ধূমকেতুতে নামল রোবটযান
ধূমকেতু সিক্সটিসেভেনপির বুকে অবতরণের আগ মুহূর্তে রোবটযান ফিলে। ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির দেওয়া ছবি l রয়টার্স |
এই
প্রথম কোনো ধূমকেতুতে রোবট নামল। বাংলাদেশ সময় গতকাল বুধবার রাত ১০টার
দিকে রোবটযান ফিলে ধূমকেতু সিক্সটিসেভেনপির ওপর অবতরণ করে। ঘটনাটি পৃথিবী
থেকে ৫১ কোটি কিলোমিটার দূরে। খবর নাসা ও বিবিসির।
বাংলাদেশ সময় গতকাল বেলা দুইটা ৩৫ মিনিটে ধূমকেতু সিক্সটিসেভেনপির কাছাকাছি অবস্থানরত ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির (ইএসএ) মহাকাশযান রোজেটা থেকে রোবটযান ফিলে বিচ্ছিন্ন হয়। এটি ধূমকেতুর পৃষ্ঠে অবতরণ করতে সাত ঘণ্টার মতো সময় নেয়। রোজেটার অভিযানে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সব দেশের পাশাপাশি সহায়তা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা।
ফিলে রোবটযান ধূমকেতুতে অবতরণের পরপরই ইএসএর মহাব্যবস্থাপক জেন-জ্যাকুয়েস ডোরিয়েন বলেন, এটি মানবসভ্যতার জন্য এটি বড় পদক্ষেপ।
গবেষকদের আশা, অভিযান সফল হলে ৪৫০ কোটি বছর আগে সৌরজগৎ সৃষ্টির সময়কার প্রকৃত রহস্য সম্পর্কে জানা যাবে।
রোবটযান কীভাবে ধূমকেতুতে অবতরণ করল, এ বিষয়ে গবেষকেরা বলেন, ধূমকেতু থেকে ১৪ মাইল (২৩ কিলোমিটার) দূরে থাকা অবস্থায়, ১০০ কেজি ওজনের ফিলে রোবটযান মহাকাশযান রোজেটা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়। কোনো রকম ইঞ্জিনের শক্তি বা দিকনির্দেশনা ছাড়াই এটি ধূমকেতুর দুর্বল মাধ্যাকর্ষণ শক্তির টানে এর ওপরে অবতরণ করে।
অভিযান শুরুর আগে ইএসএর জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞান উপদেষ্টা অধ্যাপক মার্ক ম্যাককফরিয়ান বলেছিলেন, ধূমকেতুতে ফিলের অবতরণ বিজ্ঞানী আইজ্যাক নিউটন ও পদার্থবিজ্ঞানের সূত্রের ওপর নির্ভরশীল।
রোবটযান ফিলের সফল অবতরণে সবচেয়ে বড় বাধা ছিল, চার কিলোমিটার দীর্ঘ ধূমকেতু সিক্সটিসেভেনপির অত্যন্ত কম মাধ্যাকর্ষণ। রোবটযানটি ধূমকেতুর ওপর পড়ে লাফিয়ে উঠে মহাশূন্যে হারিয়ে যেতে পারত। তাই অবতরণ নির্বিঘ্ন করতে রোবটযানটি ধূমকেতু লক্ষ্য করে হারপুন (মাছ শিকারের চোখা দণ্ডবিশেষ) ছোড়ে। আর রোবটযানের পা থেকে বের হওয়া স্ক্রু ধূমকেতুতে আটকে গিয়ে এর অবস্থান সুসংহত করে।
নাসার গবেষক আর্ট চেমিলিউস্কি বলেন, ধূমকেতু সিক্সটিসেভেনপির মাধ্যাকর্ষণ বল পৃথিবীর অভিকর্ষ বলের এক লাখ ভাগের এক ভাগ। চেমিলিউস্কি আরও বলেন, রোবটযান ফিলেতে দুটি হারপুন ও ধাক্কা সহ্য করে অবতরণের দুটি যন্ত্র আছে। এ ছাড়া এর তিনটি পায়েই একটি করে ড্রিল মেশিন আছে। এর মধ্যে একটি ছোটখাটো রকেট ইঞ্জিনও আছে। এই সবকিছুই শুধু সফল অবতরণের জন্য।
ইএসএর রোজেটা মিশনের গবেষক মেরিনা গারল্যান বলেন, ‘ধূমকেতুতে নামার প্রক্রিয়াটি ছিল খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। আমরা জানতাম না, ধূমকেতুটির উপরিভাগ কী দিয়ে গঠিত ছিল। এটি যদি শক্ত বরফের তৈরি হতো, তাহলে ফিলে রোবটযান ধূমকেতুতে স্পর্শ করার পরপরই মহাশূন্যে হারিয়ে যেত। আর যদি তুলার মতো নরম হতো, তাহলে রোবটযান ধূমকেতুর মধ্যে ডুবে যেতে পারত।’
অবতরণের পর রোবটযান ফিলের কাজ প্রসঙ্গে গবেষকেরা জানান, ধূমকেতুতে ভালোভাবে অবস্থান নিশ্চিত করার পরপরই রোবটযান চারপাশের ছবি তুলবে। দূর থেকে দেখা গভীর গর্ত ও লম্বা প্যাঁচানো বরফের ধূমকেতুটি দেখা যাবে অনেক কাছ থেকে।
বাংলাদেশ সময় গতকাল বেলা দুইটা ৩৫ মিনিটে ধূমকেতু সিক্সটিসেভেনপির কাছাকাছি অবস্থানরত ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির (ইএসএ) মহাকাশযান রোজেটা থেকে রোবটযান ফিলে বিচ্ছিন্ন হয়। এটি ধূমকেতুর পৃষ্ঠে অবতরণ করতে সাত ঘণ্টার মতো সময় নেয়। রোজেটার অভিযানে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সব দেশের পাশাপাশি সহায়তা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা।
ফিলে রোবটযান ধূমকেতুতে অবতরণের পরপরই ইএসএর মহাব্যবস্থাপক জেন-জ্যাকুয়েস ডোরিয়েন বলেন, এটি মানবসভ্যতার জন্য এটি বড় পদক্ষেপ।
গবেষকদের আশা, অভিযান সফল হলে ৪৫০ কোটি বছর আগে সৌরজগৎ সৃষ্টির সময়কার প্রকৃত রহস্য সম্পর্কে জানা যাবে।
রোবটযান কীভাবে ধূমকেতুতে অবতরণ করল, এ বিষয়ে গবেষকেরা বলেন, ধূমকেতু থেকে ১৪ মাইল (২৩ কিলোমিটার) দূরে থাকা অবস্থায়, ১০০ কেজি ওজনের ফিলে রোবটযান মহাকাশযান রোজেটা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়। কোনো রকম ইঞ্জিনের শক্তি বা দিকনির্দেশনা ছাড়াই এটি ধূমকেতুর দুর্বল মাধ্যাকর্ষণ শক্তির টানে এর ওপরে অবতরণ করে।
অভিযান শুরুর আগে ইএসএর জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞান উপদেষ্টা অধ্যাপক মার্ক ম্যাককফরিয়ান বলেছিলেন, ধূমকেতুতে ফিলের অবতরণ বিজ্ঞানী আইজ্যাক নিউটন ও পদার্থবিজ্ঞানের সূত্রের ওপর নির্ভরশীল।
রোবটযান ফিলের সফল অবতরণে সবচেয়ে বড় বাধা ছিল, চার কিলোমিটার দীর্ঘ ধূমকেতু সিক্সটিসেভেনপির অত্যন্ত কম মাধ্যাকর্ষণ। রোবটযানটি ধূমকেতুর ওপর পড়ে লাফিয়ে উঠে মহাশূন্যে হারিয়ে যেতে পারত। তাই অবতরণ নির্বিঘ্ন করতে রোবটযানটি ধূমকেতু লক্ষ্য করে হারপুন (মাছ শিকারের চোখা দণ্ডবিশেষ) ছোড়ে। আর রোবটযানের পা থেকে বের হওয়া স্ক্রু ধূমকেতুতে আটকে গিয়ে এর অবস্থান সুসংহত করে।
নাসার গবেষক আর্ট চেমিলিউস্কি বলেন, ধূমকেতু সিক্সটিসেভেনপির মাধ্যাকর্ষণ বল পৃথিবীর অভিকর্ষ বলের এক লাখ ভাগের এক ভাগ। চেমিলিউস্কি আরও বলেন, রোবটযান ফিলেতে দুটি হারপুন ও ধাক্কা সহ্য করে অবতরণের দুটি যন্ত্র আছে। এ ছাড়া এর তিনটি পায়েই একটি করে ড্রিল মেশিন আছে। এর মধ্যে একটি ছোটখাটো রকেট ইঞ্জিনও আছে। এই সবকিছুই শুধু সফল অবতরণের জন্য।
ইএসএর রোজেটা মিশনের গবেষক মেরিনা গারল্যান বলেন, ‘ধূমকেতুতে নামার প্রক্রিয়াটি ছিল খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। আমরা জানতাম না, ধূমকেতুটির উপরিভাগ কী দিয়ে গঠিত ছিল। এটি যদি শক্ত বরফের তৈরি হতো, তাহলে ফিলে রোবটযান ধূমকেতুতে স্পর্শ করার পরপরই মহাশূন্যে হারিয়ে যেত। আর যদি তুলার মতো নরম হতো, তাহলে রোবটযান ধূমকেতুর মধ্যে ডুবে যেতে পারত।’
অবতরণের পর রোবটযান ফিলের কাজ প্রসঙ্গে গবেষকেরা জানান, ধূমকেতুতে ভালোভাবে অবস্থান নিশ্চিত করার পরপরই রোবটযান চারপাশের ছবি তুলবে। দূর থেকে দেখা গভীর গর্ত ও লম্বা প্যাঁচানো বরফের ধূমকেতুটি দেখা যাবে অনেক কাছ থেকে।
No comments