বাড়ছে নৃশংস খুনের ঘটনা by নুরুজ্জামান লাবু
পারিবারিক ও তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নৃশংস খুনের ঘটনা বাড়ছে। একের পর এক এ ধরনের ঘটনায় উদ্বিগ্ন খোদ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। অপরাধ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সামাজিক অস্থিরতা, পারিবারিক বন্ধন ছিন্ন হওয়া ও অর্থনৈতিক কারণে এসব ঘটনা ঘটছে। একই সঙ্গে বিচারহীনতার সংস্কৃতিও এ ধরনের হত্যাকাণ্ড বাড়ার নেপথ্যে কাজ করছে। বেশির ভাগ ঘটনাই ঘটছে যৌতুক, পরকীয়া, দাম্পত্য সমস্যা, পারিবারিক কলহ, জমিজমা ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে। নৃশংস এসব ঘটনার শিকার হচ্ছে শিশুরাও। গত কয়েক মাসে যে সব হত্যাকাণ্ড ঘটেছে তাতে দেখা যায়, স্বামী খুন করছেন স্ত্রীকে, স্ত্রী স্বামীকে, বাবা-মা খুন করছেন নিজের সন্তানকে, সন্তানের হাতেও খুন হতে হচ্ছে মা-বাবাকে, ভাইয়ের হাতে খুন হচ্ছে ভাই, আত্মীয়ের হাতে খুন হচ্ছেন আত্মীয়। সব খুনের ঘটনাই নৃশংস হলেও খুনের ধরন পাল্টেছে এখন। গলা কেটে হত্যার ঘটনা বাড়ছে দিনকে দিন। হাত-পায়ের রগ কেটেও নিশ্চিত করা হচ্ছে মৃত্যু। তুলে নেয়া হচ্ছে চোখ। পাওয়া যাচ্ছে লাশের খণ্ডিত অংশ। অপরাধ বিশেষজ্ঞ এবং সমাজ ও মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন, মানুষের নৈতিক মূল্যবোধ ক্রমশ কমে যাচ্ছে। সামাজিক বন্ধনেও ধরেছে চিড়। মানুষ হয়ে উঠছে ভোগবাদী। কমছে মানুষের প্রতি মানুষের শ্রদ্ধাবোধ। একারণে তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে একে অপরকে নৃশংস খুন করতে দ্বিধা করছে না।
পুলিশ সদর দপ্তরের হিসাব অনুযায়ী সামপ্রতিক সময়ে সারাদশে রাজনৈতিক কারণে খুনোখুনির ঘটনা কমলেও সামাজিক অস্থিরতার কারণে খুনের ঘটনা বাড়ছে। গত ২০০৯ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত এ পাঁচ বছরে সারা দেশে ২০ হাজার ৬৮০ জন খুন হয়েছেন। শুধু চলতি বছরেই আগস্ট পর্যন্ত ৮ মাসে সারাদেশে ৩ হাজার ৬১টি খুনের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে রাজধানী ঢাকায় খুন হয়েছেন ১৭২ জন। এসব হত্যাকাণ্ডের বেশির ভাগই ঘটেছে সামাজিক ও পারিবারিক অস্থিরতার কারণে। প্রতিদিন গড়ে ১৪-১৫ জন খুন হচ্ছেন। পুলিশের উচ্চ পর্যায়ের এক কর্মকর্তা বলেন, সন্ত্রাসী ও দুর্বৃত্তদের হাতে খুন-খারাবির ঘটনা পুলিশ আগেভাগে ঠেকানোর উদ্যোগ নিতে পারে। সন্ত্রাসী ও দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে তাদের নিয়ন্ত্রণ করা যায়। কিন্তু সামাজিক ও পারিবারিক কলহের জের ধরে হওয়া খুন বন্ধ করতে হলে সামগ্রিকভাবে সচেতনতা বাড়াতে হবে। এটা পুলিশের একার পক্ষে সম্ভব নয়, সাধারণ মানুষকেও সচেতনতার সঙ্গে এগিয়ে আসতে হবে। পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) হাসান মাহমুদ খন্দকার বলেন, সামাজিক অস্থিরতায় খুন-খারাবিসহ অপরাধের ঘটনা কমিয়ে আনতে পুলিশ সবসময় কাজ করে থাকে। ‘কমিউনিটি পুলিশিং’ ও ‘ওপেন হাউজ ডে’র মাধ্যমে পুলিশ জনগণের কাছাকাছি যাওয়ার চেষ্টা করছে। পুলিশ যত সাধারণ মানুষের কাছাকাছি যেতে পারবে তত এসব অপরাধ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হবে। আইজিপি বলেন, সমাজে যে সব লোমহর্ষক অপরাধের ঘটনা ঘটছে সেগুলো চিহ্নিত করে এসব ঠেকাতে পুলিশ সচেতনতা বৃদ্ধি করতে আরও বেশি উদ্যোগী হচ্ছে।
অপরাধ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সামাজিক ও পারিবারিক কারণে নৃশংস খুনের সংখ্যা বাড়ায় সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা ছড়িয়ে পড়ছে। একমাত্র আইনের যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমেই এসব খুন-খারাবি ঠেকানো সম্ভব। কারণ অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে, খুনের ঘটনার পরও দায়ী ব্যক্তিরা রাজনৈতিক প্রভাব, ক্ষমতা আর অর্থ দিয়ে ‘ম্যানেজে’র মাধ্যমে পার পেয়ে যাচ্ছে। এরকম একটি ঘটনাও ঘটলে সেটি অন্যদের মধ্যে দৃষ্টান্ত হয়ে দাঁড়ায়। অন্যরা উৎসাহিত হয় যে, খুন করেও ‘শক্ত খুঁটি’ থাকলে পার পাওয়া যায়। এজন্য অপরাধ বিশেষজ্ঞরা খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার বিষয়ে জোর দিয়েছেন। মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধ ও পুলিশ বিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, সামাজিক ও পারিবারিক মূল্যবোধের অভাবে এমন নৃশংস খুনের ঘটনা ঘটছে। আমাদের সমাজে রাজনৈতিক সংস্কৃতির প্রভাব অনেক বেশি। এ কারণে সমাজে রাজনৈতিক অস্থিরতা বিরাজ করলে সামাজিক ও পারিবারিক অস্থিরতাও বেড়ে যায়। ইদানীং পরিবার ও সমাজের নিয়ন্ত্রণ কাঠামো ভেঙ্গে পড়েছে। পরিবার বা সামাজিক অনুশাসন এখন কেউ মানতে চায় না। তিনি বলেন, সমাজে নিপীড়িত মানুষ যখন আস্থাহীন হয়ে পড়ে তখন সমাজে ও পরিবারের মধ্যে হতাশাবোধ কাজ করে। এ হতাশা থেকে আইন নিজের হাতে তুলে নেয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। এসব বন্ধ করতে হলে রাজনৈতিক, সামাজিক ও পারিবারিক সংস্কৃতির আমূল পরিবর্তন আনতে হবে। সমাজে একটা আস্থার জায়গা তৈরি করতে হবে। অপরাধ বিজ্ঞানের এই অধ্যাপক বলেন, একই সঙ্গে অপরাধীদের অপরাধ বিবেচনা করে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। এমন দৃষ্টান্ত তৈরি করতে যাতে একই অপরাধ অন্য কেউ করার সাহস না পায়। তাহলেই কেবল সমাজ থেকে অপরাধ দূর করা সম্ভব। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সমাজে যে সব কারণে অস্থিরতা বাড়ছে সেসব বিষয়গুলো চিহ্নিত করে তা সমাধানের উদ্যোগ না নেয়া পর্যন্ত সামাজিক অপরাধ ও মানুষের মানসিক পরিবর্তন সম্ভব নয়। মানুষের মনের খারাপ চিন্তাকে পাল্টে দিতে হবে। সামাজিক কাঠামোর ভিত্তি মজবুত করতে হবে। একই সঙ্গে সামাজিক ও অর্থনৈতিক বৈষম্য দূর করতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। পারিবারিক বন্ধন দৃঢ় করতে উদ্যোগ নিতে হবে।
সম্প্রতি টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে নিজ বাসায় ঘুমন্ত অবস্থায় তিন মেয়েসহ মাকে পুড়িয়ে মারার ঘটনাটি নিয়ে ব্যাপক আলোচিত হয়েছে। রাজধানীতে বিমাতার হাতে এক শিশুসন্তান নৃশংসভাবে খুন হয়েছেন। গতকাল একই দিনে গাজীপুরে এক স্বামী তার স্ত্রীকে বঁটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন। অপর ঘটনায় পারিবারিক কলহের জের ধরে এক স্ত্রী তার স্বামীর গোপনাঙ্গ ব্লেড দিয়ে কেটে দেয়। শনিবার রাজধানীর জুরাইনের হাত-পায়ের রগ কেটে এক যুবককে হত্যা করা হয়। গত বুধবার একই দিনে ঢাকা ও চট্টগ্রামে দুই ব্যক্তি তাদের স্ত্রীর হাতে খুন হয়েছেন। হত্যার পর তাদের একজনের লাশ ঘরের মাটি খুঁড়ে পুতে রাখা হয়েছিল। অপরজনের লাশ রাখা হয়েছিল ওয়্যারড্রোবে রাখা হয়েছিল। গত ১লা অক্টোবর এক ব্যক্তির তিন খণ্ড লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ২১শে সেপ্টেম্বের সন্তানের নাম রাখার অনুষ্ঠান নিয়ে তুচ্ছ বিতর্কে এক স্বামী তার স্ত্রীকে আঁতুড়ঘরেই পিটিয়ে হত্যা করে। গত ১২শে আগস্ট রাজধানীর ডেমরায় কামরুল নামে এক তরুণকে তার মায়ের পরিকল্পনাতেই খুন করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। ১লা আগস্ট তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে এক স্কুলছাত্রকে কয়েক প্রতিবেশী চোখ উৎপাটন ও গোপনাঙ্গ কেটে হত্যা করে।
পুলিশ সদর দপ্তরের হিসাব অনুযায়ী সামপ্রতিক সময়ে সারাদশে রাজনৈতিক কারণে খুনোখুনির ঘটনা কমলেও সামাজিক অস্থিরতার কারণে খুনের ঘটনা বাড়ছে। গত ২০০৯ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত এ পাঁচ বছরে সারা দেশে ২০ হাজার ৬৮০ জন খুন হয়েছেন। শুধু চলতি বছরেই আগস্ট পর্যন্ত ৮ মাসে সারাদেশে ৩ হাজার ৬১টি খুনের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে রাজধানী ঢাকায় খুন হয়েছেন ১৭২ জন। এসব হত্যাকাণ্ডের বেশির ভাগই ঘটেছে সামাজিক ও পারিবারিক অস্থিরতার কারণে। প্রতিদিন গড়ে ১৪-১৫ জন খুন হচ্ছেন। পুলিশের উচ্চ পর্যায়ের এক কর্মকর্তা বলেন, সন্ত্রাসী ও দুর্বৃত্তদের হাতে খুন-খারাবির ঘটনা পুলিশ আগেভাগে ঠেকানোর উদ্যোগ নিতে পারে। সন্ত্রাসী ও দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে তাদের নিয়ন্ত্রণ করা যায়। কিন্তু সামাজিক ও পারিবারিক কলহের জের ধরে হওয়া খুন বন্ধ করতে হলে সামগ্রিকভাবে সচেতনতা বাড়াতে হবে। এটা পুলিশের একার পক্ষে সম্ভব নয়, সাধারণ মানুষকেও সচেতনতার সঙ্গে এগিয়ে আসতে হবে। পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) হাসান মাহমুদ খন্দকার বলেন, সামাজিক অস্থিরতায় খুন-খারাবিসহ অপরাধের ঘটনা কমিয়ে আনতে পুলিশ সবসময় কাজ করে থাকে। ‘কমিউনিটি পুলিশিং’ ও ‘ওপেন হাউজ ডে’র মাধ্যমে পুলিশ জনগণের কাছাকাছি যাওয়ার চেষ্টা করছে। পুলিশ যত সাধারণ মানুষের কাছাকাছি যেতে পারবে তত এসব অপরাধ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হবে। আইজিপি বলেন, সমাজে যে সব লোমহর্ষক অপরাধের ঘটনা ঘটছে সেগুলো চিহ্নিত করে এসব ঠেকাতে পুলিশ সচেতনতা বৃদ্ধি করতে আরও বেশি উদ্যোগী হচ্ছে।
অপরাধ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সামাজিক ও পারিবারিক কারণে নৃশংস খুনের সংখ্যা বাড়ায় সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা ছড়িয়ে পড়ছে। একমাত্র আইনের যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমেই এসব খুন-খারাবি ঠেকানো সম্ভব। কারণ অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে, খুনের ঘটনার পরও দায়ী ব্যক্তিরা রাজনৈতিক প্রভাব, ক্ষমতা আর অর্থ দিয়ে ‘ম্যানেজে’র মাধ্যমে পার পেয়ে যাচ্ছে। এরকম একটি ঘটনাও ঘটলে সেটি অন্যদের মধ্যে দৃষ্টান্ত হয়ে দাঁড়ায়। অন্যরা উৎসাহিত হয় যে, খুন করেও ‘শক্ত খুঁটি’ থাকলে পার পাওয়া যায়। এজন্য অপরাধ বিশেষজ্ঞরা খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার বিষয়ে জোর দিয়েছেন। মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধ ও পুলিশ বিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, সামাজিক ও পারিবারিক মূল্যবোধের অভাবে এমন নৃশংস খুনের ঘটনা ঘটছে। আমাদের সমাজে রাজনৈতিক সংস্কৃতির প্রভাব অনেক বেশি। এ কারণে সমাজে রাজনৈতিক অস্থিরতা বিরাজ করলে সামাজিক ও পারিবারিক অস্থিরতাও বেড়ে যায়। ইদানীং পরিবার ও সমাজের নিয়ন্ত্রণ কাঠামো ভেঙ্গে পড়েছে। পরিবার বা সামাজিক অনুশাসন এখন কেউ মানতে চায় না। তিনি বলেন, সমাজে নিপীড়িত মানুষ যখন আস্থাহীন হয়ে পড়ে তখন সমাজে ও পরিবারের মধ্যে হতাশাবোধ কাজ করে। এ হতাশা থেকে আইন নিজের হাতে তুলে নেয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। এসব বন্ধ করতে হলে রাজনৈতিক, সামাজিক ও পারিবারিক সংস্কৃতির আমূল পরিবর্তন আনতে হবে। সমাজে একটা আস্থার জায়গা তৈরি করতে হবে। অপরাধ বিজ্ঞানের এই অধ্যাপক বলেন, একই সঙ্গে অপরাধীদের অপরাধ বিবেচনা করে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। এমন দৃষ্টান্ত তৈরি করতে যাতে একই অপরাধ অন্য কেউ করার সাহস না পায়। তাহলেই কেবল সমাজ থেকে অপরাধ দূর করা সম্ভব। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সমাজে যে সব কারণে অস্থিরতা বাড়ছে সেসব বিষয়গুলো চিহ্নিত করে তা সমাধানের উদ্যোগ না নেয়া পর্যন্ত সামাজিক অপরাধ ও মানুষের মানসিক পরিবর্তন সম্ভব নয়। মানুষের মনের খারাপ চিন্তাকে পাল্টে দিতে হবে। সামাজিক কাঠামোর ভিত্তি মজবুত করতে হবে। একই সঙ্গে সামাজিক ও অর্থনৈতিক বৈষম্য দূর করতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। পারিবারিক বন্ধন দৃঢ় করতে উদ্যোগ নিতে হবে।
সম্প্রতি টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে নিজ বাসায় ঘুমন্ত অবস্থায় তিন মেয়েসহ মাকে পুড়িয়ে মারার ঘটনাটি নিয়ে ব্যাপক আলোচিত হয়েছে। রাজধানীতে বিমাতার হাতে এক শিশুসন্তান নৃশংসভাবে খুন হয়েছেন। গতকাল একই দিনে গাজীপুরে এক স্বামী তার স্ত্রীকে বঁটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন। অপর ঘটনায় পারিবারিক কলহের জের ধরে এক স্ত্রী তার স্বামীর গোপনাঙ্গ ব্লেড দিয়ে কেটে দেয়। শনিবার রাজধানীর জুরাইনের হাত-পায়ের রগ কেটে এক যুবককে হত্যা করা হয়। গত বুধবার একই দিনে ঢাকা ও চট্টগ্রামে দুই ব্যক্তি তাদের স্ত্রীর হাতে খুন হয়েছেন। হত্যার পর তাদের একজনের লাশ ঘরের মাটি খুঁড়ে পুতে রাখা হয়েছিল। অপরজনের লাশ রাখা হয়েছিল ওয়্যারড্রোবে রাখা হয়েছিল। গত ১লা অক্টোবর এক ব্যক্তির তিন খণ্ড লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ২১শে সেপ্টেম্বের সন্তানের নাম রাখার অনুষ্ঠান নিয়ে তুচ্ছ বিতর্কে এক স্বামী তার স্ত্রীকে আঁতুড়ঘরেই পিটিয়ে হত্যা করে। গত ১২শে আগস্ট রাজধানীর ডেমরায় কামরুল নামে এক তরুণকে তার মায়ের পরিকল্পনাতেই খুন করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। ১লা আগস্ট তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে এক স্কুলছাত্রকে কয়েক প্রতিবেশী চোখ উৎপাটন ও গোপনাঙ্গ কেটে হত্যা করে।
No comments