ঢাকা মেডিক্যালে শিশু চুরি ও ছিনতাই -সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জরুরি
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বেশ কিছু দিন ধরে নবজাতক চুরির ঘটনা ঘটছে। এর সাথে যোগ হয়েছে সশস্ত্র ছিনতাই। এ অবস্থায় রোগী, তাদের স্বজন এবং এ হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
গতকাল নয়া দিগন্তে প্রকাশিত এক রিপোর্টে এ প্রসঙ্গে জানানো হয়েছে, মেডিক্যাল হাসপাতালের ভেতরেই বহু পুলিশ-আনসারের নিরাপত্তা বেষ্টনীতে আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে ছিনতাই করার ঘটনা ঘটেছে রোববার বিকেলে। সেখানে এ ধরনের দুর্বৃত্তপনার নজির আর নেই। ওই দিন এক যুবক হাসপাতাল বহির্বিভাগের কাছে পিস্তল বের করে এক রোগীর ছেলেকে হুমকি দেয় এবং যা আছে সব দিয়ে দিতে বলে। এভাবে সে এক হাজার টাকা ছিনতাই করে চলে যায়। অস্ত্র নিয়ে হাসপাতালে প্রবেশ ও ছিনতাইয়ের এ ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। জানা গেছে, রোগীদের খাবার বা ওষুধ নিয়ে ঢুকতে গেলেও বাধা পেতে হয়। অথচ প্রকাশ্য দিবালোকে দুর্বৃত্ত পিস্তল নিয়ে ঢুকে টাকা ছিনিয়ে নিয়ে গেল। আনসার-পুলিশ এর দায় এড়াতে পারে না। সন্দেহ হচ্ছে, এ ছিনতাইকারীর সাথে হাসপাতালের কোনো অশুভ চক্রের যোগসাজশ রয়েছে। এমনকি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কেউ কেউ এই চক্রে জড়িত থাকাও অসম্ভব নয়। এমনিতেই হাসপাতালে টাকা, মোবাইল ও রোগীদের মালামাল চুরি হয়ে থাকে। নবজাতক চুরির ঘটনাও কম নয়। এখন সশস্ত্র দুর্বৃত্তের তৎপরতা শুরু হওয়ায় সবাই ভীষণ শঙ্কা ও উদ্বেগ বোধ করছেন। উল্লেখ্য, নবজাত শিশু চুরির সর্বশেষ ঘটনা ঘটতে যাচ্ছিল শনিবার মধ্যরাতে। সৌভাগ্যবশত তা ব্যর্থ হয়ে যায়। শিশুটির খালা তাকে লুকিয়ে পাচার করার সময় ধরা পড়েছে। এ দিকে, এ শিশুর মা সোমবার রাতে হাসপাতালে মারা গেছেন। শিশু চুরির সাথে যে বিরাট চক্র জড়িত, তা অনুমান করা কঠিন নয়। বারবার দুষ্কৃতকারীরা এমন ঘটনা ঘটানোর সুযোগ পায় কী করে, সেটাই মূল প্রশ্ন।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ব্রিটিশ আমলের শেষ দিকে স্থাপিত এবং এটাকে বাংলাদেশে এ-জাতীয় হাসপাতালগুলোর মধ্যে প্রধান বলা যায়। খোদ রাজধানীর এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ হাসপাতালে শিশু পাচারকারী, সশস্ত্র ছিনতাইকারী, চোর, প্রতারকসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধী তৎপর থাকা প্রশাসনের নিদারুণ ব্যর্থতাই তুলে ধরা হয়েছে। এখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সারাক্ষণ নিয়োজিত রয়েছে। তা সত্ত্বেও রোগী, তাদের স্বজন ও নবজাতকের নিরাপত্তা না থাকা অত্যন্ত উদ্বেগজনক।
আমরা মনে করি, ছিনতাইকারী ও শিশুচোরসহ সব ধরনের অপরাধীর ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের সারাক্ষণ সতর্ক থাকা উচিত। এ জন্য সংশ্লিষ্ট বাহিনীর সদস্যদের দায়িত্ব পালন করতে হবে নিষ্ঠার সাথে। দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট চক্রগুলোর মূলোচ্ছেদ করা প্রয়োজন। পুলিশ বা আনসার কিংবা দায়িত্বশীল কর্মচারীদের গাফিলতি থাকলে আইনগত পদক্ষেপ নেয়া দরকার।
গতকাল নয়া দিগন্তে প্রকাশিত এক রিপোর্টে এ প্রসঙ্গে জানানো হয়েছে, মেডিক্যাল হাসপাতালের ভেতরেই বহু পুলিশ-আনসারের নিরাপত্তা বেষ্টনীতে আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে ছিনতাই করার ঘটনা ঘটেছে রোববার বিকেলে। সেখানে এ ধরনের দুর্বৃত্তপনার নজির আর নেই। ওই দিন এক যুবক হাসপাতাল বহির্বিভাগের কাছে পিস্তল বের করে এক রোগীর ছেলেকে হুমকি দেয় এবং যা আছে সব দিয়ে দিতে বলে। এভাবে সে এক হাজার টাকা ছিনতাই করে চলে যায়। অস্ত্র নিয়ে হাসপাতালে প্রবেশ ও ছিনতাইয়ের এ ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। জানা গেছে, রোগীদের খাবার বা ওষুধ নিয়ে ঢুকতে গেলেও বাধা পেতে হয়। অথচ প্রকাশ্য দিবালোকে দুর্বৃত্ত পিস্তল নিয়ে ঢুকে টাকা ছিনিয়ে নিয়ে গেল। আনসার-পুলিশ এর দায় এড়াতে পারে না। সন্দেহ হচ্ছে, এ ছিনতাইকারীর সাথে হাসপাতালের কোনো অশুভ চক্রের যোগসাজশ রয়েছে। এমনকি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কেউ কেউ এই চক্রে জড়িত থাকাও অসম্ভব নয়। এমনিতেই হাসপাতালে টাকা, মোবাইল ও রোগীদের মালামাল চুরি হয়ে থাকে। নবজাতক চুরির ঘটনাও কম নয়। এখন সশস্ত্র দুর্বৃত্তের তৎপরতা শুরু হওয়ায় সবাই ভীষণ শঙ্কা ও উদ্বেগ বোধ করছেন। উল্লেখ্য, নবজাত শিশু চুরির সর্বশেষ ঘটনা ঘটতে যাচ্ছিল শনিবার মধ্যরাতে। সৌভাগ্যবশত তা ব্যর্থ হয়ে যায়। শিশুটির খালা তাকে লুকিয়ে পাচার করার সময় ধরা পড়েছে। এ দিকে, এ শিশুর মা সোমবার রাতে হাসপাতালে মারা গেছেন। শিশু চুরির সাথে যে বিরাট চক্র জড়িত, তা অনুমান করা কঠিন নয়। বারবার দুষ্কৃতকারীরা এমন ঘটনা ঘটানোর সুযোগ পায় কী করে, সেটাই মূল প্রশ্ন।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ব্রিটিশ আমলের শেষ দিকে স্থাপিত এবং এটাকে বাংলাদেশে এ-জাতীয় হাসপাতালগুলোর মধ্যে প্রধান বলা যায়। খোদ রাজধানীর এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ হাসপাতালে শিশু পাচারকারী, সশস্ত্র ছিনতাইকারী, চোর, প্রতারকসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধী তৎপর থাকা প্রশাসনের নিদারুণ ব্যর্থতাই তুলে ধরা হয়েছে। এখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সারাক্ষণ নিয়োজিত রয়েছে। তা সত্ত্বেও রোগী, তাদের স্বজন ও নবজাতকের নিরাপত্তা না থাকা অত্যন্ত উদ্বেগজনক।
আমরা মনে করি, ছিনতাইকারী ও শিশুচোরসহ সব ধরনের অপরাধীর ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের সারাক্ষণ সতর্ক থাকা উচিত। এ জন্য সংশ্লিষ্ট বাহিনীর সদস্যদের দায়িত্ব পালন করতে হবে নিষ্ঠার সাথে। দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট চক্রগুলোর মূলোচ্ছেদ করা প্রয়োজন। পুলিশ বা আনসার কিংবা দায়িত্বশীল কর্মচারীদের গাফিলতি থাকলে আইনগত পদক্ষেপ নেয়া দরকার।
No comments