ছাত্রদলের পদবঞ্চিতদের দিনভর বিক্ষোভ, সংঘর্ষ
ছাত্রদলের
নবগঠিত কমিটি প্রত্যাখ্যান করে গতকাল রোববারও নয়াপল্টনে দিনভর বিক্ষোভ
করেছেন ছাত্রদলের পদবঞ্চিত নেতা-কর্মীরা। এ সময় এক দফা সংঘর্ষ হয়।
পদবঞ্চিতরা বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ভাঙচুর করেন এবং কার্যালয় চার
ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখেন। সন্ধ্যায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা
ফখরুলের সঙ্গে বৈঠক শেষে বিক্ষোভ স্থগিতের ঘোষণা দেন। গত মঙ্গলবার রাতে
ছাত্রদলের নতুন কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণার পরদিন থেকে প্রতিদিন বিএনপির
কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করে আসছেন পদবঞ্চিতরা। গতকাল নতুন
কমিটির নেতারাও নিজেদের অনুসারীদের নিয়ে নয়াপল্টনে যান। সেখানে
একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে অন্তত ১০ জন আহত হন। এঁদের
মধ্যে চারজনের নাম জানা গেছে। তাঁরা হলেন ছাত্রদলের কর্মী ইফতেখারুজ্জামান,
বাবু, মাসুম ও শফিক। ছাত্রদলের পদবঞ্চিতরা চার ঘণ্টা ধরে রাস্তায়
লাঠিসোঁটা নিয়ে মহড়া দিলেও পুলিশ কোনো বাধা দেয়নি। পল্টন থানার সামনে,
নাইটিঙ্গেল মোড়ে ও বিএনপির কার্যালয়ের উল্টোদিকে পুলিশ সদস্যরা অবস্থান
নিয়ে নীরব দর্শকের ভূমিকায় ছিলেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মহানগর পুলিশের
জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মাসুদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, পুলিশ রাস্তায়
ছিল। বিক্ষোভকারীরা যাতে কোনো বিশৃঙ্খলা করতে না পারে, সে জন্য পুলিশ তৎপর
ছিল।
এর
আগে গত শনিবার বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের চতুর্থ তলায় ছাত্রদলের
কেন্দ্রীয় দপ্তরে তালা দিয়েছিলেন পদবঞ্চিতরা। গতকাল সকাল নয়টার দিকে সেই
তালা ভেঙে দপ্তরে অবস্থান নেন নবগঠিত কমিটির সভাপতি রাজীব আহসান, সাধারণ
সম্পাদক আকরামুল হাসানসহ তাঁদের অনুসারীরা। এর আগে সকাল সাড়ে সাতটা থেকেই
তাঁদের সমর্থক শতাধিক নেতা-কর্মী বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে
অবস্থান নেন। এঁদের একটি সূত্র জানায়, বিএনপির উচ্চপর্যায়ের নির্দেশে
নতুন কমিটির নেতারা গতকাল নয়াপল্টনে যান। তাঁদের সঙ্গে বিএনপি ও
অঙ্গসংগঠনের কয়েকজন নেতাও ছিলেন। বেলা একটার দিকে তরিকুল ইসলাম ও গাজী
রেজওয়ানুল হকের নেতৃত্বে মিছিল নিয়ে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে যান
পদবঞ্চিতরা। অবশ্য এঁদের মধ্যে রেজওয়ানুল হক বর্তমান কমিটির যুগ্ম
সম্পাদক। প্রত্যাশিত পদ না পেয়ে তিনি এই পক্ষে যুক্ত হয়েছেন। তখন পর্যন্ত
কারও হাতে লাঠিসোঁটা দেখা যায়নি।
বেলা একটা থেকে দুইটা পর্যন্ত বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ছাত্রদলের নতুন কমিটির পক্ষে-বিপক্ষে দুই অংশ পাশাপাশি অবস্থান নিয়ে পাল্টাপাল্টি স্লোগান দিতে থাকে। এ সময় কার্যালয়ের তৃতীয় তলায় ২০-দলীয় জোটের মহাসচিব পর্যায়ের বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলন করছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
পাল্টাপাল্টি স্লোগানের একপর্যায়ে কার্যালয় থেকে বেরিয়ে আসেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি পদবঞ্চিত নেতাদের শান্ত করার চেষ্টা করেন এবং সরকারকে কোনো ‘সুযোগ’ না দিতে অনুরোধ জানান। এ সময় তিনি নতুন কমিটির পক্ষের নেতা-কর্মীদেরও সেখান থেকে চলে যেতে বলেন। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। এর কিছুক্ষণ পর রিজভী দ্বিতীয় দফা এসে দুই পক্ষকে শান্ত করার চেষ্টা করে আবারও ব্যর্থ হন।
এরপর আসেন ঢাকা মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব হাবিব-উন-নবী খান। তিনি পদবঞ্চিতদের সরানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু তাঁরা অপর পক্ষকে নয়াপল্টন থেকে সরানোর শর্ত দিয়ে নিজেদের অবস্থানে অটল থাকেন। তারপর যুবদলের সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেনও একই চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। বেলা সোয়া দুইটার দিকে এই তিনজন একসঙ্গে সর্বশেষ চেষ্টা করছিলেন। এ পর্যায়ে পদবঞ্চিতরা ‘ধর ধর’ বলে আওয়াজ তোলেন। এতে ছাত্রদলের দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বেড়ে যায়। এ সময় দুটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটলে ছোটাছুটি শুরু হয়। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও ছাত্রদলের নতুন কমিটির নেতা-কর্মীরা কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ভেতরে ঢুকে পড়েন। তাঁরা কার্যালয়ের প্রবেশপথের শাটার নামিয়ে ভেতর থেকে তালা লাগিয়ে দেন।
আর পদবঞ্চিতরা কার্যালয় লক্ষ্য করে ইটের টুকরা নিক্ষেপ করেন এবং ভাঙচুর চালাতে থাকেন। এতে নিচতলায় জিয়াউর রহমানের ম্যুরালের কাচ, বিএনপির কার্যালয়ের তৃতীয় ও চতুর্থ তলার কাচ ভেঙে যায়। এ সময় কার্যালয়ের সামনের রাস্তা তাঁদের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে চলে যায়। তাঁরা লাঠিসোঁটা নিয়ে নতুন কমিটির পক্ষের যাঁকে পেয়েছেন, তাঁকেই পিটিয়েছেন। নতুন কমিটির সমর্থকেরা প্রতিরোধের চেষ্টা করে টিকতে পারেননি। ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান এ ঘটনার জন্য ‘সরকারের এজেন্টরা’ দায়ী বলে দাবি করেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, নয়াপল্টনে বিএনপিকে কোনো কর্মসূচি পালন করতে দেয় না পুলিশ। কিন্তু এই কয়েক দিন ধরেই একটি পক্ষ সেখানে বিক্ষোভ, ককটেল বিস্ফোরণ, হামলা-ভাঙচুর চালালেও পুলিশ কোনো বাধা দেয়নি। তাঁর দাবি, ছাত্রদলের কেউ কেউ বুঝে বা না বুঝে সরকারের ফাঁদে পা দিয়েছেন।
বেলা আড়াইটা থেকে সন্ধ্যা পৌনে ছয়টা পর্যন্ত পদবঞ্চিতরা লাঠিসোঁটা হাতে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় অবরুদ্ধ করে সামনের রাস্তায় মহড়া দেন। এরই মধ্যে বিকেল পাঁচটার দিকে পদবঞ্চিতদের মধ্য থেকে পাঁচজনকে ডেকে নিয়ে বিএনপির কার্যালয়ের তৃতীয় তলায় বৈঠক করেন মির্জা ফখরুল। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এই বৈঠকে ফখরুলের সঙ্গে রুহুল কবির রিজভী, হাবিব-উন-নবী খান ও সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেনও ছিলেন। এ সময় নতুন কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ভবনের চতুর্থ তলায় অবস্থান করছিলেন। বৈঠক শেষে পৌনে ছয়টার দিকে পদবঞ্চিতদের পক্ষে গাজী রেজওয়ানুল হক ও তরিকুল ইসলাম তাঁদের বিক্ষোভ স্থগিতের ঘোষণা দেন। তাঁরা বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব তাঁদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি পদবঞ্চিতদের বার্তা দলের চেয়ারপারসনের কাছে পৌঁছে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
বৈঠকে অংশ নেওয়া পদবঞ্চিত নেতাদের একজন ফেরদৌস আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা বিএনপির মহাসচিবের কাছে ছাত্রদলের নবগঠিত কমিটি বাতিল এবং বিএনপির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক পদ থেকে শহীদ উদ্দীন চৌধুরী ও ছাত্রবিষয়ক সহসম্পাদক পদ থেকে সুলতান সালাহউদ্দিনকে সরানোর দাবি জানিয়েছেন। অবশ্য মির্জা ফখরুল এ বিষয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি। তিনি ছয়টা ১০ মিনিটে কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে বের হয়ে সংবাদকর্মীদের এড়িয়ে গাড়িতে উঠে চলে যান। এর পরপরই ছাত্রদলের নতুন কমিটির সভাপতি রাজীব আহসান ও সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান বেরিয়ে আসেন। রাজীব একটি মোটরসাইকেলে আর আকরাম একটি গাড়িতে করে নয়াপল্টন ত্যাগ করেন। এর আগে কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে বের হন রুহুল কবির রিজভী, হাবিব-উন-নবী খানসহ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা। সংবাদকর্মীরা প্রতিক্রিয়া জানার জন্য রিজভীকে ঘিরে ধরলে তিনি কিছু না বলে আবার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢুকে পড়েন। রাতে এ বিষয়ে জানতে চাইলে শহীদ উদ্দীন চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন ও মহাসচিব আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাবেন।
বেলা একটা থেকে দুইটা পর্যন্ত বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ছাত্রদলের নতুন কমিটির পক্ষে-বিপক্ষে দুই অংশ পাশাপাশি অবস্থান নিয়ে পাল্টাপাল্টি স্লোগান দিতে থাকে। এ সময় কার্যালয়ের তৃতীয় তলায় ২০-দলীয় জোটের মহাসচিব পর্যায়ের বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলন করছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
পাল্টাপাল্টি স্লোগানের একপর্যায়ে কার্যালয় থেকে বেরিয়ে আসেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি পদবঞ্চিত নেতাদের শান্ত করার চেষ্টা করেন এবং সরকারকে কোনো ‘সুযোগ’ না দিতে অনুরোধ জানান। এ সময় তিনি নতুন কমিটির পক্ষের নেতা-কর্মীদেরও সেখান থেকে চলে যেতে বলেন। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। এর কিছুক্ষণ পর রিজভী দ্বিতীয় দফা এসে দুই পক্ষকে শান্ত করার চেষ্টা করে আবারও ব্যর্থ হন।
এরপর আসেন ঢাকা মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব হাবিব-উন-নবী খান। তিনি পদবঞ্চিতদের সরানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু তাঁরা অপর পক্ষকে নয়াপল্টন থেকে সরানোর শর্ত দিয়ে নিজেদের অবস্থানে অটল থাকেন। তারপর যুবদলের সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেনও একই চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। বেলা সোয়া দুইটার দিকে এই তিনজন একসঙ্গে সর্বশেষ চেষ্টা করছিলেন। এ পর্যায়ে পদবঞ্চিতরা ‘ধর ধর’ বলে আওয়াজ তোলেন। এতে ছাত্রদলের দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বেড়ে যায়। এ সময় দুটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটলে ছোটাছুটি শুরু হয়। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও ছাত্রদলের নতুন কমিটির নেতা-কর্মীরা কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ভেতরে ঢুকে পড়েন। তাঁরা কার্যালয়ের প্রবেশপথের শাটার নামিয়ে ভেতর থেকে তালা লাগিয়ে দেন।
আর পদবঞ্চিতরা কার্যালয় লক্ষ্য করে ইটের টুকরা নিক্ষেপ করেন এবং ভাঙচুর চালাতে থাকেন। এতে নিচতলায় জিয়াউর রহমানের ম্যুরালের কাচ, বিএনপির কার্যালয়ের তৃতীয় ও চতুর্থ তলার কাচ ভেঙে যায়। এ সময় কার্যালয়ের সামনের রাস্তা তাঁদের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে চলে যায়। তাঁরা লাঠিসোঁটা নিয়ে নতুন কমিটির পক্ষের যাঁকে পেয়েছেন, তাঁকেই পিটিয়েছেন। নতুন কমিটির সমর্থকেরা প্রতিরোধের চেষ্টা করে টিকতে পারেননি। ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান এ ঘটনার জন্য ‘সরকারের এজেন্টরা’ দায়ী বলে দাবি করেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, নয়াপল্টনে বিএনপিকে কোনো কর্মসূচি পালন করতে দেয় না পুলিশ। কিন্তু এই কয়েক দিন ধরেই একটি পক্ষ সেখানে বিক্ষোভ, ককটেল বিস্ফোরণ, হামলা-ভাঙচুর চালালেও পুলিশ কোনো বাধা দেয়নি। তাঁর দাবি, ছাত্রদলের কেউ কেউ বুঝে বা না বুঝে সরকারের ফাঁদে পা দিয়েছেন।
বেলা আড়াইটা থেকে সন্ধ্যা পৌনে ছয়টা পর্যন্ত পদবঞ্চিতরা লাঠিসোঁটা হাতে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় অবরুদ্ধ করে সামনের রাস্তায় মহড়া দেন। এরই মধ্যে বিকেল পাঁচটার দিকে পদবঞ্চিতদের মধ্য থেকে পাঁচজনকে ডেকে নিয়ে বিএনপির কার্যালয়ের তৃতীয় তলায় বৈঠক করেন মির্জা ফখরুল। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এই বৈঠকে ফখরুলের সঙ্গে রুহুল কবির রিজভী, হাবিব-উন-নবী খান ও সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেনও ছিলেন। এ সময় নতুন কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ভবনের চতুর্থ তলায় অবস্থান করছিলেন। বৈঠক শেষে পৌনে ছয়টার দিকে পদবঞ্চিতদের পক্ষে গাজী রেজওয়ানুল হক ও তরিকুল ইসলাম তাঁদের বিক্ষোভ স্থগিতের ঘোষণা দেন। তাঁরা বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব তাঁদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি পদবঞ্চিতদের বার্তা দলের চেয়ারপারসনের কাছে পৌঁছে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
বৈঠকে অংশ নেওয়া পদবঞ্চিত নেতাদের একজন ফেরদৌস আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা বিএনপির মহাসচিবের কাছে ছাত্রদলের নবগঠিত কমিটি বাতিল এবং বিএনপির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক পদ থেকে শহীদ উদ্দীন চৌধুরী ও ছাত্রবিষয়ক সহসম্পাদক পদ থেকে সুলতান সালাহউদ্দিনকে সরানোর দাবি জানিয়েছেন। অবশ্য মির্জা ফখরুল এ বিষয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি। তিনি ছয়টা ১০ মিনিটে কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে বের হয়ে সংবাদকর্মীদের এড়িয়ে গাড়িতে উঠে চলে যান। এর পরপরই ছাত্রদলের নতুন কমিটির সভাপতি রাজীব আহসান ও সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান বেরিয়ে আসেন। রাজীব একটি মোটরসাইকেলে আর আকরাম একটি গাড়িতে করে নয়াপল্টন ত্যাগ করেন। এর আগে কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে বের হন রুহুল কবির রিজভী, হাবিব-উন-নবী খানসহ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা। সংবাদকর্মীরা প্রতিক্রিয়া জানার জন্য রিজভীকে ঘিরে ধরলে তিনি কিছু না বলে আবার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢুকে পড়েন। রাতে এ বিষয়ে জানতে চাইলে শহীদ উদ্দীন চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন ও মহাসচিব আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাবেন।
No comments