেছে। এ খসড়ায় দেখা গেছে, ২০২০ সালে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর হার ১৮ দশমিক ৬ শতাংশে নেমে আসবে। পাঁচ বছরে কাজ পাবে ১ কোটি ২৯ লাখ লোক।
অর্থনীতির চাকা আরও জোর গতিতে ঘুরবে, এমন প্রত্যাশা রয়েছে পরিকল্পনায়। ২০২০ সালে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি হবে ৮ শতাংশ। গত অর্থবছরে (২০১৪-১৫) অর্থবছরে এ প্রবৃদ্ধি ছিল ৬ দশমিক ৫১ শতাংশ।
পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ (জিইডি) সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার খসড়া দলিল চূড়ান্ত করেছে। আগামীকাল মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভায় এ দলিলটি পাসের জন্য ওঠানো হবে। ২০১৬ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে সরকার কী ধরনের উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়েছে, এর দলিল হলো এ সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা। এর আগে ছয়টি পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা ও দুটি দারিদ্র্য বিমোচন কৌশলপত্র বাস্তবায়ন করেছে বাংলাদেশ।
প্রবৃদ্ধি: পরিকল্পনার মেয়াদকালের প্রথম বছরে চলতি ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হবে। প্রতিবছর ধারাবাহিকভাবে বেড়ে ২০১৯-২০ অর্থবছরে তা ৮ শতাংশে উন্নীত হবে। ২০২০ সাল নাগাদ সেবা ও শিল্প খাতে প্রবৃদ্ধি বাড়লেও কৃষি খাতে তা কমে আসছে। সে ক্ষেত্রে জিডিপিতে কৃষি খাতের অবদান ক্রমান্বয়ে কমবে, উৎপাদন খাতের অবদান বাড়বে।
প্রবৃদ্ধি বাড়াতে বেসরকারি খাতের বিনিয়োগকেই বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। ২০১৩-১৪ অর্থবছরের হিসাবে জিডিপির ২২ দশমিক ০৩ শতাংশ বেসরকারি বিনিয়োগ। এ বিনিয়োগ ২৬ দশমিক ৬ শতাংশ উন্নীত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। সরকারি বিনিয়োগ বাড়াতে জিডিপি ও রাজস্বের অনুপাত বৃদ্ধি করা হবে। ২০২০ সালে এ অনুপাত দাঁড়াবে ১৪ দশমিক ২ শতাংশ। এখন এ অনুপাত প্রায় ১১ শতাংশ।
বর্তমানে অতিদারিদ্র্য হার ১২ দশমিক ৯ শতাংশ। ২০২০ সালে এসে তা এক অঙ্কের ঘরে, ৮ দশমিক ৯ শতাংশে নেমে আসবে, এমন প্রক্ষেপণ রয়েছে পরিকল্পনায়। একই সঙ্গে সরকারি বিনিয়োগও বাড়বে।
পরিকল্পনার মেয়াদকালে এক কোটি ২৯ লাখ লোকের কর্মসংস্থান হবে। আর এই সময়ে শ্রমশক্তিতে বা কর্মবাজারে এক কোটি তরুণ-তরুণী আসবে। যেহেতু কর্মবাজারে আসা লোকের চেয়ে বেশি কর্মসংস্থান হবে। তাই বেকার লোকের সংখ্যা কমে আসবে।
অবকাঠামো: আগামী পাঁচ বছরে দেশে নতুন করে ১২ হাজার ৫৮৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। এর মধ্যে সরকারি খাত থেকে ৭ হাজার ৬৮২ মেগাওয়াট ও বেসরকারি খাতে ৪ হাজার ৯০২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে। ২০২০ সাল নাগাদ মোট উৎপাদন ক্ষমতা দাঁড়াবে ২৩ হাজার মেগাওয়াট। বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়াতে বেসরকারি বিনিয়োগে বড় আকারের বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের কথা বলা হয়েছে পরিকল্পনার খসড়ায়। এ ছাড়া রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যাবে।
পরিকল্পনা মেয়াদকালে পদ্মা সেতু ও ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ শেষ হবে। এ ছাড়া গভীর সমুদ্রবন্দর, মেট্রো রেল, এলএনজি টার্মিনাল, পায়রা সমুদ্রবন্দরের মতো বড় প্রকল্পে বিনিয়োগকেই প্রাধান্য দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
সামাজিক: পরিকল্পনায় দেশের সব নাগরিকের জন্য বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ নিশ্চিত করা এবং শহরে শতভাগ ও গ্রামে ৯০ ভাগ জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসম্মত শৌচাগার নিশ্চিত করার লক্ষ্য রয়েছে। এ ছাড়া প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা শতভাগ ভর্তি নিশ্চিত করা হবে ২০২০ সালের মধ্যে। মাতৃমৃত্যু হার ১৭০ থেকে ১০৫ জনে নামিয়ে আনা হবে। সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে ব্যয় জিডিপির ২ দশমিক ৩ শতাংশে উন্নীত করা হবে। বর্তমানে এ খাতে ২ শতাংশ ব্যয় হয়।
No comments