ফিলিস্তিনে প্রতিরোধে জলপাই আন্দোলন by শাহ মুহাম্মদ মোশাহিদ
ফিলিস্তিনে শুরু হয়েছে জলপাই সংগ্রহের
মৌসুম। পেঁজা তুলোর মতো শরতের আকাশ, টুপটাপ বৃষ্টির মহড়া। এর মধ্যেই জলপাই
সংগ্রহে ব্যস্ত কৃষক। তবে অন্যবারের চেয়ে এবারের আয়োজনটা ভিন্ন। এবার জলপাই
কৃষকদের মধ্যে জেগে উঠেছে জাতীয় চেতনা, অপূর্ব উদ্যম। এরা জলপাইয়ের ফলন
বাড়িয়ে ইসরাইলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে চায়। সবাই একসাথে গাইছে জলপাই
গান। হাতে ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে নেমেছে জলপাই আন্দোলনে। ব্যানারে লেখা
‘আমাদের জলপাই, আমাদের প্রতিরোধ’।
আন্দোলনটা প্রথম শুরু হয়েছে রামাল্লাহ থেকে। ওখানকার একটি গ্রাম বেইট রিমা। সেখানেই কৃষকদের সংঘবন্ধ করেছে ‘ইউনিয়ন অব এগ্রিকালচার ওয়ার্কার্স কমিটি’। এদের উদ্দেশ্য, এবার জলপাই সংগ্রহের মৌসুমকে রাজনৈতিকভাবে উৎসবমুখর করে তোলা। এর জন্য স্বেচ্ছাসেবকরা গ্রামে গ্রামে ঘুরা শুরু করেছে। ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে চালাচ্ছে প্রচারণা। এই স্বেচ্ছাসেবকরা জলপাই সংগ্রহে কৃষকদের সহায়তা করবে। ইসরাইলি আক্রমণে আর যেন কোনো জলপাই বাগান ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সে জন্যও কাজ করবে। জলপাই দিয়ে গড়ে তুলবে প্রতিরোধ।
জলপাই আন্দোলনের সাথে প্রতিরোধের কী সম্পর্ক?
জলপাইকে বলা যায় ফিলিস্তিনের প্রতীকের মতোই। ইতিহাসের আদি থেকেই এখানে জলপাই চাষ হয়ে আসছে। দেশটিতে রয়েছে হাজার হাজার বছর পুরনো জলপাই গাছ। ইউরোপীয়ান এবং জাপানী গবেষকদের হিসাবে বেথেলহামের আল বাদাউ গাছটির বয়স চার কি পাঁচ হাজার বছর হবে।
এসব পুরনো গাছগুলো প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে অনেক কৃষকের অবলম্বন। তাছাড়া গোটা দেশের অর্থনীতির একটি বড় অংশ নির্ভর করে জলপাইয়ের ওপর। অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ উপাদান রাজনীতিতেও প্রভাব ফেলে।
ফিলিস্তিনের কৃষক সমিতির পরিচালক খালেদ হিদমি বলেন, জলপাই মৌসুমে আমাদের কৃষক পরিবারের শিশু থেকে বুড়োরা পর্যন্ত কাজে লেগে যায়। কারণ এর ওপরই তাদের বেঁচে থাকতে হয়। এটা আমাদের পুরনো সংস্কৃতি, পুরনো আয়ের উৎস। কিন্তু ইসরাইলিরা আমাদের ভ’মিতে কলোনি স্থাপন করতে চায়। এরা ফিলিস্তিনীদের যেমন হত্যা করে, তেমনি আমাদের জলপাই গাছগুলোকেও ধ্বংশ করছে। ইসরাইলিরা প্রাচীন গাছ ও প্রাচীন পেশাকে ধ্বংশ করে আমাদের ইতিহাসকে মাটিতে মিশিয়ে দিতে চায়। তাই রাজনৈতিকভাবেই জলপাই কৃষকদের সহযোগিতায় সবাইকে এগিয়ে আসা প্রয়োজন।
খালেদ হিদমির সমিতির হিসাব অনুযায়ী, প্রতি বছর ফিলিস্তিনের কৃষি আয়ের ১৪ শতাংশ আসে জলপাই তেল থেকে। এর ওপর নির্ভর করে ৮০ হাজার পরিবারের জীবিকা।
জেরুসালেমের এপ্লাইড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের হিসাবে ১৯৬৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত ১.২ মিলিয়ন জলপাই গাছ ধ্বংশ করেছে ইসরাইলিরা।
এবারের যুদ্ধেও দখলদাররা হামলে পড়েছিলো গাজার জলপাই বাগানগুলোর ওপর। এছাড়া পশ্চিম তীরের বিভিন্ন এলাকার পুরনো গাছে আগুন দিয়েছে। নতুন গাছগুলো গোড়া থেকে তুলে ফেলেছে।
৫১ দিনের যুদ্ধ শেষ হয়েছে। তবে শান্তি ফিরে আসেনি। এখনো ইসরাইলি রক্তচুর দৃষ্টি ফিলিস্তিন ভ’মিতে। আর দেয়ালে পিঠ ঠেকলেও রক্তচুকে পরোয়া করে না ফিলিস্তিনীরা। এবার জলপাই নিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছে তারা। তাদের এ ঘুরে দাঁড়ানোর নাম জলপাই আন্দোলন।
সূত্র: মিডলইস্ট মনিটর
আন্দোলনটা প্রথম শুরু হয়েছে রামাল্লাহ থেকে। ওখানকার একটি গ্রাম বেইট রিমা। সেখানেই কৃষকদের সংঘবন্ধ করেছে ‘ইউনিয়ন অব এগ্রিকালচার ওয়ার্কার্স কমিটি’। এদের উদ্দেশ্য, এবার জলপাই সংগ্রহের মৌসুমকে রাজনৈতিকভাবে উৎসবমুখর করে তোলা। এর জন্য স্বেচ্ছাসেবকরা গ্রামে গ্রামে ঘুরা শুরু করেছে। ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে চালাচ্ছে প্রচারণা। এই স্বেচ্ছাসেবকরা জলপাই সংগ্রহে কৃষকদের সহায়তা করবে। ইসরাইলি আক্রমণে আর যেন কোনো জলপাই বাগান ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সে জন্যও কাজ করবে। জলপাই দিয়ে গড়ে তুলবে প্রতিরোধ।
জলপাই আন্দোলনের সাথে প্রতিরোধের কী সম্পর্ক?
জলপাইকে বলা যায় ফিলিস্তিনের প্রতীকের মতোই। ইতিহাসের আদি থেকেই এখানে জলপাই চাষ হয়ে আসছে। দেশটিতে রয়েছে হাজার হাজার বছর পুরনো জলপাই গাছ। ইউরোপীয়ান এবং জাপানী গবেষকদের হিসাবে বেথেলহামের আল বাদাউ গাছটির বয়স চার কি পাঁচ হাজার বছর হবে।
এসব পুরনো গাছগুলো প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে অনেক কৃষকের অবলম্বন। তাছাড়া গোটা দেশের অর্থনীতির একটি বড় অংশ নির্ভর করে জলপাইয়ের ওপর। অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ উপাদান রাজনীতিতেও প্রভাব ফেলে।
ফিলিস্তিনের কৃষক সমিতির পরিচালক খালেদ হিদমি বলেন, জলপাই মৌসুমে আমাদের কৃষক পরিবারের শিশু থেকে বুড়োরা পর্যন্ত কাজে লেগে যায়। কারণ এর ওপরই তাদের বেঁচে থাকতে হয়। এটা আমাদের পুরনো সংস্কৃতি, পুরনো আয়ের উৎস। কিন্তু ইসরাইলিরা আমাদের ভ’মিতে কলোনি স্থাপন করতে চায়। এরা ফিলিস্তিনীদের যেমন হত্যা করে, তেমনি আমাদের জলপাই গাছগুলোকেও ধ্বংশ করছে। ইসরাইলিরা প্রাচীন গাছ ও প্রাচীন পেশাকে ধ্বংশ করে আমাদের ইতিহাসকে মাটিতে মিশিয়ে দিতে চায়। তাই রাজনৈতিকভাবেই জলপাই কৃষকদের সহযোগিতায় সবাইকে এগিয়ে আসা প্রয়োজন।
খালেদ হিদমির সমিতির হিসাব অনুযায়ী, প্রতি বছর ফিলিস্তিনের কৃষি আয়ের ১৪ শতাংশ আসে জলপাই তেল থেকে। এর ওপর নির্ভর করে ৮০ হাজার পরিবারের জীবিকা।
জেরুসালেমের এপ্লাইড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের হিসাবে ১৯৬৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত ১.২ মিলিয়ন জলপাই গাছ ধ্বংশ করেছে ইসরাইলিরা।
এবারের যুদ্ধেও দখলদাররা হামলে পড়েছিলো গাজার জলপাই বাগানগুলোর ওপর। এছাড়া পশ্চিম তীরের বিভিন্ন এলাকার পুরনো গাছে আগুন দিয়েছে। নতুন গাছগুলো গোড়া থেকে তুলে ফেলেছে।
৫১ দিনের যুদ্ধ শেষ হয়েছে। তবে শান্তি ফিরে আসেনি। এখনো ইসরাইলি রক্তচুর দৃষ্টি ফিলিস্তিন ভ’মিতে। আর দেয়ালে পিঠ ঠেকলেও রক্তচুকে পরোয়া করে না ফিলিস্তিনীরা। এবার জলপাই নিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছে তারা। তাদের এ ঘুরে দাঁড়ানোর নাম জলপাই আন্দোলন।
সূত্র: মিডলইস্ট মনিটর
No comments