৩৩তম বিসিএস: নন-ক্যাডার নিয়োগে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশের পরেও শূন্যপদ পূরণ না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ৩৩তম বিসিএসে উত্তীর্ণ নন–ক্যাডাররা প্রার্থীরা। তাঁরা এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। আজ বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ হস্তক্ষেপ কামনা করেন ৩৩তম বিসিএসে উত্তীর্ণ প্রার্থীরা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন মাসুম বিল্লাহ।
>>নিয়োগের দাবিতে ৩৩তম বিসিএসে উত্তীর্ণ প্রার্থীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন। ছবি: প্রথম আলো
>>নিয়োগের দাবিতে ৩৩তম বিসিএসে উত্তীর্ণ প্রার্থীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন। ছবি: প্রথম আলো
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, সরকারের ৩৯টি মন্ত্রণালয় এবং এগুলোর অধীন বিভাগগুলোর প্রথম শ্রেণির মোট ১২ হাজার ৬৯৬টি এবং দ্বিতীয় শ্রেণির ৫০ হাজারের বেশি পদ খালি রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী গত ২১ অক্টোবর মন্ত্রিসভার বৈঠকে আবার এই শূন্যপদগুলো পূরণের নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু এর পরও সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি) নিশ্চুপ। এর ফলে একদিকে জনবল ঘাটতিতে দেশের স্বাভাবিক কাজের ব্যাঘাত হচ্ছে, অন্যদিকে যোগ্য প্রার্থীরা চাকরিবঞ্চিত হচ্ছেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ৯০০ নম্বরের লিখিত ও ২০০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষায় উর্ত্তীণ ২ হাজার ৯০৬ জন দ্বিতীয় শ্রেণির নন–ক্যাডার পদে চাকরির জন্য পিএসসিতে আবেদন করেছেন। কিন্তু তাঁদের চাকরি দেওয়া হচ্ছে না। এ ব্যাপারে পিএসসির চেয়ারম্যানকে তিনবার স্মারকলিপি দেওয়া সত্ত্বেও যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।
সংবিধান অনুযায়ী, রাষ্ট্রের প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তা পদে নিয়োগের কাজটি করে পিএসসি। এর মধ্যে ক্যাডার পদে নিয়োগের জন্য নিয়মিত বিসিএস পরীক্ষা নেওয়া হয়। আর নন–ক্যাডার পদগুলোর জন্য নেওয়া হতো আলাদা পরীক্ষা। কিন্তু প্রতিটি বিসিএস পরীক্ষায় প্রাথমিক, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় ৮ থেকে ১০ হাজার প্রার্থী চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ হলেও পদের শূন্যতার কারণে বেশির ভাগ প্রার্থীকেই ক্যাডার পদে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করতে পারত না পিএসসি। এ কারণেই ২০১০ সালে নন–ক্যাডার পদে নিয়োগ (বিশেষ) বিধিমালা করা হয়।
ওই বিধিমালায় বলা হয়, চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মধ্যে থেকে যাঁরা ক্যাডার পদ পাবেন না, পদ শূন্য থাকলে তাঁদের আবেদন এবং মেধাক্রমের ভিত্তিতে তাঁরা প্রথম শ্রেণির নন–ক্যাডার পদে নিয়োগ পাবেন। এরই ধারাবাহিকতায় চলতি বছর দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তা নিয়োগের জন্যও ওই বিধিমালা সংশোধন করা হয়। এর ফলে বিসিএস পরীক্ষায় চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ হয়েছেন কিন্তু ক্যাডার পদ পাননি এমন প্রার্থীদের প্রথম শ্রেণির নন–ক্যাডার পদের পাশাপাশি দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তা পদেও নিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি হয়। তবে মন্ত্রণালয়গুলো খুব বেশি চাহিদাপত্র না পাঠানোর কারণে বিসিএস উত্তীর্ণ অধিকাংশ প্রার্থীকেই নিয়োগের সুপারিশ করতে পারে না পিএসসি। ফলে নন-ক্যাডার নিয়োগ বিধিমালা জারির উদ্দেশ্য খুব বেশি সফল হচ্ছে না।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ৯০০ নম্বরের লিখিত ও ২০০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষায় উর্ত্তীণ ২ হাজার ৯০৬ জন দ্বিতীয় শ্রেণির নন–ক্যাডার পদে চাকরির জন্য পিএসসিতে আবেদন করেছেন। কিন্তু তাঁদের চাকরি দেওয়া হচ্ছে না। এ ব্যাপারে পিএসসির চেয়ারম্যানকে তিনবার স্মারকলিপি দেওয়া সত্ত্বেও যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।
সংবিধান অনুযায়ী, রাষ্ট্রের প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তা পদে নিয়োগের কাজটি করে পিএসসি। এর মধ্যে ক্যাডার পদে নিয়োগের জন্য নিয়মিত বিসিএস পরীক্ষা নেওয়া হয়। আর নন–ক্যাডার পদগুলোর জন্য নেওয়া হতো আলাদা পরীক্ষা। কিন্তু প্রতিটি বিসিএস পরীক্ষায় প্রাথমিক, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় ৮ থেকে ১০ হাজার প্রার্থী চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ হলেও পদের শূন্যতার কারণে বেশির ভাগ প্রার্থীকেই ক্যাডার পদে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করতে পারত না পিএসসি। এ কারণেই ২০১০ সালে নন–ক্যাডার পদে নিয়োগ (বিশেষ) বিধিমালা করা হয়।
ওই বিধিমালায় বলা হয়, চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মধ্যে থেকে যাঁরা ক্যাডার পদ পাবেন না, পদ শূন্য থাকলে তাঁদের আবেদন এবং মেধাক্রমের ভিত্তিতে তাঁরা প্রথম শ্রেণির নন–ক্যাডার পদে নিয়োগ পাবেন। এরই ধারাবাহিকতায় চলতি বছর দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তা নিয়োগের জন্যও ওই বিধিমালা সংশোধন করা হয়। এর ফলে বিসিএস পরীক্ষায় চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ হয়েছেন কিন্তু ক্যাডার পদ পাননি এমন প্রার্থীদের প্রথম শ্রেণির নন–ক্যাডার পদের পাশাপাশি দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তা পদেও নিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি হয়। তবে মন্ত্রণালয়গুলো খুব বেশি চাহিদাপত্র না পাঠানোর কারণে বিসিএস উত্তীর্ণ অধিকাংশ প্রার্থীকেই নিয়োগের সুপারিশ করতে পারে না পিএসসি। ফলে নন-ক্যাডার নিয়োগ বিধিমালা জারির উদ্দেশ্য খুব বেশি সফল হচ্ছে না।
No comments