ঢাকায় যৌনকর্মীদের সম্মেলন- দেশে যৌনকর্মীর সংখ্যা ৭৪,০০০
ঢাকায়
অনুষ্ঠিত যৌনকর্মীদের সম্মেলনে জানানো হয়েছে সারা দেশে ৭৪ হাজারেরও বেশি
যৌনকর্মী রয়েছে। এদের ৪১ শতাংশই ভাসমান। সম্মেলনে অংশ নেয়া যৌনকর্মীরা
তাদের বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন। তাদের দাবির প্রতি সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য
দেন আমন্ত্রিত অতিথিরা।
রাজধানীর গুলিস্তানে কাজী বশির মিলনায়তনে দুর্জয় নারী সংঘ ও বাংলাদেশ উইমেনস হেলথ কোয়ালিশনের উদ্যোগে আয়োজিত জাতীয় সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন ন্যাশনাল এইডস/এসটিডি প্রোগ্রামের লাইন ডিরেক্টর ড. হোসাইন সারওয়ার খান। সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ আইন কমিশনের সদস্য ড. মো. শাহ আলম, বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড সার্ভিসেস ট্রাস্টের নির্বাহী পরিচালক ব্যারিস্টার সারা হোসেন, সেভ দ্য চিলড্রেনের এইচআইভি এইডস প্রোগ্রাম ম্যানেজার মৌসুমী আমিন, ন্যাশনাল এইডস/এসটিডি প্রোগ্রামের লাইন ডিরেক্টর ড. হোসাইন সারওয়ার খান, দুর্জয় নারী সংঘের (ডিএনস) সভাপতি রহিমা বেগম প্রমুখ। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সেভ দ্য চিলড্রেনের এইচআইভি এইডস প্রোগ্রাম ম্যানেজার মৌসুমী আমিন।
ড. মো. শাহ আলম যৌনকর্মীদের জন্য আলাদা আইন প্রণয়ন ও পুনর্বাসনের দাবি জানান। যেখানে বৈষম্যবিরোধী আইনের পাশাপাশি যৌনকর্মীদের সামাজিক স্বীকৃতি এবং সন্তানের শিক্ষা প্রাপ্তিরও নিশ্চয়তা থাকবে। তার মতে, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হলে যৌনকর্মীদের অধিকার বিষয়ে আরও সচেতনতা বাড়াতে হবে। যৌনকর্মীদের হাজারো সমস্যা রয়েছে। আলাদা আইন তৈরি হলে যৌনকর্মীদের বেঁচে থাকার অধিকার, বাসস্থান ও পুনর্বাসনে গুরুত্বপূর্ণ দিকসহ এসব সমস্যার সমাধান হবে। ব্যারিস্টার সারা হোসেন বলেন, যৌনকর্মীদের পুনর্বাসনের প্রয়োজন হলেও রাষ্ট্র সে দায়িত্ব পালন করছে না। উল্টো যেসব এলাকায় স্থানীয় ভূমিদস্যুরা যৌনপল্লী উচ্ছেদ করছে রাষ্ট্রীয় পুলিশ বাহিনী সেখানে নীরব ভূমিকা পালন করছে। এমনকি যৌনকর্মীদের উচ্ছেদ করার ঘটনায় থানায় মামলা করতে গেলেও মামলা নেয়া হয় না। এ অবস্থার উত্তরণে আন্দোলন অব্যাহত রাখতে হবে। টাঙ্গাইলে যৌনকর্মীদের উচ্ছেদ প্রসঙ্গ টেনে বলেন, যৌনকর্মীদের সেখান থেকে উচ্ছেদ করে দেয়া হয়েছে। মহিলা আইনজীবী সমিতি হাইকোর্ট থেকে তাদের উচ্ছেদ না করার আদেশ নেয়। কিন্তু তার ছয় মাস আগেই উচ্ছেদ করা হয়েছে টাঙ্গাইল যৌন পল্লীকে। অথচ জেলা প্রশাসক থেকে শুরু করে সরকারের প্রতিটি দপ্তর বলছে, যৌনকর্মীরা নিজ ইচ্ছায় চলে গেছেন। অথচ এক শ’ বছরের বেশি সময় ধরে ওই পল্লীতে তাদের বসবাস ছিল। তাদের ঘর-বাড়ি সম্পদ বলতে সব ওই জায়গায়। কিভাবে তারা নিজের সম্পত্তি ঘর-বাড়ি রেখে ফেলে যান? আব্দুনূ নূর তুষারের সঞ্চালনায় সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন সেভ দ্য চিলড্রেনের ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর নায়ার ইকবাল, সেক্স ওয়ার্কার নেটওয়ার্ক বাংলাদেশের সভাপতি হেনা আক্তার প্রমুখ।
রাজধানীর গুলিস্তানে কাজী বশির মিলনায়তনে দুর্জয় নারী সংঘ ও বাংলাদেশ উইমেনস হেলথ কোয়ালিশনের উদ্যোগে আয়োজিত জাতীয় সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন ন্যাশনাল এইডস/এসটিডি প্রোগ্রামের লাইন ডিরেক্টর ড. হোসাইন সারওয়ার খান। সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ আইন কমিশনের সদস্য ড. মো. শাহ আলম, বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড সার্ভিসেস ট্রাস্টের নির্বাহী পরিচালক ব্যারিস্টার সারা হোসেন, সেভ দ্য চিলড্রেনের এইচআইভি এইডস প্রোগ্রাম ম্যানেজার মৌসুমী আমিন, ন্যাশনাল এইডস/এসটিডি প্রোগ্রামের লাইন ডিরেক্টর ড. হোসাইন সারওয়ার খান, দুর্জয় নারী সংঘের (ডিএনস) সভাপতি রহিমা বেগম প্রমুখ। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সেভ দ্য চিলড্রেনের এইচআইভি এইডস প্রোগ্রাম ম্যানেজার মৌসুমী আমিন।
ড. মো. শাহ আলম যৌনকর্মীদের জন্য আলাদা আইন প্রণয়ন ও পুনর্বাসনের দাবি জানান। যেখানে বৈষম্যবিরোধী আইনের পাশাপাশি যৌনকর্মীদের সামাজিক স্বীকৃতি এবং সন্তানের শিক্ষা প্রাপ্তিরও নিশ্চয়তা থাকবে। তার মতে, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হলে যৌনকর্মীদের অধিকার বিষয়ে আরও সচেতনতা বাড়াতে হবে। যৌনকর্মীদের হাজারো সমস্যা রয়েছে। আলাদা আইন তৈরি হলে যৌনকর্মীদের বেঁচে থাকার অধিকার, বাসস্থান ও পুনর্বাসনে গুরুত্বপূর্ণ দিকসহ এসব সমস্যার সমাধান হবে। ব্যারিস্টার সারা হোসেন বলেন, যৌনকর্মীদের পুনর্বাসনের প্রয়োজন হলেও রাষ্ট্র সে দায়িত্ব পালন করছে না। উল্টো যেসব এলাকায় স্থানীয় ভূমিদস্যুরা যৌনপল্লী উচ্ছেদ করছে রাষ্ট্রীয় পুলিশ বাহিনী সেখানে নীরব ভূমিকা পালন করছে। এমনকি যৌনকর্মীদের উচ্ছেদ করার ঘটনায় থানায় মামলা করতে গেলেও মামলা নেয়া হয় না। এ অবস্থার উত্তরণে আন্দোলন অব্যাহত রাখতে হবে। টাঙ্গাইলে যৌনকর্মীদের উচ্ছেদ প্রসঙ্গ টেনে বলেন, যৌনকর্মীদের সেখান থেকে উচ্ছেদ করে দেয়া হয়েছে। মহিলা আইনজীবী সমিতি হাইকোর্ট থেকে তাদের উচ্ছেদ না করার আদেশ নেয়। কিন্তু তার ছয় মাস আগেই উচ্ছেদ করা হয়েছে টাঙ্গাইল যৌন পল্লীকে। অথচ জেলা প্রশাসক থেকে শুরু করে সরকারের প্রতিটি দপ্তর বলছে, যৌনকর্মীরা নিজ ইচ্ছায় চলে গেছেন। অথচ এক শ’ বছরের বেশি সময় ধরে ওই পল্লীতে তাদের বসবাস ছিল। তাদের ঘর-বাড়ি সম্পদ বলতে সব ওই জায়গায়। কিভাবে তারা নিজের সম্পত্তি ঘর-বাড়ি রেখে ফেলে যান? আব্দুনূ নূর তুষারের সঞ্চালনায় সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন সেভ দ্য চিলড্রেনের ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর নায়ার ইকবাল, সেক্স ওয়ার্কার নেটওয়ার্ক বাংলাদেশের সভাপতি হেনা আক্তার প্রমুখ।
No comments