ফিটনেসবিহীন ১১০ গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা
রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে ফিটনেসবিহীন গাড়ি ও লাইসেন্সবিহীন চালকের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। অভিযানের তৃতীয় দিন বুধবার রাজধানীতে ঢাকা জেলা প্রশাসন ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চারজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন। সঠিক কাগজপত্র না থাকায় ১১০টি গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। প্রায় এক লাখ টাকা জরিমানা, ৯টি গাড়ির কাগজপত্র জব্দ এবং একটি গাড়ি ডাম্পিং করা হয়।
এদিকে অভিযান অব্যাহত থাকায় বেকায়দায় পড়েছেন পরিবহন সংশ্লিষ্টরা। কয়েকটি পরিবহন সংগঠন ও নেতারা এ অভিযান বন্ধের চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে। যদিও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের গাজীপুরে বলেছেন, যে কোনো দিন যে কোনো স্থানে অভিযান চলবে।এদিকে অভিযান অব্যাহত থাকায় সড়ক-মহাসড়কে অবৈধ গাড়ি চলাচল কমে গেছে। এতে রাজধানীসহ সারাদেশেই গাড়ির সংকট দেখা দিয়েছে। ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। রাজধানীর শাহবাগ, কারওয়ান বাজার, মহাখালী, মিরপুর, উত্তরা, আজিমপুর, তেজগাঁওসহ বিভিন্ন বাস স্টপেজগুলোতে যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে।পরিবহন সংকটের কারণে গাড়ি পাওয়া মাত্রই হুমড়ি খেয়ে যাত্রী উঠতে দেখা গেছে। ভিড় ও চাপাচাপিতে বিপাকে পড়ছেন নারী ও শিশুরা। এদিকে যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড় পুঁজি করে বেশ কিছু পরিবহন অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে। মিরপুর, উত্তরাসহ কয়েকটি রুটের লোকাল গাড়ি হঠাৎ করেই সিটিং সার্ভিসের নামে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে।উত্তরার যাত্রী আলী আহসান জানান, সাধারণ সময়ে শাহবাগ থেকে উত্তরা পর্যন্ত ২৫-৩০ টাকা ভাড়া। কিন্তু বুধবার এয়ারপোর্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউ পরিবহনের কয়েকটি বাস সিটিং সার্ভিসের নামে ৫০-৬০ টাকা ভাড়া নিয়েছে। একই অভিযোগ পাওয়া গেছে সদরঘাট থেকে মিরপুর রুটের গাড়ি চলাচলের ক্ষেত্রেও।ঢাকা জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বুধবার দুজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছেন। এর মধ্যে ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম শাহবাগ ও মিরপুর সড়কে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন। তিনি ৫১টি মামলা ও ৪২ হাজার ৬০০ টাকা জরিমানা করেছেন। জেলা প্রশাসনের আরেক ম্যাজিস্ট্রেট শারমীন আক্তার বাবুবাজার এলাকায় ১৪টি গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা ও ২৫ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করেছেন। বিআরটিএর তিনজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দুজন ঢাকায় ও একজন গাজীপুরের মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছেন। রাজধানীর বাংলামোটরে ম্যাজিস্ট্রেট দেবাশীষ নাগ ২৬টি মামলা, ১১ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা ও ৯টি গাড়ির কাগজপত্র জব্দ করেছেন। আরেক ম্যাজিস্ট্রেট নাসিরুল্লাহ খান কলাবাগান এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ১৯টি মামলা, ১৮ হাজার ৭০০ টাকা জরিমানা ও একটি গাড়ি ডাম্পিংয়ের আদেশ দেন।সরজমিনে দেখা গেছে, যেসব স্পটে মোবাইল কোর্ট অভিযান চালিয়েছে, তার আগে-পরে যাত্রী নামিয়ে গাড়ি ঘুরিয়ে দিয়েছে চালকরা। যাত্রীদের গন্তব্যে না নিয়ে নেমে যেতে বাধ্য করা হয়েছে।এদিকে অভিযানের নামে হয়রানি ও মিথ্যা মামলা দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের একাধিক সংগঠন । বাংলাদেশ ট্রাক ও কভার্ডভ্যান মালিক সমিতি, বাংলাদেশ ট্রাক ও কভার্ডভ্যান ড্রাইভার্স ইউনিয়নসহ বেশ কয়েকটি সংগঠন গাড়ি আটকের নামে হয়রানি বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন।
এদিকে অভিযান অব্যাহত থাকায় বেকায়দায় পড়েছেন পরিবহন সংশ্লিষ্টরা। কয়েকটি পরিবহন সংগঠন ও নেতারা এ অভিযান বন্ধের চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে। যদিও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের গাজীপুরে বলেছেন, যে কোনো দিন যে কোনো স্থানে অভিযান চলবে।এদিকে অভিযান অব্যাহত থাকায় সড়ক-মহাসড়কে অবৈধ গাড়ি চলাচল কমে গেছে। এতে রাজধানীসহ সারাদেশেই গাড়ির সংকট দেখা দিয়েছে। ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। রাজধানীর শাহবাগ, কারওয়ান বাজার, মহাখালী, মিরপুর, উত্তরা, আজিমপুর, তেজগাঁওসহ বিভিন্ন বাস স্টপেজগুলোতে যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে।পরিবহন সংকটের কারণে গাড়ি পাওয়া মাত্রই হুমড়ি খেয়ে যাত্রী উঠতে দেখা গেছে। ভিড় ও চাপাচাপিতে বিপাকে পড়ছেন নারী ও শিশুরা। এদিকে যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড় পুঁজি করে বেশ কিছু পরিবহন অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে। মিরপুর, উত্তরাসহ কয়েকটি রুটের লোকাল গাড়ি হঠাৎ করেই সিটিং সার্ভিসের নামে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে।উত্তরার যাত্রী আলী আহসান জানান, সাধারণ সময়ে শাহবাগ থেকে উত্তরা পর্যন্ত ২৫-৩০ টাকা ভাড়া। কিন্তু বুধবার এয়ারপোর্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউ পরিবহনের কয়েকটি বাস সিটিং সার্ভিসের নামে ৫০-৬০ টাকা ভাড়া নিয়েছে। একই অভিযোগ পাওয়া গেছে সদরঘাট থেকে মিরপুর রুটের গাড়ি চলাচলের ক্ষেত্রেও।ঢাকা জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বুধবার দুজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছেন। এর মধ্যে ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম শাহবাগ ও মিরপুর সড়কে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন। তিনি ৫১টি মামলা ও ৪২ হাজার ৬০০ টাকা জরিমানা করেছেন। জেলা প্রশাসনের আরেক ম্যাজিস্ট্রেট শারমীন আক্তার বাবুবাজার এলাকায় ১৪টি গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা ও ২৫ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করেছেন। বিআরটিএর তিনজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দুজন ঢাকায় ও একজন গাজীপুরের মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছেন। রাজধানীর বাংলামোটরে ম্যাজিস্ট্রেট দেবাশীষ নাগ ২৬টি মামলা, ১১ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা ও ৯টি গাড়ির কাগজপত্র জব্দ করেছেন। আরেক ম্যাজিস্ট্রেট নাসিরুল্লাহ খান কলাবাগান এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ১৯টি মামলা, ১৮ হাজার ৭০০ টাকা জরিমানা ও একটি গাড়ি ডাম্পিংয়ের আদেশ দেন।সরজমিনে দেখা গেছে, যেসব স্পটে মোবাইল কোর্ট অভিযান চালিয়েছে, তার আগে-পরে যাত্রী নামিয়ে গাড়ি ঘুরিয়ে দিয়েছে চালকরা। যাত্রীদের গন্তব্যে না নিয়ে নেমে যেতে বাধ্য করা হয়েছে।এদিকে অভিযানের নামে হয়রানি ও মিথ্যা মামলা দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের একাধিক সংগঠন । বাংলাদেশ ট্রাক ও কভার্ডভ্যান মালিক সমিতি, বাংলাদেশ ট্রাক ও কভার্ডভ্যান ড্রাইভার্স ইউনিয়নসহ বেশ কয়েকটি সংগঠন গাড়ি আটকের নামে হয়রানি বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন।
No comments