বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ করুন -মওদুদ
ক্রসফায়ারের
নামে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী
কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। ডিবি পুলিশের ক্রসফায়ারে নিহত
খিলগাঁও থানা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান জনির তিলপাপাড়ার বাসায়
তার মরদেহ দেখতে গিয়ে তিনি এ আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ক্রসফায়ারের নামে
এভাবে মানুষকে নির্বিচারে হত্যা, গুম, খুন ও মিথ্যা মামলা দিয়ে গণতন্ত্র
বন্ধ করা যাবে না। এ সময় সরকারের প্রতি সংলাপের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন,
অবিলম্বে জনগণের দাবি ফিরিয়ে দেয়ার জন্য সুষ্ঠু সংলাপের আয়োজন করুন। চলমান
রাজনৈতিক সঙ্কট নিরসনে সরকারকেই সংলাপের উদ্যোগ নিতে হবে। একটি অর্থবহ
সংলাপের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। এর আগে
বিকালে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ নিহত জনির বাসায় যান। সেখানে তার স্ত্রী,
পিতা-মাতাসহ স্বজনদের সমবেদনা জানান। এছাড়াও জনির বাসায় যান বিএনপি স্থায়ী
কমিটির সদস্য লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুুর রহমান, বিএনপি স্থায়ী কমিটির
সদস্য ও ঢাকা মহানগর আহ্বায়ক মির্জা আব্বাসের স্ত্রী আফরোজা আব্বাস,
বিএনপির নেতাকর্মীসহ প্রতিবেশীরা।
বিএনপির নিন্দা ও প্রতিবাদ
এদিকে ঢাকা মহানগর খিলগাঁও ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান জনিকে ক্রসফায়ারে হত্যার ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিএনপি। গতকাল দলের দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ এক বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ জানান। বিবৃতিতে তিনি অভিযোগ করেন জনিকে ক্রসফায়ারে হত্যা করা হলেও তার সঙ্গে গ্রেপ্তার খিলগাঁও থানা বিএনপি নেতা দিপু সরকার ও যুবদল নেতা মাইনুদ্দিনের হদিস পাওয়া যায়নি। বিবৃতিতে তিনি বলেন, অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে বরাবরের মতো সারা দেশে বিএনপি ও ২০ দলীয় জোটের নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশ হামলা চালায় এবং গ্রেপ্তার করে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ছত্রছায়ায় আওয়ামী সশস্ত্র সন্ত্রাসীরাও নেতাকর্মীদের ওপর বর্বরোচিত হামলা চালায়। বিবৃতিতে তিনি বলেন, ২০ দলীয় জোটের ডাকা লাগাতার অবরোধ কর্মসূচিতে জনসমর্থন দেখে নিজেদের অস্তিত্ব ও ক্ষমতা সুরক্ষিত করতে সরকার বিরোধী নেতাকর্মীদেরকে গুম ও তথাকথিত বন্দুকযুদ্ধের নামে তাদেরকে পৈশাচিকভাবে হত্যা করছে। তিনি বলেন, বর্তমান অবৈধ সরকার দেশে যে ভয়াবহ দুঃশাসন চালিয়ে যাচ্ছে তা অতীতের সকল স্বৈরাচারী দুঃশাসনের রেকর্ডকে ম্লান করে দিয়েছে। নড়াইল পৌর কাউন্সিলর ইমরুল কায়েসসহ চাঁপাই নবাবগঞ্জের ছাত্রদল নেতা মতিউর রহমান ও নোয়াখালীতে ছাত্রদল নেতাকে ইতিমধ্যে বন্দুকযুদ্ধের নামে বর্বর খেলা সংঘটিত করে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। তিনি বলেন, জনগণের অধিকার আদায়ের বিজয় অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত দেশের ১৬ কোটি মানুষকে সঙ্গে নিয়ে ২০ দলীয় জোট আন্দোলন-সংগ্রাম চালিয়ে যেতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। তিনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে নিহতদের ‘শহীদ’ আখ্যায়িত করে তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। তিনি অবিলম্বে দীপু সরকার ও মাইনুদ্দিনসহ সারা দেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক গ্রেপ্তারকৃত নিখোঁজ নেতাকর্মীদের অবস্থান নিশ্চিত করার জোর দাবি জানান। এদিকে ছাত্রদল নেতা নুরুজ্জামান জনি হত্যার ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ২০দলীয় জোটের শরিক দল এনডিপি। গতকাল এক বিবৃতিতে এনডিপির চেয়ারম্যান খোন্দকার গোলাম মোর্তুজা ও ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মঞ্জুর হোসেন ঈসা বলেন, বিভিন্ন জায়গায় ২০ দলীয় জোটের নেতাকর্মীদের প্রকাশ্যে বন্দুকযুদ্ধের নামে গুলি করে নৃশংসভাবে হত্যা করছে। এভাবে সারা দেশে দুঃশাসনের অবৈধ সরকার গুম ও খুনের মধ্য দিয়ে তাদের যে হুঙ্কার গণতান্ত্রিক আন্দোলনে তাদের নিশ্চিত পরাজয়ের মধ্য দিয়ে নিঃশেষ হয়ে যাবে।
বিএনপির নিন্দা ও প্রতিবাদ
এদিকে ঢাকা মহানগর খিলগাঁও ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান জনিকে ক্রসফায়ারে হত্যার ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিএনপি। গতকাল দলের দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ এক বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ জানান। বিবৃতিতে তিনি অভিযোগ করেন জনিকে ক্রসফায়ারে হত্যা করা হলেও তার সঙ্গে গ্রেপ্তার খিলগাঁও থানা বিএনপি নেতা দিপু সরকার ও যুবদল নেতা মাইনুদ্দিনের হদিস পাওয়া যায়নি। বিবৃতিতে তিনি বলেন, অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে বরাবরের মতো সারা দেশে বিএনপি ও ২০ দলীয় জোটের নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশ হামলা চালায় এবং গ্রেপ্তার করে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ছত্রছায়ায় আওয়ামী সশস্ত্র সন্ত্রাসীরাও নেতাকর্মীদের ওপর বর্বরোচিত হামলা চালায়। বিবৃতিতে তিনি বলেন, ২০ দলীয় জোটের ডাকা লাগাতার অবরোধ কর্মসূচিতে জনসমর্থন দেখে নিজেদের অস্তিত্ব ও ক্ষমতা সুরক্ষিত করতে সরকার বিরোধী নেতাকর্মীদেরকে গুম ও তথাকথিত বন্দুকযুদ্ধের নামে তাদেরকে পৈশাচিকভাবে হত্যা করছে। তিনি বলেন, বর্তমান অবৈধ সরকার দেশে যে ভয়াবহ দুঃশাসন চালিয়ে যাচ্ছে তা অতীতের সকল স্বৈরাচারী দুঃশাসনের রেকর্ডকে ম্লান করে দিয়েছে। নড়াইল পৌর কাউন্সিলর ইমরুল কায়েসসহ চাঁপাই নবাবগঞ্জের ছাত্রদল নেতা মতিউর রহমান ও নোয়াখালীতে ছাত্রদল নেতাকে ইতিমধ্যে বন্দুকযুদ্ধের নামে বর্বর খেলা সংঘটিত করে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। তিনি বলেন, জনগণের অধিকার আদায়ের বিজয় অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত দেশের ১৬ কোটি মানুষকে সঙ্গে নিয়ে ২০ দলীয় জোট আন্দোলন-সংগ্রাম চালিয়ে যেতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। তিনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে নিহতদের ‘শহীদ’ আখ্যায়িত করে তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। তিনি অবিলম্বে দীপু সরকার ও মাইনুদ্দিনসহ সারা দেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক গ্রেপ্তারকৃত নিখোঁজ নেতাকর্মীদের অবস্থান নিশ্চিত করার জোর দাবি জানান। এদিকে ছাত্রদল নেতা নুরুজ্জামান জনি হত্যার ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ২০দলীয় জোটের শরিক দল এনডিপি। গতকাল এক বিবৃতিতে এনডিপির চেয়ারম্যান খোন্দকার গোলাম মোর্তুজা ও ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মঞ্জুর হোসেন ঈসা বলেন, বিভিন্ন জায়গায় ২০ দলীয় জোটের নেতাকর্মীদের প্রকাশ্যে বন্দুকযুদ্ধের নামে গুলি করে নৃশংসভাবে হত্যা করছে। এভাবে সারা দেশে দুঃশাসনের অবৈধ সরকার গুম ও খুনের মধ্য দিয়ে তাদের যে হুঙ্কার গণতান্ত্রিক আন্দোলনে তাদের নিশ্চিত পরাজয়ের মধ্য দিয়ে নিঃশেষ হয়ে যাবে।
No comments