ঘাটতি পূরণ হলে তেলের দাম কমানো হবে
বর্তমানে
দেশের ৬৮ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এসেছে। ২০২১ সালের মধ্যে
দেশের সব নাগরিকের এ সুবিধা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। গতকাল সংসদে
প্রশ্নোত্তরপর্বে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল
হামিদের পক্ষে এ তথ্য দেন পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি
জানান, সারা বিশ্বই এখন গ্যাস-কয়লা-বিদ্যুতের পরিবর্তে সোলার বিদ্যুতের
দিকেই ঝুঁকছে। আমরাও সেদিকে নজর দিয়েছি। আশা করছি, ২০২০ সালের মধ্যে
বাংলাদেশেও সোলার বিদ্যুতের বিপ্লব ঘটবে। দেশের প্রত্যেক মানুষের ঘরে ঘরে
বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে বর্তমান সরকার প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। সারাবিশ্বেই তেলের দাম
কমে যাওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশে কেন কমানো হচ্ছে না- স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য
হাজী মোহাম্মদ সেলিমের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, আন্তর্জাতিক
বাজারে তেলের মূল্য কমেছে এটা সত্য। কিন্তু আমাদের বিপুল পরিমাণ অর্থ এ
খাতে ভর্তুকি দিতে হয়েছে বলে এখনই তেলের মূল্য কমানো সম্ভব হচ্ছে না। ঘাটতি
পূরণ হলে অবশ্যই তেলের দাম কমানো হবে। গোলাম দস্তগীর গাজীর প্রশ্নোত্তরে
মন্ত্রী জানান, বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর ৭৭টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র
নির্মাণের লক্ষ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। অনুমোদিত বিদ্যুৎ
কেন্দ্রগুলোতে ১১ হাজার ৫০৯ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে। সংসদ সদস্য এমএ
হান্নানের প্রশ্নোত্তরে তিনি জানান, দেশে ক্রমবর্ধমান বিদ্যুৎ চাহিদা
পূরণের লক্ষ্যে বর্তমানে সরকারিখাতে মোট ৪ হাজার ৬৫৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার ১৭টি
এবং বেসরকারি খাতে মোট ২৭ হাজার ৬ মেগাওয়াট ক্ষমতার ১৫টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র
নির্মাণাধীন রয়েছে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রসমূহের বেশিরভাগেরই অগ্রগতি সন্তোষজনক।
প্রতিমন্ত্রী জানান, বর্তমানে দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতা ১১ হাজার ২৬৫
মেগাওয়াট। তবে শীতকালীন বিদ্যুৎ চাহিদার প্রেক্ষিতে এখন প্রতিদিন প্রায় ৬
হাজার ২০০ থেকে ৬ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে। ২০১৪ সালের
১৮ই জুলাই সর্বোচ্চ উৎপাদন ছিল ৭ হাজার ৪১৮ মেগাওয়াট। তিনি জানান, বর্তমানে
দেশে বাৎসরিক মাথাপিছু বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিমাণ ৩৪৮ কিলোওয়াট/ঘণ্টা। এ
যাবৎ দেশের অফ-গ্রিড এলাকায় ৩৫ লাখ সোলার হোম সিস্টেম স্থাপনের মাধ্যমে
প্রায় এক কোটি ৫০ লাখ জনগণের জন্য বিদ্যুৎ সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে।
No comments