শিখদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ অবমাননা, ব্যাপক বিক্ষোভ
পাঞ্জাবের
ফরিদকোট জেলায় কোট কাপুরার কাছে গত বুধবার ভোরে শিখদের গুরু
গ্রন্থসাহিবের ছেঁড়া বেশ কিছু পৃষ্ঠা রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছিল।
পবিত্র ধর্মগ্রন্থের এই অপমানের প্রতিবাদে আশেপাশের গ্রামবাসীরা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন – পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ সেখানে গুলি চালালে দুজন নিহত হন, আহত হন আরো বহু মানুষ।
তারপরই সেই বিক্ষোভ আর সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে গোটা রাজ্য জুড়ে। প্রতিবাদকারীরা বলছেন, গুরু গ্রন্থসাহিবের লাঞ্ছনা কিছুতেই বরদাস্ত করা যাবে না, আর তাই তারা জাতীয় সড়ক অবরোধ করে দোষীদের শাস্তি দাবি করছেন।
বস্তুত গত এক সপ্তাহ ধরেই পাঞ্জাবের বড় শহরগুলোর মধ্যে সড়ক সংযোগ কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে রয়েছে, রাস্তার মোড়ে মোড়ে অবরোধ করে রেখেছেন বিক্ষোভকারীরা।
সমস্যা আরও জটিল হয়ে উঠেছে কারণ ফরিদকোটের পর রাজ্যের আরো অন্তত পাঁচটি জায়গা থেকেও ছেঁড়াখোঁড়া গ্রন্থসাহিবের পৃষ্ঠা মিলেছে।
এই জায়গাগুলো ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে গোটা রাজ্য জুড়েই, আর অনেক ক্ষেত্রেই সেই গ্রন্থসাহিব খোয়া গিয়েছিল স্থানীয় গুরদোয়ারা থেকেই। এরই প্রতিবাদে গুরদোয়ারাগুলোর পরিচালনায় বিভিন্ন শিখ সঙ্গত বা ধর্মীয় সভাগুলো এই লাগাতার বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছে।
পাঞ্জাবের অকালি দল পরিচালিত সরকারের জন্যও এত বড় বিপদ আগে আসেনি।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং যদিও পাঞ্জাবকে সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন ও প্রচুর সংখ্যায় কেন্দ্রীয় বাহিনী সে রাজ্যে পাঠানো হয়েছে – তারপরও জনজীবন একেবারেই স্বাভাবিক করে তোলা যায়নি।
রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী সুখবীর সিং বাদল " আমি ও আমার বাবা মুখ্যমন্ত্রী পরকাশজি এবং পুরো অকালি নেতৃত্ব এখন একটাই লক্ষ্যে নিয়োজিত – যে কোনোভাবে হোক দোষীদের ধরে এই ষড়যন্ত্রের পর্দাফাঁস করতে হবে। আর ইতিমধ্যে আমি পাঞ্জাবের জনগণের কাছে একটাই আবেদন জানাব – আপনারা রাজ্যে শান্তি ও শৃঙ্খলাটুকু শুধু বজায় রাখুন।"
কিন্তু সরকারের আবেদনে এখনও কোনও কাজ হয়েছে বলে মনে হচ্ছে না – কারণ বিক্ষোভের তীব্রতা এতটুকুও কমেনি।
রাজ্য পুলিশ ইতিমধ্যে এই গ্রন্থসাহিব ছেঁড়ার ষড়যন্ত্রে জড়িত সন্দেহে দুই ভাইকে গ্রেফতার করেছে – যারা দুবাই ও অস্ট্রেলিয়াতে ফোন করে এই ষড়যন্ত্র নিয়ে আলাপ করছিল বলে পুলিশের দাবি।
পাঞ্জাব পুলিশের অপরাধ বিভাগের প্রধান আইপিএস সাহোটা জানান, আইন মোতাবেক এই দুই ব্যক্তির ফোনে আড়ি পেতে তারা প্রমাণ পেয়েছেন এরাই এই ষড়যন্ত্রের মূল হোতা।
দুবাই ও অস্ট্রেলিয়া-সহ ভারতের বাইরে বসে থাকা বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে তারা নির্দেশ নিচ্ছিল, এবং বিদেশ থেকে কারা এদের চালাচ্ছিল তা খুব শিগগিরি জানা যাবে বলেও পুলিশ নিশ্চিত।
ভারতের গোয়েন্দা সূত্রগুলোও মনে করছে, পাঞ্জাবে যেভাবে পরিকল্পিতভাবে গ্রন্থসাহিবের অপমান আর বিক্ষোভ ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে তাতে বিদেশি যোগসাজশের ইঙ্গিত স্পষ্ট।
তা ছাড়া আশির দশকে বিচ্ছিন্নতাবাদী খালিস্তান আন্দোলনের জন্মভূমি পাঞ্জাবে পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারকে খুব সতর্কভাবে এগোতে হচ্ছে, ফলে সমস্যা আছে সেখানেও।
সূত্র : বিবিসি
পবিত্র ধর্মগ্রন্থের এই অপমানের প্রতিবাদে আশেপাশের গ্রামবাসীরা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন – পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ সেখানে গুলি চালালে দুজন নিহত হন, আহত হন আরো বহু মানুষ।
তারপরই সেই বিক্ষোভ আর সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে গোটা রাজ্য জুড়ে। প্রতিবাদকারীরা বলছেন, গুরু গ্রন্থসাহিবের লাঞ্ছনা কিছুতেই বরদাস্ত করা যাবে না, আর তাই তারা জাতীয় সড়ক অবরোধ করে দোষীদের শাস্তি দাবি করছেন।
বস্তুত গত এক সপ্তাহ ধরেই পাঞ্জাবের বড় শহরগুলোর মধ্যে সড়ক সংযোগ কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে রয়েছে, রাস্তার মোড়ে মোড়ে অবরোধ করে রেখেছেন বিক্ষোভকারীরা।
সমস্যা আরও জটিল হয়ে উঠেছে কারণ ফরিদকোটের পর রাজ্যের আরো অন্তত পাঁচটি জায়গা থেকেও ছেঁড়াখোঁড়া গ্রন্থসাহিবের পৃষ্ঠা মিলেছে।
এই জায়গাগুলো ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে গোটা রাজ্য জুড়েই, আর অনেক ক্ষেত্রেই সেই গ্রন্থসাহিব খোয়া গিয়েছিল স্থানীয় গুরদোয়ারা থেকেই। এরই প্রতিবাদে গুরদোয়ারাগুলোর পরিচালনায় বিভিন্ন শিখ সঙ্গত বা ধর্মীয় সভাগুলো এই লাগাতার বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছে।
পাঞ্জাবের অকালি দল পরিচালিত সরকারের জন্যও এত বড় বিপদ আগে আসেনি।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং যদিও পাঞ্জাবকে সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন ও প্রচুর সংখ্যায় কেন্দ্রীয় বাহিনী সে রাজ্যে পাঠানো হয়েছে – তারপরও জনজীবন একেবারেই স্বাভাবিক করে তোলা যায়নি।
রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী সুখবীর সিং বাদল " আমি ও আমার বাবা মুখ্যমন্ত্রী পরকাশজি এবং পুরো অকালি নেতৃত্ব এখন একটাই লক্ষ্যে নিয়োজিত – যে কোনোভাবে হোক দোষীদের ধরে এই ষড়যন্ত্রের পর্দাফাঁস করতে হবে। আর ইতিমধ্যে আমি পাঞ্জাবের জনগণের কাছে একটাই আবেদন জানাব – আপনারা রাজ্যে শান্তি ও শৃঙ্খলাটুকু শুধু বজায় রাখুন।"
কিন্তু সরকারের আবেদনে এখনও কোনও কাজ হয়েছে বলে মনে হচ্ছে না – কারণ বিক্ষোভের তীব্রতা এতটুকুও কমেনি।
রাজ্য পুলিশ ইতিমধ্যে এই গ্রন্থসাহিব ছেঁড়ার ষড়যন্ত্রে জড়িত সন্দেহে দুই ভাইকে গ্রেফতার করেছে – যারা দুবাই ও অস্ট্রেলিয়াতে ফোন করে এই ষড়যন্ত্র নিয়ে আলাপ করছিল বলে পুলিশের দাবি।
পাঞ্জাব পুলিশের অপরাধ বিভাগের প্রধান আইপিএস সাহোটা জানান, আইন মোতাবেক এই দুই ব্যক্তির ফোনে আড়ি পেতে তারা প্রমাণ পেয়েছেন এরাই এই ষড়যন্ত্রের মূল হোতা।
দুবাই ও অস্ট্রেলিয়া-সহ ভারতের বাইরে বসে থাকা বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে তারা নির্দেশ নিচ্ছিল, এবং বিদেশ থেকে কারা এদের চালাচ্ছিল তা খুব শিগগিরি জানা যাবে বলেও পুলিশ নিশ্চিত।
ভারতের গোয়েন্দা সূত্রগুলোও মনে করছে, পাঞ্জাবে যেভাবে পরিকল্পিতভাবে গ্রন্থসাহিবের অপমান আর বিক্ষোভ ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে তাতে বিদেশি যোগসাজশের ইঙ্গিত স্পষ্ট।
তা ছাড়া আশির দশকে বিচ্ছিন্নতাবাদী খালিস্তান আন্দোলনের জন্মভূমি পাঞ্জাবে পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারকে খুব সতর্কভাবে এগোতে হচ্ছে, ফলে সমস্যা আছে সেখানেও।
সূত্র : বিবিসি
No comments