পুলিশের ৫০ হাজার জনবল অনুমোদন নিয়ে তাড়াহুড়া
নতুন
করে পুলিশের ৫০ হাজার জনবল বাড়ানো হচ্ছে। এজন্য শুরু হয়েছে তাড়াহুড়া।
নিয়মকানুন ঠিকভাবে অনুসরণ না করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সব কিছু কম সময়ের
মধ্যে শেষ করতে চাইছে। নীতিগত অনুমোদনের আগেই চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য একটি
ফাইল প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠিয়েছেন তারা। কিন্তু নানা অসঙ্গতি থাকায়
ফাইলটি ফেরত এসেছে। দু’-একদিনের মধ্যে পদ সৃষ্টির নতুন প্রস্তাব নীতিগত
অনুমোদনের জন্য ফাইল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী
হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে যাচ্ছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত
২৫শে নভেম্বর ৫০ হাজার জনবলে নীতিগত অনুমোদনের জন্য একটি ফাইল
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠায়। ৮ই ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের
পরিচালক মো. আজিমুদ্দিন বিশ্বাস স্বাক্ষরিত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র
সচিবের কাছে লেখা ফিরতি চিঠিতে জানায়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর
নীতিগত অনুমোদনের পর পদ সৃষ্টির সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবে জনপ্রশাসন এবং অর্থ
মন্ত্রণালয়ের সম্মতিসহ প্রধানমন্ত্রীর কাছে সারসংক্ষেপ আকারে চূড়ান্ত
অনুমোদনের জন্য পেশ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর কাছে
নীতিগত অনুমোদনের জন্য পেশ করা হয়েছে। এছাড়া, ইতিমধ্যে জনপ্রশাসন
মন্ত্রণালয়ের সম্মতির জন্য ১৭ হাজার ৫৫১টি পদ সৃষ্টির প্রস্তাব নতুনভাবে ৫০
হাজার পদ সৃষ্টির প্রস্তাবের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত কিনা তা স্পষ্ট নয়। এজন্য,
বিষয়টি স্পষ্টীকরণ এবং সংশোধনপূর্বক পাঠানোর জন্য সারসংক্ষেপটি ফেরত
পাঠানো হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বছর খানেক অর্থ
মন্ত্রণালয় এক চিঠিতে পুলিশ কত পদ চায় এ সম্পর্কে জানতে চায়। ওই চিঠিটি
পুলিশ সদর দপ্তরে পাঠায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। পুলিশ সদর দপ্তর গত মাসের
শেষ দিকে তাদের মহাপরিকল্পনার কথা জানিয়ে চিঠি দেয়। ওই মহাপরিকল্পনায় পুলিশ
বাহিনীতে নতুন করে আরও এক লাখ ১২ হাজার সদস্য নিয়োগ করার কথা বলা হয়। নতুন
পরিকল্পনায় পুলিশ বাহিনীতে সচিব পদমর্যাদার (গ্রেড-১) অতিরিক্ত আইজিপির পদ
হবে ২০টি ও অতিরিক্ত আইজিপি’র (গ্রেড-২) পদ হবে ৪০টি।
উপ-আইজিপি’র মোট পদ হবে ৬০টি, ডিআইজি’র পদ ১০০টি ও এসপি’র পদ হবে ৩৮০টি। বাহিনীর মোট সদস্য সংখ্যা হবে আড়াই লাখের বেশি। এরই মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রস্তাবটি অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মনে করছে, এটা কোন প্রস্তাব নয়। অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো চিঠির জবাব। এক সিনিয়র কর্মকর্তা জানান, পুলিশ সদর দপ্তরের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাটি বিচার-বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষে যতগুলো পদ প্রয়োজন ততগুলোর জন্য প্রস্তাব জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বর্ধিত লোকবল ৫০ হাজারের বেশি হওয়ার সম্ভাবনা আপাতত নেই। পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে পুলিশে সিনিয়র সচিব ও সচিব পদমর্যাদায় (গ্রেড-১) রয়েছেন তিনজন। আইজিপি হাসান মাহমুদ খন্দকার সিনিয়র সচিবের পদমর্যাদায় রয়েছেন। পুলিশের পরিকল্পনা অনুযায়ী, সচিব (গ্রেড-১) পদমর্যাদার পদে ২০ জন রাখার কথা বলা হয়েছে। এছাড়া পুলিশ বাহিনীতে অতিরিক্ত আইজিপি (গ্রেড-২) হিসেবে রয়েছেন ৯ জন। এ পদের সংখ্যা ৪০ করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। ডিআইজি রয়েছেন ৫২ জন; এ পদের সংখ্যা বাড়িয়ে ১০০ এবং অতিরিক্ত ডিআইজি’র পদের সংখ্যা ৭৭ থেকে বাড়িয়ে ১৫০ জন করার পরিকল্পনার কথা জানানো হয়েছে। বর্তমানে এসপি পদ রয়েছে ২৭০টি। সেটি বাড়িয়ে ৩৮০ করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। পুলিশ এত মহাপরিকল্পনা দিলেও প্রথম ধাপে ১৭ হাজার ৫৫১ জনকে নিয়োগ করা হবে। এরই মধ্যে পুলিশ বাহিনীতে ১২১টি ক্যাডার পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। এ সবের মধ্যে রয়েছে তিনটি ডিআইজি, ১৩টি এসপি, ৩৭টি অতিরিক্ত এসপি ও ৬৮টি এএসপি’র পদ। এসব পদ পুলিশ সদর দপ্তরে সংরক্ষিত থাকবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন সময়ে পুলিশ কর্মকর্তারা মিশনে চলে যাওয়ায় সমস্যায় পড়তে হয়। এ সমস্যার সমাধানের জন্য গত বছর সংরক্ষিত পদ সৃষ্টির প্রস্তাব পাঠানো হয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। পরে ওই প্রস্তাব জনপ্রশাসন ও অর্থ মন্ত্রণালয়ে যায়। এরই মধ্যে ওই প্রস্তাবটি অনুমোদন করেছে প্রশাসনিক উন্নয়ন-সংক্রান্ত সচিব কমিটি। তাই এখন মিশনে যাওয়ার কারণে কোন সমস্যা হবে না। পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে পুলিশ বাহিনীতে আইজিপি পদমর্যাদার (গ্রেড-১) রয়েছেন তিনজন; অতিরিক্ত আইজিপি (গ্রেড-২) রয়েছেন ৯ জন; ডিআইজি ৫২, অতিরিক্ত ডিআইজি ৭৭, সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশ (এসপি) ২৭০, অতিরিক্ত এসপি ৫৬৭, সিনিয়র এএসপি ২৭১, এএসপি ১,০৮৪, ইনস্পেক্টর ৪,০১৫, সাব-ইনস্পেক্টর ১৫,২৯৭, সার্জেন্ট ১,৭৬৪, সহকারী সাব-ইনস্পেক্টর (এএসআই) ১৭,৫০৪, নায়েক ৬,৫৬৪ ও কনস্টেবল রয়েছেন ১,০৮,৩২০ জন। সব মিলিয়ে পুলিশ বাহিনীতে রয়েছেন এক লাখ ৫৫ হাজার ৭৯৭ জন কর্মকর্তা ও সদস্য। জানা গেছে, বর্তমান মহাজোট সরকারের গেল মেয়াদে পুলিশ বাহিনীর জন্য ক্যাডার পদ সৃষ্টি করা হয়েছে ৬৬২টি। নন-ক্যাডার পদ সৃষ্টি করা হয়েছে ৩০ হাজার ৯০৬টি।
মহাপুলিশ পরিদর্শক (আইজিপি) পদকে সিনিয়র সচিব পদমর্যাদায় উন্নীত করা হয়েছে। অতিরিক্ত আইজিপি’র দু’টি পদকে গ্রেড ১-এ উন্নীত করা হয়েছে। এ সময়ে গঠন করা হয়েছে শিল্পাঞ্চল পুলিশ, খাগড়াছড়ি এপিবিএন বিশেষায়িত ট্রেনিং সেন্টার, রংপুর আরআরএফ, এসপিবিএন-১ ও ২, স্বতন্ত্র তদন্ত ইউনিট পিবিআই, ট্যুরিস্ট পুলিশ, নৌপুলিশ ও র্যাবের নতুন দু’টি ব্যাটালিয়ন।
উপ-আইজিপি’র মোট পদ হবে ৬০টি, ডিআইজি’র পদ ১০০টি ও এসপি’র পদ হবে ৩৮০টি। বাহিনীর মোট সদস্য সংখ্যা হবে আড়াই লাখের বেশি। এরই মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রস্তাবটি অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মনে করছে, এটা কোন প্রস্তাব নয়। অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো চিঠির জবাব। এক সিনিয়র কর্মকর্তা জানান, পুলিশ সদর দপ্তরের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাটি বিচার-বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষে যতগুলো পদ প্রয়োজন ততগুলোর জন্য প্রস্তাব জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বর্ধিত লোকবল ৫০ হাজারের বেশি হওয়ার সম্ভাবনা আপাতত নেই। পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে পুলিশে সিনিয়র সচিব ও সচিব পদমর্যাদায় (গ্রেড-১) রয়েছেন তিনজন। আইজিপি হাসান মাহমুদ খন্দকার সিনিয়র সচিবের পদমর্যাদায় রয়েছেন। পুলিশের পরিকল্পনা অনুযায়ী, সচিব (গ্রেড-১) পদমর্যাদার পদে ২০ জন রাখার কথা বলা হয়েছে। এছাড়া পুলিশ বাহিনীতে অতিরিক্ত আইজিপি (গ্রেড-২) হিসেবে রয়েছেন ৯ জন। এ পদের সংখ্যা ৪০ করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। ডিআইজি রয়েছেন ৫২ জন; এ পদের সংখ্যা বাড়িয়ে ১০০ এবং অতিরিক্ত ডিআইজি’র পদের সংখ্যা ৭৭ থেকে বাড়িয়ে ১৫০ জন করার পরিকল্পনার কথা জানানো হয়েছে। বর্তমানে এসপি পদ রয়েছে ২৭০টি। সেটি বাড়িয়ে ৩৮০ করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। পুলিশ এত মহাপরিকল্পনা দিলেও প্রথম ধাপে ১৭ হাজার ৫৫১ জনকে নিয়োগ করা হবে। এরই মধ্যে পুলিশ বাহিনীতে ১২১টি ক্যাডার পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। এ সবের মধ্যে রয়েছে তিনটি ডিআইজি, ১৩টি এসপি, ৩৭টি অতিরিক্ত এসপি ও ৬৮টি এএসপি’র পদ। এসব পদ পুলিশ সদর দপ্তরে সংরক্ষিত থাকবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন সময়ে পুলিশ কর্মকর্তারা মিশনে চলে যাওয়ায় সমস্যায় পড়তে হয়। এ সমস্যার সমাধানের জন্য গত বছর সংরক্ষিত পদ সৃষ্টির প্রস্তাব পাঠানো হয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। পরে ওই প্রস্তাব জনপ্রশাসন ও অর্থ মন্ত্রণালয়ে যায়। এরই মধ্যে ওই প্রস্তাবটি অনুমোদন করেছে প্রশাসনিক উন্নয়ন-সংক্রান্ত সচিব কমিটি। তাই এখন মিশনে যাওয়ার কারণে কোন সমস্যা হবে না। পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে পুলিশ বাহিনীতে আইজিপি পদমর্যাদার (গ্রেড-১) রয়েছেন তিনজন; অতিরিক্ত আইজিপি (গ্রেড-২) রয়েছেন ৯ জন; ডিআইজি ৫২, অতিরিক্ত ডিআইজি ৭৭, সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশ (এসপি) ২৭০, অতিরিক্ত এসপি ৫৬৭, সিনিয়র এএসপি ২৭১, এএসপি ১,০৮৪, ইনস্পেক্টর ৪,০১৫, সাব-ইনস্পেক্টর ১৫,২৯৭, সার্জেন্ট ১,৭৬৪, সহকারী সাব-ইনস্পেক্টর (এএসআই) ১৭,৫০৪, নায়েক ৬,৫৬৪ ও কনস্টেবল রয়েছেন ১,০৮,৩২০ জন। সব মিলিয়ে পুলিশ বাহিনীতে রয়েছেন এক লাখ ৫৫ হাজার ৭৯৭ জন কর্মকর্তা ও সদস্য। জানা গেছে, বর্তমান মহাজোট সরকারের গেল মেয়াদে পুলিশ বাহিনীর জন্য ক্যাডার পদ সৃষ্টি করা হয়েছে ৬৬২টি। নন-ক্যাডার পদ সৃষ্টি করা হয়েছে ৩০ হাজার ৯০৬টি।
মহাপুলিশ পরিদর্শক (আইজিপি) পদকে সিনিয়র সচিব পদমর্যাদায় উন্নীত করা হয়েছে। অতিরিক্ত আইজিপি’র দু’টি পদকে গ্রেড ১-এ উন্নীত করা হয়েছে। এ সময়ে গঠন করা হয়েছে শিল্পাঞ্চল পুলিশ, খাগড়াছড়ি এপিবিএন বিশেষায়িত ট্রেনিং সেন্টার, রংপুর আরআরএফ, এসপিবিএন-১ ও ২, স্বতন্ত্র তদন্ত ইউনিট পিবিআই, ট্যুরিস্ট পুলিশ, নৌপুলিশ ও র্যাবের নতুন দু’টি ব্যাটালিয়ন।
No comments