দুদকের মুক্তিযোদ্ধারা পাততাড়ি গুটাচ্ছেন
অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত শুনেই স্বেচ্ছায় অবসরে যাওয়ার আবেদনপত্র জমা দিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের পরিচালক মুক্তিযোদ্ধা গোলাম ইয়াহিয়া। দশ দিন ধরে তিনি অফিস করছেন না। কোথায় গেছেন, কেন অফিসে আসছেন না বলতে পারছেন না কেউ। তার মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। আরেক মহাপরিচালক আবেদন করেছেন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে কোনো সুবিধা গ্রহণ না করার।
দুদকের নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, দুদকে কর্মরত ৯ ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার বিষয়ে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত হওয়ার পরপরই পাততাড়ি গুটিয়েছেন পরিচালক গোলাম ইয়াহিয়া। মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে জাল সনদ গ্রহণ করে তিনি চাকরির মেয়াদ বৃদ্ধির সুবিধা নেন। জুন মাস থেকে তিনি মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বর্ধিত মেয়াদে চাকরি করছিলেন। এ বিষয়ে মে মাসে যুগান্তরে সংবাদ প্রকাশিত হয়।সূত্র মতে, ২১ অক্টোবর দুদক নিজ কার্যালয়ে কর্মরত ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের সনদ যাচাই করে দেখার সিদ্ধান্ত নেয়। এ লক্ষ্যে ২ নভেম্বর উপপরিচালক মো. জুলফিকার আলীকে অনুসন্ধান কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। ওই দিনই দুদক পরিচালক গোলাম ইয়াহিয়া পিআরএলের (পোস্ট রিটায়ারমেন্ট লিভ) দরখাস্ত দেন কমিশনে। দরখাস্ত দিয়েই তিনি আর অফিসে আসেননি। গোপনে জমা দেয়া দরখাস্তে তিনি চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে পিআরএলের ভূতাপেক্ষ কার্যকারিতা দেয়ার অনুরোধ জানান। এছাড়া মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে চাকরির মেয়াদ এক বছর বাড়িয়ে তিনি যে এক মাস বেতন-ভাতা নিয়েছেন- সেটিও ফেরত দেয়ার আগ্রহ দেখিয়েছেন।এদিকে অনুসন্ধান শুরুর পর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে কোনো সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করবেন না বলে জানিয়েছেন দুদকে মহাপরিচালক হিসেবে প্রেষণে কর্মরত জেলা জজ কামরুল হোসেন মোল্লা। গত সপ্তায় এক আবেদনে তার এ আগ্রহের কথা জানান। তিনি দুদক থেকে অন্যত্র চলে যাওয়ার চেষ্টা করছেন বলেও জানা গেছে। তবে ইয়াহিয়া ও কামরুলের আবেদনের বিষয়ে বুধবার পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি কমিশন।সূত্র মতে, গত সরকার ২০০৯ সালে মুক্তিযোদ্ধাদের চাকরির মেয়াদ ২ বছর বাড়ানোর ঘোষণা দিলে মুক্তিযুদ্ধের সনদ গ্রহণের হিড়িক পড়ে। চাকরিতে যোগদানের সময় মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ঘোষণা না করলেও নানা কৌশলে বহু সরকারি চাকরিজীবী সনদ বাগিয়ে এ সুবিধা গ্রহণ করেন। তবে সরকার প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের সনদ প্রদানে চারটি ক্রাইটেরিয়া বেঁধে দেয়। এগুলো হচ্ছে- (১) চাকরিতে যোগদানকালে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সনদপ্রার্থী নিজে কোনো ঘোষণা দিয়েছিলেন কিনা। (২) মুক্তিবার্তায় (লাল বই) প্রার্থীর নাম আছে কিনা। (৩) ২০১০ সালের আগে প্রকাশিত গেজেটগুলোতে তার নাম রয়েছে কিনা এবং (৪) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাক্ষরিত সনদ আছে কিনা। এসব ক্রাইটেরিয়ার আলোকে দুদক সচিব পর্যায়ের চার কর্মকর্তার মুক্তিযোদ্ধা সনদ বাতিল ও বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করে। এর ভিত্তিতে দুই সচিব স্বেচ্ছায় অবসরে যান, এক যুগ্ম-সচিবকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়। পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজিসহ আরও কয়েকজন পদস্থ সরকারি কর্মকর্তার মুক্তিযোদ্ধা সনদও যাচাই করছে দুদক।
দুদকের নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, দুদকে কর্মরত ৯ ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার বিষয়ে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত হওয়ার পরপরই পাততাড়ি গুটিয়েছেন পরিচালক গোলাম ইয়াহিয়া। মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে জাল সনদ গ্রহণ করে তিনি চাকরির মেয়াদ বৃদ্ধির সুবিধা নেন। জুন মাস থেকে তিনি মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বর্ধিত মেয়াদে চাকরি করছিলেন। এ বিষয়ে মে মাসে যুগান্তরে সংবাদ প্রকাশিত হয়।সূত্র মতে, ২১ অক্টোবর দুদক নিজ কার্যালয়ে কর্মরত ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের সনদ যাচাই করে দেখার সিদ্ধান্ত নেয়। এ লক্ষ্যে ২ নভেম্বর উপপরিচালক মো. জুলফিকার আলীকে অনুসন্ধান কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। ওই দিনই দুদক পরিচালক গোলাম ইয়াহিয়া পিআরএলের (পোস্ট রিটায়ারমেন্ট লিভ) দরখাস্ত দেন কমিশনে। দরখাস্ত দিয়েই তিনি আর অফিসে আসেননি। গোপনে জমা দেয়া দরখাস্তে তিনি চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে পিআরএলের ভূতাপেক্ষ কার্যকারিতা দেয়ার অনুরোধ জানান। এছাড়া মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে চাকরির মেয়াদ এক বছর বাড়িয়ে তিনি যে এক মাস বেতন-ভাতা নিয়েছেন- সেটিও ফেরত দেয়ার আগ্রহ দেখিয়েছেন।এদিকে অনুসন্ধান শুরুর পর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে কোনো সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করবেন না বলে জানিয়েছেন দুদকে মহাপরিচালক হিসেবে প্রেষণে কর্মরত জেলা জজ কামরুল হোসেন মোল্লা। গত সপ্তায় এক আবেদনে তার এ আগ্রহের কথা জানান। তিনি দুদক থেকে অন্যত্র চলে যাওয়ার চেষ্টা করছেন বলেও জানা গেছে। তবে ইয়াহিয়া ও কামরুলের আবেদনের বিষয়ে বুধবার পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি কমিশন।সূত্র মতে, গত সরকার ২০০৯ সালে মুক্তিযোদ্ধাদের চাকরির মেয়াদ ২ বছর বাড়ানোর ঘোষণা দিলে মুক্তিযুদ্ধের সনদ গ্রহণের হিড়িক পড়ে। চাকরিতে যোগদানের সময় মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ঘোষণা না করলেও নানা কৌশলে বহু সরকারি চাকরিজীবী সনদ বাগিয়ে এ সুবিধা গ্রহণ করেন। তবে সরকার প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের সনদ প্রদানে চারটি ক্রাইটেরিয়া বেঁধে দেয়। এগুলো হচ্ছে- (১) চাকরিতে যোগদানকালে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সনদপ্রার্থী নিজে কোনো ঘোষণা দিয়েছিলেন কিনা। (২) মুক্তিবার্তায় (লাল বই) প্রার্থীর নাম আছে কিনা। (৩) ২০১০ সালের আগে প্রকাশিত গেজেটগুলোতে তার নাম রয়েছে কিনা এবং (৪) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাক্ষরিত সনদ আছে কিনা। এসব ক্রাইটেরিয়ার আলোকে দুদক সচিব পর্যায়ের চার কর্মকর্তার মুক্তিযোদ্ধা সনদ বাতিল ও বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করে। এর ভিত্তিতে দুই সচিব স্বেচ্ছায় অবসরে যান, এক যুগ্ম-সচিবকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়। পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজিসহ আরও কয়েকজন পদস্থ সরকারি কর্মকর্তার মুক্তিযোদ্ধা সনদও যাচাই করছে দুদক।
No comments