কৌশল নিয়ে সরকার ও আ.লীগে দুই মত
২০-দলীয় জোটের টানা অবরোধের মধ্যে জনজীবনে স্বস্তি ও শান্তি ফিরিয়ে আনার কৌশল নিয়ে সরকার ও আওয়ামী লীগে দুই মত বিদ্যমান আছে। শীর্ষস্থানীয় নেতাদের বেশির ভাগ কঠোর প্রশাসনিক পদক্ষেপ নেওয়ার পক্ষে। এ ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সর্বোচ্চ ক্ষমতা দেওয়ার সিদ্ধান্তকে সরকারের এ অংশটি সমর্থন করে।
একজন জ্যেষ্ঠ মন্ত্রী নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সর্বোচ্চ ক্ষমতা প্রয়োগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে ক্ষমতা প্রয়োগ শুরু হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যেই সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। আবার সরকার ও দলের অন্য অংশটির মত, প্রশাসনের পাশাপাশি সংগঠনকেও মাঠে নামানো উচিত। বিশেষ করে, যেসব এলাকায় সহিংসতা ও নাশকতা হচ্ছে, সে স্থানগুলোয় দলীয় তৎপরতা বাড়াতে হবে। শুধু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দিয়ে সমাজে শান্তিশৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়।
দলের এ অংশটি একই সঙ্গে বিভিন্ন সামাজিক শক্তি তথা পেশাজীবী, শিক্ষাবিদ ও নাগরিক সমাজের সঙ্গে মতবিনিময় ও গণসংযোগের ওপরও গুরুত্বারোপ করছে। একজন জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, জনমত গঠন সম্ভব হলে বোমাবাজদের জনগণই ধরিয়ে দেবে। সরকারের একাধিক নীতিনির্ধারক জানান, গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় সংসদের অধিবেশন কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দলের জ্যেষ্ঠ নেতা ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এবং সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত কথা বলেন। খুব দ্রুতই প্রধানমন্ত্রী আরও কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতাকে নিয়ে বৈঠকে বসবেন বলে জানা গেছে।
সরকারের একটি বড় অংশ মনে করে, ২০-দলীয় জোট রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে নাশকতা করছে। কিন্তু দীর্ঘদিন তারা নাশকতা করতে পারবে না। এই অংশের নেতারা মনে করেন, প্রশাসনকে তথ্য দিয়ে সংগঠনের নেতা-কর্মীরা সহায়তা করতে পারেন। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের শনাক্ত করার ব্যাপারে তারা প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করতে পারেন। কিন্তু আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক শক্তি নিয়ে মাঠে নামলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটতে পারে। তা ছাড়া, রাষ্ট্রের শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষা করা প্রশাসনের কাজ, রাজনৈতিক সংগঠনের নয়। এ অংশের কয়েকজন নেতা বলেন, জেলা ও উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটিতে ১৪ দলের প্রতিনিধি রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কমিটি গঠনের কাজ এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে। পাশাপাশি ১৪ দলের ব্যানারে সভা-সমাবেশ করারও সিদ্ধান্ত হয়েছে। আওয়ামী লীগের একজন জ্যেষ্ঠ নেতা প্রথম আলোকে বলেন, মাঠে দুই পক্ষ। এক পক্ষ জিতবে, অপর পক্ষ হারবে। এ পরিস্থিতিতে সর্বাত্মক শক্তি নিয়ে মাঠে নামতে পারলে এক সপ্তাহ বা ১০ দিনের মধ্যে সব ঠিক হয়ে যাবে। তবে দলের ভেতরের দুই পক্ষই সংলাপ বা আলোচনার বিপক্ষে। তারা মনে করে, বিএনপি-জামায়াত যা করছে তা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের মধ্যে পড়ে না। তারা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে। তাদের সঙ্গে কোনো রাজনৈতিক আলোচনা হতে পারে না।
একজন জ্যেষ্ঠ মন্ত্রী নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সর্বোচ্চ ক্ষমতা প্রয়োগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে ক্ষমতা প্রয়োগ শুরু হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যেই সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। আবার সরকার ও দলের অন্য অংশটির মত, প্রশাসনের পাশাপাশি সংগঠনকেও মাঠে নামানো উচিত। বিশেষ করে, যেসব এলাকায় সহিংসতা ও নাশকতা হচ্ছে, সে স্থানগুলোয় দলীয় তৎপরতা বাড়াতে হবে। শুধু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দিয়ে সমাজে শান্তিশৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়।
দলের এ অংশটি একই সঙ্গে বিভিন্ন সামাজিক শক্তি তথা পেশাজীবী, শিক্ষাবিদ ও নাগরিক সমাজের সঙ্গে মতবিনিময় ও গণসংযোগের ওপরও গুরুত্বারোপ করছে। একজন জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, জনমত গঠন সম্ভব হলে বোমাবাজদের জনগণই ধরিয়ে দেবে। সরকারের একাধিক নীতিনির্ধারক জানান, গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় সংসদের অধিবেশন কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দলের জ্যেষ্ঠ নেতা ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এবং সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত কথা বলেন। খুব দ্রুতই প্রধানমন্ত্রী আরও কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতাকে নিয়ে বৈঠকে বসবেন বলে জানা গেছে।
সরকারের একটি বড় অংশ মনে করে, ২০-দলীয় জোট রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে নাশকতা করছে। কিন্তু দীর্ঘদিন তারা নাশকতা করতে পারবে না। এই অংশের নেতারা মনে করেন, প্রশাসনকে তথ্য দিয়ে সংগঠনের নেতা-কর্মীরা সহায়তা করতে পারেন। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের শনাক্ত করার ব্যাপারে তারা প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করতে পারেন। কিন্তু আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক শক্তি নিয়ে মাঠে নামলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটতে পারে। তা ছাড়া, রাষ্ট্রের শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষা করা প্রশাসনের কাজ, রাজনৈতিক সংগঠনের নয়। এ অংশের কয়েকজন নেতা বলেন, জেলা ও উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটিতে ১৪ দলের প্রতিনিধি রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কমিটি গঠনের কাজ এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে। পাশাপাশি ১৪ দলের ব্যানারে সভা-সমাবেশ করারও সিদ্ধান্ত হয়েছে। আওয়ামী লীগের একজন জ্যেষ্ঠ নেতা প্রথম আলোকে বলেন, মাঠে দুই পক্ষ। এক পক্ষ জিতবে, অপর পক্ষ হারবে। এ পরিস্থিতিতে সর্বাত্মক শক্তি নিয়ে মাঠে নামতে পারলে এক সপ্তাহ বা ১০ দিনের মধ্যে সব ঠিক হয়ে যাবে। তবে দলের ভেতরের দুই পক্ষই সংলাপ বা আলোচনার বিপক্ষে। তারা মনে করে, বিএনপি-জামায়াত যা করছে তা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের মধ্যে পড়ে না। তারা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে। তাদের সঙ্গে কোনো রাজনৈতিক আলোচনা হতে পারে না।
No comments