উনি খুন করে যাচ্ছেন, বিচার হবে -সংসদে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ইঙ্গিত করে বলেছেন, ‘উনি
একের পর এক খুন করে যাচ্ছেন। একজন খুনির বিচার যেটা হওয়া উচিত, সেই বিচারই
ওনার হবে। এতগুলো মানুষকে হত্যা করেছে। কোনো ক্ষমা নেই। যারাই হত্যার
সঙ্গে যুক্ত তাদের বিচার হবে।’
গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় সংসদের পঞ্চম অধিবেশনে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে সংসদ নেতা এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের ৯০ শতাংশ মানুষ মুসলমান। এখানে জঙ্গিবাদ সৃষ্টির চেষ্টা চলছে। কিন্তু আমি বেঁচে থাকতে তা হতে দেব না। এ দেশের মানুষ জঙ্গিবাদ চায় না।’ মাগরিবের নামাজের পর অনির্ধারিত আলোচনার সূত্রপাত করেন বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য রওশন এরশাদ। তিনি আন্দোলনের নামে বিএনপি-জামায়াতের নাশকতা ও নৈরাজ্য দমনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, দেশে শান্তি ফিরিয়ে আনতে সরকার যে পদক্ষেপ নেবে, জাতীয় পার্টি তার সঙ্গে থাকবে।
বিরোধীদলীয় নেতার এ বক্তব্যের সঙ্গে সুর মেলান সরকারদলীয় ও অন্য কয়েকটি দলের সাংসদেরা। তাঁরা দেশব্যাপী নাশকতা ও নৈরাজ্যের জন্য খালেদা জিয়াসহ বিএনপি-জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেপ্তার ও আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান। সাংসদেরা এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শুনতে চান।
রাত সাড়ে আটটার দিকে প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য শুরু করেন। তিনি বলেন, ‘কিছু আঁতেল শ্রেণি আছে, তারা খালেদা জিয়ার সঙ্গে আমাকে মেলায়। আমাকে একজন খুনির সঙ্গে মেলাবেন না। আমি রাজনীতি করি জনগণের জন্য। তাঁর আন্দোলন ব্যক্তিগত স্বার্থে। ওনার উদ্দেশ্য হলো যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা, ছেলেকে মামলা থেকে বাঁচানো, নিজেকে এতিমের টাকা মারার মামলা থেকে রক্ষা করা।’
প্রধানমন্ত্রী নাশকতাকারীদের ধরিয়ে দিতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানান। পাড়া-মহল্লায় সন্ত্রাসবিরোধী কমিটি করে পুলিশ-র্যাবকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন বলেছেন যে নাশকতা নাকি সরকার করছে। অথচ যারা ধরা পড়ছে তারা বলেছে, বিএনপি নেতারা টাকা দিয়েছে আগুন দেওয়ার জন্য। বিএনপির চেয়ারপারসন মিথ্যাচার করছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘খুন করে কোনো কিছু অর্জন করা যাবে না। সময় হলে নির্বাচন হবে। নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিন।’ খালেদা জিয়া অবরুদ্ধ নন উল্লেখ করে তিনি বলেন, অফিসে থাকার জন্যই তিনি আগেই ব্যবস্থা নিয়েছেন। নিজের মৃত স্বামীর জন্মদিনেও কবরে গিয়ে শ্রদ্ধা জানাননি। বিএনপির নেতারা খালেদা জিয়ার নিরাপত্তা চেয়েছিলেন। এ জন্য কিছু ব্যবস্থাও নিতে হয়েছে।
মাগরিবের নামাজের বিরতির পর বক্তব্য দিতে দাঁড়িয়ে রওশন এরশাদ বিএনপিকে উদ্দেশ করে বলেন, দাবি আদায়ের অন্যতম মাধ্যম হরতাল-অবরোধ। কিন্তু বিএনপির হরতাল-অবরোধ কেবল জনগণের দুর্ভোগ সৃষ্টি করছে, অবরোধের নামে অরাজকতা শুরু করেছে। তিনি বিএনপির হরতাল-অবরোধকে মানুষ মারা, অর্থনীতির ধ্বংসের হাতিয়ার, রাষ্ট্রের ক্ষতিসাধন করার সঙ্গে তুলনা করে বলেন, এই হরতালে সাধারণ মানুষ, শ্রমজীবী মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। মানুষ ভয়ে-আতঙ্কে আছে। এমনকি বিশ্ব ইজতেমায় আসা মুসল্লিরা পর্যন্ত এবার ভালোভাবে ধর্মীয় কর্মকাণ্ড পালন করতে পারেননি।
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, খালেদা জিয়ার আন্দোলন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। এ আন্দোলন এমন সময়, যখন বিশ্ব মনে করে বাংলাদেশে এগিয়ে যাচ্ছে।
আবদুল মতিন খসরু বলেন, বিএনপির জ্বালাও-পোড়াও কর্মসূচিতে পেট্রলবোমা মেরে ৩০ জনকে হত্যা করা হয়েছে। এ জন্য ৩০টি হত্যা মামলা করতে হবে। প্রতিটি মামলার ১ নম্বর আসামি হবেন খালেদা জিয়া।
সাংসদ শেখ ফজলুল করিম সেলিম জাতীয় পার্টির হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের লাশ বলে বাক্সে করে কী এনে কবর দিয়েছিলেন। তা আপনাকে বলতে হবে।’ তিনি বিএনপি-জামায়াতকে নিষিদ্ধ করে এদের জঙ্গি সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করার আহ্বান জানান।
এ ছাড়া স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, স্বতন্ত্র সাংসদ রুস্তম আলী ফরাজী, ফজলে হোসেন বাদশা, নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারি আলোচনায় অংশ নেন।
অনির্ধারিত আলোচনা শেষে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। এরপর সংসদের অধিবেশন আজ বিকেল সাড়ে চারটা পর্যন্ত মুলতবি করা হয়।
গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় সংসদের পঞ্চম অধিবেশনে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে সংসদ নেতা এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের ৯০ শতাংশ মানুষ মুসলমান। এখানে জঙ্গিবাদ সৃষ্টির চেষ্টা চলছে। কিন্তু আমি বেঁচে থাকতে তা হতে দেব না। এ দেশের মানুষ জঙ্গিবাদ চায় না।’ মাগরিবের নামাজের পর অনির্ধারিত আলোচনার সূত্রপাত করেন বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য রওশন এরশাদ। তিনি আন্দোলনের নামে বিএনপি-জামায়াতের নাশকতা ও নৈরাজ্য দমনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, দেশে শান্তি ফিরিয়ে আনতে সরকার যে পদক্ষেপ নেবে, জাতীয় পার্টি তার সঙ্গে থাকবে।
বিরোধীদলীয় নেতার এ বক্তব্যের সঙ্গে সুর মেলান সরকারদলীয় ও অন্য কয়েকটি দলের সাংসদেরা। তাঁরা দেশব্যাপী নাশকতা ও নৈরাজ্যের জন্য খালেদা জিয়াসহ বিএনপি-জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেপ্তার ও আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান। সাংসদেরা এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শুনতে চান।
রাত সাড়ে আটটার দিকে প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য শুরু করেন। তিনি বলেন, ‘কিছু আঁতেল শ্রেণি আছে, তারা খালেদা জিয়ার সঙ্গে আমাকে মেলায়। আমাকে একজন খুনির সঙ্গে মেলাবেন না। আমি রাজনীতি করি জনগণের জন্য। তাঁর আন্দোলন ব্যক্তিগত স্বার্থে। ওনার উদ্দেশ্য হলো যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা, ছেলেকে মামলা থেকে বাঁচানো, নিজেকে এতিমের টাকা মারার মামলা থেকে রক্ষা করা।’
প্রধানমন্ত্রী নাশকতাকারীদের ধরিয়ে দিতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানান। পাড়া-মহল্লায় সন্ত্রাসবিরোধী কমিটি করে পুলিশ-র্যাবকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন বলেছেন যে নাশকতা নাকি সরকার করছে। অথচ যারা ধরা পড়ছে তারা বলেছে, বিএনপি নেতারা টাকা দিয়েছে আগুন দেওয়ার জন্য। বিএনপির চেয়ারপারসন মিথ্যাচার করছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘খুন করে কোনো কিছু অর্জন করা যাবে না। সময় হলে নির্বাচন হবে। নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিন।’ খালেদা জিয়া অবরুদ্ধ নন উল্লেখ করে তিনি বলেন, অফিসে থাকার জন্যই তিনি আগেই ব্যবস্থা নিয়েছেন। নিজের মৃত স্বামীর জন্মদিনেও কবরে গিয়ে শ্রদ্ধা জানাননি। বিএনপির নেতারা খালেদা জিয়ার নিরাপত্তা চেয়েছিলেন। এ জন্য কিছু ব্যবস্থাও নিতে হয়েছে।
মাগরিবের নামাজের বিরতির পর বক্তব্য দিতে দাঁড়িয়ে রওশন এরশাদ বিএনপিকে উদ্দেশ করে বলেন, দাবি আদায়ের অন্যতম মাধ্যম হরতাল-অবরোধ। কিন্তু বিএনপির হরতাল-অবরোধ কেবল জনগণের দুর্ভোগ সৃষ্টি করছে, অবরোধের নামে অরাজকতা শুরু করেছে। তিনি বিএনপির হরতাল-অবরোধকে মানুষ মারা, অর্থনীতির ধ্বংসের হাতিয়ার, রাষ্ট্রের ক্ষতিসাধন করার সঙ্গে তুলনা করে বলেন, এই হরতালে সাধারণ মানুষ, শ্রমজীবী মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। মানুষ ভয়ে-আতঙ্কে আছে। এমনকি বিশ্ব ইজতেমায় আসা মুসল্লিরা পর্যন্ত এবার ভালোভাবে ধর্মীয় কর্মকাণ্ড পালন করতে পারেননি।
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, খালেদা জিয়ার আন্দোলন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। এ আন্দোলন এমন সময়, যখন বিশ্ব মনে করে বাংলাদেশে এগিয়ে যাচ্ছে।
আবদুল মতিন খসরু বলেন, বিএনপির জ্বালাও-পোড়াও কর্মসূচিতে পেট্রলবোমা মেরে ৩০ জনকে হত্যা করা হয়েছে। এ জন্য ৩০টি হত্যা মামলা করতে হবে। প্রতিটি মামলার ১ নম্বর আসামি হবেন খালেদা জিয়া।
সাংসদ শেখ ফজলুল করিম সেলিম জাতীয় পার্টির হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের লাশ বলে বাক্সে করে কী এনে কবর দিয়েছিলেন। তা আপনাকে বলতে হবে।’ তিনি বিএনপি-জামায়াতকে নিষিদ্ধ করে এদের জঙ্গি সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করার আহ্বান জানান।
এ ছাড়া স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, স্বতন্ত্র সাংসদ রুস্তম আলী ফরাজী, ফজলে হোসেন বাদশা, নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারি আলোচনায় অংশ নেন।
অনির্ধারিত আলোচনা শেষে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। এরপর সংসদের অধিবেশন আজ বিকেল সাড়ে চারটা পর্যন্ত মুলতবি করা হয়।
No comments