ছাত্রলীগ শৃঙ্খলা না মানলে দরকার নেই: প্রধানমন্ত্রী by একরামুল হক ও তাসনীম হাসান
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বিরোধ মেটাতে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ছাত্রলীগের কেউ যদি শৃঙ্খলা না মানে এবং অনৈতিক কাজে জড়ায় সংগঠন থেকে তাদের বের করে দিতে হবে।
গতকাল বুধবার চট্টগ্রাম সেনানিবাসে রাষ্ট্রীয় কর্মসূচির ফাঁকে খাবারের টেবিলে দুই নেতার সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। সরকার ও আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল একটি সূত্র প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সেখানে দুই নেতার আলাপের বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন।
দলীয় সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ডে প্রধানমন্ত্রী ক্ষুব্ধ। তিনি প্রথমে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিনের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী তাঁকে বলেন, ‘ভার্সিটিতে কেন গন্ডগোল হচ্ছে? ক্যাম্পাসকে শৃঙ্খলার মধ্যে আনতে হবে। ছাত্রলীগের যারা সিদ্ধান্ত মানবে না, অনৈতিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত থাকবে-সেই ছাত্রলীগ আমার দরকার নেই। ক্যাম্পাসের পরিবেশ কোনোভাবে নষ্ট হতে দেওয়া যাবে না। এক মুহূর্তের জন্য শিক্ষাজীবন নষ্ট করা যাবে না। ক্যাম্পাস খোলা রাখতে হবে। শিক্ষার সুন্দর পরিবেশ বজায় রাখতে হবে।’
যোগাযোগ করা হলে আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, ‘ক্যাম্পাসে যারা গন্ডগোল করছে সেই ছাত্রলীগের প্রয়োজন নেই বলে প্রধানমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন। সরকার স্থিতিশীল শিক্ষার পরিবেশ চায়। যারা এসব করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। ক্যাম্পাসে অস্থিতিশীল পরিবেশ মেনে নেওয়া হবে না।’
সূত্র জানায়, আ জ ম নাছিরের সঙ্গে কথা বলার পর প্রধানমন্ত্রী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীকে ডাকেন। তিনি দলীয় শৃঙ্খলার বিষয়ে তাঁর কঠোর মনোভাব জানিয়ে দেন মহিউদ্দিন চৌধুরীকে। এ সময় মহিউদ্দিন চৌধুরী প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, ‘যারা ক্যাম্পাসে হাঙ্গামা করছে, ওরা ছাত্রলীগ করে কি না সন্দেহ। এসব হচ্ছে ব্যবসার জন্য। সব সমস্যার মূলে রয়েছে ব্যবসা।’
এরপর প্রধানমন্ত্রী আবার আ জ ম নাছিরকে ডেকে মহিউদ্দিন চৌধুরীর মুখোমুখি করান। এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি নাছিরকে সব বলেছি। আপনাকেও (মহিউদ্দিন) বলছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যা দ্রুত সমাধান করুন। যারা কথা শুনবে না তাদের বের করে দিন।’
এ বিষয়ে এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘ক্যাম্পাসের প্রশাসক ঠিক থাকলে সমস্যা এত দূর পর্যন্ত গড়াত না। এখন আমরা বসে দ্রুত সমাধান বের করব।’
সরকারের একটি দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, গত শনিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামে বিমান বাহিনীর একটি কর্মসূচিতে যোগ দেন। সেদিন চট্টগ্রাম রেঞ্জের উপমহাপুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম ও চট্টগ্রামের জেলা পুলিশ সুপার এ কে এম হাফিজ আক্তার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের কোন্দল-সংঘাত নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রীর কাছে পুরো পরিস্থিতি তুলে ধরেন। এই দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে বিষয়টি রাজনৈতিকভাবে সমাধানের প্রস্তাব দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে।
এ বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, ‘আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে গত শনিবার সব খুলে বলেছি। তিনি মন দিয়ে আমাদের কথা শুনেছেন। আমরা এখন আশাবাদী। কারণ সমাধান রাজনৈতিকভাবে হবে।’
এই পুলিশ কর্মকর্তা জানান, ‘সমস্যা সমাধানে ১৫ নভেম্বর যৌথ বৈঠক হবে। সেখানে রাজনৈতিক নেতা, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতারা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবদমান পক্ষের নেতারা উপস্থিত থাকবেন।’
ছাত্রলীগের মধ্যে সমস্যা যে কারণে: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুটি পক্ষের মধ্যে এক বছর ধরে বিরোধ চলছে। পক্ষ দুটি হলো ‘ভিএক্স’ (ভার্সিটি এক্সপ্রেস) এবং ‘ক্যাম্পাস ছাত্রলীগ’ ও ‘সিএফসি’ (চুজ ফ্রেন্ডস উয়িথ কেয়ার)। এর মধ্যে ভিএক্স পক্ষের বাধার মুখে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারছে না সিএফসি ও ক্যাম্পাস ছাত্রলীগ। ফলে এই পক্ষটি রাজনৈতিক নেতাদের সহযোগিতায় ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে চায়।
‘ক্যাম্পাস ছাত্রলীগ’ ও ‘সিএফসি’ পক্ষের নেতা-কর্মীদের অভিযোগ, উপাচার্যের সঙ্গে ভিএক্স পক্ষের সখ্য রয়েছে। তবে বিবদমান দুটি পক্ষই মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, ২০১৩ সালের নভেম্বরে ভিএক্স পক্ষের কর্মী রুবেল দেসহ কয়েকজনের হাতে লাঞ্ছিত হন ক্যাম্পাস ছাত্রলীগ ও সিএফসি পক্ষের নেতা সুমন মামুন। এ ঘটনার পর দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। সর্বশেষ এ বছরের ৫ এপ্রিল ভিএক্স পক্ষের হাতে লাঞ্ছিত হন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাসির হায়দার।
নাসির হায়দারের ওপর হামলার প্রতিবাদে ও ভিএক্স পক্ষের নেতাদের শাস্তির দাবিতে আন্দোলন শুরু করে সিএফসি ও ক্যাম্পাস ছাত্রলীগ পক্ষ। তারা ৭ মে থেকে ১৩ মে পর্যন্ত অবরোধ করে ক্যাম্পাস। এতে টানা সাত দিন অচল ছিল বিশ্ববিদ্যালয়। এ ছাড়া দুটি পক্ষের ধর্মঘটসহ বিভিন্ন কর্মসূচির কারণে বিশ্ববিদ্যালয় এ বছর ১৬ দিন অচল ছিল।
নানা বিতর্ক ও দফায় দফায় সংঘর্ষের জের ধরে চলতি বছরের ১০ জুন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সংসদ। কমিটি ভেঙে দেওয়ার পর দুই পক্ষের মধ্যে সংঘাত আরও বেড়ে যায়।
এদিকে মহিউদ্দিন চৌধুরীকে জড়িয়ে উপাচার্য আনোয়ারুল আজিমের দেওয়া বক্তব্য নিয়ে ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের একপক্ষের মধ্যে প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। উপাচার্য বলেছিলেন, ‘তিনি (মহিউদ্দিন চৌধুরী) চান বহিরাগতরা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে উঠুক।’
এ বিষয়ে সিএফসি ও ক্যাম্পাস ছাত্রলীগ পক্ষের নেতা অমিত কুমার বসু প্রথম আলোকে বলেন, ‘একজন উপাচার্য শুধু তাঁর ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করতে সন্তানতুল্য দুই শতাধিক বৈধ শিক্ষার্থীকে অবৈধ হিসেবে বলতেও কুণ্ঠাবোধ করেননি। এটি কোনো ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রের অংশ কি না খতিয়ে দেখা দরকার। উপাচার্য মহোদয়কে প্রমাণ করতে হবে একজন বৈধ শিক্ষার্থী কীভাবে অবৈধ হন।’
ভিএক্স পক্ষের নেতা এস এম আরিফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘মহিউদ্দিন চৌধুরী আমাদের নেতা। উনি যেভাবেই বলেন সেভাবেই আমরা কাজ করব। তবে আমাদের অনুরোধ, যারা অতীতে অপকর্ম করেছে তারা বাদে অন্যরা হলে উঠুক।’
গতকাল বুধবার চট্টগ্রাম সেনানিবাসে রাষ্ট্রীয় কর্মসূচির ফাঁকে খাবারের টেবিলে দুই নেতার সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। সরকার ও আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল একটি সূত্র প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সেখানে দুই নেতার আলাপের বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন।
দলীয় সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ডে প্রধানমন্ত্রী ক্ষুব্ধ। তিনি প্রথমে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিনের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী তাঁকে বলেন, ‘ভার্সিটিতে কেন গন্ডগোল হচ্ছে? ক্যাম্পাসকে শৃঙ্খলার মধ্যে আনতে হবে। ছাত্রলীগের যারা সিদ্ধান্ত মানবে না, অনৈতিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত থাকবে-সেই ছাত্রলীগ আমার দরকার নেই। ক্যাম্পাসের পরিবেশ কোনোভাবে নষ্ট হতে দেওয়া যাবে না। এক মুহূর্তের জন্য শিক্ষাজীবন নষ্ট করা যাবে না। ক্যাম্পাস খোলা রাখতে হবে। শিক্ষার সুন্দর পরিবেশ বজায় রাখতে হবে।’
যোগাযোগ করা হলে আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, ‘ক্যাম্পাসে যারা গন্ডগোল করছে সেই ছাত্রলীগের প্রয়োজন নেই বলে প্রধানমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন। সরকার স্থিতিশীল শিক্ষার পরিবেশ চায়। যারা এসব করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। ক্যাম্পাসে অস্থিতিশীল পরিবেশ মেনে নেওয়া হবে না।’
সূত্র জানায়, আ জ ম নাছিরের সঙ্গে কথা বলার পর প্রধানমন্ত্রী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীকে ডাকেন। তিনি দলীয় শৃঙ্খলার বিষয়ে তাঁর কঠোর মনোভাব জানিয়ে দেন মহিউদ্দিন চৌধুরীকে। এ সময় মহিউদ্দিন চৌধুরী প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, ‘যারা ক্যাম্পাসে হাঙ্গামা করছে, ওরা ছাত্রলীগ করে কি না সন্দেহ। এসব হচ্ছে ব্যবসার জন্য। সব সমস্যার মূলে রয়েছে ব্যবসা।’
এরপর প্রধানমন্ত্রী আবার আ জ ম নাছিরকে ডেকে মহিউদ্দিন চৌধুরীর মুখোমুখি করান। এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি নাছিরকে সব বলেছি। আপনাকেও (মহিউদ্দিন) বলছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যা দ্রুত সমাধান করুন। যারা কথা শুনবে না তাদের বের করে দিন।’
এ বিষয়ে এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘ক্যাম্পাসের প্রশাসক ঠিক থাকলে সমস্যা এত দূর পর্যন্ত গড়াত না। এখন আমরা বসে দ্রুত সমাধান বের করব।’
সরকারের একটি দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, গত শনিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামে বিমান বাহিনীর একটি কর্মসূচিতে যোগ দেন। সেদিন চট্টগ্রাম রেঞ্জের উপমহাপুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম ও চট্টগ্রামের জেলা পুলিশ সুপার এ কে এম হাফিজ আক্তার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের কোন্দল-সংঘাত নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রীর কাছে পুরো পরিস্থিতি তুলে ধরেন। এই দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে বিষয়টি রাজনৈতিকভাবে সমাধানের প্রস্তাব দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে।
এ বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, ‘আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে গত শনিবার সব খুলে বলেছি। তিনি মন দিয়ে আমাদের কথা শুনেছেন। আমরা এখন আশাবাদী। কারণ সমাধান রাজনৈতিকভাবে হবে।’
এই পুলিশ কর্মকর্তা জানান, ‘সমস্যা সমাধানে ১৫ নভেম্বর যৌথ বৈঠক হবে। সেখানে রাজনৈতিক নেতা, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতারা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবদমান পক্ষের নেতারা উপস্থিত থাকবেন।’
ছাত্রলীগের মধ্যে সমস্যা যে কারণে: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুটি পক্ষের মধ্যে এক বছর ধরে বিরোধ চলছে। পক্ষ দুটি হলো ‘ভিএক্স’ (ভার্সিটি এক্সপ্রেস) এবং ‘ক্যাম্পাস ছাত্রলীগ’ ও ‘সিএফসি’ (চুজ ফ্রেন্ডস উয়িথ কেয়ার)। এর মধ্যে ভিএক্স পক্ষের বাধার মুখে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারছে না সিএফসি ও ক্যাম্পাস ছাত্রলীগ। ফলে এই পক্ষটি রাজনৈতিক নেতাদের সহযোগিতায় ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে চায়।
‘ক্যাম্পাস ছাত্রলীগ’ ও ‘সিএফসি’ পক্ষের নেতা-কর্মীদের অভিযোগ, উপাচার্যের সঙ্গে ভিএক্স পক্ষের সখ্য রয়েছে। তবে বিবদমান দুটি পক্ষই মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, ২০১৩ সালের নভেম্বরে ভিএক্স পক্ষের কর্মী রুবেল দেসহ কয়েকজনের হাতে লাঞ্ছিত হন ক্যাম্পাস ছাত্রলীগ ও সিএফসি পক্ষের নেতা সুমন মামুন। এ ঘটনার পর দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। সর্বশেষ এ বছরের ৫ এপ্রিল ভিএক্স পক্ষের হাতে লাঞ্ছিত হন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাসির হায়দার।
নাসির হায়দারের ওপর হামলার প্রতিবাদে ও ভিএক্স পক্ষের নেতাদের শাস্তির দাবিতে আন্দোলন শুরু করে সিএফসি ও ক্যাম্পাস ছাত্রলীগ পক্ষ। তারা ৭ মে থেকে ১৩ মে পর্যন্ত অবরোধ করে ক্যাম্পাস। এতে টানা সাত দিন অচল ছিল বিশ্ববিদ্যালয়। এ ছাড়া দুটি পক্ষের ধর্মঘটসহ বিভিন্ন কর্মসূচির কারণে বিশ্ববিদ্যালয় এ বছর ১৬ দিন অচল ছিল।
নানা বিতর্ক ও দফায় দফায় সংঘর্ষের জের ধরে চলতি বছরের ১০ জুন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সংসদ। কমিটি ভেঙে দেওয়ার পর দুই পক্ষের মধ্যে সংঘাত আরও বেড়ে যায়।
এদিকে মহিউদ্দিন চৌধুরীকে জড়িয়ে উপাচার্য আনোয়ারুল আজিমের দেওয়া বক্তব্য নিয়ে ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের একপক্ষের মধ্যে প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। উপাচার্য বলেছিলেন, ‘তিনি (মহিউদ্দিন চৌধুরী) চান বহিরাগতরা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে উঠুক।’
এ বিষয়ে সিএফসি ও ক্যাম্পাস ছাত্রলীগ পক্ষের নেতা অমিত কুমার বসু প্রথম আলোকে বলেন, ‘একজন উপাচার্য শুধু তাঁর ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করতে সন্তানতুল্য দুই শতাধিক বৈধ শিক্ষার্থীকে অবৈধ হিসেবে বলতেও কুণ্ঠাবোধ করেননি। এটি কোনো ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রের অংশ কি না খতিয়ে দেখা দরকার। উপাচার্য মহোদয়কে প্রমাণ করতে হবে একজন বৈধ শিক্ষার্থী কীভাবে অবৈধ হন।’
ভিএক্স পক্ষের নেতা এস এম আরিফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘মহিউদ্দিন চৌধুরী আমাদের নেতা। উনি যেভাবেই বলেন সেভাবেই আমরা কাজ করব। তবে আমাদের অনুরোধ, যারা অতীতে অপকর্ম করেছে তারা বাদে অন্যরা হলে উঠুক।’
No comments