ইতালিতে ডিভোর্সের হার বাড়ার কারণ ‘হোয়াটসঅ্যাপ’
বিশ্বজুড়ে বেশ জনপ্রিয় মেসেঞ্জার সার্ভিস ‘হোয়াটসঅ্যাপ’। ইতালিতে হোয়াটসঅ্যাপ সবচেয়ে জনপ্রিয় বার্তা আদান-প্রদানকারী সেবা। সম্প্রতি স্মার্টফোনের এ অ্যাপটির যথেচ্ছা ও অপব্যবহারে সম্পর্কেও ধরছে ভাঙন। ফেইসবুকের বিরুদ্ধে এ অপবাদ ছিল আগেই। সে তালিকার নতুন সংযোজন হোয়াটসঅ্যাপ। অপরিচিত কোন নারী বা পুরুষের সঙ্গে অন্তরঙ্গ আলাপচারিতার জন্য ইতালির বহু নারী-পুরুষ হোয়াটসঅ্যাপকে বেছে নিয়েছেন। ইতালির শীর্ষস্থানীয় এক আইনজীবীর দেয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশটিতে ডিভোর্স বা বিয়ে বিচ্ছেদের হার বেড়েছে হোয়াটসঅ্যাপের কারণে। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এএনআই। ব্যভিচারের অভিযোগ এনে যে ডিভোর্সগুলো করা হয়েছে, তার ৪০ শতাংশই হয়েছে হোয়াটসঅ্যাপের কারণে। অসৎ স্বামী বা অসতী স্ত্রী বিয়ে বহির্ভূত সম্পর্ক গড়েছেন পরপুরুষ বা পরনারীর সঙ্গে এবং সে অবৈধ সম্পর্কের হালে পানি দিয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ। ইতালিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অব ম্যাট্রিমোনিয়াল লইয়ার্স সংগঠনের প্রেসিডেন্ট জিয়ান এত্তোরে গাসানি এ তথ্য দিয়েছেন। জিয়ান এত্তোরি বলেন, ইতালিতে বিশ্বাসঘাতকতার মাত্রাকে বাড়িয়ে দিয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। তিনি বলেন, প্রথমত মেসেজ পাঠানো, এরপর ফেইসবুক এবং এখন হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে যোগাযোগ সহজ করা হয়েছে। ব্যাপকভাবে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহৃত হচ্ছে দেশটিতে। প্রেমিক-প্রেমিকারা এখন তাদের অন্তরঙ্গ ছবি শেয়ার করতে পারেন। ব্যাভিচারীরা ৩ থেকে ৪টি সম্পর্ক গড়ে তুলছে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করে। জিয়ান বলেন, এটা ডিনামাইটের মতো। ২০১২ সালের এক জরিপ অনুযায়ী, ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং মার্কেটের ৮৮ শতাংশই ছিল হোয়াটসঅ্যাপের দখলে। জিয়ান বলেন, ইতালিতে পরিবার হচ্ছে মূলভিত্তি। কিন্তু, গত বেশ কয়েক বছর ধরে সেই পরিবার ব্যবস্থা আক্রমণের শিকার হচ্ছে এবং হোয়াটসঅ্যাপ সে তালিকার সর্বশেষ বা চূড়ান্ত সংযোজন।
No comments