পরমাণু বিদ্যুৎ ছাড়া জাপানের পথ নেই by মুশফিকুর রহমান
বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (ওয়ার্ল্ড মেটিওরজিক্যাল অর্গানাইজেশন) বলছে, পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে গত ৩০ বছরের মধ্যে ২০১৩-১৪ সময়কালে গ্রিনহাউস গ্যাস দ্রুততম হারে বেড়েছে এবং এর প্রধান কারণ কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাস নিঃসরণের পরিমাণ বৃদ্ধি। একই সঙ্গে অন্যান্য গ্রিনহাউস গ্যাস যেমন: মিথেন, নাইট্রোজেনের অক্সাইডের বৃদ্ধিও উল্লেখযোগ্য পরিমাণে ঘটেছে। ফলে বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা বৈশ্বিক উষ্ণায়নের বিপদ নিয়ন্ত্রণের সময় পেরিয়ে যাচ্ছে বলে সতর্ক করেছে। গ্রিনপিস বলছে, কয়লাসহ জীবাশ্ম জ্বালানি পুড়িয়ে বর্ধিত হারে বিদ্যুৎ উৎপাদনের কারণে ইউরোপের কার্বনদূষণ হ্রাসের উদ্যোগ ভন্ডুল হওয়ার পথে। একইভাবে ২০১১ সালে ফুকুশিমায় পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের দুর্ঘটনা-পরবর্তী সময়কালে জাপানের জীবাশ্ম জ্বালানির আমদানি ও ব্যবহার ব্যাপকভাবে বেড়েছে। বিশেষ আনুকূল্য ও ব্যাপক ভর্তুকি দিয়ে সরকার নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়াতে চাইলেও জাপানের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি চাহিদা পূরণে তার ভূমিকা এখনো নগণ্য। এখন জাপানে ব্যবহৃত জ্বালানির প্রায় ৮৪ শতাংশ আমদানিনির্ভর। বলাই বাহুল্য, জাপানে জ্বালানি হিসেবে আমদানি করা হয় জীবাশ্ম জ্বালানি যেমন: তরলীকৃত গ্যাস, তেল ও কয়লা।
ফুকুশিমা দুর্ঘটনার আগে জাপানের উৎপাদিত বিদ্যুতের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ সে দেশের ৫৪টি পরমাণু বিদ্যুৎ উৎপাদনের চুল্লি (রিঅ্যাকটর) থেকে জোগান পেত। ফুকুশিমায় অভাবনীয় তীব্রতার ভূমিকম্প ও সুনামির ধাক্কায় সেখানকার প্রায় ৪০ বছরের পুরোনো বিদ্যুৎকেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়, ছড়িয়ে পড়ে তেজস্ক্রিয় বস্তু। সুনামির প্রভাবে ফুকুশিমা ও সন্নিহিত এলাকায় ২০১১ সালে প্রায় ১৯ হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটে, কিন্তু সেখানকার পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে কারও মৃত্যু হয়নি। অবশ্য প্রায় এক লাখ ২০ হাজার মানুষকে আশপাশের এলাকা থেকে সম্ভাব্য বিপদাশঙ্কায় সরিয়ে নেওয়া হয়। পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে তেজস্ক্রিয়তা বিকিরিত হয়ে তা মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকি যেন না ঘটায়, সে জন্য কেন্দ্রসন্নিহিত বসবাসকারী মানুষ সরিয়ে তাদের অস্থায়ী আবাসস্থলে জায়গা করে দেওয়া হয়েছে। স্বভাবতই বাস্তুচ্যুত মানুষ এবং তাদের আপনজন পরমাণুকেন্দ্রের নিরাপত্তা নিয়ে বিশেষভাবে উদ্বিগ্ন।
দুর্ঘটনা-পরবর্তী বৈরী জনমতের চাপে জাপানের পরমাণু শক্তিচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রসমূহ বন্ধ করা হয়। প্রয়োজনীয় নিরাপত্তাঝুঁকি যাচাই করে জাপানে দুটি রিঅ্যাকটর কিছুদিন আগে পুনরায় চালু হয়েছে। জাপানের স্বাধীন নিয়ন্ত্রক সংস্থা দেশের সব পরমাণুকেন্দ্রের ‘পরমাণু থেকে তেজস্ক্রিয়তা ছড়ানোর ঝুঁকি এবং নিরাপত্তা পুনর্মূল্যায়ন’ বা স্ট্রেস টেস্ট সম্পন্ন করছে। এর মধ্য দিয়ে পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রে তীব্র ভূমিকম্প ও সুনামি আঘাত হানলেও তার টিকে থাকার পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। এ বছরই জাপানের সেনদাই প্রদেশে স্বাভাবিক বিবেচনায় আরও দুটি পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হচ্ছে।
জাপানে ২০১২ সালে উৎপাদিত মোট বিদ্যুতের পরিমাণ ছিল ১,০৩৩ বিলিয়ন কিলোওয়াট (টেরাওয়াট)। এর মধ্যে ২৯২ টেরাওয়াট কয়লা থেকে, ৪২৬ টেরাওয়াট গ্যাস থেকে, ১১ টেরাওয়াট পরমাণু বিদ্যুৎ থেকে, ১৭১ টেরাওয়াট তেল ও ৮৫.৭ টেরাওয়াট জলবিদ্যুৎ থেকে সরবরাহ করা হয়েছে। নবায়নযোগ্য উৎস থেকে একই সময়ে জোগান এসেছে নগণ্য পরিমাণ বিদ্যুৎ (সৌরবিদ্যুৎ ৪.৫ টেরাওয়াট, বাতাসের শক্তি থেকে ৪.৩, জিওথারমাল-২.৫ এবং বায়োমাস ও বর্জ্য পুড়িয়ে ৩৭ টেরাওয়াট)। মনে রাখা ভালো, এ সময়ে অধিকাংশ পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ ছিল বা বন্ধ হওয়ার প্রক্রিয়ায় ছিল। পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ না পেয়ে জাপানের জন্য বিকল্প অনুসন্ধান অপরিহার্য হয়ে ওঠে। জাপান উদ্যোগ নেয় প্রযুক্তির দক্ষতা, কৃচ্ছ্র এবং বিদ্যুৎসাশ্রয়ী বিভিন্ন পদক্ষেপ বাস্তবায়নের। কিন্তু তাতে খুব বেশি এগোনো যায়নি। বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য বাড়তি জীবাশ্ম জ্বালানি আমদানির চাপ অর্থনীতির জন্য প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করে। ২০১৩ সালেই জীবাশ্ম জ্বালানি আমদানিতে জাপানকে ব্যয় করতে হয় অতিরিক্ত প্রায় ৪০ বিলিয়ন ডলার। ফলে একই বছরে বরাবরের রপ্তানি উদ্বৃত্ত জাপানি অর্থনীতিকে ১৩.৭৫ ট্রিলিয়ন ইয়েন (প্রায় ১৩৪ বিলিয়ন ডলার) বাণিজ্য ঘাটতির মুখে পড়তে হয়। বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য জাপানের ইউনিটপ্রতি ব্যয়ও উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়তে থাকে (গড়ে প্রতি ইউনিটে উৎপাদন ব্যয় ৮.৬ ইয়েন থেকে বেড়ে ১৩.৬ ইয়েনে উত্তীর্ণ হয়)। জাপানের বিজনেস ফেডারেশনের দেওয়া হিসাব অনুযায়ী, ‘পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করায় জাপান থেকে বছরে ৩৪.৯ বিলিয়ন ডলার পরিমাণ জাতীয় সম্পদ বিদেশে চলে যাচ্ছে।’ এই পটভূমিতে ব্যবসায়ীদের সংগঠনগুলো লিখিতভাবে সরকারের কাছে পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো দ্রুত চালু করার আবেদন পেশ করে।
এদিকে কিয়োটো প্রটোকলের ঘোষণায়, ২০৫০ সাল নাগাদ জাপান বায়ুমণ্ডলে (২০০০ সালের পর্যায় থেকে) ৫৪ শতাংশ কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাসের উদগিরণ হ্রাস করতে চেয়েছিল। ৬০ শতাংশ পরমাণু বিদ্যুৎ উৎপাদনের ওপর ভর করে ২১০০ সাল নাগাদ জাপান কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাস নিঃসরণ ৯০ শতাংশ হ্রাস করার ঘোষণা দিয়েছিল (২০০২ সালে)। ফুকুশিমা দাইচি পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের দুর্ঘটনা সব এলোমেলো করে দেয়। তবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করে জাপান পর্যায়ক্রমে আবারও তার পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো চালু করতে শুরু করেছে। অবাক হওয়ার ব্যাপার হবে না, যদি অদূর ভবিষ্যতে ফুকুশিমা দুর্ঘটনা-পরবর্তী হুজুগে বিভিন্ন দেশে যারা পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছিল, তারাও জাপানের পদাঙ্ক অনুসরণ করে।
ড. মুশফিকুর রহমান: খনি প্রকৌশলী, জ্বালানি ও পরিবেশবিষয়ক লেখক।
ফুকুশিমা দুর্ঘটনার আগে জাপানের উৎপাদিত বিদ্যুতের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ সে দেশের ৫৪টি পরমাণু বিদ্যুৎ উৎপাদনের চুল্লি (রিঅ্যাকটর) থেকে জোগান পেত। ফুকুশিমায় অভাবনীয় তীব্রতার ভূমিকম্প ও সুনামির ধাক্কায় সেখানকার প্রায় ৪০ বছরের পুরোনো বিদ্যুৎকেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়, ছড়িয়ে পড়ে তেজস্ক্রিয় বস্তু। সুনামির প্রভাবে ফুকুশিমা ও সন্নিহিত এলাকায় ২০১১ সালে প্রায় ১৯ হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটে, কিন্তু সেখানকার পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে কারও মৃত্যু হয়নি। অবশ্য প্রায় এক লাখ ২০ হাজার মানুষকে আশপাশের এলাকা থেকে সম্ভাব্য বিপদাশঙ্কায় সরিয়ে নেওয়া হয়। পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে তেজস্ক্রিয়তা বিকিরিত হয়ে তা মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকি যেন না ঘটায়, সে জন্য কেন্দ্রসন্নিহিত বসবাসকারী মানুষ সরিয়ে তাদের অস্থায়ী আবাসস্থলে জায়গা করে দেওয়া হয়েছে। স্বভাবতই বাস্তুচ্যুত মানুষ এবং তাদের আপনজন পরমাণুকেন্দ্রের নিরাপত্তা নিয়ে বিশেষভাবে উদ্বিগ্ন।
দুর্ঘটনা-পরবর্তী বৈরী জনমতের চাপে জাপানের পরমাণু শক্তিচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রসমূহ বন্ধ করা হয়। প্রয়োজনীয় নিরাপত্তাঝুঁকি যাচাই করে জাপানে দুটি রিঅ্যাকটর কিছুদিন আগে পুনরায় চালু হয়েছে। জাপানের স্বাধীন নিয়ন্ত্রক সংস্থা দেশের সব পরমাণুকেন্দ্রের ‘পরমাণু থেকে তেজস্ক্রিয়তা ছড়ানোর ঝুঁকি এবং নিরাপত্তা পুনর্মূল্যায়ন’ বা স্ট্রেস টেস্ট সম্পন্ন করছে। এর মধ্য দিয়ে পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রে তীব্র ভূমিকম্প ও সুনামি আঘাত হানলেও তার টিকে থাকার পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। এ বছরই জাপানের সেনদাই প্রদেশে স্বাভাবিক বিবেচনায় আরও দুটি পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হচ্ছে।
জাপানে ২০১২ সালে উৎপাদিত মোট বিদ্যুতের পরিমাণ ছিল ১,০৩৩ বিলিয়ন কিলোওয়াট (টেরাওয়াট)। এর মধ্যে ২৯২ টেরাওয়াট কয়লা থেকে, ৪২৬ টেরাওয়াট গ্যাস থেকে, ১১ টেরাওয়াট পরমাণু বিদ্যুৎ থেকে, ১৭১ টেরাওয়াট তেল ও ৮৫.৭ টেরাওয়াট জলবিদ্যুৎ থেকে সরবরাহ করা হয়েছে। নবায়নযোগ্য উৎস থেকে একই সময়ে জোগান এসেছে নগণ্য পরিমাণ বিদ্যুৎ (সৌরবিদ্যুৎ ৪.৫ টেরাওয়াট, বাতাসের শক্তি থেকে ৪.৩, জিওথারমাল-২.৫ এবং বায়োমাস ও বর্জ্য পুড়িয়ে ৩৭ টেরাওয়াট)। মনে রাখা ভালো, এ সময়ে অধিকাংশ পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ ছিল বা বন্ধ হওয়ার প্রক্রিয়ায় ছিল। পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ না পেয়ে জাপানের জন্য বিকল্প অনুসন্ধান অপরিহার্য হয়ে ওঠে। জাপান উদ্যোগ নেয় প্রযুক্তির দক্ষতা, কৃচ্ছ্র এবং বিদ্যুৎসাশ্রয়ী বিভিন্ন পদক্ষেপ বাস্তবায়নের। কিন্তু তাতে খুব বেশি এগোনো যায়নি। বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য বাড়তি জীবাশ্ম জ্বালানি আমদানির চাপ অর্থনীতির জন্য প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করে। ২০১৩ সালেই জীবাশ্ম জ্বালানি আমদানিতে জাপানকে ব্যয় করতে হয় অতিরিক্ত প্রায় ৪০ বিলিয়ন ডলার। ফলে একই বছরে বরাবরের রপ্তানি উদ্বৃত্ত জাপানি অর্থনীতিকে ১৩.৭৫ ট্রিলিয়ন ইয়েন (প্রায় ১৩৪ বিলিয়ন ডলার) বাণিজ্য ঘাটতির মুখে পড়তে হয়। বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য জাপানের ইউনিটপ্রতি ব্যয়ও উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়তে থাকে (গড়ে প্রতি ইউনিটে উৎপাদন ব্যয় ৮.৬ ইয়েন থেকে বেড়ে ১৩.৬ ইয়েনে উত্তীর্ণ হয়)। জাপানের বিজনেস ফেডারেশনের দেওয়া হিসাব অনুযায়ী, ‘পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করায় জাপান থেকে বছরে ৩৪.৯ বিলিয়ন ডলার পরিমাণ জাতীয় সম্পদ বিদেশে চলে যাচ্ছে।’ এই পটভূমিতে ব্যবসায়ীদের সংগঠনগুলো লিখিতভাবে সরকারের কাছে পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো দ্রুত চালু করার আবেদন পেশ করে।
এদিকে কিয়োটো প্রটোকলের ঘোষণায়, ২০৫০ সাল নাগাদ জাপান বায়ুমণ্ডলে (২০০০ সালের পর্যায় থেকে) ৫৪ শতাংশ কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাসের উদগিরণ হ্রাস করতে চেয়েছিল। ৬০ শতাংশ পরমাণু বিদ্যুৎ উৎপাদনের ওপর ভর করে ২১০০ সাল নাগাদ জাপান কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাস নিঃসরণ ৯০ শতাংশ হ্রাস করার ঘোষণা দিয়েছিল (২০০২ সালে)। ফুকুশিমা দাইচি পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের দুর্ঘটনা সব এলোমেলো করে দেয়। তবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করে জাপান পর্যায়ক্রমে আবারও তার পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো চালু করতে শুরু করেছে। অবাক হওয়ার ব্যাপার হবে না, যদি অদূর ভবিষ্যতে ফুকুশিমা দুর্ঘটনা-পরবর্তী হুজুগে বিভিন্ন দেশে যারা পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছিল, তারাও জাপানের পদাঙ্ক অনুসরণ করে।
ড. মুশফিকুর রহমান: খনি প্রকৌশলী, জ্বালানি ও পরিবেশবিষয়ক লেখক।
No comments