সমস্যা দেখলে আগে আমাকে জানাবেন -বিজিবি’র দরবার অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী
বিডিআর
বিদ্রোহের মতো ঘটনার আর যাতে পুনরাবৃত্তি না ঘটে সেদিকে সতর্ক থাকার জন্য এ
বাহিনীর সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন,
কোথাও কোন সমস্যা দেখা দিলে আগে আমাকে জানাবেন। সরকার কখনওই একটি শৃঙ্খলা
বাহিনীর কাছ থেকে পিলখানা হত্যাকাণ্ডের মতো মর্মান্তিক ঘটনার পুনরাবৃত্তি
দেখতে চায় না। গতকাল বিজিবি সদর দপ্তর পিলখানায় বিশেষ দরবার উপলক্ষে আয়োজিত
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান। বিজিবি আন্তর্জাতিক মানের
শান্তিরক্ষা বাহিনীতে পরিণত হবে- এমন দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করে শেখ হাসিনা
বলেন, এ বাহিনী এমনকি এ দেশের জন্য ক্ষতিকর হয় এমন কাজ তাদের করা উচিত নয়।
এখন বিজিবি সদস্যদের আনুগত্য ও আত্মবিশ্বাস নিয়ে কোন প্রশ্ন নেই এবং এ
বাহিনী এখন মর্যাদা ও সুনামের সঙ্গে কাজ করছে। তিনি বলেন, দেশের মানুষ
শান্তি চায় এবং বিজিবি সদস্যরা এ জনগণের অংশ। তিনি বিজিবি সদস্যদের বলেন,
সরকার তাদের দাবি ও সমস্যা সম্পর্কে অবগত রয়েছে। তিনি বলেন, আলোচনার
মাধ্যমে সব সমস্যার সমাধান করা হবে। বিজিবি’র সংস্কারে বিভিন্ন পদক্ষেপ
নেয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ বাহিনীর আধুনিকায়ন ও সম্প্রসারণে
ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এছাড়া নতুন সাংগঠনিক কাঠামো
প্রতিষ্ঠার পর বিজিবি জনশক্তির বিষয়ে অগ্রাধিকার দিয়ে ২০০৯ সাল থেকে
অতিরিক্ত প্রায় ২০ হাজার জনশক্তি নিয়োগ দেয়া হয়েছে। শেখ হাসিনা এ বাহিনীর
দীর্ঘ ২১৯ বছরের ইতিহাস স্মরণ করে বলেন, রামগড় স্থানীয় ব্যাটালিয়ন গঠনের
মাধ্যমে ১৭৯৫ সালে বিজিবি প্রতিষ্ঠা করা হয় এবং এখন এটি দেশের একটি
সুসংগঠিত সীমান্ত রক্ষাবাহিনীতে পরিণত হয়েছে। তিনি বলেন, দেশের সীমান্ত
রক্ষায় আরও দক্ষ হিসেবে গড়ে তুলতে সরকার এ সদা সতর্ক-জাগ্রত বাহিনীর
উন্নয়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ভারতের সঙ্গে ৪৭৯ কিলোমিটার দীর্ঘ অরক্ষিত
সীমান্তের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার ইতিমধ্যে বিজিবি’র জন্য দু’টি
সেক্টর, ৫টি ব্যাটালিয়ন ও ৯২টি বিওপি’র অনুমোদন দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, এসব
প্রকল্পের বেশির ভাগ ইতিমধ্যে বাস্তবায়িত হয়েছে।
প্রকল্পের কাজ পুরোপুরি সম্পন্ন হলে গোটা পার্বত্য চট্টগ্রাম হবে সর্বাধিক সংরক্ষিত ও নিরাপদ। বিজিবি সদস্যরা সততা, দেশপ্রেম ও শৃঙ্খলাসহকারে তাদের দাযিত্ব পালন করে যাবে শেখ হাসিনা- এমন আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, সরকার এ বিষয়ে সার্বিক সাহায্য ও সহযোগিতা দেবে।
আনুষ্ঠানিক ভাষণ শেষে প্রধানমন্ত্রী বিজিবি সদস্যদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ। মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও কূটনীতিক এবং ঊর্ধ্বতন বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
প্রকল্পের কাজ পুরোপুরি সম্পন্ন হলে গোটা পার্বত্য চট্টগ্রাম হবে সর্বাধিক সংরক্ষিত ও নিরাপদ। বিজিবি সদস্যরা সততা, দেশপ্রেম ও শৃঙ্খলাসহকারে তাদের দাযিত্ব পালন করে যাবে শেখ হাসিনা- এমন আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, সরকার এ বিষয়ে সার্বিক সাহায্য ও সহযোগিতা দেবে।
আনুষ্ঠানিক ভাষণ শেষে প্রধানমন্ত্রী বিজিবি সদস্যদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ। মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও কূটনীতিক এবং ঊর্ধ্বতন বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
No comments