আনসারুল্লাহর হিটলিস্টে ৪২
আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের (এবিটি) হিটলিস্টে ৪২ জনের নাম পাওয়া গেছে, যাদেরকে হত্যার উদ্দেশে অপারেশনাল টিম নানা কৌশল অবলম্বন করছে। তালিকায় থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে বেশিরভাগই ব্লগার। এ ছাড়া রয়েছে সরকারের সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী ও মনিপুর স্কুলের একজন শিক্ষক। এ দু’জন সম্প্রতি ধর্ম সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করেন। এদের হত্যার মূল ছক তৈরি করেছেন এবিটির অপারেশন টিমের প্রধান রেজওয়ানুল আজাদ রানা। গোয়েন্দা সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সম্প্রতি রানা দেশের বাইরে থেকে ঢাকায় এসেছেন বলে গোয়েন্দারা জানতে পারেন। থাবা বাবা ব্লগের ব্লগার রাজীব হায়দার শোভন হত্যার হোতা ছিলেন রানা। ওই ঘটনার পর রানা আত্মগোপন করেন। কিন্তু কয়েক দিন আগে ডিবি পুলিশ জানতে পারে রানা এখন দেশেই আছেন। তিনি এবিটির অপারেশন টিমের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে নিয়মিত ডায়েরি ব্যবহার করেন। ইতিমধ্যে গ্রেফতার হওয়া এবিটির অনুবাদক জুম্মন অর্নব ডিবি পুলিশকে এসব তথ্য জানান। রানার সঙ্গে পাকিস্তানে থাকা এবিটির সামরিক কমান্ডার ইজাজের নিয়মিত যোগাযোগ হয়।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার (এসি) একেএম মাহবুবুর রহমান যুগান্তরকে বলেন, এবিটির অপারেশনাল টিমকে তথ্য প্রদান করে থাকে গণমাধ্যম শাখার সদস্যরা। আর পর্যবেক্ষক ও গোয়েন্দা দল সব রুট দেখে পরে হত্যার দিনক্ষণ ঠিক করে থাকে।
ডিবির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, ধর্ম নিয়ে যারা কটাক্ষ বা বিরূপ মন্তব্য করে থাকে তাদের তথাকথিত ঈমানি দায়িত্ব নিয়ে হত্যা অনিবার্য বলে মনে করে এবিটির সদস্যরা। বিশেষ করে এরা অনলাইন ঘেঁটে ব্লগারদের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণের পর তালিকা তৈরি করে থাকে। এ ধরনের একটি তালিকা গোয়েন্দারা হাতে পেয়েছেন বলে জানান সাইফুল ইসলাম। এই গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, চারটি ধারায় কাজ করে এবিটি। এরমধ্যে সর্বশেষ কিতাল ধারার মাধ্যমে হত্যাকাণ্ড ঘটনোর পরিকল্পনা করে এবিটির অপারেশন টিম। এই টিমের প্রধান রানা বর্তমানে ঢাকায় আছেন। সম্প্রতি তিনি মিরপুরের একজন স্কুলশিক্ষককে হত্যা করতে চেয়েছিলেন।
গোয়েন্দা সূত্র জানায়, এবিটির গণমাধ্যম শাখার প্রধান মোরশেদ আলম ও অনুবাদক অর্নবের তথ্য অনুযায়ী, তারা শুধু ব্লগ ঘেঁটে ধর্মের প্রতি কটাক্ষকারীদের তালিকা করতেন। এই তালিকা তারা পাঠাতেন অপারেশন টিমের কাছে। তবে অনেকের সঙ্গে তাদের অনলাইনের মাধ্যমে যোগাযোগ ও তথ্য আদান-প্রদান হতো। পুরো বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করা হয় পাকিস্তান থেকে।
আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের হিটলিস্টে নাম রয়েছে- ফরহাদ ইদ্দন স্বপন, দুস্যবনহুর, ঘনাদা, রাহান, অন্যকেউ, পাপী ০০৭, হোরাস, প্রশ্নোত্তর, ভালমানুষ, ভণ্ডপীর, বৈকুণ্ঠ, সত্যান্বেষী, পড়ুয়া, হাল্ক (সানাউল), বিপ্লব ০০৭, রাস্তার ছেলে, ঘাতক, বিশাল বিডি, সাহোশি ৬, লাইটহাউজ, মমতা জাহান, রাতমজুর, কৌশিক, মেঘদূত, আরিফুর রহমান, মনির হাসান, বৃত্তবন্দি, সবাক, শয়তান, মনজুরুল হক, রাসেল, নাস্তিকের ধর্মকতা, দূরের পাখি, আরিফুল হক তুহিন, তিতি আনা, নাজিম উদ্দিন ও আলমগীর কুমকুম।
এবিটি নিয়ে কাজ করা ডিবি পুলিশের অপারেশনাল ও অনুসন্ধানী টিমের একজন কর্মকর্তা বলেন, গণজাগরণ মঞ্চ বন্ধ করে দেয়াসহ কয়েকজন ‘নাস্তিক’ ব্লগারের ফাঁসির দাবিতে হেফাজতে ইসলাম যে তালিকা তৈরি করেছিল ওই তালিকায় ৮৪টি ব্লগের কথা উল্লেখ ছিল, যা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছিল হেফাজত। ওই তালিকার সঙ্গেও এবিটির হিটলিস্টের মিল রয়েছে। বিভিন্ন সময় এবিটির সদস্যরাই ব্লগার আসিফ মহিউদ্দিন, সুব্রত অধিকারী শুভ, মশিউর রহমান বিপ্লব ও রাসেল পারভেজকে টার্গেট করেছিল। অবশ্য গোয়েন্দা পুলিশ এই চার ব্লগারকে গ্রেফতার করে। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার শেখ নাজমুল আলম যুগান্তরকে বলেন, গোপীবাগে ইমাম মাহদীর প্রধান সেনাপতি দাবিদার লুৎফর রহমান ফারুক ও তার সহযোগীরা যেভাবে খুনের শিকার হয়েছেন ঠিক তেমন করেই এবিটি হিটলিস্টে থাকা ব্যক্তিদের হত্যার পরিকল্পনা করেছে। তিনি জানান, হত্যাকাণ্ডের অপারেশনাল টিমের মূল হোতা রানা ও তার সহযোগী নবীর ওরফে নবীন, সায়েম ও আবদুল্লাহকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
ডিবি পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এবিটির সদস্য তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে নতুন নতুন কৌশল অবলম্বন করছে। আশ্রয় নিচ্ছে আধুনিক প্রযুক্তির। খেলাধুলার কৌশল নিয়েও টার্গেট এলাকায় ঘোরাফেরা করে। বিশেষ করে ব্লগার রাজীব খুনের সময় তারা পল্লবীতে তার বাসার সামনে ক্রিকেট খেলছিল। পরে তাকে সুযোগ বুঝে হত্যা করা হয়। এবিটির অপারেশনাল টিমের সদস্যরা সাইকেল ব্যবহার করে থাকে। যেকোনো অপরাধের পর যানজটের নগরীতে যাতে সহজেই পার পেয়ে যেতে পারে সেজন্যই সাইকেল ব্যবহারের এ কৌশল।
সম্প্রতি রানা দেশের বাইরে থেকে ঢাকায় এসেছেন বলে গোয়েন্দারা জানতে পারেন। থাবা বাবা ব্লগের ব্লগার রাজীব হায়দার শোভন হত্যার হোতা ছিলেন রানা। ওই ঘটনার পর রানা আত্মগোপন করেন। কিন্তু কয়েক দিন আগে ডিবি পুলিশ জানতে পারে রানা এখন দেশেই আছেন। তিনি এবিটির অপারেশন টিমের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে নিয়মিত ডায়েরি ব্যবহার করেন। ইতিমধ্যে গ্রেফতার হওয়া এবিটির অনুবাদক জুম্মন অর্নব ডিবি পুলিশকে এসব তথ্য জানান। রানার সঙ্গে পাকিস্তানে থাকা এবিটির সামরিক কমান্ডার ইজাজের নিয়মিত যোগাযোগ হয়।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার (এসি) একেএম মাহবুবুর রহমান যুগান্তরকে বলেন, এবিটির অপারেশনাল টিমকে তথ্য প্রদান করে থাকে গণমাধ্যম শাখার সদস্যরা। আর পর্যবেক্ষক ও গোয়েন্দা দল সব রুট দেখে পরে হত্যার দিনক্ষণ ঠিক করে থাকে।
ডিবির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, ধর্ম নিয়ে যারা কটাক্ষ বা বিরূপ মন্তব্য করে থাকে তাদের তথাকথিত ঈমানি দায়িত্ব নিয়ে হত্যা অনিবার্য বলে মনে করে এবিটির সদস্যরা। বিশেষ করে এরা অনলাইন ঘেঁটে ব্লগারদের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণের পর তালিকা তৈরি করে থাকে। এ ধরনের একটি তালিকা গোয়েন্দারা হাতে পেয়েছেন বলে জানান সাইফুল ইসলাম। এই গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, চারটি ধারায় কাজ করে এবিটি। এরমধ্যে সর্বশেষ কিতাল ধারার মাধ্যমে হত্যাকাণ্ড ঘটনোর পরিকল্পনা করে এবিটির অপারেশন টিম। এই টিমের প্রধান রানা বর্তমানে ঢাকায় আছেন। সম্প্রতি তিনি মিরপুরের একজন স্কুলশিক্ষককে হত্যা করতে চেয়েছিলেন।
গোয়েন্দা সূত্র জানায়, এবিটির গণমাধ্যম শাখার প্রধান মোরশেদ আলম ও অনুবাদক অর্নবের তথ্য অনুযায়ী, তারা শুধু ব্লগ ঘেঁটে ধর্মের প্রতি কটাক্ষকারীদের তালিকা করতেন। এই তালিকা তারা পাঠাতেন অপারেশন টিমের কাছে। তবে অনেকের সঙ্গে তাদের অনলাইনের মাধ্যমে যোগাযোগ ও তথ্য আদান-প্রদান হতো। পুরো বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করা হয় পাকিস্তান থেকে।
আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের হিটলিস্টে নাম রয়েছে- ফরহাদ ইদ্দন স্বপন, দুস্যবনহুর, ঘনাদা, রাহান, অন্যকেউ, পাপী ০০৭, হোরাস, প্রশ্নোত্তর, ভালমানুষ, ভণ্ডপীর, বৈকুণ্ঠ, সত্যান্বেষী, পড়ুয়া, হাল্ক (সানাউল), বিপ্লব ০০৭, রাস্তার ছেলে, ঘাতক, বিশাল বিডি, সাহোশি ৬, লাইটহাউজ, মমতা জাহান, রাতমজুর, কৌশিক, মেঘদূত, আরিফুর রহমান, মনির হাসান, বৃত্তবন্দি, সবাক, শয়তান, মনজুরুল হক, রাসেল, নাস্তিকের ধর্মকতা, দূরের পাখি, আরিফুল হক তুহিন, তিতি আনা, নাজিম উদ্দিন ও আলমগীর কুমকুম।
এবিটি নিয়ে কাজ করা ডিবি পুলিশের অপারেশনাল ও অনুসন্ধানী টিমের একজন কর্মকর্তা বলেন, গণজাগরণ মঞ্চ বন্ধ করে দেয়াসহ কয়েকজন ‘নাস্তিক’ ব্লগারের ফাঁসির দাবিতে হেফাজতে ইসলাম যে তালিকা তৈরি করেছিল ওই তালিকায় ৮৪টি ব্লগের কথা উল্লেখ ছিল, যা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছিল হেফাজত। ওই তালিকার সঙ্গেও এবিটির হিটলিস্টের মিল রয়েছে। বিভিন্ন সময় এবিটির সদস্যরাই ব্লগার আসিফ মহিউদ্দিন, সুব্রত অধিকারী শুভ, মশিউর রহমান বিপ্লব ও রাসেল পারভেজকে টার্গেট করেছিল। অবশ্য গোয়েন্দা পুলিশ এই চার ব্লগারকে গ্রেফতার করে। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার শেখ নাজমুল আলম যুগান্তরকে বলেন, গোপীবাগে ইমাম মাহদীর প্রধান সেনাপতি দাবিদার লুৎফর রহমান ফারুক ও তার সহযোগীরা যেভাবে খুনের শিকার হয়েছেন ঠিক তেমন করেই এবিটি হিটলিস্টে থাকা ব্যক্তিদের হত্যার পরিকল্পনা করেছে। তিনি জানান, হত্যাকাণ্ডের অপারেশনাল টিমের মূল হোতা রানা ও তার সহযোগী নবীর ওরফে নবীন, সায়েম ও আবদুল্লাহকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
ডিবি পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এবিটির সদস্য তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে নতুন নতুন কৌশল অবলম্বন করছে। আশ্রয় নিচ্ছে আধুনিক প্রযুক্তির। খেলাধুলার কৌশল নিয়েও টার্গেট এলাকায় ঘোরাফেরা করে। বিশেষ করে ব্লগার রাজীব খুনের সময় তারা পল্লবীতে তার বাসার সামনে ক্রিকেট খেলছিল। পরে তাকে সুযোগ বুঝে হত্যা করা হয়। এবিটির অপারেশনাল টিমের সদস্যরা সাইকেল ব্যবহার করে থাকে। যেকোনো অপরাধের পর যানজটের নগরীতে যাতে সহজেই পার পেয়ে যেতে পারে সেজন্যই সাইকেল ব্যবহারের এ কৌশল।
No comments