পুলিশের সামনেই ছাত্রলীগের হল দখল
ছাত্রদলের
সত্তর নেতাকর্মীকে বিতাড়িত করে যশোর সরকারি এমএম কলেজের আসাদ হল দখল করে
নিয়েছে ছাত্রলীগ। সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পুলিশের উপস্থিতিতে হল থেকে
ছাত্রদল অনুসারী শিক্ষার্থীদের জোরপূর্বক নামিয়ে দেয়া হয়। তবে
শিক্ষার্থীদের জোরপূর্বক হল থেকে নামিয়ে দখলের কথা অস্বীকার করেছে ছাত্রলীগ
ও কলেজ প্রশাসন। কলেজ সূত্র মতে, প্রায় দুই যুগ ধরে ঐতিহ্যবাহী এমএম
কলেজের আসাদ হল ছাত্রদলের নিয়ন্ত্রণে ছিল। এখানে ১২০টি সিটে সর্বশেষ ৭০ জন
শিক্ষার্থী অবস্থান করছিলেন। তবে এ হল থেকে ছাত্রদল নাশকতাসহ বিভিন্ন অপরাধ
কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে এমন অভিযোগ করে ছাত্রলীগ। এর পরিপ্রেক্ষিতে
ছাত্রলীগ সোমবার সেখানে থাকা ছাত্রদল অনুসারী শিক্ষার্থীদের নামিয়ে দেয়।
সেখান থেকে নেমে যাওয়া কয়েকজন শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন,
দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জেলা ছাত্রলীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক রওশন
ইকবাল শাহী এবং সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক তৌহিদুর রহমানের নেতৃত্বে
ছাত্রলীগের নেতারা এসে ১০ মিনিটের মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশ দেন। এত অল্প
সময়ের মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশ না দেয়ার অনুরোধ করলে অনেককে মারপিট করা হয়। এ
সময় শিক্ষার্থীদের ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন ও টাকা ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে বলেও
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন। শিক্ষার্থীরা বলেন, পুলিশের উপস্থিতিতে মারপিট ও
ভাংচুরের ঘটনা ঘটলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। পুলিশ নীরব দর্শকের ভূমিকা
পালন করেছে।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে জেলা ছাত্রলীগ নেতা রওশন ইকবাল শাহী বলেন, শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ মালামাল নিয়ে নেমে গেছে। কারও সঙ্গে খারাপ আচরণ করা হয়নি। এমনকি জোর করে নামিয়েও দেয়া হয়নি। তিনি আরও বলেন, এমএম কলেজের আসাদ হলে ছাত্রদল নামধারীরা অবস্থান করে বিভিন্ন সময় নাশকতার পরিকল্পনা করে আসছে। তাই সাধারণ শিক্ষার্থীরা নাশকতার পরিকল্পনাকারীদের নামিয়ে দিয়েছে। ছাত্রলীগ তাদের সহযোগিতা করেছে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত যশোর কোতোয়ালি থানার এসআই তপন বিশ্বাস জানান, শিক্ষার্থীরা তাদের মালামাল নিয়ে নেমে গেছে। কেউ জোর করে তাদের নামিয়ে দিয়েছে বা তাদের মালামাল কেড়ে নিয়েছে এ কথা সত্য নয়।
কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর নমিতা রানী বিশ্বাস জানান, জোরপূর্বক কাউকে নামিয়ে দেয়া হয়েছে এমনটি কেউ অভিযোগ করেনি। কেউ অভিযোগ করলে তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে জেলা ছাত্রলীগ নেতা রওশন ইকবাল শাহী বলেন, শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ মালামাল নিয়ে নেমে গেছে। কারও সঙ্গে খারাপ আচরণ করা হয়নি। এমনকি জোর করে নামিয়েও দেয়া হয়নি। তিনি আরও বলেন, এমএম কলেজের আসাদ হলে ছাত্রদল নামধারীরা অবস্থান করে বিভিন্ন সময় নাশকতার পরিকল্পনা করে আসছে। তাই সাধারণ শিক্ষার্থীরা নাশকতার পরিকল্পনাকারীদের নামিয়ে দিয়েছে। ছাত্রলীগ তাদের সহযোগিতা করেছে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত যশোর কোতোয়ালি থানার এসআই তপন বিশ্বাস জানান, শিক্ষার্থীরা তাদের মালামাল নিয়ে নেমে গেছে। কেউ জোর করে তাদের নামিয়ে দিয়েছে বা তাদের মালামাল কেড়ে নিয়েছে এ কথা সত্য নয়।
কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর নমিতা রানী বিশ্বাস জানান, জোরপূর্বক কাউকে নামিয়ে দেয়া হয়েছে এমনটি কেউ অভিযোগ করেনি। কেউ অভিযোগ করলে তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।
No comments