দুই বিদেশি নাগরিক হত্যা: ষড়যন্ত্রের অভিযোগ, দুশ্চিন্তায় বিএনপি
ইতালির
নাগরিক সিজার তাবেলা ও জাপানি নাগরিক কুনিও হোশি হত্যা মামলার
তদন্ত-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, দুটি হত্যাকাণ্ডই ঘটানো হয়েছে
রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে। রাজধানীর গুলশানে তাবেলা খুনে বিএনপির
শীর্ষস্থানীয় এক নেতা আর রংপুরে কুনিও খুনের ঘটনায় দলের ঢাকা মহানগরের
গুরুত্বপূর্ণ এক নেতার সম্পৃক্ততা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারী কর্মকর্তারা।
পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার বরাত দিয়ে দুই বিদেশি নাগরিক হত্যাকাণ্ডে বিএনপির সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বিএনপিতে দুশ্চিন্তা বেড়েছে। দলের দায়িত্বশীল একাধিক নেতা বলেছেন, সরকার এ দুই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ দলের গুরুত্বপূর্ণ একাধিক নেতাকে জড়ানোর পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে বলে তাঁদের সন্দেহ। এ নিয়ে দল ভীষণ উৎকণ্ঠায় আছে।
জানতে চাইলে গতকাল রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা শুরু থেকেই বলে আসছি, এটা রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র। প্রধানমন্ত্রীও এটা বলেছেন সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে। এখন আমরা আরও কিছু প্রমাণের জন্য অপেক্ষা করছি।’
বিএনপির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতারা মনে করছেন, তদন্তকারী সংস্থাগুলো সরকারের উচ্চ মহলের বক্তব্য ও নির্দেশনা ধরে এগোচ্ছে। তাই দুই খুনের ঘটনায় বিএনপিকে জড়িয়ে আগাম প্রচার শুরু করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মো. শাহজাহান প্রথম আলোকে বলেন, ‘দুই বিদেশি খুনের ঘটনা বহির্বিশ্বে আমাদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে, লজ্জিত করেছে। এখন সেই খুনের ঘটনা যদি রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দমনের কাজে ব্যবহারের চেষ্টা হয়, তা হবে আরও লজ্জার, বেদনার। এটি বাজে নজির তৈরি করবে।’
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সরকারের একাধিক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের নেতা বলেছেন, খালেদা জিয়া বিদেশে বসে ষড়যন্ত্র করছেন। তার আগে সিজার তাবেলা খুনের পর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খানের প্রতি ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী নিউইয়র্কে বলেছিলেন, তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে রহস্য উদ্ঘাটিত হবে।
বিএনপির নেতারা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ওই বক্তব্যের পর থেকে মঈন খানকে কোনো অনুষ্ঠানে দেখা যাচ্ছে না। তাঁর মুঠোফোনটিও বন্ধ রয়েছে।
গত ২৬ সেপ্টেম্বর ঈদের ছুটির মধ্যে নিরাপত্তার কারণে অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট দলের বাংলাদেশে না আসার আকস্মিক সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে বিদেশিদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের সূত্রপাত হয়। এর এক দিন পর ২৮ সেপ্টেম্বর গুলশানে খুন হন সিজার তাবেলা। এরপর ৩ অক্টোবর রংপুরে খুন হন কুনিও হোশি।
তদন্ত-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা শুরু থেকে বলছিলেন, রাজনৈতিক কারণে দুই বিদেশিকে হত্যা করা হয়েছে। তাই শুরু থেকেই রাজনৈতিক কারণকে প্রাধান্য দিয়ে তদন্ত চলছে। বিষয়টিকে বড় কোনো ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে। অবশ্য, ঘটনার পরপরই সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে শুরু করে বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা এ দুই হত্যাকাণ্ডের জন্য বিএনপি ও জামায়াতকে দায়ী করে আসছেন।
কুনিও হোশি হত্যার সঙ্গে ঢাকা মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি হাবিব-উন-নবী খান সোহেলের সম্পৃক্ততার বিষয়ে জোরালো ইঙ্গিত দিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তারা। ঘটনার পর হাবিব-উন-নবীর ভাই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ শাখা ছাত্রদলের সাবেক নেতা রাশেদ-উন-নবীকে গ্রেপ্তার করা হয়। আর গুলশানে তাবেলা হত্যার সঙ্গে এখন পর্যন্ত কোনো জঙ্গি সংগঠনের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি।
ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া গত রোববার বলেন, সিজার হত্যার ঘটনা একটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। এর সঙ্গে জঙ্গি সম্পৃক্ততা মেলেনি।
তদন্ত-সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খানের গুলশানের বাসায় ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়ে অংশ নিতে এসেছিলেন কয়েকটি পশ্চিমা দেশের কূটনীতিক। এর পরদিন অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট দল বাংলাদেশে আসতে অস্বীকৃতি জানায়। এর সূত্র ধরে পরে পশ্চিমা দেশগুলোর কয়েকটি দূতাবাস একযোগে তাদের নাগরিকদের জন্য সতর্কতা জারি করে বলে তাদের কাছে তথ্য রয়েছে। সেদিন ওই কূটনীতিকদের কাছে বিএনপির পক্ষ থেকে কী বার্তা দেওয়া হয়েছিল, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
তদন্তের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ ডিবি ও র্যাবের একাধিক কর্মকর্তা বলেছেন, দুটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তাঁরাও বিএনপি-জামায়াতকে সন্দেহ করেন। কিন্তু খুনিদের ধরার আগ পর্যন্ত সন্দেহ প্রতিষ্ঠিত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। একজন কর্মকর্তা বলেন, যাঁরা যানবাহনে পেট্রলবোমা ছুড়ে মানুষ মেরে নাশকতায় জড়িত ছিলেন, তাঁরাই বিদেশি হত্যায় জড়িত বলে কর্মকর্তাদের সন্দেহ।
বিএনপি নেতারা মনে করছেন, সরকার বিদেশি নাগরিক খুনের সঙ্গে বিএনপিকে জড়ানোর রাজনৈতিক ‘দুরভিসন্ধি’ নিয়ে এগোচ্ছে। এর মাধ্যমে সরকার বিএনপিকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে একটি জঙ্গিবাদী দল হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা চালাবে। এ কারণে ঘটনার পরপরই প্রধানমন্ত্রী বিদেশি খুনে বিএনপির সম্পৃক্ততা থাকতে পারে বলে অভিযোগ করেন।
বিএনপির মুখপাত্র আসাদুজ্জামান রিপন দুই বিদেশি নাগরিক খুনের সঙ্গে বিএনপিকে জড়ানোর চেষ্টাকে সরকারের ‘অপরাজনীতি’ বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, আশা করি, সরকার এই অপরাজনীতির চর্চা থেকে বিরত থাকবে।
পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার বরাত দিয়ে দুই বিদেশি নাগরিক হত্যাকাণ্ডে বিএনপির সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বিএনপিতে দুশ্চিন্তা বেড়েছে। দলের দায়িত্বশীল একাধিক নেতা বলেছেন, সরকার এ দুই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ দলের গুরুত্বপূর্ণ একাধিক নেতাকে জড়ানোর পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে বলে তাঁদের সন্দেহ। এ নিয়ে দল ভীষণ উৎকণ্ঠায় আছে।
জানতে চাইলে গতকাল রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা শুরু থেকেই বলে আসছি, এটা রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র। প্রধানমন্ত্রীও এটা বলেছেন সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে। এখন আমরা আরও কিছু প্রমাণের জন্য অপেক্ষা করছি।’
বিএনপির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতারা মনে করছেন, তদন্তকারী সংস্থাগুলো সরকারের উচ্চ মহলের বক্তব্য ও নির্দেশনা ধরে এগোচ্ছে। তাই দুই খুনের ঘটনায় বিএনপিকে জড়িয়ে আগাম প্রচার শুরু করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মো. শাহজাহান প্রথম আলোকে বলেন, ‘দুই বিদেশি খুনের ঘটনা বহির্বিশ্বে আমাদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে, লজ্জিত করেছে। এখন সেই খুনের ঘটনা যদি রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দমনের কাজে ব্যবহারের চেষ্টা হয়, তা হবে আরও লজ্জার, বেদনার। এটি বাজে নজির তৈরি করবে।’
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সরকারের একাধিক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের নেতা বলেছেন, খালেদা জিয়া বিদেশে বসে ষড়যন্ত্র করছেন। তার আগে সিজার তাবেলা খুনের পর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খানের প্রতি ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী নিউইয়র্কে বলেছিলেন, তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে রহস্য উদ্ঘাটিত হবে।
বিএনপির নেতারা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ওই বক্তব্যের পর থেকে মঈন খানকে কোনো অনুষ্ঠানে দেখা যাচ্ছে না। তাঁর মুঠোফোনটিও বন্ধ রয়েছে।
গত ২৬ সেপ্টেম্বর ঈদের ছুটির মধ্যে নিরাপত্তার কারণে অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট দলের বাংলাদেশে না আসার আকস্মিক সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে বিদেশিদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের সূত্রপাত হয়। এর এক দিন পর ২৮ সেপ্টেম্বর গুলশানে খুন হন সিজার তাবেলা। এরপর ৩ অক্টোবর রংপুরে খুন হন কুনিও হোশি।
তদন্ত-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা শুরু থেকে বলছিলেন, রাজনৈতিক কারণে দুই বিদেশিকে হত্যা করা হয়েছে। তাই শুরু থেকেই রাজনৈতিক কারণকে প্রাধান্য দিয়ে তদন্ত চলছে। বিষয়টিকে বড় কোনো ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে। অবশ্য, ঘটনার পরপরই সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে শুরু করে বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা এ দুই হত্যাকাণ্ডের জন্য বিএনপি ও জামায়াতকে দায়ী করে আসছেন।
কুনিও হোশি হত্যার সঙ্গে ঢাকা মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি হাবিব-উন-নবী খান সোহেলের সম্পৃক্ততার বিষয়ে জোরালো ইঙ্গিত দিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তারা। ঘটনার পর হাবিব-উন-নবীর ভাই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ শাখা ছাত্রদলের সাবেক নেতা রাশেদ-উন-নবীকে গ্রেপ্তার করা হয়। আর গুলশানে তাবেলা হত্যার সঙ্গে এখন পর্যন্ত কোনো জঙ্গি সংগঠনের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি।
ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া গত রোববার বলেন, সিজার হত্যার ঘটনা একটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। এর সঙ্গে জঙ্গি সম্পৃক্ততা মেলেনি।
তদন্ত-সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খানের গুলশানের বাসায় ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়ে অংশ নিতে এসেছিলেন কয়েকটি পশ্চিমা দেশের কূটনীতিক। এর পরদিন অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট দল বাংলাদেশে আসতে অস্বীকৃতি জানায়। এর সূত্র ধরে পরে পশ্চিমা দেশগুলোর কয়েকটি দূতাবাস একযোগে তাদের নাগরিকদের জন্য সতর্কতা জারি করে বলে তাদের কাছে তথ্য রয়েছে। সেদিন ওই কূটনীতিকদের কাছে বিএনপির পক্ষ থেকে কী বার্তা দেওয়া হয়েছিল, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
তদন্তের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ ডিবি ও র্যাবের একাধিক কর্মকর্তা বলেছেন, দুটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তাঁরাও বিএনপি-জামায়াতকে সন্দেহ করেন। কিন্তু খুনিদের ধরার আগ পর্যন্ত সন্দেহ প্রতিষ্ঠিত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। একজন কর্মকর্তা বলেন, যাঁরা যানবাহনে পেট্রলবোমা ছুড়ে মানুষ মেরে নাশকতায় জড়িত ছিলেন, তাঁরাই বিদেশি হত্যায় জড়িত বলে কর্মকর্তাদের সন্দেহ।
বিএনপি নেতারা মনে করছেন, সরকার বিদেশি নাগরিক খুনের সঙ্গে বিএনপিকে জড়ানোর রাজনৈতিক ‘দুরভিসন্ধি’ নিয়ে এগোচ্ছে। এর মাধ্যমে সরকার বিএনপিকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে একটি জঙ্গিবাদী দল হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা চালাবে। এ কারণে ঘটনার পরপরই প্রধানমন্ত্রী বিদেশি খুনে বিএনপির সম্পৃক্ততা থাকতে পারে বলে অভিযোগ করেন।
বিএনপির মুখপাত্র আসাদুজ্জামান রিপন দুই বিদেশি নাগরিক খুনের সঙ্গে বিএনপিকে জড়ানোর চেষ্টাকে সরকারের ‘অপরাজনীতি’ বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, আশা করি, সরকার এই অপরাজনীতির চর্চা থেকে বিরত থাকবে।
No comments