‘শাসকগোষ্ঠী রক্তের নেশায় মেতে উঠেছে’ -২০ দল
বর্তমান
সরকার অবৈধ ক্ষমতা হারানোর ভয়ে বিরোধী নেতাকর্মীদের হত্যার তাণ্ডবে মেতে
উঠছে বলে অভিযোগ করেছে ২০ দল। একইসঙ্গে দেখামাত্র গুলি করার নির্দেশ নিয়ে
তাদের দলীয় সন্ত্রাসীদের উস্কানি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে বিরোধী জোট।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক
বিবৃতিতে এ অভিযোগ করা হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, জনগণের আন্দোলনে ক্ষমতা
হারানোর ভয়ে ভীত স্বৈরাচারী শাসকগোষ্ঠী রক্তের নেশায় উন্মাদ হয়ে উঠেছে।
প্রতিনিয়ত কুৎসিত হুমকি, জুলুম-নির্যাতন, অধিকার হরণ, মিথ্যা মামলায়
গ্রেপ্তার, অপহরণ-গুম-খুন, নাশকতা-অন্তর্ঘাত চালিয়েও শেষ রক্ষা হচ্ছে না
দেখে তারা এখন তথাকথিত বন্দুকযুদ্ধের নির্মম-নিষ্ঠুর নাটক সাজিয়ে বিরোধী
দলের নেতাকর্মীদের ধরে নিয়ে গিয়ে হত্যার তাণ্ডবে মেতে উঠেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, রাজধানীর খিলগাঁও এলাকায় ছাত্রদল নেতা নুরুজ্জামান জনি, মতিঝিলে নড়াইলের পৌর কাউন্সিলর ইমরুল কায়েস ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলায় ছাত্রদল নেতা মতিউর রহমানকে গুলি করে হত্যার ঘটনা বিচারবহির্ভূত বেআইনি হত্যাকাণ্ডের সর্বশেষ নিকৃষ্ট উদাহরণ। এর আগে এই কর্মসূচি চলাকালে নাটোরে ছাত্রদল নেতা রাকিব হোসেন, সিংড়ায় ছাত্রদল কর্মী রায়হান আলী, রাজশাহীতে বিএনপি কর্মী মজিরউদ্দীন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে বিএনপি কর্মী মন্তাজ আলী, নোয়াখালীর সেনবাগে যুবদল কর্মী মিজানুর রহমান রুবেল, বেগমগঞ্জে ছাত্রদল কর্মী মহসিনউদ্দীন, সোনাইমুড়িতে ছাত্রদল কর্মী মোরশেদ আলম পারভেজ এবং চুয়াডাঙ্গায় বিএনপি নেতা সিরাজুল ইসলামকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী ও আওয়ামী সন্ত্রাসীরা নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করে। আমরা এসব বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। বিচারবহির্ভূত এই হত্যাকাণ্ড বন্ধের আহ্বান জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত বাহিনীর সদস্যদের এমন উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করার ও বেআইনি হত্যাকাণ্ড ঘটানোর কোন অধিকার দেয়া হয়নি। প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের জন্য ক্ষমতাসীনদের অবশ্যই দায়ী থাকতে হবে এবং জড়িত সকলের বিরুদ্ধে আগামীতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিবৃতিতে বলা হয়, আমাদের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর রয়েছে শৃঙ্খলা, পেশাদারিত্ব ও নিরপেক্ষভাবে আইনসম্মত কর্তব্য পালনের গৌরবোজ্জল ঐতিহ্য। সুবিধাভোগী, দলবাজ ও পক্ষাপাতদুষ্ট অল্প কিছু কর্মকর্তার অতি উৎসাহ ও বাড়াবাড়ির কারণে সেই সুনাম ক্ষুণœ হতে পারে না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত সকল বাহিনীর প্রতিটি সদস্যকে আমরা নিরপেক্ষভাবে আইনসম্মতপন্থায় কর্তব্য পালনের আহ্বান জানাচ্ছি। তারা আমাদের প্রতিপক্ষ নন। আমরাও তাদের বিরুদ্ধে নই। আমরা আশা করি তারা এদেশের সন্তান হিসেবে জনগণের প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান বজায় রেখে দেশবাসীর আশা-আকাক্সক্ষা ও অনুভূতির পক্ষে দাঁড়াবেন এবং কোন অন্যায় ও বেআইনি আদেশ-নির্দেশ পালনে বিরত থাকবেন। আটকাবস্থায় এমন বিচারবহির্ভূত হত্যকাণ্ডের প্রতি আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানগুলোরও দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। বিবৃতিতে বলা হয়, আজ ক্ষমতাসীনদের শীর্ষ পর্যায় থেকে শান্তিরক্ষার নামে দেখামাত্র গুলি, বিচার ছাড়াই হত্যা এবং দলীয় সন্ত্রাসীদের আইন হাতে তুলে নেয়ার উস্কানি দেয়া হচ্ছে। যৌথ অভিযানের নামে বিভিন্ন জনপদে বিরোধীদল সমর্থকদের ওপর পাইকারী উৎপীড়ন, বাড়িঘরে হামলা-ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ-লুঠতরাজ এবং পরিবারের সদস্যদের লাঞ্ছিত করার ঘৃণ্য ঘটনা ঘটছে। এসব হানাদারি কার্যকলাপ অবিলম্বে বন্ধ না করলে এর জন্য পরিস্থিতির যদি আরো নৈরাজ্যকর অবনতি ঘটে তবে তার দায়ভার পুরোপুরি হুকুমদাতা ও পরিকল্পনাকারীদেরকেই বহন করতে হবে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ভোটের হারানো অধিকার ফিরিয়ে আনা এবং একটি জনপ্রতিনিধিত্বশীল সরকার কায়েমের লক্ষ্যে জনগণের চলমান আন্দোলন সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ ও নিয়মতান্ত্রিক। এ আন্দোলন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও অধিকার আদায়ের আন্দোলন। বর্তমান অবৈধ শাসকেরা অতীতে বিরোধীদলে থাকতে আন্দোলনের নামে নাগরিক ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের অকাতরে হত্যা করেছে। গান পাউডার দিয়ে যাত্রীবাসে আগুন লাগিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মেরেছে। লগি-বৈঠার তাণ্ডব চালিয়ে প্রকাশ্য রাজপথে পিটিয়ে হত্যা করে মৃতদেহের উপর উল্লাস করেছে। সমুদ্রবন্দর অচল করেছে। রেলপথে নাশকতা করেছে। রেলস্টেশন জ্বালিয়ে দিয়েছে। পেট্রল বোমায় অসংখ্য মানুষকে দগ্ধ করেছে। এরা ক্ষমতায় আসার পর এই সেদিনও ফেনীতে উপজেলা চেয়ারম্যান একরামকে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা গুলি করে মেরে গাড়িসহ পুড়িয়ে অঙ্গার করে দিয়েছে।
সেই সন্ত্রাস-আশ্রিত রাজনীতির ধারকরাই এখন বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন সম্পর্কে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে এবং তাদের নির্বাচনী প্রহসনকে বর্জন করার প্রতিশোধ নিতে অন্তর্ঘাত সৃষ্টি করে নারী ও শিশুসহ নিরাপরাধ মানুষকে পেট্রল বোমা মেরে আগুনে পুড়িয়ে পৈশাচিকভাবে হত্যা করছে। একই সঙ্গে এসবের দায় বিরোধী দলের ওপর চাপিয়ে হত্যাকাণ্ড ও জুলুম-নির্যাতন জোরদার করেছে। প্রতারক ও সন্ত্রাসীদের এসব হীনকার্যকলাপ, মায়াকান্না ও মেকি অভিনয়ে দেশবাসীকে বিভ্রান্ত করা যাবে না বলে আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। বিবৃতিতে বলা হয়, রাজনৈতিক সংকটকে রাজনৈতিকভাবে সমাধানের দেশী-বিদেশী আহ্বানকে উপেক্ষা করে দমন-পীড়নের পথে সমাধানের অপচেষ্টা এবং বিরোধী দলের শীর্ষ রাজনীতিকদের বিরুদ্ধে ক্রমাগত কুৎসা ও হুমকির পরিণাম শুভ হবে না। রাজনৈতিক আন্দোলনের নামে অতীত সন্ত্রাসী তৎপরতার হুকুমদাতাদেরও আগামীতে আইনামলে আনার সুযোগ সৃষ্টি হবে। কাজেই সকলকে আমরা সংযত ও পরিণামদর্শী হবার আহ্বান জানাই। হানাহানি ও দমন-পীড়নের পথ ছেড়ে সমঝোতার লক্ষ্যে পরিস্থিতিকে দ্রুত স্বাভাবিক করার আহ্বান জানাই। বিবৃতিতে বলা হয়, সন্ত্রাস ও নিরপরাধ মানুষের ওপর হামলার প্রতিকার ও বিচার অবশ্যই হতে হবে। এরজন্য সত্যিকার অপরাধীদের গ্রেপ্তার এবং সুষ্ঠু নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় বিচারের মাধ্যমে তাদেরকে শাস্তি দিতে হবে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও সন্ত্রাসীদেরকে ‘খুনের ছাড়পত্র’ দিয়ে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের হত্যার চক্রান্তের বিরুদ্ধে আমরা আবারও কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করছি।
বিবৃতিতে বলা হয়, রাজধানীর খিলগাঁও এলাকায় ছাত্রদল নেতা নুরুজ্জামান জনি, মতিঝিলে নড়াইলের পৌর কাউন্সিলর ইমরুল কায়েস ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলায় ছাত্রদল নেতা মতিউর রহমানকে গুলি করে হত্যার ঘটনা বিচারবহির্ভূত বেআইনি হত্যাকাণ্ডের সর্বশেষ নিকৃষ্ট উদাহরণ। এর আগে এই কর্মসূচি চলাকালে নাটোরে ছাত্রদল নেতা রাকিব হোসেন, সিংড়ায় ছাত্রদল কর্মী রায়হান আলী, রাজশাহীতে বিএনপি কর্মী মজিরউদ্দীন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে বিএনপি কর্মী মন্তাজ আলী, নোয়াখালীর সেনবাগে যুবদল কর্মী মিজানুর রহমান রুবেল, বেগমগঞ্জে ছাত্রদল কর্মী মহসিনউদ্দীন, সোনাইমুড়িতে ছাত্রদল কর্মী মোরশেদ আলম পারভেজ এবং চুয়াডাঙ্গায় বিএনপি নেতা সিরাজুল ইসলামকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী ও আওয়ামী সন্ত্রাসীরা নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করে। আমরা এসব বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। বিচারবহির্ভূত এই হত্যাকাণ্ড বন্ধের আহ্বান জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত বাহিনীর সদস্যদের এমন উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করার ও বেআইনি হত্যাকাণ্ড ঘটানোর কোন অধিকার দেয়া হয়নি। প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের জন্য ক্ষমতাসীনদের অবশ্যই দায়ী থাকতে হবে এবং জড়িত সকলের বিরুদ্ধে আগামীতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিবৃতিতে বলা হয়, আমাদের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর রয়েছে শৃঙ্খলা, পেশাদারিত্ব ও নিরপেক্ষভাবে আইনসম্মত কর্তব্য পালনের গৌরবোজ্জল ঐতিহ্য। সুবিধাভোগী, দলবাজ ও পক্ষাপাতদুষ্ট অল্প কিছু কর্মকর্তার অতি উৎসাহ ও বাড়াবাড়ির কারণে সেই সুনাম ক্ষুণœ হতে পারে না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত সকল বাহিনীর প্রতিটি সদস্যকে আমরা নিরপেক্ষভাবে আইনসম্মতপন্থায় কর্তব্য পালনের আহ্বান জানাচ্ছি। তারা আমাদের প্রতিপক্ষ নন। আমরাও তাদের বিরুদ্ধে নই। আমরা আশা করি তারা এদেশের সন্তান হিসেবে জনগণের প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান বজায় রেখে দেশবাসীর আশা-আকাক্সক্ষা ও অনুভূতির পক্ষে দাঁড়াবেন এবং কোন অন্যায় ও বেআইনি আদেশ-নির্দেশ পালনে বিরত থাকবেন। আটকাবস্থায় এমন বিচারবহির্ভূত হত্যকাণ্ডের প্রতি আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানগুলোরও দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। বিবৃতিতে বলা হয়, আজ ক্ষমতাসীনদের শীর্ষ পর্যায় থেকে শান্তিরক্ষার নামে দেখামাত্র গুলি, বিচার ছাড়াই হত্যা এবং দলীয় সন্ত্রাসীদের আইন হাতে তুলে নেয়ার উস্কানি দেয়া হচ্ছে। যৌথ অভিযানের নামে বিভিন্ন জনপদে বিরোধীদল সমর্থকদের ওপর পাইকারী উৎপীড়ন, বাড়িঘরে হামলা-ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ-লুঠতরাজ এবং পরিবারের সদস্যদের লাঞ্ছিত করার ঘৃণ্য ঘটনা ঘটছে। এসব হানাদারি কার্যকলাপ অবিলম্বে বন্ধ না করলে এর জন্য পরিস্থিতির যদি আরো নৈরাজ্যকর অবনতি ঘটে তবে তার দায়ভার পুরোপুরি হুকুমদাতা ও পরিকল্পনাকারীদেরকেই বহন করতে হবে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ভোটের হারানো অধিকার ফিরিয়ে আনা এবং একটি জনপ্রতিনিধিত্বশীল সরকার কায়েমের লক্ষ্যে জনগণের চলমান আন্দোলন সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ ও নিয়মতান্ত্রিক। এ আন্দোলন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও অধিকার আদায়ের আন্দোলন। বর্তমান অবৈধ শাসকেরা অতীতে বিরোধীদলে থাকতে আন্দোলনের নামে নাগরিক ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের অকাতরে হত্যা করেছে। গান পাউডার দিয়ে যাত্রীবাসে আগুন লাগিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মেরেছে। লগি-বৈঠার তাণ্ডব চালিয়ে প্রকাশ্য রাজপথে পিটিয়ে হত্যা করে মৃতদেহের উপর উল্লাস করেছে। সমুদ্রবন্দর অচল করেছে। রেলপথে নাশকতা করেছে। রেলস্টেশন জ্বালিয়ে দিয়েছে। পেট্রল বোমায় অসংখ্য মানুষকে দগ্ধ করেছে। এরা ক্ষমতায় আসার পর এই সেদিনও ফেনীতে উপজেলা চেয়ারম্যান একরামকে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা গুলি করে মেরে গাড়িসহ পুড়িয়ে অঙ্গার করে দিয়েছে।
সেই সন্ত্রাস-আশ্রিত রাজনীতির ধারকরাই এখন বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন সম্পর্কে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে এবং তাদের নির্বাচনী প্রহসনকে বর্জন করার প্রতিশোধ নিতে অন্তর্ঘাত সৃষ্টি করে নারী ও শিশুসহ নিরাপরাধ মানুষকে পেট্রল বোমা মেরে আগুনে পুড়িয়ে পৈশাচিকভাবে হত্যা করছে। একই সঙ্গে এসবের দায় বিরোধী দলের ওপর চাপিয়ে হত্যাকাণ্ড ও জুলুম-নির্যাতন জোরদার করেছে। প্রতারক ও সন্ত্রাসীদের এসব হীনকার্যকলাপ, মায়াকান্না ও মেকি অভিনয়ে দেশবাসীকে বিভ্রান্ত করা যাবে না বলে আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। বিবৃতিতে বলা হয়, রাজনৈতিক সংকটকে রাজনৈতিকভাবে সমাধানের দেশী-বিদেশী আহ্বানকে উপেক্ষা করে দমন-পীড়নের পথে সমাধানের অপচেষ্টা এবং বিরোধী দলের শীর্ষ রাজনীতিকদের বিরুদ্ধে ক্রমাগত কুৎসা ও হুমকির পরিণাম শুভ হবে না। রাজনৈতিক আন্দোলনের নামে অতীত সন্ত্রাসী তৎপরতার হুকুমদাতাদেরও আগামীতে আইনামলে আনার সুযোগ সৃষ্টি হবে। কাজেই সকলকে আমরা সংযত ও পরিণামদর্শী হবার আহ্বান জানাই। হানাহানি ও দমন-পীড়নের পথ ছেড়ে সমঝোতার লক্ষ্যে পরিস্থিতিকে দ্রুত স্বাভাবিক করার আহ্বান জানাই। বিবৃতিতে বলা হয়, সন্ত্রাস ও নিরপরাধ মানুষের ওপর হামলার প্রতিকার ও বিচার অবশ্যই হতে হবে। এরজন্য সত্যিকার অপরাধীদের গ্রেপ্তার এবং সুষ্ঠু নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় বিচারের মাধ্যমে তাদেরকে শাস্তি দিতে হবে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও সন্ত্রাসীদেরকে ‘খুনের ছাড়পত্র’ দিয়ে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের হত্যার চক্রান্তের বিরুদ্ধে আমরা আবারও কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করছি।
No comments