মেয়র আরিফের দুঃসময় দিন এখন কয়েস লোদীর by চৌধুরী মুমতাজ আহমদ
ক’দিন
আগে যে সুর তুলেছিলেন তা সম্ভবত ভুলে যেতে চাইছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের
কাউন্সিলররা। ছ’ মাস যেতে না যেতেই এবার তারা সুর মেলাচ্ছেন নতুন সুরে। তখন
সুদিন ছিল সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর। তবে সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস
কিবরিয়া হত্যা মামলায় নাম সম্পৃক্ত হওয়ায় তিনি অনেকটাই বেকায়দায় এখন। বলতে
গেলে আত্মগোপনে থেকেই দাপ্তরিক কাজকর্ম সামাল দিচ্ছেন। মেয়রের দুঃসময়ে এবার
একে একে পাশ থেকে সরে যেতে শুরু করেছেন তার ‘পারিষদ’রাও।
‘মেয়র কারাগারে যাচ্ছেন’ -এমন ধারণা থেকেই সম্ভবত ভোল পাল্টাচ্ছেন কাউন্সিলররা। সম্ভাব্য ভারপ্রাপ্ত মেয়র হিসেবে আলোচনায় এসেছেন মেয়র প্যানেলের প্রথম সদস্য রেজাউল হাসান কয়েস লোদী। এ যাত্রায় হয়তো তাকে দীর্ঘদিন মেয়রের ভার সামলাতে হতে পারে- তাই এখন থেকেই তার আস্থাশীল হতে চাইছেন কাউন্সিলররা। সব ভুলে সিটি করপোরেশনের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কাউন্সিলর কয়েস লোদীর কাছে ‘বায়েত’ নিতে চাইছেন। অথচ কিছুদিন আগেও নগর ভবনে কোণঠাসা ছিলেন কয়েস লোদী। এমনকি তাকে মেয়র প্যানেলের সদস্য থেকে সরিয়ে দিতে একাট্টা হয়েছিলেন অন্য কাউন্সিলররা। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সেই রেজাউল হাসান কয়েস লোদীর পালেই হাওয়া দিতে উদ্যোগী হয়েছেন তার নতুন ‘শুভাকাঙক্ষী’রা।
১২ই ডিসেম্বর ২০১৪। ঢাকা থেকে মাত্র ফিরেছেন রেজাউল হাসান কয়েস লোদী। তার মোবাইল ফোনে একটি কল আসে। কলদাতা সিলেট সিটি করপোরেশনেরই আরেক কাউন্সিলর- তৌফিক বক্স লিপন। বলেন, ভুল হয়ে গেছে। ‘ভুল’টা শুধরে নিতে কোথাও বসতে চান কয়েস লোদীর সঙ্গে। ঠিক হয় ১২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সিকন্দর আলীর শেখঘাটস্থ কার্যালয়ে বৈঠক হবে। রাতে কয়েস লোদী উপস্থিত হন বৈঠকস্থলে। লিপন বক্স তো ছিলেনই, ছিলেন ‘হোস্ট’ সিকন্দর আলী। আর ছিলেন রকিবুল ইসলাম ঝলক, সাইফুর আমিন বাকের, মুশতাক আহমদ। রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন এ ৬ কাউন্সিলর। বৈঠকের মূল সুরই ছিল কয়েস লোদীর কাছে ভুল স্বীকার-অনাস্থা এনে যে ‘ভুল’ করেছিলেন তারা। সিদ্ধান্ত হয় আরও বড় পরিসরে এ ইস্যুতে বৈঠক হবে। গত বুধবার নগরীর রয়েল শেফ চায়নিজ রেস্টুরেন্টে বসেন কয়েস লোদীর ‘শুভাকাঙক্ষী’রা। এদিন কয়েস লোদীর প্রতি পুনরায় আস্থা স্থাপন করেন এস এম আবজাদ হোসেন, মো. ইলিয়াছুর রহমান, মখলিসুর রহমান কামরান, রকিবুল ইসলাম ঝলক, সিকন্দর আলী, শান্তনু দত্ত সন্তু, সাইফুর আমিন বাকের, দিনার খান হাসু, আজাদুর রহমান আজাদ, মুশতাক আহমদ, তৌফিক বক্স লিপন, জাহানারা খানম মিলন, শামীমা স্বাধীন। কাউন্সিলর কয়েস লোদীর পরিচয় তিনি বিএনপি নেতা। তবে তার শুভাকাঙক্ষীরাও যে একই আদর্শের সৈনিক তা নয়। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলরও রয়েছেন বেশ ক’জন। এমনকি বৈঠকের মূল উদ্যোক্তা লিপন বক্স আওয়ামী লীগের সর্মথনপুষ্ট।
কয়েস লোদীর প্রতি কাউন্সিলরদের আস্থার বিষয়টি আনুষ্ঠানিক প্রতিষ্ঠার জন্য সিদ্ধান্ত হয়- তার প্রতি অনাস্থা যাতে রেজুলেশন আকারে গৃহীত না হয় সে ব্যাপারে পরদিনের নির্ধারিত মাসিক সভায় পদক্ষেপ নেয়া হবে। তবে গত বৃহস্পতিবারের মাসিক সভায় মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী উপস্থিত না থাকায় এ ব্যাপারে কিছু করা যায়নি।
কয়েস লোদীর প্রতি অনাস্থার সুর উঠেছিল গত ১০ই জুন সিলেট সিটি করপোরেশনের মাসিক সভায়। ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে এ দিন প্রথমে তাকে মেয়র প্যানেলের সদস্য পদ ত্যাগের প্রস্তাব দেন ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রেজওয়ান আহমদ। এ প্রসঙ্গে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে মেয়র প্যানেলে কয়েস লোদীর থাকা নিয়ে অনাস্থা প্রস্তাবই আনা হয়। সভায় উপস্থিত ২৯ জনের মধ্যে ২৬ জনই গোপন ভোটে কয়েস লোদীর বিপক্ষে অবস্থান নেন। এরপর থেকে বিষয়টির আর মীমাংসা হয়নি। নানা অজুহাতে এ ৬ মাসে আর কোন মাসিক সভাও হয়নি।
‘মেয়র কারাগারে যাচ্ছেন’ -এমন ধারণা থেকেই সম্ভবত ভোল পাল্টাচ্ছেন কাউন্সিলররা। সম্ভাব্য ভারপ্রাপ্ত মেয়র হিসেবে আলোচনায় এসেছেন মেয়র প্যানেলের প্রথম সদস্য রেজাউল হাসান কয়েস লোদী। এ যাত্রায় হয়তো তাকে দীর্ঘদিন মেয়রের ভার সামলাতে হতে পারে- তাই এখন থেকেই তার আস্থাশীল হতে চাইছেন কাউন্সিলররা। সব ভুলে সিটি করপোরেশনের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কাউন্সিলর কয়েস লোদীর কাছে ‘বায়েত’ নিতে চাইছেন। অথচ কিছুদিন আগেও নগর ভবনে কোণঠাসা ছিলেন কয়েস লোদী। এমনকি তাকে মেয়র প্যানেলের সদস্য থেকে সরিয়ে দিতে একাট্টা হয়েছিলেন অন্য কাউন্সিলররা। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সেই রেজাউল হাসান কয়েস লোদীর পালেই হাওয়া দিতে উদ্যোগী হয়েছেন তার নতুন ‘শুভাকাঙক্ষী’রা।
১২ই ডিসেম্বর ২০১৪। ঢাকা থেকে মাত্র ফিরেছেন রেজাউল হাসান কয়েস লোদী। তার মোবাইল ফোনে একটি কল আসে। কলদাতা সিলেট সিটি করপোরেশনেরই আরেক কাউন্সিলর- তৌফিক বক্স লিপন। বলেন, ভুল হয়ে গেছে। ‘ভুল’টা শুধরে নিতে কোথাও বসতে চান কয়েস লোদীর সঙ্গে। ঠিক হয় ১২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সিকন্দর আলীর শেখঘাটস্থ কার্যালয়ে বৈঠক হবে। রাতে কয়েস লোদী উপস্থিত হন বৈঠকস্থলে। লিপন বক্স তো ছিলেনই, ছিলেন ‘হোস্ট’ সিকন্দর আলী। আর ছিলেন রকিবুল ইসলাম ঝলক, সাইফুর আমিন বাকের, মুশতাক আহমদ। রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন এ ৬ কাউন্সিলর। বৈঠকের মূল সুরই ছিল কয়েস লোদীর কাছে ভুল স্বীকার-অনাস্থা এনে যে ‘ভুল’ করেছিলেন তারা। সিদ্ধান্ত হয় আরও বড় পরিসরে এ ইস্যুতে বৈঠক হবে। গত বুধবার নগরীর রয়েল শেফ চায়নিজ রেস্টুরেন্টে বসেন কয়েস লোদীর ‘শুভাকাঙক্ষী’রা। এদিন কয়েস লোদীর প্রতি পুনরায় আস্থা স্থাপন করেন এস এম আবজাদ হোসেন, মো. ইলিয়াছুর রহমান, মখলিসুর রহমান কামরান, রকিবুল ইসলাম ঝলক, সিকন্দর আলী, শান্তনু দত্ত সন্তু, সাইফুর আমিন বাকের, দিনার খান হাসু, আজাদুর রহমান আজাদ, মুশতাক আহমদ, তৌফিক বক্স লিপন, জাহানারা খানম মিলন, শামীমা স্বাধীন। কাউন্সিলর কয়েস লোদীর পরিচয় তিনি বিএনপি নেতা। তবে তার শুভাকাঙক্ষীরাও যে একই আদর্শের সৈনিক তা নয়। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলরও রয়েছেন বেশ ক’জন। এমনকি বৈঠকের মূল উদ্যোক্তা লিপন বক্স আওয়ামী লীগের সর্মথনপুষ্ট।
কয়েস লোদীর প্রতি কাউন্সিলরদের আস্থার বিষয়টি আনুষ্ঠানিক প্রতিষ্ঠার জন্য সিদ্ধান্ত হয়- তার প্রতি অনাস্থা যাতে রেজুলেশন আকারে গৃহীত না হয় সে ব্যাপারে পরদিনের নির্ধারিত মাসিক সভায় পদক্ষেপ নেয়া হবে। তবে গত বৃহস্পতিবারের মাসিক সভায় মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী উপস্থিত না থাকায় এ ব্যাপারে কিছু করা যায়নি।
কয়েস লোদীর প্রতি অনাস্থার সুর উঠেছিল গত ১০ই জুন সিলেট সিটি করপোরেশনের মাসিক সভায়। ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে এ দিন প্রথমে তাকে মেয়র প্যানেলের সদস্য পদ ত্যাগের প্রস্তাব দেন ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রেজওয়ান আহমদ। এ প্রসঙ্গে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে মেয়র প্যানেলে কয়েস লোদীর থাকা নিয়ে অনাস্থা প্রস্তাবই আনা হয়। সভায় উপস্থিত ২৯ জনের মধ্যে ২৬ জনই গোপন ভোটে কয়েস লোদীর বিপক্ষে অবস্থান নেন। এরপর থেকে বিষয়টির আর মীমাংসা হয়নি। নানা অজুহাতে এ ৬ মাসে আর কোন মাসিক সভাও হয়নি।
No comments