১০ বছরে ২ কোটি ৫০ লাখ মানুষ হজ করেছেন
দশ বছরে হজ পালনের উদ্দেশ্যে সৌদি আরব গেছেন প্রায় দুই কোটি ৫০ লাখ মানুষ। এর এক বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মানুষ হজ করতে সৌদি আরব যান ২০১২ সালে। সেবার প্রায় ৩১.৬ লাখ মানুষ হজ পালন করেছিলেন। আর সবচেয়ে কম মানুষ হজ পালন করেছিলেন ২০১৩ সালে। সেবার ১৯.৮ লাখ মানুষ হজ পালন করেছিলেন। এ খবর দিয়েছে সৌদি গেজেট। ২০১৩ সালে হজ পালনকারীদের সংখ্যা কম ছিল। কেননা তখন মক্কা ও মদিনার বর্ধিতকরণের কাজ চলায় সৌদি সরকার দেশীয় হজ পালনকারীদের সংখ্যা ৫০ ভাগ ও বিদেশী হজ পালনকারীদের সংখ্যা ২০ ভাগ কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেয়। এ বছর প্রায় ২১ লাখ লোক হজ পালন করেছে। এর মধ্যে প্রায় ১২ লাখ ৯৭ হাজার হচ্ছেন পুরুষ এবং ৮ লাখ ৪৩ হাজার হচ্ছেন নারী। বিদেশী হজযাত্রী ছিলেন প্রায় ১৩ লাখ ৯০ হাজার। বিদেশী হজযাত্রীদের মধ্যে এবার সবচেয়ে বেশি ছিলেন ইন্দোনেশিয়া থেকে। সে দেশ থেকে হজ পালনের নিমিত্তে সৌদি আরব গেছেন প্রায় ২ লাখ ৯৩ হাজার মানুষ, যা মোট বিদেশী হজযাত্রীর ২১ শতাংশ। এরপর পাকিস্তান থেকে ১ লাখ ৮৯ হাজার ও ভারত থেকে ১ লাখ ৫১ হাজার মানুষ হজ পালন করেছে। এ দু’টি দেশ রয়েছে বিদেশী হজযাত্রীদের মধ্যে যথাক্রমে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে। এরপর মিশর থেকে হজ পালন করতে গিয়েছে ১ লাখ ২৬ হাজার ৬০০ জন। দেশটি রয়েছে চতুর্থ স্থানে। আর বাংলাদেশ থেকে মোট হজযাত্রীর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ২ হাজার ৯০০ জন। বাংলাদেশ রয়েছে তালিকার পঞ্চম স্থানে। আর সৌদি আরবে থাকা যেসব মানুষ হজ পালন করেছেন, তার মধ্যে সৌদি আরবের স্থানীয়দের বাইরে মিশরীয় রয়েছেন প্রায় ৬৭০০০, পাকিস্তানি রয়েছেন প্রায় ৪১৯০০ জন। হজযাত্রীদের বিভিন্ন সুবিধা দিতে সৌদি সরকার প্রায় ১০০০০ কোটি ডলার খরচ করেছে। আনুষ্ঠানিক তথ্যানুযায়ী ২০০৫ সালে মোট হজযাত্রীর সংখ্যা ছিল ২২ লাখ ৬০ হাজার, আর পরের বছরই এ সংখ্যা বেড়ে ২৩ লাখ ৮০ হাজারে গিয়ে দাঁড়ায়। এ সংখ্যা ২০০৭ সালে ৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ২৪ লাখ ৫০ হাজারে। কিন্তু পরের বছরই ২ শতাংশ হ্রাস পেয়ে দাঁড়ায় ২৪ লাখ ১০ হাজারে। এরপর ২০১২ সাল পর্যন্ত ক্রমেই বেড়েছে হজযাত্রীর সংখ্যা। ২০১৩ সালে সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমে যায় হজযাত্রীদের সংখ্যা। কিন্তু এ বছরই আবার বেড়েছে অনেকটা। গত প্রায় ১০০ বছর ধরে হজযাত্রীদের পরিসংখ্যান সংরক্ষিত রয়েছে সৌদি সরকারের কাছে। ১৯২০ সালে বিদেশী হজযাত্রীদের সংখ্যা ছিল ৬০ হাজারেরও কম।
No comments